রবিবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৯
Home »
» হাপানী বা ব্রংকিয়াল এস্থমা
হাপানী বা ব্রংকিয়াল এস্থমা
ইহা এক ধরনের শারীরিক অসুস্থতা যার বৈশিষ্ট্য হলো
শ্বাসপথের কোষকলায় দীর্ঘ সময় স্থায়ী প্রদাহ ও
শ্বাসনালীর বিভিন্ন অংশের ঝিল্লীর বৃদ্ধিপ্রাপ্ত সংবেদন শীলতা এবং
মাঝারী ও ক্ষুদ্র শ্বাসনালীগুলোর মসৃন মাংসপেশী সমুহের বৃদ্ধিপ্রাপ্ত সংকোচন প্রবনতা।
কিভাবে কোন্ উপসর্গ এবং লক্ষণ সুষ্টি হয়?
বিশ্বাস করা হয় শ্বাসনালী বা শ্বাসপথের এই প্রদাহ জনিত কারনেই এস্থমা রোগীর সৃষ্টি হয়:-
01. শ্বাসকষ্টের কারক অবস্থা সমূহ;
02. হুইজ বা রংকাই হওয়ার কারন সমূহ;
03. পূনঃ পুনঃ কাঁশী সৃষ্টি হওয়ার কারন সমূহ।
এগুলোর কারনে সৃষ্টি হয়ে থাকে নিচের উপসর্গ এবং লক্ষন গুলো; যেমন
(১) ►কফ সহ কাঁশী:-শ্বাসনালী পরিস্কার করার কেন্দ্রিক প্রবনতা হেতু কাশীর সৃষ্টি হয় এবং এতে আঠাঁলো সাদা* কফ বের হয়, (কাশী রাতে বেশী হয়, কাশীর সময় গরম বোধ হয়)।
(২) ►হুইজ:-প্রশ্বাসের সাথে সাথে বাঁশীর শব্দের মতো অগনিত শব্দ, যা সহজে শোনা যায়।
(৩) ►চেষ্ট টাইটনেস:- বুকে চাপ অনুভব করা; যতে বুক ফুলানোর ক্ষমতা কম অনুভব করা, (৪) ►ডিস্পনিয়া:- শ্বাসের কষ্ট অনুভব করা।
এস্থমা রোগীর শ্বাসকষ্টের কারক অবস্থা সমূহ
১. শ্বাসনালীর আভ্যান্তরিন ঝিল্লি ফুলে যায় ও তা থেকে অতিরিক্ত আঠালো মিউকাস নিঃসরন হওয়া,
২. শ্বাসনালীর মসৃন মাংসেপেশী সমূহের সংকোচন শীলতা বেড়ে যাওয়া ও
৩. উপোরক্ত কারনে শ্বাসপথে বাতাস চলাচলে বাধা সৃষ্টি হওয়া।
এস্থমা রোগীর হুইজ বা রংকাই হওয়ার কারন সমূহ
৪. শ্বাসনালীর মসৃন মাংসপেশী সমুহের বৃদ্ধিপ্রাপ্ত সংবেদন শীলতা এবং সংকুচিত শ্বাসপথে বাধাপ্রাপ্ত বাতাস চলাচলের ফলে সৃষ্টি হয়
(২) হুইজ:- শীষের মতো বাঁশীর শব্দ যা স্টেথোস্কোপ ছাড়া শোনা যায়;
(৩) রংকাই:-যা বুক ও পিঠের উপরে স্টেথোস্কোপ এর সাহায্যে শোনা যায়।
এস্থমা রোগীর পূনঃ পুনঃ কাঁশী সৃষ্টি হওয়ার কারন সমূহ
Ø শ্বাসনালীর আভ্যান্তরিন ঝিল্লির অতিরিক্ত সংবেদনশীলতা ও ঐ কারনে সৃষ্ট শ্বাসনালীর আভ্যান্তরিন ঝিল্লি থেকে অতিরিক্ত নিঃসরন (সাদা আঁঠালো কফ) পরিস্কার করার তাগিদে পূনঃপুনঃ কাঁশী সৃষ্টি হয়।
Ø ইহাছাড়াও জীবানু সংক্রমন এবং সংকুচিত শ্বাসনালীতে বাতাস চলাচলের কারনে কাশী সৃষ্টি হয়।
উপরোক্ত বিশ্লেষন থেকে উহা অনুমিত হওয়া স্বাভাবিক যে
ð ব্রংকিয়াল এস্থমা রোগীর ব্যবস্থাপনায় মূল লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য হবে
► শ্বাসকষ্টের কারনে যেন রোগীর জীবন কোন সময় ঝুকি পূর্ন না হয়;
► শ্বাসকষ্টের কারনে যেন রোগী কর্মক্ষমতা না কমে এবং কর্মঘন্টা না হারায়;
►দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহের কারনে যেন রোগীর শ্বাসনালী-পথের এবং শ্বাসকলার বৈকল্য না আসে;
►রোগী যেন স্বল্পস্থায়ী বা দীর্ঘ স্থায়ী অক্সিজেন কমতিতে না ভুগে।
ðএবং তাই মূলবিবেচ্য বিষয় হবে
Ø ’’ব্রংকিয়াল এস্থমা রোগীর’’ অবস্থার যথাযত মুল্যায়ন করে (স্কোরিং)
Ø শ্বাসনালীর এই অতিরিক্ত সংবেদনশীলতার যথাযত নিয়ন্ত্রন এবং কমানো ও
Ø শ্বাসনালীর সংকোচন-শীলতা প্রতিরোধ করে প্রসারনশীলতা বাড়া
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন