রবিবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৯
Home »
» বর্ষায় শ্বাসরোগ
বর্ষায় শ্বাসরোগ
গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহের পর বহুপ্রতীক্ষিত বর্ষা স্বভাবতই আমাদের মনকে আনন্দে ভরিয়ে দেয়। কিন্তু এই আনন্দের মধ্যেও দুঃসংবাদ হলো, এই বৃষ্টি কিছু শ্বাসরোগও বয়ে আনে। তাই কেউ যদি বাইরে গিয়ে হঠাৎ ঝুম বৃষ্টিতে ভিজে যান, তাহলে তিনি অ্যালার্জির রিঅ্যাকশনে পড়তে পারেন। ফলে অতিরিক্ত হাঁচি আসা, সর্দি-ঠাণ্ডায় আক্রান্ত হওয়া ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। তখন এসব উপসর্গকে খুব বেশি গুরুত্ব না দিলে সমস্যা বেড়ে গিয়ে ফুসফুসে প্রদাহ ও ইনফেকশন হতে পারে, কফ-কাশি বা নিউমোনিয়াও হতে পারে। নিউমোনিয়ার উপসর্গগুলো হচ্ছে—জ্বর, কাশি, কফ, বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, কখনো বুকে অস্বাভাবিক শব্দ ইত্যাদি। আর বয়স্কদের ক্ষেত্রে দেখা যায় খাদ্যে অরুচি, মাথা ব্যথা, দুর্বলতা, ক্লান্তি লাগা ইত্যাদি।
তা ছাড়া বর্ষার ভাপসা আবহাওয়ায় ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ বেড়ে যায়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে, বিশেষত শিশুদের অ্যাজমায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় সর্দি-কাশি। আগে থেকে শ্বাসকষ্টের রোগীদের যেকোনো সংক্রমণ হলেও উপসর্গগুলো আরো বাড়িয়ে দেয়।
ভালো থাকার উপায়
♦ বর্ষার সময় সাবধানতার সঙ্গে বাইরে যান, যাতে করে হুটহাট বৃষ্টিতে ভিজে না যান।
♦ আবহাওয়ার পূর্বাভাস সম্পর্কে জানুন।
♦ সব সময় ছাতা বা রেইনকোট সঙ্গে রাখুন।
♦ বাড়তি এক সেট জামাকাপড় সঙ্গে রাখতে পারেন।
♦ এ সময় সর্দি-হাঁচি-কাশিকে অবহেলা করবেন না। কাশির সঙ্গে হলুদ কফ দেখা গেলেই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
♦ যাঁরা আগে থেকেই শ্বাসকষ্টের রোগী (যেমন—অ্যাজমা, সিওপিডি ইত্যাদি), তাঁরা অবশ্যই নিয়মিত ওষুধ সেবন করবেন।
♦ উপসর্গ বেড়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
♦ বর্ষায় বাড়িঘর, বিছানাপত্র স্যাঁতসেঁতে হয়ে যায়, ছত্রাক বাসা বাঁধে। তাই যাঁরা অ্যাজমার রোগী তাঁরা চারপাশ পরিচ্ছন্ন ও শুকনো রাখুন।
♦ নির্দেশিত কিছু ভ্যাকসিন আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে। এ ব্যাপারে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন