হারবাল ঔষধ, ভেষজ ঔষধ, ভেষজ চূর্ণ, ভেষজ গুণ সম্পর্কিত গাছ, প্রাকৃতিক ঔষধ, ভেষজ উদ্ভিদ পরিচিতি, ইউনানি চিকিৎসা, আয়ুর্বেদ চিকিৎসা, আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা, গ্রামীণ চিকিৎসা সেবা, হারবাল চিকিৎসা, অর্গানিক খাদ্য,হারবাল চা,হারবাল রেমিডি,ন্যাচারাল রেমিডি, হার্বস, একক ভেষজ, হারবাল ঔষধ এর পরিচিতি,হারবাল ঔষধ এর রিভিউ, ইউনানি ঔষধ এর রিভিউ, আয়ুর্বেদিক ঔষধ এর রিভিউ,আয়ুর্বেদ চিকিৎসার ইতিহাস, ইউনানি চিকিৎসার ইতিহাস, ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকিৎসা, হারবাল টোটকা,হারবাল শরবত, ফলের গুনাগুন, ফুলের গুনাগুন ইত্যাদি নিয়ে লেখালেখি।

Blogger templates

  • This is default featured slide 1 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by NewBloggerThemes.com.

  • This is default featured slide 2 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by NewBloggerThemes.com.

  • This is default featured slide 3 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by NewBloggerThemes.com.

  • This is default featured slide 4 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by NewBloggerThemes.com.

  • This is default featured slide 5 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by NewBloggerThemes.com.

সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

অশ্বগন্ধার উপকারিতা


জেনে নিন অশ্বগন্ধার বিভিন্ন উপকারী গুনাবলী
অশ্বগন্ধা হচ্ছে উইথানিয়া গণের একটি গুল্ম । প্রাচীন কালে এই অশ্বগন্ধার প্রয়োগ হতো যেখানে রসবহ, রক্তবহ ও শুক্রবহ স্রোতের দোষ রয়েছে, এসসব দোষ নিরসন করে তাকে স্বাভাবিক ক্রিয়ায় নিয়ে যাওয়া একান্ত প্রয়োজন। অশ্বগন্ধার ১২টি প্রমাণিত উপকারিতা নিম্নে বর্ণনা করা হলো।
১) শিশুকালের কার্শ্য রোগ:- যাকে Emaciation বলে। এর কারণ হলো তার পুষ্টি, যেটা তার রসবহ স্রোত অথবা রক্তবহ স্রোতের স্বাভাবিক ক্রিয়াশীলতার অভাবেই হয়। এই সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে ওষুধ খেয়ে আর পুষ্টিকর খাবার খেয়ে স্বাস্থ্য ভাল হয় ঠিকই, কিন্তু একটি জায়গায় সমস্যা থেকেই যায় তাহলো শক্তিবহ স্রোতের হীনবলত্ব তো থেকে যায়। যখনই সে বিবাহিত হলো তখনই তার ঐ হীনশুক্রর জন্য খুবই অসুবিধ হতে থাকবে; সেক্ষেত্রে অশ্বগন্ধা মূল চূর্ণ দেড় গ্রাম মাত্রায় প্রতিদিন সকালে ও বিকালে আধা কাপ গরম দুধে মিশিয়ে খেতে হবে। এর দ্বারা ঐ শুক্রের অপুষ্টি সমস্যা চলে যাবে।
২) শ্রমে ক্লান্তি দূর করতে:- শরীরে তেমন কোনো রোগ নেই, হজমও হয়, দাস্ত পরিষ্কার হয়; শরীর যে খারাপ থাকে তাও নয়, অথচ তারা একটু পরিশ্রম করলেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে; তখনই ধরে নিতে হবে তার রক্তবহ স্রোতে দূর্বলতা এসেছে, অর্থাত্‍ অল্পেই তার হদযন্ত্রকে অধিক পরিশ্রম করতে হচ্ছে; এক্ষেত্রে অনেকের দেখা যায় ধমনীর স্পন্দন দ্রুত হচ্ছে অর্থাত্‍ যেটা হলো চিরাচরিত প্রচলিত নাড়ী স্পন্দন। এই যে হৃদযন্ত্রের অত্যধিক চালনা হচ্ছে, এর জন্যেই সে ক্লান্তি অনুভব করছে, তাই এক্ষেত্রে অশ্বগন্ধার মূল চূর্ণ দেড় গ্রাম মাত্রা করে দু বেলা আধ বা এক কাপ গরম দুধে মিশিয়ে খেতে হবে। কয়েকদিন খাওয়ার পর ঐ মাত্রাটা আস্তে আস্তে বাড়িয়ে ৪ থেকে ৫ গ্রাম করে প্রতি বেলায় খেতে পারবেন। এইভাবে শুরু থেকে মাস দেড়েক খেতে হবে। এর দ্বারা ঐ ক্লান্তি আর থাকবে না।
৩) শ্বাসে ও কাসে:- যদি এদের শৈশবের ইতিহাসে শোনা যায় তাহলে বুঝা যাবে এরা ছোটবেলায় খুব ডিগডিগে চেহারার ছিলেন, বয়সের সঙ্গে সঙ্গে চেহারার পরিবর্তন হয়েছে। বটে, কিন্তু একটা সমস্যা তাঁদের শরীরে থেকে যায়নি, সেটা হচ্ছে অল্প ঠান্ডা লাগলে অথবা কোনো ঋতু পরিবর্তনের সময় তাঁদের সর্দি কাসি হবেই, তখনই বুঝতে হবে। শৈশবের অপুষ্টিই এই বিপাকে ফেলে দিয়েছে। এক্ষেত্রে অশ্বগন্ধা মূল চূর্ণ এক গ্রাম থেকে ২ গ্রাম মাত্রায় সকালে ও সন্ধ্যায় অল্প গরম জল সহ খেতে হবে। তবে মনে রাখতে হবে এটা প্রত্যক্ষভাবে শ্বাস-কাসের ওষুধ নয়; যাঁর পূর্ব ইতিহাস এই ধরনের ছিল, তাঁর ক্ষেত্রেই কাজ করবে।
৪) ফোড়ায়:- অনেকে এটাতে ভুগে থাকেন। অনেকে বলে থাকেন যে, রক্ত খারাপ হয়েছে, কিন্তু জেনে রাখা ভালো রক্ত দূষিত হলে আরও কঠিন রোগ আসে, যেমন কুষ্ঠ ও বাতরক্ত। কোনো কারণে রক্তবিকৃত হয়ে এই ফোড়া হয়, যদি এই বিকারকে সরিয়ে ফেলা যায় তাহলে ফোড়া আর হবে না, সেক্ষেত্রে অশ্বগন্ধার মূল চূর্ণ এক থেকে দেড় গ্রাম মাত্রায় আধ কাপ গরম দুধের সঙ্গে সকালে ও বিকালে দুবার খেলে ঐ রক্তবিকারটা চলে যাবে, আর ফোড়াও হবে না। তবে প্রারম্ভিক মাত্রা কিন্তু এক গ্রামের বা ৭ থেকে ৮ রতির বেশি নয়।
৫) শ্বেতী রোগে:- এই শ্বেতী কতো গভীরে প্রবেশ করেছে সেটা বোঝার উপায় হলো দাগগুলি দুধের মতো সাদা হয়ে গেলে বুঝতে হবে যে, এ রোগাক্রমণ মাংসবহ স্রোত পর্যন্ত হয়েছে; আর দাগগুলি একটু লালচে হলে বুঝতে হবে, এটা রক্তবহ স্রোতের এলাকায় আছে; আর যখন আবছা সাদা দাগ দেখা যাবে তখন বুঝতে হবে, এখন সে রসবহ স্রোতের এলাকায় আছে; আর অশ্বগন্ধার মূল তখনই কাজ করে যখন এই রোগ রসবহ ও রক্তবহ স্রোতের এলাকায় থাকে; এ অবস্থার ক্ষেত্রে অশ্বগন্ধার মূল চূর্ণ দেড় বা দুই গ্রাম মাত্রায় সকালে ও বিকালে দুবেলা দুধসহ খেতে হবে। আর কাঁচা অশ্বগন্ধার গাছের পাতা ও মূল একসঙ্গে ১০ গ্রাম নিয়ে একটু থেঁতো করে, ২ কাপ জলে সিদ্ধ করে সিকি কাপ বা তারও কম থাকতে নামিয়ে ছেঁকে ঐ জলটা সমস্ত দিনে ৩ থেকে ৪ বার দাগগুলিতে লাগিয়ে দিতে হবে। তবে ২ থেকে ৪ দিন খেয়ে বা লাগালে সেরে যাবে। যদি না সারে তাহলে এটা ছেড়ে দিলে চলবে না; কমপক্ষে ৩ মাস ব্যবহার করতে হবে। তবে এটা ঠিক, যে দাগ সাদা দুধের মতো হয়ে গিয়েছে আর ৩ বত্‍সর হয়ে গিয়েছে, সেটা সেরে যাওয়া অর্থাত্‍ দাগ মিলিয়ে যাওয়া নিতান্তই দুরূহ ব্যাপার।
৬) পায়ের ফুলোয়:- প্রায়ই আমাশা হয়। আর এটা সেটা খেয়ে সাময়িক চাপা দেওয়া হচ্ছে, এর ফলে কিছুদিন বাদে আমরসের ফুলো পায়ে দেখা দিয়েছে, বুঝতে হবে এ আমরস রসবহ স্রোতকে দূষিত করেছে, এক্ষেত্রে অশ্বগন্ধার মূল চূর্ণ ১ গ্রাম মাত্রায় সকালে ও বিকালে থানকুনি (Centella asiatica) পাতার রস ৪ চা চামচ একটু গরম করে সেই জলীয়াংশটার সঙ্গে খেতে হবে; অথবা শ্বেত পুনর্নবার (Trianthema portulacastrum) রসও নেওয়া চলে। এই মুষ্টিযোগটি ব্যবহার করলে পায়ের ফুলোটা সেরে যাবে।
৭) ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিসে:- এটার আয়ুর্বেদিক নাম তমক শ্বাস। এই রোগের উপসর্গ হলো রোগী কেসেই চলেছেন কিন্তু সর্দি ওঠার নামগন্ধ নেই। এক্ষেত্রে অশ্বগন্ধার মূল চূর্ণ এক বা দেড় গ্রাম মাত্রায় নিয়ে গাওয়া ঘি এক চা চামচ ও মধু আধ চা চামচ মিশিয়ে সকালের দিকে একবার ও বিকালের দিকে একবার একটু একটু করে চেটে খেতে হবে।
৯) কার্শ্য রোগ:- এ রোগটা শিশুদেরই বেশি দেখা যায়। এই রোগের কারণ হলো প্রথমে রসবহ স্রোত দূষিত হয়, ফলে যেটি সে খায়, সেটা থেকে তার পোষণ হয় না; তার পরিণতিতে রক্তমাংসও আর বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয় না। অনেকের ধারণা, বাইরে থেকে কোনো স্নেহজাতীয় পদার্থ মালিশ করলে ওটার পুষ্টি হবে, আভ্যন্তরিক কোনো কিছু খাওয়ানোর প্রয়োজন নাই; এর ফলে আরও খারাপের দিকে যেতে থাকে, অর্থাত্‍ অস্থিক্ষয় হতে থাকে। এক্ষেত্রে তাকে অশ্বগন্ধার মূল চূর্ণ আধ গ্রাম মাত্রায় দুইবার গরম দুধ ও চিনিসহ খেতে দিতে হয়। পরে শরীরে গঠন আরম্ভ হলে এটা এক গ্রাম পর্যন্তও দেওয়া যায়, কমপক্ষে ৩ থেকে ৪ মাস খাওয়াতে হয়।
১০) বুক ঘড়ফড়ানিতে:- হৃদযন্ত্রের কোনো দোষ যন্ত্রে ধরা পড়ে না, পিপাসা বেশি, পেটে বায়ু, একটু আধটু যে হয় না তা নয়, তবে এটা তো অনেকেরই হয় ; সেটা কিন্তু ঠিক কারণ নয়; আসলে রক্তবহ স্রোতের বিকার চলছে, তাই এটি অসুবিধা। এই ধরনের ক্ষেত্রে অশ্বগন্ধার মূল চূর্ণ এক গ্রাম থেকে দেড় গ্রাম মাত্রায় দুই বেলা দুধসহ কয়েকদিন খেলে ওটা সেরে যাবে।
বাহ্য প্রয়োগ:-
১১) শিশুদের দুধে শ্বাসে:- অশ্বগন্ধা মূলের ক্বাথ করে, তেল মিশিয়ে বুকে পিঠে মালিশ করলে ওটা সেরে যাবে। মাত্রা নিতে হবে ৫ গ্রাম অশ্বগন্ধা মূল একটু থেঁতো করে এক কাপ জলে সিদ্ধ করে, ৩ থেকে ৪ চামচ থাকতে নামিয়ে, ছেঁকে ঐ ক্বাথটা ২৫ থেকে ৩০ গ্রাম সরষের তেলের সঙ্গে মিশাতে হবে।
১২) ফোড়ায়:- এ ফোড়া না পাকা না কাঁচা যাকে বলে দরকচা মেরে আছে, সেক্ষেত্রে অশ্বগন্ধার মূল বেটে একটু, গরম করে ফোড়ার উপর সকালে বিকালে ২ বার করে লাগালে ওটা পেকে ফেটে যাবে।
সতর্কীকরণ- ঘরে প্রস্তুতকৃত যে কোনো ভেষজ ওষুধ নিজ দায়িত্বে ব্যবহার করুন।
তথ্যসূত্র-১. আয়ূর্বেদাচার্য শিবকালী ভট্রচার্য, চিরঞ্জীব বনৌষধি' খন্ড ২, আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা, প্রথম প্রকাশ ১৩৮৩, পৃষ্ঠা, ১৬২-১৬৬
Share:

মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

ভাত খেয়েও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন




ইদানীং দেখা যাচ্ছে, অনেকে ওজন কমানোর জন্য খাদ্যতালিকা থেকে ভাত, দুধ, ডিম ইত্যাদি খাবার বাদ দিয়ে দিচ্ছেন; বিশেষ করে টিনএজ বা অল্প বয়সী ছেলেমেয়েরা। ভাতের পরিবর্তে তারা জাংক বা ফাস্ট ফুডের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে, যা ভাতের তুলনায় আরও বেশি ক্যালরিসমৃদ্ধ খাবার।

ক্যালরির হিসেবে যদি আমরা দেখি, তাহলে দেখা যাবে, ১ কাপ ভাত থেকে ১৫০ ক্যালরি শক্তি পাওয়া যায়। অন্যদিকে, ১ কাপ পোলাও থেকে ৩০০ এবং ১ কাপ বিরিয়ানি থেকে ৫০০ ক্যালরি পাওয়া যায়। একইভাবে রুটির পরিবর্তে পরোটা, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, লুচি-পুরি, শর্মা ইত্যাদি বেশি ক্যালরিসমৃদ্ধ খাবার।

আমাদের মনে রাখতে হবে, ওজন বাড়ার পেছনে মূলত পরিমাণে বেশি খাবার খাওয়া, বেশি ক্যালরিসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া এবং ক্যালরি খরচ না করা অর্থাৎ শারীরিক পরিশ্রম না করা দায়ী। প্রতিদিন যদি কেউ ১০০ ক্যালরি বেশি খাবার খায়, তাহলে তাকে ২০ থেকে ২৫ মিনিট দ্রুত হাঁটতে হবে। এতে শরীরে ক্যালরি জমার ঝুঁকি কম থাকবে। নইলে বছর শেষে চার থেকে পাঁচ কেজি ওজন বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে।
অনেকেই বলতে পারেন, স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য ভাত বাদ দিলে ক্ষতি কী? ক্ষতি আছে। নিয়ম হলো, শরীরের শক্তি–চাহিদার অর্ধেক আসতে হবে শর্করাজাতীয় খাবার থেকে। আর আমাদের দেশসহ বিশ্বের অনেক দেশের স্বাভাবিক বা সহজ শর্করার উৎস ভাত। শর্করা না খেয়ে আপনি প্রোটিন বা অন্যান্য যে খাবারই খান না কেন, তা সঠিকভাবে শরীরে কাজ করবে না। যদি স্নেহজাতীয় বা সোজা কথায় তেলজাতীয় খাবার খান, তাহলে লিভার, রক্ত ও শরীরে চর্বির পরিমাণ বাড়তে থাকবে। শর্করাজাতীয় খাবার না খেলে আপনার শরীরের ওজন সাময়িকভাবে কিছু কমবে ঠিকই, কিন্তু পাশাপাশি শারীরিক দুর্বলতা, কাজের ক্ষমতা কমে যাওয়া, আলস্য ও ঘুম ঘুম ভাব বাড়তে থাকবে, যা দীর্ঘ মেয়াদে আপনার শরীরের জন্য খারাপ ফল বয়ে আনবে। সে কারণে ওজন কমানোর জন্য ভাত খাওয়া বাদ দেওয়াটা কোনো ফল বয়ে আনবে না।

পরিমাণমতো পারিবারিক খাবার খেয়েও আপনি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন বা কমাতেও পারেন। সকালে রুটি বা মুড়ি, সঙ্গে ডিম, সবজি ইত্যাদি খান। দুপুরে ভাত, সঙ্গে শাকসবজি, মাছ, ডাল বা এ রকম স্বাভাবিক খাবার খান। রাতে রুটি বা ভাত খান পরিমাণমতো। সঙ্গে যেকোনো শাকসবজি, মাছ, ডাল, লেবু, সালাদ ইত্যাদি খান। বয়স, পরিশ্রম করার ধরন এবং শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করবে খাবারের পরিমাণ। তবে সারা দিনের খাবারকে তিন বেলায় না খেয়ে একই খাবার আপনি ৬ ভাগে ভাগ করে খেতে পারেন। বেশি খেয়ে ফেললে শারীরিক পরিশ্রম করুন।
বাংলাদেশের প্রধান খাবার ভাত। ‘ডাল-ভাত’ খাওয়া বাঙালির অভ্যাস। ডাল-ভাতের সঙ্গে বিভিন্ন সবজি, মাছ খাচ্ছি আমরা শত শত বছর ধরে। এটি আমাদের সঙ্গে মানিয়ে গেছে সুন্দরভাবে। কাজেই পারিবারিক এসব খাবার নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। শুধু পরিশ্রমের পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। আর পরিমিত খাবার খান।
Share:

বৃহস্পতিবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৯

ডেঙ্গু থেকে মুক্তি পেতে আপনার কি করনীয়

১. লেবু ও লবঙ্গের ব্যবহার লেবু খণ্ড করে কেটে ভেতরের অংশে অনেকগুলো লবঙ্গ গেঁথে দিন। লেবুর মধ্যে লবঙ্গের পুরোটা ঢুকাবেন শুধুমাত্র লবঙ্গের মাথার দিকের অংশ বাইরে থাকবে। এরপর লেবুর টুকরাগুলো একটি প্লেটে করে ঘরের কোণায় রেখে দিন। ব্যস, এতে বেশ কয়েকদিন মশার উপদ্রব থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন। এই পদ্ধতিতে ঘরের মশা একেবারেই দূর হয়ে যাবে। আপনি চাইলে লেবুতে লবঙ্গ গেঁথে জানালার গ্রিলেও রাখতে পারেন। এতে করে মশা ঘরেই ঢুকবে না। ২. নিমের তেলের ব্যবহার নিমের মশা তাড়ানোর বিশেষ একটি গুণ রয়েছে। নিমের তেল ত্বকের জন্যও বেশ ভালো। তাই একসাথে দুটি উপকার পেতে ব্যবহার করতে পারেন নিমের তেল। সমপরিমাণ নিমের তেল ও নারকেল তেল মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে নিন। দেখবেন মশা আপনার ধারে কাছে ভিড়বে না এবং সেই সাথে ত্বকের অ্যালার্জি, ইনফেকশন জনিত নানা সমস্যাও দূর হবে। ৩. পুদিনার ব্যবহার ছোট গ্লাসে একটু পানি নিয়ে তাতে ৫ থেকে ৬ গাছি পুদিনা রেখে দিন খাবার টেবিলে। ৩ দিন অন্তর পানি বদলে দেবেন। জার্নাল অফ বায়োরিসোর্স টেকনোলোজির গবেষণা মতে তুলসির মতো পুদিনা পাতারও রয়েছে মশা দূরে রাখার ক্ষমতা। শুধু মশাই নয় পুদিনার গন্ধ অনেক ধরণের পোকামাকড়কে ঘর থেকে দূরে রাখে। পুদিনা পাতা ছেঁচে নিয়ে পানিতে ফুটিয়ে নিন। এই পানির ভাপ পুরো ঘরে ছড়িয়ে দিন। দেখবেন ঘরের সব মশা পালিয়েছে। চাইলে পুদিনার তেলও গায়ে মাখতে পারেন। ৪. টবে লেমন গ্রাস লাগান থাই লেমন গ্রাসে আছে ‘সাইট্রোনেলা অয়েল’ যা থেকে বের হয় একধরনের শক্তিশালী সুগন্ধ। এই সুগন্ধ কিন্তু মশাদের যম। মশারা এর কাছেও ঘেঁষে না। ফলে আপনার আশেপাশে লেমন গ্রাসের ঝাঁড় থাকলে মশারা আপনাকে খুঁজে পাবে না। আর লেমন গ্রাস দেখতেও কিন্তু মন্দ নয়। এমনসব স্থানে এসব গাছের টব রাখুন যেখানে সকাল বিকাল কিংবা রাতে পরিবারের অন্যদের নিয়ে কিংবা বন্ধু বান্ধব নিয়ে আড্ডা বা সময় কাটান। এভাবে থাকুন মশা মুক্ত। ৫. ধুনোর সঙ্গে নিশিন্দা ও নিমপাতার গুঁড়ো প্রতিদিন নিশিন্দা ও নিমপাতার গুঁড়ো ধুনোর সঙ্গে ব্যবহার করলে মশার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
Share:

রবিবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৯

হাপানী বা ব্রংকিয়াল এস্থমা

হাপানী বা ব্রংকিয়াল এস্থমা  কি?

ইহা এক ধরনের শারীরিক অসুস্থতা যার বৈশিষ্ট্য হলো
 শ্বাসপথের কোষকলায় দীর্ঘ সময় স্থায়ী প্রদাহ  ও
 শ্বাসনালীর বিভিন্ন অংশের ঝিল্লীর বৃদ্ধিপ্রাপ্ত সংবেদন শীলতা এবং
মাঝারী ও ক্ষুদ্র শ্বাসনালীগুলোর মসৃন মাংসপেশী সমুহের বৃদ্ধিপ্রাপ্ত সংকোচন প্রবনতা।
কিভাবে কোন্ উপসর্গ এবং লক্ষণ সুষ্টি হয়?
বিশ্বাস করা হয় শ্বাসনালী বা শ্বাসপথের এই প্রদাহ  জনিত কারনেই এস্থমা রোগীর সৃষ্টি হয়:-
01.   শ্বাসকষ্টের কারক অবস্থা সমূহ;
02.  হুইজ বা রংকাই হওয়ার কারন সমূহ;
03.  পূনঃ পুনঃ কাঁশী সৃষ্টি হওয়ার কারন সমূহ।

এগুলোর কারনে সৃষ্টি হয়ে থাকে নিচের উপসর্গ এবং লক্ষন গুলো; যেমন
(১) ►কফ সহ কাঁশী:-শ্বাসনালী পরিস্কার করার কেন্দ্রিক প্রবনতা হেতু কাশীর সৃষ্টি হয় এবং                এতে আঠাঁলো সাদা* কফ বের হয়, (কাশী রাতে বেশী হয়, কাশীর সময় গরম বোধ হয়)।
(২) ►হুইজ:-প্রশ্বাসের সাথে সাথে বাঁশীর শব্দের মতো অগনিত শব্দ, যা সহজে শোনা যায়।
(৩) ►চেষ্ট টাইটনেস:- বুকে চাপ অনুভব করা; যতে বুক ফুলানোর ক্ষমতা কম অনুভব করা,       (৪) ►ডিস্পনিয়া:-        শ্বাসের কষ্ট অনুভব করা।


এস্থমা রোগীর শ্বাসকষ্টের কারক অবস্থা সমূহ
১. শ্বাসনালীর আভ্যান্তরিন ঝিল্লি ফুলে যায় ও তা থেকে অতিরিক্ত আঠালো মিউকাস নিঃসরন হওয়া,
২. শ্বাসনালীর মসৃন মাংসেপেশী সমূহের সংকোচন শীলতা বেড়ে যাওয়া ও
৩. উপোরক্ত কারনে শ্বাসপথে বাতাস চলাচলে বাধা সৃষ্টি হওয়া।

এস্থমা রোগীর হুইজ বা রংকাই হওয়ার কারন সমূহ
৪. শ্বাসনালীর মসৃন মাংসপেশী সমুহের বৃদ্ধিপ্রাপ্ত সংবেদন শীলতা এবং সংকুচিত শ্বাসপথে বাধাপ্রাপ্ত বাতাস চলাচলের ফলে সৃষ্টি হয়
(২) হুইজ:- শীষের মতো বাঁশীর শব্দ যা স্টেথোস্কোপ ছাড়া শোনা যায়;
(৩) রংকাই:-যা বুক ও পিঠের উপরে স্টেথোস্কোপ এর সাহায্যে শোনা যায়।

এস্থমা রোগীর পূনঃ পুনঃ কাঁশী সৃষ্টি হওয়ার কারন সমূহ
Ø       শ্বাসনালীর আভ্যান্তরিন ঝিল্লির অতিরিক্ত সংবেদনশীলতা ও ঐ কারনে সৃষ্ট শ্বাসনালীর আভ্যান্তরিন ঝিল্লি থেকে অতিরিক্ত নিঃসরন (সাদা আঁঠালো কফ) পরিস্কার করার তাগিদে পূনঃপুনঃ কাঁশী সৃষ্টি হয়।
Ø       ইহাছাড়াও জীবানু সংক্রমন এবং সংকুচিত শ্বাসনালীতে বাতাস চলাচলের কারনে কাশী সৃষ্টি হয়।

উপরোক্ত বিশ্লেষন থেকে উহা অনুমিত হওয়া স্বাভাবিক যে
ð ব্রংকিয়াল এস্থমা রোগীর ব্যবস্থাপনায় মূল লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য হবে
     ► শ্বাসকষ্টের কারনে যেন রোগীর জীবন কোন সময় ঝুকি পূর্ন না হয়;
     ► শ্বাসকষ্টের কারনে যেন রোগী কর্মক্ষমতা না কমে এবং কর্মঘন্টা না হারায়;
     ►দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহের কারনে যেন রোগীর শ্বাসনালী-পথের এবং শ্বাসকলার বৈকল্য না আসে;
     ►রোগী যেন স্বল্পস্থায়ী বা দীর্ঘ স্থায়ী অক্সিজেন কমতিতে না ভুগে।

ðএবং তাই মূলবিবেচ্য বিষয় হবে
Ø       ’’ব্রংকিয়াল এস্থমা রোগীর’’ অবস্থার যথাযত মুল্যায়ন করে (স্কোরিং)
Ø        শ্বাসনালীর এই অতিরিক্ত সংবেদনশীলতার যথাযত নিয়ন্ত্রন এবং কমানো ও
Ø        শ্বাসনালীর সংকোচন-শীলতা প্রতিরোধ করে প্রসারনশীলতা বাড়া
Share:

গর্ভাবস্থায় পানি ভাঙা ও করণীয়

গর্ভাবস্থায় পানি ভাঙা ও করণীয়

সাধারণত অ্যামনিওটিক মেমব্রেন রাপচার বা পানি ভাঙার ঘটনা হয় লেবার পেইন ওঠার পর। কোনো কারণে যদি এর আগেই মেমব্রেন রাপচার হয়ে অ্যামনিওটিক ফ্লুইড বা গর্ভস্থ পানি বের হয়ে যায়, তবে তাকে প্রিম্যাচিওর রাপচার অব মেমব্রেন বলে। এটি গর্ভাবস্থায় একটি সাধারণ সমস্যা, যা নিয়ে অনেকে শঙ্কিত থাকেন।

ভুলগুলো
গর্ভাবস্থায় কানো কারণে মাসিকের রাস্তা দিয়ে যদি অতিরিক্ত পানি বের হয়, তবে বেশির ভাগ গর্ভবতী নারী ধরে নেন, এটা বাচ্চার পানি—অর্থাৎ অ্যামনিওটিক ফ্লুইড। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এ রকম ধারণা ভুল হতে পারে। অনেক সময় অনেক কারণেই এমন হতে পারে। তা ছাড়া ইউরিন বা প্রস্রাব বের হলেও তা অ্যামনিওটিক ফ্লুইডের মতোই মনে হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় ভ্যাজাইনাল সিক্রেশন অনেক বেড়ে যায়। ফলে মাঝেমধ্যে এই নরমাল সিক্রেশনকেও অ্যামনিওটিক ফ্লুইড ভেবে অনেকে ভুল করে থাকেন।
 à¦—র্ভাবস্থায় পানি ভাঙা ও করণীয়
পরীক্ষা
এ সময় ভালোভাবে রোগীর ইতিহাস নিলেই কিছুটা আইডিয়া করা যায় যে আসলেই মেমব্রেন রাপচার হয়েছে কি না। এটা হলে সাধারণত একসঙ্গে অনেক পানি বের হবে এবং পেটিকোট বা পরনের কাপড় ভিজে যাবে। এ ছাড়া স্পেকুলাম এক্সামিনেশনের মাধ্যমে জরায়ুর মুখ সরাসরি দেখে নিশ্চিত হওয়া যায়। কিন্তু আলট্রাসনোগ্রামের মাধ্যমে জানা যাবে অ্যামনিওটিক ফ্লুইড কতটা আছে। মেমব্রেন রাপচার হয়েছে কি না এ সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য মিলবে না।

ফলাফল
গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে এমনটি হয়ে থাকলে একে সাধারণত অ্যাবরশন হিসেবেই ধরা হয়। আর যদি বাচ্চা ম্যাচিওর হতে কিছুদিন বাকি থাকে, তবে রোগীকে হাসপাতালে বেড রেস্টে রেখে বাচ্চার ম্যাচিওরিটি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। আর এর মধ্যেই লেবার পেইন বা ইনফেকশনের কোনো লক্ষণ দেখা গেলে সেই গর্ভাবস্থা আর নিয়মিত করা সম্ভব হয় না। গর্ভাবস্থার শেষ দিকে পানি ভাঙলে মাকে ২৪ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে লেবার পেইন উঠে যায়। যদি পেইন না থাকে, তবে ইন্ডাকশন (ওষুধের মাধ্যমে লেবার পেইন শুরু) করাও সম্ভব।
 20 weeks pregnant: fetal development - BabyCentre UK
সতর্কতা
গর্ভাবস্থায় অ্যামনিওটিক ফ্লুইড রাপচার বা পানি ভাঙা একটি জরুরি সমস্যা। কারণ এই মেমব্রেন গর্ভস্থ বাচ্চাকে বাইরের জীবাণু থেকে রক্ষা করে। তাই মেমব্রেন রাপচার হলে রোগীকে জীবাণুমুক্ত প্যাড ব্যবহার করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হয়, অ্যান্টিবায়োটিক শুরু করা হয়। একই সঙ্গে অ্যামনিওটিক ফ্লুইড এবং প্রস্রাব পরীক্ষা করে দেখা হয় কোনো ইনফেকশনের লক্ষণ আছে কি না। কারণ বিভিন্ন ইনফেকশনের কারণেও মেমব্রেন রাপচার হতে পারে।
তাই পানি ভাঙার লক্ষণ দেখা দিলেই গর্ভবতী নারীদের উচিত অনতিবিলম্বে নিকটস্থ চিকিৎসককে অবহিত করা।
4 Week Pregnancy Workout Plan - Michelle Marie Fit
Share:

বর্ষায় শ্বাসরোগ

বর্ষায় শ্বাসরোগ

গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহের পর বহুপ্রতীক্ষিত বর্ষা স্বভাবতই আমাদের মনকে আনন্দে ভরিয়ে দেয়। কিন্তু এই আনন্দের মধ্যেও দুঃসংবাদ হলো, এই বৃষ্টি কিছু শ্বাসরোগও বয়ে আনে। তাই কেউ যদি বাইরে গিয়ে হঠাৎ ঝুম বৃষ্টিতে ভিজে যান, তাহলে তিনি অ্যালার্জির রিঅ্যাকশনে পড়তে পারেন। ফলে অতিরিক্ত হাঁচি আসা, সর্দি-ঠাণ্ডায় আক্রান্ত হওয়া ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। তখন এসব উপসর্গকে খুব বেশি গুরুত্ব না দিলে সমস্যা বেড়ে গিয়ে ফুসফুসে প্রদাহ ও ইনফেকশন হতে পারে, কফ-কাশি বা নিউমোনিয়াও হতে পারে। নিউমোনিয়ার উপসর্গগুলো হচ্ছে—জ্বর, কাশি, কফ, বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, কখনো বুকে অস্বাভাবিক শব্দ ইত্যাদি। আর বয়স্কদের ক্ষেত্রে দেখা যায় খাদ্যে অরুচি, মাথা ব্যথা, দুর্বলতা, ক্লান্তি লাগা ইত্যাদি।Bristi Tomake Dilam | Flickr - Photo Sharing!
তা ছাড়া বর্ষার ভাপসা আবহাওয়ায় ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ বেড়ে যায়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে, বিশেষত শিশুদের অ্যাজমায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় সর্দি-কাশি। আগে থেকে শ্বাসকষ্টের রোগীদের যেকোনো সংক্রমণ হলেও উপসর্গগুলো আরো বাড়িয়ে দেয়।

ভালো থাকার উপায়
♦ বর্ষার সময় সাবধানতার সঙ্গে বাইরে যান, যাতে করে হুটহাট বৃষ্টিতে ভিজে না যান।
♦ আবহাওয়ার পূর্বাভাস সম্পর্কে জানুন।
♦ সব সময় ছাতা বা রেইনকোট সঙ্গে রাখুন।
♦ বাড়তি এক সেট জামাকাপড় সঙ্গে রাখতে পারেন।
♦ এ সময় সর্দি-হাঁচি-কাশিকে অবহেলা করবেন না। কাশির সঙ্গে হলুদ কফ দেখা গেলেই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
♦ যাঁরা আগে থেকেই শ্বাসকষ্টের রোগী (যেমন—অ্যাজমা, সিওপিডি ইত্যাদি), তাঁরা অবশ্যই নিয়মিত ওষুধ সেবন করবেন।
♦ উপসর্গ বেড়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
♦ বর্ষায় বাড়িঘর, বিছানাপত্র স্যাঁতসেঁতে হয়ে যায়, ছত্রাক বাসা বাঁধে। তাই যাঁরা অ্যাজমার রোগী তাঁরা চারপাশ পরিচ্ছন্ন ও শুকনো রাখুন।
♦ নির্দেশিত কিছু ভ্যাকসিন আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে। এ ব্যাপারে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।  
Share:

দশটি সেরা ওজন কমানোর উপায়

দশটি সেরা ওজন কমানোর উপায়Ojon komanor upay, weight loss tips in bengali

যারা দেহের বাড়তি ওজন নিয়ে সমস্যায় ভুগছেন, “ওজন কমানোর উপায়” খুঁজছেন তাদের জন্য এই ব্লগটি ভীষণ কার্যকরী হবে। এই ব্লগটিতে আপনারা পাবেন  সবচেয়ে কার্যকরী এবং সহজ  দেহের অতিরিক্ত ওজন শুধু দৈনন্দিন জীবনে শারীরিক সমস্যাই সৃষ্টি করে না, এটি মানসিক সমস্যা সৃষ্টিরও একটি কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে আপনার জীবনে। নিচে দশটি  সেরা ও সহজ ওজন কমানোর উপায়  দেওয়া হল।

Push Up Exercise to Loss weight
১. Exercise Regularly To Lose Weight ( নিয়মিত ব্যায়াম করুন) :
দ্রুত ওজন কমানোর জন্য প্রতিদিন সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে হালকা ব্যায়াম করুন অথবা দৌড়ান। সকাল বেলা কম করে হলেও নিয়ম করে আধ ঘন্টা Exercise করুন। Exercise করার ক্ষেত্রে পুশ -আপ ব্যায়াম ভীষণ কার্যকরী।ব্যায়াম শরীর কে যেমন ফিট রাখে তেমনি মানসিক শান্তিও প্রদান করে।

২. লেবু জলের সাহায্যে ওজন কমানোর উপায়:
ওজন কমানোর জন্য লেবু জলের জুড়ি মেলা ভার। লেবুতে থাকে সাইট্রিক অ্যাসিড যা দেহের অতিরিক্ত ফ্যাট কমিয়ে দেয় ফলে দেহের ওজন দ্রুত কমে যায়। সকাল বেলা ব্যায়াম করা হয়ে গেলে ২০ থেকে ২৫ মিনিট বিশ্রাম করুন। এরপর একগ্লাস হালকা গরম জল নিন। এবার একটি পাতি লেবুর রস এই জলের সাথে মিশিয়ে নিন। এর পর একচামচ মধু জলের সাথে মিশিয়ে ভালো করে চামচ দিয়ে নেড়ে এই জল পান করুন। প্রতিদিন নিয়ম করে লেবুজল পান করলে খুব দ্রুতই ওজন আপনার কমবে।

৩. Lose Weight By White Part of Egg (ওজন কমাতে সকালের ব্রেকফাস্টে খান ডিম্):
লেবু জল পান করার আধ ঘন্টা পর সকালের খাবার খাবেন (সকাল ৮ টার দিকে) . সকালের খাবারে তেল জাতীয় খাবার এবং ফাস্ট ফুড এড়িয়ে চলুন। মেনুতে অবশ্যই একটি ডিম্ রাখুন। মনে রাখবেন আপনি ডিমের শুধু সাদা অংশটিই খাবেন। ডিমের কুসুম কোনভাবেই খাবেন না। ডিমের সাদা অংশে থাকে প্রোটিন যা দেহে প্রোটিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে দেহের অতিরিক্ত চর্বি জমতে বাধা দেয় , ফলে দেহের ওজন কমে। অন্য্ দিকে ডিমের কুসুমে থাকে ফ্যাট যা দেহে চর্বি তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। সেজন্য ডিমের কুসুম ভুলেও খাবেন না যারা অতিরিক্ত মোটা হয়ে যাচ্ছেন।

৪. Avoid These Food To Loose Weight (খাবারের মেনু থেকে যে খাবারগুলি বাদ দেবেন):
ওজন কমানোর জন্য খাবারের মেনু থেকে অবশ্যই মশলা জাতীয় এবং চর্বি জাতীয় খাবারগুলোকে বাদ দিতে হবে। অতিরিক্ত মসলা এবং চর্বি জাতীয় খাবার দেহে চর্বি বৃদ্ধি করে এবং দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করে। সুতরাং অতিরিক্ত তেল , মসলা এবং চর্বি জাতীয় খাবার  যেমন দুধ, ঘি, আইসক্রিম, মাখন ইত্যাদি খাবার একদম এড়িয়ে চলুন।

৫. Add These Food To Your Menu To Loss Weight (যে খাবারগুলি মেনুতে এড করবেন):
ওজন কমানোর জন্য খাবারের মেনুতে রাখুন অধিক শাক সবজি। চর্বিহীন মাংস সয়াবিন , ছোটমাছ ইত্যাদি প্রোটিন জাতীয় খাবার বেশি করে খান। খাবারের মেনুতে অবশ্যই শশা, গাজর , টমেটো ইত্যাদি দিয়ে তৈরি স্যালাড রাখুন।

৬. Eat More Fruit To Lose Weight Fast (ওজন কমাতে প্রতিদিন ফল খান) :
ওজন কমাতে ফলের ভূমিকা অপরিসীম। বিভিন্ন ধরণের টক জাতীয় ফল যেমন আঙ্গুর, আপেল, কমলা লেবু, পেয়ারা, ইত্যাদি ফলে থাকে অ্যাসিড যা দেহের চর্বি কম করে। এর ফলে আপনার দেহের ওজন কমবে দ্রুত। এজন্য প্রতিদিন ২০০ থেকে ৩০০ গ্রাম ফল বা একগ্লাস ফলের জুস্ পান করুন।

৭. গ্রিন টি এর সাহায্যে ওজন কমানোর উপায় :
ওজন কমাতে গ্রিন টি এর জুড়ি মেলা ভার। গ্রিন টি ওজন কমাতে টনিকের কাজ করে। গ্রিন টি তে থাকে একটি বিশেষ ধরণের এন্টিঅক্সিডেন্ট যা দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং দেহের অতিরিক্ত ফ্যাট বার্ন আউট করে এবং ক্ষুধা কমিয়ে দেয়। স্বভাবতই খাওয়া কমে গেলে এবং দেহ থেকে অতিরিক্ত ফ্যাট কমে গেলে ওজন কমতে বাধ্য। তবে গ্রিন টি কখনোই চিনি দিয়ে তৈরি করবেন না।

৮. Avoid Rice at Night to lose Weight Fast (রাতের বেলায় ভাত একদম নয়) :
ওজন কমাতে চাইলে রাতের বেলায় ভাত একদম খাবেন না। ভাতের বদলে রুটি খান। ভাত দ্রুত ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। সুতরাং রাতের বেলায় ভাতের বদলে ২ থেকে ৩ টি রুটি খাবেন এবং বেশি করে শাক সবজি খাবেন।

৯. Fast One Day Per week To Lose Weight (সপ্তাহে একদিন উপোস থাকুন) :
আধুনিক বিজ্ঞান অনুযায়ী যারা সপ্তাহে অন্তত একদিন দিনের বেলায় ৮ থেকে ও 9 ঘন্টা না খেয়ে থাকেন বা উপোস থাকেন তাদের দেহে কখনোই মেদ জমতে পারে না। প্রাচীন আয়ুর্বেদ শাস্ত্রেও এর উল্লেখ রয়েছে। এর মূল কারণ হল আমরা যখন না খেয়ে থাকি তখন দেহে জমে থাকা চর্বি বার্ন আউট হয়ে দেহে শক্তি উৎপন্ন হয়। ফলে দেহে চর্বি জমে থাকতে পারে না এবং দেহের ওজন ও কম হয়ে যায়।

১০.  ওজন কমানোর জন্য নিয়ম করে ঘুমান :
ওজন কম করতে চাইলে অতিরিক্ত ঘুম বা কম ঘুম চলবে না।  কারন অতিরিক্ত বা কম ঘুম  দেহের হজম শক্তির উপর প্রভাব ফেলে। ফলে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ১০ গুন্ পর্যন্ত বেড়ে যায়। রাতের বেলায় ৬ থেকে ৭ ঘন্টা ঘুমোন। কিন্তু দিনের বেলায় কখনোই ঘুমোবেন না। কারন বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে দিনের বেলায় ঘুমোলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা ১০০% পর্যন্ত বেড়ে যায়।

বিঃ দ্রঃ : 
ওজন কমানোর উপায়
 এর  জন্য সবচেয়ে জরুরি পজিটিজ মাইন্ড এবং নিয়মিত উপরের টিপস গুলি ফলো  করা , তাহলেই আপনি সফল হতে পারবেন।

Note- These weight loss tips in Bangla will be very effective if you follow all the weight loss tips and instruction carefully.
Share:

শনিবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৯

আপার বেলি ফ্যাট কারণ ও পেটের মেদ কমাতে কার্যকরী ব্যায়াম

আপার বেলি ফ্যাট কারণ ও পেটের মেদ কমাতে ৫টি কার্যকরী ব্যায়াম

আপার বেলি ফ্যাট আমাদের জীবনের কমন একটা সমস্যা। এ সমস্যায় আমাদের উপরের পেটে চর্বি জমে কোমরের সাইজ নষ্ট করে দেয়।  পেট ফুলে থাকার কারণে আমাদের কোন ড্রেসই মানানসই মনে হয়না। এ নিয়ে আমাদের বিব্রত থাকতে হয়। মেদজনিত সমস্যায় শরীরের সব অংশের তুলনায় দ্রুত আক্রান্ত হয় উপরের পেট। আর সবচেয়ে বেশী দেরীতেও ঝরে এ অংশের মেদ। শারীরিক সৌন্দর্য পুরাই নষ্ট করে দেয় এ অংশের মেদ। তাই এ নিয়ে নারী পুরুষ উভয়েরই দুশ্চিন্তার শেষ নেই। অনেকের ক্ষেত্রে বংশগত সমস্যার কারণেও উপরের পেট বড় হয়। আবার হরমোন জনিত সমস্যার কারণেও উপরের পেটে মেদ জমে। সঠিক খাদ্যাভ্যাস, দৈনন্দিন জীবনে পরিবর্তন ও নিয়মিত ব্যায়াম আমাদের উপরের পেটের মেদ জমা থেকে বাঁচাতে পারে। চলুন জেনে নেই আপার বেলি ফ্যাট এর কারণ ও পরিত্রাণের উপায়।

যে ৫টি কারণে আপার বেলি ফ্যাট দেখা যায়

১) অস্বাস্হ্যকর খাবার
আপার বেলি ফ্যাট কমাতে অস্বাস্থ্যকর খাবার - shajgoj.com
আমরা প্রত্যেকেই বিভিন্ন জাঙ্ক ফুড (Junk food) যেমন ভাজাপোড়া খাবার,ফাস্টফুড ও মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে পছন্দ করি। এসব খাবার বেশীরভাগই অস্বাস্থ্যকর। কারণ এগুলো আমাদের শরীরে ক্যালরির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। নিয়মিত জাঙ্ক ফুড ও প্রক্রিয়াজাত খাবার আমাদের বিপাক তন্ত্রের ক্রিয়া হ্রাস করে এবং উপরের পেটে মেদ জমায়।

২) শারীরিক পরিশ্রম না করা

ব্যস্ততার কারণে বা আলসেমি করে আমরা শারীরিক পরিশ্রম করিনা। বাইরে বের হলে পায়ে না হেঁটে যানবাহন ব্যবহার করি। সিঁড়ি ব্যবহার না করে দ্রুত লিফটে উঠে যাই। নিয়মিত হাঁটাচলা আর ব্যায়াম আমাদের জন্য খুব জরুরি। এতে আমাদের শরীরসহ উপরের পেট মেদ মুক্ত থাকে।

৩) দুশ্চিন্তাগ্রস্থ থাকা
আপার বেলি ফ্যাটের কারণ দুশ্চিন্তা - shajgoj.com

আমাদের কঠিন জীবন ধারার কারণে আমরা প্রায়ই দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়ি। আর এ দুশ্চিন্তাই আমাদের উপরের পেটের চর্বি বাড়ায়। দুশ্চিন্তা আমাদের শরীরে আ্যাড্রিনাল (Adrenaline) গ্রন্থি থেকে নিসৃত  এক ধরনের হরমোন তৈরী করে, যা আমাদের যকৃত থেকে চিনি নিঃসরণ করে উপরের পেটে মেদ তৈরী করে।

৪) অনিয়মিত ঘুম
আপার বেলি ফ্যাট কমাতে ঘুম - shajgoj.com
রাত জাগা,ঘুম কম হওয়া এসব কারণেও উপরের পেটে মেদ জমে।

৫) বয়স বাড়া
বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের শরীরে অনেক পরিবর্তন আসতে থাকে। তখন ত্বকের নিম্নস্তরের চর্বি হ্রাস পেতে থাকে এবং উপরের পেটে মেদ তৈরী হতে থাকে।

আপার বেলি ফ্যাট কমানোর উপায়
৫ টি উপায় অবলম্বন করলে এ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়

১) প্রচুর পানি পান করা
আপার বেলি ফ্যাট কমাতে পানি পান - shajgoj.com
প্রচুর পানি পান করতে হবে। বাইরের এনার্জি ড্রিংকস, সফট ড্রিংকস এগুলো খাওয়া বাদ দিতে হবে। পর্যাপ্ত পানি পান আমাদের শরীরে ম্যাজিকের মতো চর্বি কাটতে সাহায্য করে। এছাড়া প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ১ গ্লাস কুসুম গরম পানির সঙ্গে অর্ধেকটা লেবু ও ১ চামচ মধু মিশিয়ে খেলে উপরের পেটের মেদ কাটে। আবার আদা থেতো করে ১ গ্লাস পরিমাণ পানির সাথে সেদ্ধ করে এতে অর্ধেকটা লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে খেলেও মেদ কেটে যায়। নিয়মিত এই মিশ্রণ গুলো খেলে উপরের পেটের মেদ অনেকাংশেই কেটে যাবে।

২) স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া

সকালের নাস্তায় ওটস রাখতে হবে। এক বাটি ওটসের সাথে ফ্যাট ফ্রি দুধ, সাথে যেকোন ফল মিশিয়ে সকালের নাস্তা করতে হবে। প্রচুর ফলমূল খেতে হবে। ওটস আমাদের শরীরের এনার্জি বাড়ায়।

৩) হেলদি ডায়েট অনুসরণ করা
আপার বেলি ফ্যাট কমাতে হেলদি ডায়েট - shajgoj.com
সঠিক ডায়েট অনুসরণ করলে আমাদের উপরের পেটের মেদ কমার সাথে সাথে সুন্দর ও সুগঠিত থাকবে। একবারে ভরপেট না খেয়ে দৈনিক ৫-৬ বার অল্প অল্প করে খাবেন। এতে করে ঘন ঘন ক্ষুধাভাবটা কেটে যাবে আর খাওয়ার পরিমাণটাও  কমে যাবে। কম তেল ও কম মশলা যুক্ত খাবার খেতে হবে। রান্নায় সয়াবিন ও সরিষার তেলের পরিবর্তে অলিভ ওয়েল ব্যবহার করবেন। লাল চালের ভাত ও লাল আটার রুটি খেতে হবে।  চর্বি জাতীয় মাংস বর্জন করে মুরগীর মাংস খান।  আঁশ জাতীয় খাবার ,মাছ, ডিম,শাকসবজি ও সালাদ  খেতে হবে। খাওয়ার ১৫/২০ মিনিট আগে এক গ্লাস পানি পান করতে হবে। এতে ক্ষুধাভাব কমে যাবে। খাওয়ার এক ঘন্টা পর পানি পান করতে হবে। রাতে ঘুমের ২ ঘন্টা আগে খাওয়া শেষ করবেন।

৪) আট ঘন্টা ঘুমান
আপার বেলি ফ্যাট কমাতে ঘুম - shajgoj.com
ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলে আমাদের উপরের পেটের মেদ বাড়ে। আমাদের শরীরে ২ ধরনের হরমোন কাজ করে-

১. Ghrelin Hormone (গ্রীলিন হরমোন)।

২. Leptin Hormone (ল্যাপটিন হরমোন)।

Ghrelin হরমোন আমাদের শরীরে ক্ষুধাভাব তৈরী করে। যখন আমরা কম ঘুমাই, রাত জাগি তখন আমাদের শরীরে প্রচুর Ghrelin হরমোন তৈরী হয়। এতে আমাদের ক্ষুধাভাবও বেড়ে যায়। Leptin হরমোন জানান দেয় কখন আমাদের খাওয়া বন্ধ করতে হবে। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে আমাদের শরীর থেকে Leptin  হরমোন কমে যেতে থাকে। কাজেই দৈনিক ৮ ঘন্টা ঘুম আমাদের শরীর ফিট রাখে এবং উপরের পেটে মেদ না জমতে সাহায্য করে।

৫) সপ্তাহে ৪ দিন ব্যায়াম

উপরের পেটের চর্বি কমানোর বেস্ট সমাধান হলো ব্যায়াম। ব্যাস্ততার কারণে আমরা জিমে যেতে না পারলে ঘরে বসেই সহজ কিছু ব্যায়াম করে আমরা উপরের পেটের মেদ কমাতে পারি। যা করতে সময়ও কম লাগে এবং বাড়তি কোন উপকরণের প্রয়োজনও পড়ে না। সপ্তাহে ৪ দিন ৪৫ মিনিট করে ব্যায়াম করুন। এছাড়া সাঁতার কাটা,সাইকেল চালানো উপরের পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করে।

আপার বেলি ফ্যাট কমাতে ব্যায়াম
নীচে কিছু ব্যায়ামের নিয়মাবলী আলোচনা করা হলো, উপরের পেটের মেদ দ্রুত কমাতে যা আপনি ঘরে বসেই করতে পারবেন

১) আরামদায়ক দূরত্বে পা ফাঁক করে মাথার পেছনে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে একবার বা দিকে ঝুঁকতে হবে, আরেকবার ডান দিকে ঝুঁকতে হবে। এভাবে ৩০ বার করুন।

২) পা দুটো সোজা করে রেখে শুয়ে পড়ুন। দুই হাত নিতম্বের নিচে থাকবে। হাত দুটো নিচে রেখে পা দুটো এবার আরও উপরে তুলতে হবে। উপরে উঠানোর সময় নিশ্বাস ছাড়তে হবে এবং নিচে নামানোর সময় নিশ্বাস নিতে হবে। এভাবে ১৫ থেকে ২০ বার করতে হবে।আপার বেলি ফ্যাট কমাতে পেটে প্রেশার দেয়া ব্যায়াম - shajgoj.com
৩) ম্যাটের উপর হাঁটু ভাজ করে রাখুন। এবার মাথার নিচে হাত রাখুন। কোমর পর্যন্ত পুরো শরীরকে উপরের দিকে উঠান। আবার নামিয়ে আনুন। কিন্তু শরীর নামানোর সময় মাথা যেন ম্যাটের সঙ্গে লেগে না যায়, খেয়াল রাখতে হবে সেদিকে। এভাবে ৩০ বার করুন।

৪) হাত মাথার নিচে রাখুন। পা ভাঁজ করে উপরের দিকে তুলুন। এবার মাথা উপরে তুলে বাম হাতের কনুই দিয়ে ডান পা ছোঁয়ার চেষ্টা করুন। একই ভাবে ডান কনুই দিয়ে বাঁ পাশের পায়ে ছোঁয়াতে হবে। এভাবে ৩০ বার করুন।আপার বেলি ফ্যাট কমাতে প্লাঙ্ক - shajgoj.com
৫) দুই কনুইয়ের উপর ভর দিয়ে উপুর হয়ে শুয়ে পড়ুন। চোখ থাকবে সামনের দিকে। পায়ের আঙ্গুল ও কনুইয়ের উপর ভর দিয়ে পুরো শরীরকে উপরের দিকে উঠান। দুই কনুই ও পায়ের আঙ্গুলের উপর ভর দিয়ে প্রতিবার ১ মিনিট থাকতে হবে। এভাবে ৩ বার করুন।

নিয়মিত এ ব্যায়াম করলে ৩ মাসের মধ্যে এর সুফলতা পাবেন। সকালে খালি পেটে ৪৫ মিনিট অথবা সকালে সম্ভব না হলে সন্ধ্যা বা রাতের দিকেও করতে পারেন। সঠিক খাদ্যাভ্যাস আর দৈনন্দিন জীবনের সুন্দর পরিবর্তন আপনাকে উপরের পেটের মেদ ঝরিয়ে করে তুলতে আকর্ষণীয় ও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী।



ছবি- সংগৃহীত: সাজগোজ; ইমেজেস বাজার.কম

Share:

১ মাসেই ৫ কেজি ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট

১ মাসেই ৫ কেজি ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট জানেন কী?
অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ছিপছিপে গড়নের শরীর কে না চায়? কিন্তু চাইলেই তো আর হবে না। তার জন্য চাই প্রচেষ্টা আর উদ্যোগ। আর আপনাদের সেই উদ্যোগকে আর এক ধাপ এগিয়ে নিতেই আজকের এই ডায়েট চার্ট। আজকে আপনাদের জন্য এমন একটি ডায়েট 
চার্ট দেয়া হলো যার সাহায্যে ১ মাসেই ৫ কেজি পর্যন্ত ওজন কমানো সম্ভব এবং খুব সহজেই পরিমিত খাবার গ্রহণের মাধ্যমে সুস্থ্য গতিতে এই ওজন কমানো সম্ভব। আর সেই লক্ষ্যে পৌছাতে হলে প্রতিদিন আপনাকে অবশ্যই ১২৮০ক্যালরি,
তার মানে মাসে ৩৮,৪০০ ক্যালরি বার্ণ করতে হবে এবং ডায়েট চার্টে এমন সব খাবার থাকতে হবে যা মোটামুটি ১৫০০ ক্যালরির হতে হবে।

