সাধারণত জন্মনিয়ন্ত্রণ একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। স্বাভাবিক ভাবে যে কোন দম্পতি বিয়ের পর শারীরিক ও মানুষিক দুই ভাবেই একে অপরের সাথে মিলিত হয়।
এমন অবস্থায় মেয়েরা সাধারনত খুব তারাতারি গর্ভবতী হতে চায় না মাঝে মাঝে এমন ও হয় বিয়ের আগে অনেকে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে এমন সময় অনেক বড় ধরণের সমস্যা হতে পারে যেমনঃ মেয়েরা গর্ভবতী হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। তাহলে এই সময়ে কি করা জেতে পারে?
জন্মনিয়ন্ত্রণের জন অনেক রকম উপায়ই আছে- পুরুষ কনডম, মহিলা কনডম, ইমারজেন্সি পিল, ইনজেকশন ইত্যাদি।
অনেকে কনডম ব্যবহার করে নিরাপদ অনুভব করে না। যদি কোন সমস্যা তার পড়েও হয় এই ক্ষেত্রে ইমারজেন্সি পিল অনেকটা কার্যকরী। একটি ইমারজেন্সি পিল ৭২ ঘণ্টার মধ্যে খেলে ৯৯% কাজ দিবে। ধরুন আজ শারীরিক ভাবে মিলিত হলে আগামি ২ দিনের মধ্যে ইমারজেন্সি খেতে হবে। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে খেলে গর্ভবতী হওয়ার কোন আসংখা থাকে না।
\
আসুন কয়েকটি ইমারজেন্সি পিল সম্পর্কে জেনে নেই:
এমকন (Emcon)
আই-পিল(I-pill)
নোরিক্স(Norix)
নরপিল(Norpill)
উপরের সব গুলো পিলই ৭২ ঘণ্টার মধ্যে খেলে গর্ভবতী হওয়ার আসংখা থাকে না। এ গুলো ছড়াও আরও অনেক পিল আছে যা আপনি আপনার নিকটস্থ ফার্মেসি বা ঔষধের দোকানে পাবেন।
বিঃদ্রঃ- মনে রাখুন, ইমারজেন্সি গর্ভনিরোধক পিল শুধু মাত্র জরুরি সময়ের জন্য। এটি নিয়মিত ব্যবহারের যোগ্য নয়। কারণ এর গর্ভধারন রোধ করার ক্ষমতা নন ইমারজেন্সি গর্ভনিরোধকসমূহের থেকে কম কার্যকরী। তাছাড়া বার বার ইমারজেন্সি বা জরুরি গর্ভনিরোধক পিল সেবনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়ারও আশঙ্কা থাকে যেমন – অনিয়মিত মাসিক। তবে এর বার বার ব্যবহার কোন সাস্থ্যের ক্ষতি করে না।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন