হারবাল ঔষধ, ভেষজ ঔষধ, ভেষজ চূর্ণ, ভেষজ গুণ সম্পর্কিত গাছ, প্রাকৃতিক ঔষধ, ভেষজ উদ্ভিদ পরিচিতি, ইউনানি চিকিৎসা, আয়ুর্বেদ চিকিৎসা, আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা, গ্রামীণ চিকিৎসা সেবা, হারবাল চিকিৎসা, অর্গানিক খাদ্য,হারবাল চা,হারবাল রেমিডি,ন্যাচারাল রেমিডি, হার্বস, একক ভেষজ, হারবাল ঔষধ এর পরিচিতি,হারবাল ঔষধ এর রিভিউ, ইউনানি ঔষধ এর রিভিউ, আয়ুর্বেদিক ঔষধ এর রিভিউ,আয়ুর্বেদ চিকিৎসার ইতিহাস, ইউনানি চিকিৎসার ইতিহাস, ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকিৎসা, হারবাল টোটকা,হারবাল শরবত, ফলের গুনাগুন, ফুলের গুনাগুন ইত্যাদি নিয়ে লেখালেখি।

Blogger templates

  • This is default featured slide 1 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by NewBloggerThemes.com.

  • This is default featured slide 2 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by NewBloggerThemes.com.

  • This is default featured slide 3 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by NewBloggerThemes.com.

  • This is default featured slide 4 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by NewBloggerThemes.com.

  • This is default featured slide 5 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by NewBloggerThemes.com.

শুক্রবার, ৫ জানুয়ারী, ২০১৮

মঙ্গলকর প্রাকৃতিক উপাদান হলুদ

                            প্রাকৃতিক উপাদান হলুদ

মসলার জগতে হলুদের বিচরণ সর্বাধিক। প্রতিদিনের রান্নায় আমরা এর সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে থাকি অন্য সব মসলার তুলনায়। নিত্যপ্রয়োজনীয় মসলার মধ্যে অন্যতম হলুদ শুধুমাত্র মসলা হিসেবেই ব্যবহার হয়না। বিভিন্ন প্রকার প্রসাধনী, রঙ শিল্পের কাঁচামাল, কবিরাজি এবং আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় এর প্রচুর ব্যবহার হয়ে থাকে। রংধনুর সাত রঙের এক রঙের নামও হলুদ, এই রঙ অনেক কবির কবিতার উপমায়ও উঠে এসেছে। যেমন হলুদ হলুদ জ্যোৎস্না, হলুদ নদী, হলুদ পাতা ঝরা সন্ধ্যা ইত্যাদি। দক্ষিন এশিয়ার সংস্কৃতি এবং অনুষ্ঠান পর্বের সঙ্গে এটি ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। আমাদের দেশে বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু হয় বর-কনের গায়ে হলুদ ছোঁয়ানোর মধ্য দিয়ে, এ ছাড়া যেন বিয়েই সম্পন্ন হয়না। হলুদের অনুষ্ঠান পর্ব নিয়ে বিভিন্ন সময়ে অনেক কবি সাহিত্যিক রচনা করেছেন বিখ্যাত সব গান এবং কাব্য। এর মধ্যে বহুল জনপ্রিয় একটি গান "হলুদ বাটো মেন্দি বাটো, বাটো ফুলের মৌ"। এছাড়াও বহু রকমের হলুদের গান 'হলুদ উৎসবে' গাওয়া হয়ে থাকে।Image may contain: food

আদা পরিবারের Zingiberaceae এক প্রকার গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদের শিকড় বা মূল হলো হলুদ। এর বৈজ্ঞানিক নামঃ Curcuma longa. এরা বহুবর্ষজীবী গাছ। হলুদের আদিবাস দক্ষিনপূর্ব এশিয়া এবং ভারতীয় উপমহাদেশ। দক্ষিণ এশিয়া এবং মধ্য প্রাচ্যের রান্নায় হলুদ মসলা হিসেবে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় সেই প্রাচীন কাল থেকে। ভারতবর্ষে প্রায় ২৫০০ বছর ধরে হলুদের ব্যবহার হয়ে আসছে। যা এখন বিশ্বব্যাপী ব্যাপক হারে ব্যবহৃত হচ্ছে। এটি আয়ুর্বেদীয়, ইউনানি এবং ঐতিহ্যবাহী চীনা ঔষধের একটি বিশেষ উপাদান। প্রাচীন কালে প্রথম দিকে শুধু কাপড়ে রঙিন ছাপানোর কজে হলুদ ব্যবহার করা হতো। এরপর আস্তে আস্তে বেশ কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে ঔষধি গুণের বৈশিষ্ট্যগুলির প্রকাশ পেতে থাকে। তখন থেকে রান্নার রঙ ও স্বাদ বাড়াতে এবং বিভিন্ন ধরণের রোগের ঔষধ হিসেবে হলুদের ব্যাপক ব্যবহার শুরু হয়। 