১ মাসেই ৫ কেজি ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট
            সকাল ৮:০০
১ মাসেই ৫ কেজি ওজন কমাতে সকাল ৮টার ডায়েট প্ল্যান - shajgoj.com
 সেদ্ধ ডিম ১ টি সাদা অংশ (৫২ ক্যালরি)
 এক বাটি জাম্বুরা( জুস করে বা এমনি খেতে পারেন) (৯৬ ক্যালরি)
 ২ টি রুটি (২১০ ক্যালরি)
 ভেজিটেবল সুপ (১৫০ ক্যালরি)

                সকাল ১১:০০
১ মাসেই ৫ কেজি ওজন কমাতে সকাল ১১টার ডায়েট প্ল্যান - shajgoj.com
এক কাপ গ্রিন টি চিনি ছাড়া (কোন ক্যালরি নেই)
একটি আপেল (৮১ ক্যালরি)/একটি কমলা (৮৬ ক্যালরি)

                    দুপুর ২:০০
১ মাসেই ৫ কেজি ওজন কমাতে দুপুর ২টার ডায়েট প্ল্যান - shajgoj.com
ভাত ১ কাপ (২১৬ ক্যালরি) / ২ টি রুটি (২১০ ক্যালরি)
 ১ বাটি মিক্স্ড ভেজিটেবল (৮৫ ক্যালরি)
১ কাপ ডাল (২২০ ক্যালরি) / এক টুকরা মাছ (১৪২ ক্যালরি)

                  বিকেল ৫:০০
১ মাসেই ৫ কেজি ওজন কমাতে বিকেল ৫ টায় ডায়েট গ্রীন টি - shajgoj.com
এক কাপ গ্রিন টি (চিনি ছাড়া)
২ টি ক্রিম ছাড়া বিস্কিট (৩০ ক্যালরি)

                     সন্ধ্যা ৭:০০
১ মাসেই ৫ কেজি ওজন কমাতে সন্ধ্যা ৭টায় খাবার ডাব - shajgoj.com
ডাবের পানি (৪৬ ক্যালরি)
অথবা ৮-১০ টি পেস্তা বাদাম (৭০ক্যালরি)

                   রাত ৮:৩০
১ মাসেই ৫ কেজি ওজন কমাতে রাত ৮:৩০ এর ডায়েট প্ল্যান - shajgoj.com
ভাত ১ কাপ (২১৬ ক্যালরি) / ২ টি রুটি (২১০ ক্যালরি)
১ কাপ সালাদ (৫০ ক্যালরি)
১ কাপ সবজি (৮৫ ক্যালরি) / আধা কাপ টক দই (৬৫ ক্যালরি)
১ মাসেই ৫ কেজি ওজন কমাতে ব্যায়াম - shajgoj.com
এই হলো মোটামুটি ১৫০০ ক্যালরির একটি ডায়েট চার্ট। তবে এই ডায়েট চার্ট মেনে চলার পাশাপাশি শারীরিক ব্যায়াম করা অত্যাবশ্যক। কারণ এর মাধ্যমে আপনি দেহের অতিরিক্ত ক্যালরি বার্ণ করতে পারবেন। যেকোনো ব্যায়াম ক্যালরি বার্ণ করতে সহায়ক। শুরুতে হালকা ব্যায়াম দিয়ে শুরু করুন। প্রতিদিন ৪৫ মিনিট হাঁটার অভ্যাস করূন। এছাড়াও ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করতে পারেন।

১ মাসেই ৫ কেজি ওজন কমানোর জন্য কিছু টিপস
১. প্রতিদিন সকাল, দুপুর এবং রাতের খাবারের পূর্বে ২ গ্লাস ঠান্ডা পানি পান করুন।
২. সকালে খালি পেটে এক টুকরা লেবু এবং আধা চা চমচ মধু হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে পান করুন।
৩. সবজির লিস্টে ব্রোকলি, লেটুস, পালং শাক এবং অন্যন্য সবুজ সবজি রাখার চেষ্টা করুন।
৪. রেগুলার সালাদের সাথে অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। এটি ক্যালরি বার্ণ করতে খুবই উপকারী।১ মাসেই ৫ কেজি ওজন কমাতে খাবার - shajgoj.com
৫. রাতের খাবার ঘুমানোর অন্তত ২ ঘণ্টা আগে খেয়ে ফেলুন।
আশা করি পোস্টটি দ্বারা আপনারা উপকৃত হবেন।
সতর্কতা: দ্রুত ওজন কমানোর চেয়ে আস্তে আস্তে ওজন কমানো ভাল।
ছবি – স্টাইলহিটজ ডট কম
সোর্স – ক্যালরিল্যাব ডট কম, ক্যালরিকাউন্ট ডট এবাউট ডট কম, ফ্যাটসিক্রেট  ডট কম, নিউট্রিশনডাটা ডট সেল্ফ ডট কম
x
Share:

বৃহস্পতিবার, ৮ আগস্ট, ২০১৯

প্রস্রাবে আমিষ গেলে কী করবেন

রুটিন প্রস্রাব পরীক্ষায় আমিষ বা প্রোটিনের উপস্থিতি দেখলে আমরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি। প্রস্রাবের সঙ্গে আমিষ বা প্রোটিন (কখনো বলা হয় এলবুমিন) নিঃসরণ স্বাভাবিক কিছু নয়। এটি কিডনি সমস্যার প্রাথমিক উপসর্গ। যাদের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ আছে তাদের মাঝে মাঝে প্রস্রাবের আমিষ পরীক্ষা করা উচিত। কেননা এতে কিডনির অবস্থা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।

প্রস্রাবে আমিষ কেন যায়
আমাদের রক্তে যে আমিষ আছে, তা সাধারণত কিডনির ছাঁকনি গলে প্রস্রাবের সঙ্গে যেতে পারে না। দৈনিক ৩০ মিলিগ্রামের বেশি এলবুমিন যাওয়াটা অস্বাভাবিক। ৩০০ মিলিগ্রামের বেশি এলবুমিন নিঃসরণ উদ্বেগজনক। প্রস্রাবে আমিষ নিঃসরণের অন্যতম কারণ ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ। এ ছাড়া কিডনির প্রদাহ, সংক্রমণ, এসএলই বা লুপাস, অ্যামাইলয়েডোসিস, কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় প্রস্রাবে আমিষ যেতে পারে। অন্তঃসত্ত্বা নারীর ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপের সঙ্গে প্রস্রাবে আমিষ গেলে প্রি–একলাম্পশিয়ার মতো বিপদ ঘটতে পারে।
কখনো কখনো জ্বর, অত্যধিক পরিশ্রম বা ব্যায়াম কিংবা দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেও প্রস্রাবে সামান্য আমিষ যেতে পারে। কিন্তু ক্রমাগত আমিষ গেলে, বিশেষ করে তিন মাসের বেশি সময় এমনটা হলে তা ক্রনিক কিডনি রোগই নির্দেশ করে।

কীভাবে বুঝবেন
রুটিন প্রস্রাব পরীক্ষা করা ছাড়া এ সমস্যা শনাক্ত করা মুশকিল। তাই ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের ৬ মাস বা এক বছর অন্তর প্রস্রাবে আমিষ পরীক্ষা করা উচিত। আমিষ নিঃসরণের হার বেশি হলে শরীর ফুলে যায় ও দুর্বল হয়ে পড়ে এবং মুখে ও পায়ে পানি আসে। প্রস্রাব ঘোলাটে বা সাদাটে হতে পারে।
কী করবেন
প্রস্রাব পরীক্ষায় আমিষ ধরা পড়লে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। চিকিৎসক ২৪ ঘণ্টায় নিঃসৃত আমিষের পরিমাণ নির্ণয় করে জটিলতার মাত্রা বোঝার চেষ্টা করবেন। ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ থাকলে তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। অন্য কোনো কারণ আছে কি না, তা নির্ণয় করতে হবে। কিডনির কার্যকারিতার মাত্রা বোঝার জন্য জিএফআর দেখতে হয়। এসিই ইনহিবিটর বা এআরবি গোত্রের ওষুধ ব্যবহার করলে এলবুমিন নিঃসরণ কিছুটা কমে। প্রস্রাবে এলবুমিন নিঃসরণ কেবল কিডনি রোগের সতর্কসংকেতই নয়, এটি আশু হৃদ্‌রোগেরও সতর্কসংকেত। তাই হৃদ্‌যন্ত্র সুস্থ রাখার দিকেও নজর দিতে হবে।
Share:

বুধবার, ৭ আগস্ট, ২০১৯

নারীদের কোষ্ঠকাঠিন্য

নারীরা যে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় একটু বেশি ভোগেন, তার কিছু কারণ আছে। আইবিএস (ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম) বা হাইপোথাইরয়েডের মতো রোগ নারীদের মধ্যে বেশি। এ দুটিই কোষ্ঠকাঠিন্যর অন্যতম কারণ। আরেকটি বড় কারণ হলো খাদ্যাভ্যাস। ঘন ঘন বাথরুমে যাওয়ার ভয়ে নারীরা অনেক সময় পানি কম খান, আঁশযুক্ত খাবারও প্রায়ই খাওয়া পড়ে না। অনেকেই তেমন ব্যায়াম বা কায়িক শ্রম করেন না। দীর্ঘদিনের ডায়াবেটিস কোষ্ঠকাঠিন্যের একটি প্রধান কারণ। কিছু ওষুধও এর জন্য দায়ী।
কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে নারীদের অ্যানাল ফিসার, পাইলস, ইউটেরাইন প্রলাপস ইত্যাদি সমস্যা বেড়ে যায়। এগুলো তাঁদের জন্য খুবই কষ্টদায়ক ও বিব্রতকর সমস্যা। কিশোরীদের মধ্যেও কোষ্ঠকাঠিন্য প্রায়ই বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় ও অনেকেই এ জন্য ক্রনিক পেটব্যথায় আক্রান্ত হয়।

কোষ্ঠকাঠিন্যের এই বিরক্তিকর সমস্যা থেকে রেহাই পেতে আপনি যা করতে পারেন:
  • প্রচুর পানি পান করুন। স্কুল–কলেজ বা অফিসে গেলে পানি পান কমিয়ে দেবেন না। বাথরুমে যেতে হলে চেপে রাখবেন না।
  • প্রতিদিনের বাউয়েল মুভমেন্ট বা মলত্যাগের অভ্যাস স্বাস্থ্যকর করে তুলুন। একটু ভোরে ঘুম থেকে উঠুন। টয়লেট ব্যবহারের একটা নির্দিষ্ট সময় থাকা ভালো, যেমন সকালের নাশতার ১৫ বা ২০ মিনিট পর। টয়লেট ব্যবহারে তাড়াহুড়া করবেন না।
  • দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় যোগ করুন প্রচুর আঁশযুক্ত খাবার। সকালের নাশতায় রাখতে পারেন লাল রুটি, ওটস, হোল গ্রেইন সিরিয়াল বা কর্নফ্লেক্স। রাখুন গোটা ফল, পারলে ফলের খোসাসহ। খেজুর, বাদাম, কিশমিশ, অ্যাভোকেডো, আম, কলা, পেঁপে খাওয়া ভালো। দুপুরের খাবারে সবজি এবং সালাদ অবশ্যই রাখবেন। রাতে এক গ্লাস গরম দুধ অনেক কাজে আসবে। ব্রকলি, বরবটি, মটরশুঁটি এবং যেকোনো ধরনের বীজজাতীয় খাবার রাখুন খাদ্যতালিকায়।
  • বিস্কুট, কুকি, ক্যান্ডি, আইসক্রিম ও উচ্চ শর্করাযুক্ত খাবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়ায়। এগুলো এড়িয়ে চলুন।
  • বয়স্ক নারীদের হঠাৎ নতুন করে কোষ্ঠকাঠিন্য, মাঝেমধ্যে ডায়রিয়া মাঝেমধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্য, মলের সঙ্গে রক্তপাত, অল্প অল্প জ্বর, পেটব্যথা, ওজন হ্রাস ইত্যাদি থাকলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।


Share:

মঙ্গলবার, ৬ আগস্ট, ২০১৯

পায়ের দুর্গন্ধ দূরের উপায়

কারও কারও পায়ে বেশ দুর্গন্ধ হয়। জুতা খুললেই বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সহজ কিছু কৌশল অবলম্বন করলে এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
আমাদের ত্বকে আছে অসংখ্য ঘামগ্রন্থি। জুতা পরা অবস্থায় অনেকেরই পা ঘামে। ঘামের সঙ্গে পানি, লবণ, তেল বা চর্বিজাতীয় পদার্থ ও বিপাকীয় আরও অনেক পদার্থ বের হয়। পায়ের ত্বকে থাকা হাজারো জীবাণু ঘর্মাক্ত পায়ের স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে এসব নিঃসরণ গ্রহণ করে নানা উচ্ছিষ্ট তৈরি করে। এগুলোর মধ্যে ‘আইসোভ্যালেরিক অ্যাসিড’ নামে একধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড অন্যতম। এর জন্যই পায়ে দুর্গন্ধ হয়।


কারও কারও পায়ে বেশ দুর্গন্ধ হয়। জুতা খুললেই বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সহজ কিছু কৌশল অবলম্বন করলে এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
আমাদের ত্বকে আছে অসংখ্য ঘামগ্রন্থি। জুতা পরা অবস্থায় অনেকেরই পা ঘামে। ঘামের সঙ্গে পানি, লবণ, তেল বা চর্বিজাতীয় পদার্থ ও বিপাকীয় আরও অনেক পদার্থ বের হয়। পায়ের ত্বকে থাকা হাজারো জীবাণু ঘর্মাক্ত পায়ের স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে এসব নিঃসরণ গ্রহণ করে নানা উচ্ছিষ্ট তৈরি করে। এগুলোর মধ্যে ‘আইসোভ্যালেরিক অ্যাসিড’ নামে একধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড অন্যতম। এর জন্যই পায়ে দুর্গন্ধ হয়।
পায়ের দুর্গন্ধ প্রতিরোধের উপায়
পায়ের দুর্গন্ধ দূর করতে পা এবং জুতা-মোজার পরিচ্ছন্নতাই প্রথম কথা। এর সঙ্গে কিছু কৌশল বিব্রতকর দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পেতে সহায়ক হতে পারে। 
• পা পরিষ্কার রাখুন। প্রতিদিন একাধিকবার পা ধুয়ে নিন। হালকা গরম সাবানপানি দিয়ে ধোয়াই ভালো। অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সোপ হলে আরও ভালো। এতে ত্বকে থাকা জীবাণুর সংখ্যা কমবে। 
• জুতা বা মোজা পায়ে দেওয়ার আগে পা ভালো করে শুকিয়ে নিন। জুতার ভেতর পা ভেজা ভেজা মনে হলে কিছুক্ষণ জুতা খুলে রাখুন। 
• সুতি মোজা ব্যবহার করুন। সুতি মোজা পায়ের ঘাম শোষণ করে। পরপর দুই দিন একই মোজা ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রতিদিনই পরিষ্কার মোজা ব্যবহার করুন। 
• গরমের দিনে খোলা স্যান্ডেল পায়ে দিন। শুর ক্ষেত্রে চামড়ার বা কাপড়ের শু ব্যবহার করুন। এতে জুতার ভেতর বাতাস যাওয়া-আসা করতে পারবে। ফলে পা ঘামবে কম। 
• বাসায় ফিরে জুতা শুকাতে দিন। প্রয়োজনে রোদে শুকান। 
• পায়ের নখ ছোট ও পরিষ্কার রাখুন। তাহলে জীবাণুর লুকিয়ে থাকার জায়গা কমে যাবে।
লেখক: বিভাগীয় প্রধান, কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগ কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ, ময়মনসিংহ
Share:

সোমবার, ৫ আগস্ট, ২০১৯

শর্করা বেশি খাওয়ার আগে ভাবুন


আমাদের সারা দিনের খাদ্যতালিকার অন্যতম উপাদান হচ্ছে শর্করা। ভাত তার প্রধান মাধ্যম। যত কিছুই খাই না কেন ভাত না খেলে ঠিক তৃপ্তি আসে না। একদিন অথবা এক বেলা ভাত না খাবার কথা আমরা চিন্তাই করতে পারি না। প্রতিদিন দুই বেলা, কখনো কখনো তিন বেলাই ভাত খাওয়া হয়।
আবার অনেকেই পিৎজা, বার্গার, স্যান্ডউইচ ছাড়া নিজেকে কল্পনা করতে পারেন না। কোল্ড ড্রিংকস পানের কারণে তো পানি পানের প্রয়োজনীয়তা অনেক সময়ই আমরা ভুলে যাই। ভাত, পিৎজা, বার্গার, স্যান্ডউইচ, কোল্ড ড্রিংকস সবকিছুই শর্করা খাবারের একেক রূপ। অতিরিক্ত শর্করা খাবারের ফলে আমাদের শরীরে কত সমস্যা হচ্ছে তার কিছুই আমরা জানি না।
অতিরিক্ত শর্করা খাবারের জন্য আমাদের শরীরে রক্তশূন্যতা হতে পারে, তা কি আমরা জানি? নিশ্চয়ই খুব অবাক হচ্ছেন। আপনার খাবারে হয়তো আয়রনের ঘাটতি নেই। কিন্তু আপনার খাবার শর্করা দিয়ে ভরপুর। শর্করা জাতীয় খাবারে উচ্চমাত্রায় ফসফেট ও ফাইটিক অ্যাসিড থাকে। শর্করা খাওয়ার পরে খাদ্যনালিতে গিয়ে খাবারে থাকা আয়রনের সঙ্গে মিশে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে আয়রন ফসফেট এবং ফাইটেট তৈরি করে, যা পানিতে অদ্রবণীয়। এই আয়রন ফসফেট ও ফাইটেট খাদ্যনালি থেকে শোষিত হয়ে রক্তে যেতে পারে না।

আপনি হয়তো আয়রনসমৃদ্ধ খাবার খাচ্ছেন কিংবা আয়রন ঘাটতির জন্য ওষুধ খাচ্ছেন। কিন্তু আপনার খাবারের আয়রন কতটুকু রক্তে যাচ্ছে তা অনেকগুলো বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। এর মধ্যে অন্যতম হলো আপনার খাদ্যতালিকায় শর্করার পরিমাণ কতটুকু বা আপনার খাদ্যাভ্যাস কেমন? কিছু পাওয়া না গেলেও বাংলার মাঠেঘাটে কচুশাক কিন্তু পাওয়াই যায়। এক গামলা ভাত কচুশাক দিয়ে খেয়ে ফেললাম। ভাবলাম আহ! কত আয়রন খেলাম। কিন্তু বুঝতেই পারলাম না, শুধু ভাতের জন্য আমাদের খাবারের আয়রন শোষণ হয়ে রক্তে যেতে পারছে না।
আয়রন রক্তের হিমোগ্লোবিন তৈরির জন্য জরুরি উপাদান। প্রয়োজনীয় পরিমাণ আয়রন না থাকলে হিমোগ্লোবিন তৈরি বাধাপ্রাপ্ত হবে। ফলে রক্তশূন্যতা দেখা দেবে। আমাদের দেশের মেয়েদের রক্তশূন্যতা বেশি। একে তো খাদ্যাভ্যাসের সমস্যা তার ওপর যদি প্রতি মাসে ঋতুস্রাব, গর্ভধারণ, বাচ্চাকে দুগ্ধপান ইত্যাদি কারণে শরীর থেকে আয়রন বের হয়ে যায়, তাহলে রক্তশূন্যতা হতে বাধ্য। তাই শুধু আয়রন ট্যাবলেট বা আয়রনযুক্ত খাবার খেলেই হবে না। সঙ্গে খাবারের শর্করার পরিমাণও পরিমিত রাখতে হবে, যাতে শর্করা আয়রনকে শোষণ করে নিতে না পারে।
Share:

বর্ষাকালে চুলের বিশেষ যত্ন

চুল নানা কারণে পড়ে। কিন্তু বর্ষাকালে বৃষ্টির পানি যা আমরা খালি চোখে দেখি পরিষ্কার কিন্তু তাতে একধরনের অ্যাসিড থাকে, যা চুলের ক্ষতি করে। তা ছাড়া এই সময়ে স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া, মাথায় ঘাম, চুল ঠিকমতো না শুকানো ইত্যাদি কারণে ছত্রাকের বাসা বাঁধতে সুবিধা হয়। এগুলোই মাথার ত্বকে চুলের গোড়ায় ইনফেকশন, খুশকি, চুল পড়াসহ নানা ধরনের ছত্রাকের আক্রমণসংক্রান্ত সমস্যা হওয়ার প্রধান কারণ।

অনেকে মনে করেন, বর্ষাকালে ধুলাবালু কম, তাই চুলের সমস্যা কম হবে। কিন্তু তা নয়, অন্যান্য ঋতুতে যা চুল পড়ে, বর্ষাকালে তার দ্বিগুণ চুল পড়ে। যেমন খুশকি, চুলের উজ্জ্বলতা কমে যায় ও উকুনও বেড়ে যায়। এ সময় মাথার ত্বকের তৈলাক্ততা বেড়ে যায়, চুল সহজে শুকাতে পারে না। তাই চুলের গোড়া থাকে নরম। চুলের সঠিক যত্নের অভাবে এ সমস্যাগুলো আরও বেশি বেড়ে যায়। আর আগে থেকেই তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীরা এ ধরনের সমস্যায় তাঁরা আরও বেশি ভোগেন। আবার মাথার তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণও হতে পারে।
ঘরোয়া যত্নই হতে পারে চুলের সমস্যা সমাধানের উত্তম উপায়। শ্যাম্পু ব্যবহার করার পাশাপাশি বেশি তেলের খাবার এড়িয়ে যেতে হবে। এক দিন পরপরই শ্যাম্পু করা উচিত। আর সপ্তাহে অন্তত এক দিন কিটোকোনাজল শ্যাম্পু করা উচিত। প্রচুর পানি পান করতে হবে। গোসলের পরই চুল শুকিয়ে ফেলতে হবে। ফ্যানের বাতাসে শুকানোই সবচেয়ে ভালো হবে। তবে সমস্যা বেড়ে গেলে চর্ম ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
সোজা করা চুলে বা রঙিন চুলে যেমন রাসায়নিক থাকে এবং তেমনি চুল শুষ্কও থাকে। তাই শ্যাম্পু ব্যবহার করার পাশাপাশি ভালো কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। অথবা শ্যাম্পু করার আগে তেল ব্যবহার করা যেতে পারে।
সবশেষে চুল পড়া রোধ বা কমাতে হলে চুলকে নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে, নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে, দুশ্চিন্তামুক্ত জীবন যাপন করতে হবে, যেকোনো ওষুধ গ্রহণের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। 
ডা. মাসুদা খাতুন : সহযোগী অধ্যাপক, চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
Share:

সোমবার, ২২ জুলাই, ২০১৯

মেয়েদের গোপন যায়গায় ঘামে দুর্গন্ধ হওয়ার কারণ ও প্রতিকার

মেয়েদের কিছু গোপন যায়গায় ঘামে দুর্গন্ধ হওয়ার কারণ ও প্রতিকার

শরীরে ঘামের দুর্গন্ধ মানুষকে অস্বস্তি এবং বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে। আমাদের শরীরে দুই ধরনের ঘাম নিঃসরণকারী গ্রন্থি থাকে, ‘এক্রিন’ এবং ‘অ্যাপোক্রিন’। ‘এক্রিন’ গ্রন্থি আমাদের পুরো শরীরে ছড়িয়ে আছে যা শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
এই গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত ঘাম লবণ আর পানির মিশ্রণ, যার কোনো গন্ধ নেই। অপরদিকে ‘অ্যাপোক্রিন’ গ্রন্থি থাকে চুলের গোড়া, বগল এবং মাথার ত্বকে। এই গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত ঘন ঘাম হলো প্রোটিন এবং লিপিডের মিশ্রণ। ব্যাকটেরিয়া এই গ্রন্থির সংস্পর্শে এলে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটায়। এই বিক্রিয়ার বাজে গন্ধ থেকেই শরীরের দুর্গন্ধ হয়।
আজ শরীরে দুর্গন্ধ হওয়ার বিভিন্ন কারণ ও প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করা হলো-
ঘামে দুর্গন্ধ হওয়ার কারণ: ওজন: স্থূলকায় মানুষের শরীরে দুর্গন্ধ হতে দেখা যায় তুলনামূলক বেশি। এর কারণ হলো মোটা মানুষের সব কাজেই পরিশ্রম বেশি হয়। আবার পুরু চামড়ার স্তরে অনেক সময় ঘাম আটকে থাকে, যা ব্যাকটেরিয়া বিস্তারে সহায়তা করে।
মানসিক চাপ: অবাক লাগলেও সত্যি কথা হচ্ছে, মানসিক চাপে থাকলে ঘাম বেশি হয়। আর মানসিক চাপগ্রস্ত অবস্থায় ‘অ্যাপোক্রিন’ গ্রন্থি থেকে ঘাম নির্গত হয়, ফলে শরীরে দুর্গন্ধ হয়।
ফিশ ওডোর সিনড্রোম: দুর্লভ একটি রোগ এই ‘ফিশ ওডোর সিনড্রোম’, যেখানে মানুষের শরীর থেকে মাছের গন্ধ বের হয়। ধারণা করা হয়, জিনগত সমস্যা এই রোগের কারণ।
এই দুর্গন্ধ রোগাক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাস, মূত্র এবং ঘামকেও প্রভাবিত করে। এক্ষেত্রে ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা মেনে চলা, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা, সুগন্ধি ব্যবহার ইত্যাদির মাধ্যমে শরীরের দুর্গন্ধ কমানো সম্ভব।
রোগ ও ওষুধ: বিভিন্ন শারীরিক রোগ এবং কিছু ওষুধের কারণেও শরীরে দুর্গন্ধ হতে পারে। যেমন- হতাশা নিয়ন্ত্রক ওষুধ সেবনের কারণে শরীরে অদ্ভুদ গন্ধ হতে পারে।
আবার পাকস্থলী ও যকৃতের সমস্যা, ডায়াবেটিস থেকে ত্বকে অতিরিক্ত ব্যাকটেরিয়ার বিক্রিয়া থেকে শরীরে দুর্গন্ধ হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ত্বক পরিষ্কার রাখা এবং ঘাম এড়ানোর জন্য ত্বকে আলো-বাতাস প্রবেশ করতে পারে এমন পোশাক পরা জরুরি।
খাবার: পেঁয়াজ, ফুলকপি, বাঁধাকপি ইত্যাদিতে থাকা ‘সালফার’ উপাদান ‘এক্রিন’ গ্রন্থির ওপর বাজে প্রভাব ফেলে। ফলে এই গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত ঘামেও গন্ধ হয়। তবে এই গন্ধ বেশিক্ষণ থাকে না।
শরীরে ঘামের দুর্গন্ধ প্রতিরোধে করণীয়:
* আর্ম পিট পরিষ্কার রাখুন – প্রতিদিন anti-bacterial সাবান দিয়ে পরিষ্কার করুন। এতে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ কম হবে আর ঘামও কম হবে। ফাইনাল ফলাফল শরীরে ঘামের দুর্গন্ধ কম হবে।
* আর্ম পিটের লোম পরিষ্কার রাখুন, বগলের লোম জমে থাকা ঘামকে বাস্পীভূত হতে দেয় না, ব্যাকটেরিয়া অনেক সময় ধরে দুর্গন্ধ তৈরি করে। তাই নিয়মিত আর্ম পিট ওয়াক্স করুন।
* diodarent ত্বককে আরও বেশি এসিডিক করে তোলে, যা ব্যাকটেরিয়ার জন্য অগ্রহণযোগ্য অবস্থা। Antiperspirant গ্লান্ডের sweating কার্যকারিতাকে বন্ধ করে দেয় ফলে শরীরে কম ঘাম হয়।
* প্রতিদিন অন্তত একবার গোসল করুন। মনে রাখবেন, গরম পানি শরীরে থাকা ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে আর যদি আবহাওয়া গরম থাকে তাহলে চেষ্টা করবেন কয়েকবার গোসল করে নিতে।
* ন্যাচারাল ফাইবার যুক্ত কাপড় পরিধান করুন – সিল্ক, সুতি জাতীয় কাপড় ত্বককে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে দেয়। ফলে ঘাম সহজে বাস্পায়িত হতে পারে।
* পায়ে ঘামের দুর্গন্ধ থাকলে জুতা খোলার সঙ্গে সঙ্গে সবার সামনে নিজেকে কী বিব্রতকর অবস্থাতেই না পড়তে হয়। তাই প্রতিদিন অন্তত একবার হালকা গরম পানি দিয়ে পা ধুয়ে নেয়ার চেষ্টা করবেন। আগেই বলেছি, গরম পানি ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে।
* চামড়ার জুতা পায়ের ঘাম বাস্পীভূত হতে সাহায্য করে। পর পর দুইদিন একই জুতা পরবেন না, কারণ জুতার ভেতরের ঘাম শুকানোর জন্য এক রাত যথেষ্ট না।
* লেবুর সাথে মধুর সংমিশ্রণ ঘামের দুর্গন্ধ প্রতিরোধের অন্যতম প্রধান ঘরোয়া উপায়। খুবই সিম্পল, একটি বাটিতে হালকা গরম পানি নিন, তাতে ২ টেবিল চামচ মধু আর ৩ টেবিল চামচ লেবুর রস নিন। তারপর আপনার যেসব স্থান ঘামে সে সব জায়গায় এই সলিউশন দিয়ে রিন্স করে নিন। তারপর শুকনো তোয়ালে দিয়ে মুছে ফেলুন। লেবু শরীরে ঘামের পরিমাণ কমিয়ে আনে।
* আপনি শুনে হয়তো অবাক হবেন যে, ভিনেগার অতিরিক্ত ঘামের পরিমাণ অনেক কমিয়ে আনে। রাতে ঘুমানোর আগে ভিনেগার আপনার আর্ম পিটে লাগিয়ে ঘুমান আর সকালে উঠে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে নিয়মিত করতে থাকলে আস্তে আস্তে আপনি ঘামের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন।
* গরম পানির সাথে নিম এক্সট্রাকট ব্যবহার করুন। নিম এক্সট্রাকট একটি শক্তিশালী প্রাকৃতিক ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসকারী। যা শরীরের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। একটি বাটিতে ফুটন্ত গরম পানি নিয়ে তাতে কিছু নিমের পাতা ছেড়ে দিন।
তারপর অপেক্ষা করুন ২০ মিনিট। এই কয় মিনিটে নিম পাতা থেকে সমস্ত নির্যাস বের হয়ে যাবে আর পানিও একটু ঠাণ্ডা হয়ে আসবে। এবার শুকনো তোয়ালে এই পানিতে ডুবিয়ে আপনার যেসব স্থান ঘামে সেসব স্থান মুছে নিন।
* গোসল করার আগে বালতিতে কিছু পুদিনা পাতা বা কয়েক ফোঁটা গোলাপ পানি দিন। তারপর ওই পানি দিয়ে গোসল করুন। এতে তাৎক্ষণিকভাবে আপনার শরীর dioderize হবে।
* সব সময় নিজেকে শুকনো রাখার চেষ্টা করুন। গোসল করার পর ভালোভাবে শরীর শুকিয়ে ভালো মানের diodarent ব্যবহার করুন।
* ডায়টেশিয়ানের মতে সালফিউরিক সম্মৃধ খাবার যেমন ব্রকলি, বাধাকপি, ফুলকপি পরিমাণে কম খেতে হবে। কারণ এগুলোতে মিনারেল সালফার থাকে যা গন্ধযুক্ত গ্যাস আমাদের ত্বকের সাহায্যে নির্গত করে।
ওপরের সাধারণ প্রাকৃতিক উপায় আর টিপস আপনাকে মুক্তি দিবে সকল বিব্রতকর পরিস্থিতি থেকে আর আপনিও থাকবেন প্রতিনিয়ত ক্লিন, ফ্রেশ। তাহলে কীভাবে শরীরে ঘামের দুর্গন্ধ দূর করবেন এই ব্যাপারে আর কোনো সংশয় থাকার কথা না।
Share:

Sample Text

হারবাল ঔষধ, ভেষজ ঔষধ, ভেষজ চূর্ণ, ভেষজ গুণ সম্পর্কিত গাছ, প্রাকৃতিক ঔষধ, ভেষজ উদ্ভিদ পরিচিতি, ইউনানি চিকিৎসা, আয়ুর্বেদ চিকিৎসা, আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা, গ্রামীণ চিকিৎসা সেবা, হারবাল চিকিৎসা, অর্গানিক খাদ্য,হারবাল চা,হারবাল রেমিডি,ন্যাচারাল রেমিডি, হার্বস, একক ভেষজ, হারবাল ঔষধ এর পরিচিতি,হারবাল ঔষধ এর রিভিউ, ইউনানি ঔষধ এর রিভিউ, আয়ুর্বেদিক ঔষধ এর রিভিউ,আয়ুর্বেদ চিকিৎসার ইতিহাস, ইউনানি চিকিৎসার ইতিহাস, ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকিৎসা, হারবাল টোটকা,হারবাল শরবত, ফলের গুনাগুন, ফুলের গুনাগুন ইত্যাদি নিয়ে লেখালেখি।

Blogger দ্বারা পরিচালিত.

About

test

Wikipedia

সার্চ ফলাফল

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

Blog Archive

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

আমার ব্লগ তালিকা

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

About

আমার ব্লগ তালিকা

Blogroll

Unordered List

Theme Support

Blogroll

BTemplates.com

Blogroll

Natural Health

আমার ফটো
kishoregonj, dhaka, Bangladesh
I am simple Man and Harbs Learner.

Contact form

নাম

ইমেল *

বার্তা *

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

অনুসরণকারী

Followers

Generate More Traffic on your Website.

Generate More Traffic on your Website.
It is a long established fact that a reader will be distracted by the readable content of a page when looking at its layout. The point of using Lorem Ipsum is that it has a more-or-less normal distribution of letters, as opposed to using 'Content here, content here'.

Translate

BTemplates.com

THE LIFESTYLE

Pages - Menu

Random Posts

Pages

Pages - Menu

Pages

Pages

Most Popular

Blog Archive

Recent Posts

Unordered List

Pages

Theme Support