 Image may contain: food


এশিয়ান খাবারের প্রধান উপাদান গুলির মধ্যে হলুদ অন্যতম মসলা। এই জন্যই বোধকরি একে অনেকে মসলার রাণী উপাধি দিয়ে থাকেন।
হলুদ গাছ বিভিন্ন প্রজাতির হয়ে থাকে। এই গাছ দেখতে অনেকটা কলাগাছের মত, দেখলে মনে হয় ছোট জাতের কলাগাছ। কান্ডের রঙ হালকা সবুজ এবং ৬/৭ ইঞ্চি লম্বা হতে পারে। হলুদের পাতা লম্বাটে, পাতার রঙ হাল্কা সবুজ। এর কান্ডের মাঝখান থেকে ফুল বের হয়, একটা গাছে এক গুচ্ছ ফুলই ফোটে। ফুল থেকে ফল বা বীজ হয়না। হলুদ অঙ্গজ প্রজননের মাধ্যমে বংশ বিস্তার করে থাকে, এর প্রধান ব্যবহার যোগ্য অংশ হলো এর মূল। মূলের গায়ে শাখা মূল থাকে, দেখতে অনেকটা আদার মতো। হলুদের উপরের গায়ের রঙ বাদামী ধূসর, ভেতরের রঙ কমলা মিশ্রিত হলুদ। কাঁচা অবস্থায় এটি নরম এবং রসালো থাকে। এর ফুল বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে, তার মধ্য শাদা ফুলের হলুদ গাছ বেশী দেখা যায়। এছাড়া আরো আছে হালকা গোলাপি, লাল ও শাদার সঙ্গে গোলাপি লাল এবং অন্য রঙের মিশ্রণ। আমদের দেশে হলুদের বেশ কযেক প্রকার উন্নত মানের জাত রয়েছে। ২০ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ভালো জন্মে এরা। এই গাছের জন্য প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাতের দরকার হয়। হলুদ তোলার সময় যদি এর কন্দ মাটির তলায় থেকে যায়, তবে সেখান থেকে আবার গাছ জন্মায়। এইভাবে অনেক সময় বুনো হলুদের গাছ বন-জঙ্গলে বছরের পর বছর বেঁচে থাকে। বুনো হলুদও খাওয়া যায়। এই গাছ সহজেই প্রকৃতির সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে।
Image may contain: plant, flower, nature and outdoor

বাংলাদেশের প্রায় সব এলাকায় হলুদ জন্মে। এর মধ্যে রাজশাহী, নওগাঁ, পাবনা, টাঙ্গাইল, কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী, নীলফামারী, ময়মনসিংহ ও পার্বত্য জেলা গুলোতে এর ব্যাপক চাষাবাদ হয়। আমাদের দেশে ফসলের জমিতে বা বসত বাড়ির আশে-পাশে হলুদের চাষ করা হয়ে থাকে। প্রায় সব ধরনের মাটিতেই হলুদের চাষ করা করা যায়। কিন্তু এর চাষের জন্য উর্বর দো-আঁশ বা বেলে দো-আঁশ মাটি বেশী উপযোগী। পানি জমে না এমন জমিতে এটি ভালো জন্মে, এই কারণে পাহাড়ী অঞ্চলে এর ব্যাপক ফলন হয়। হলুদ চাষের জন্য সমপরিমাণ আলোছায়া যুক্ত স্থান ভালো। ছায়াযুক্ত স্থানেও হলুদ জন্মে, তবে ফলন কম হয়। উঁচু জমি এর চাষের জন্য ভালো। হলুদ চাষে ঝুকি কম, সেইজন্য একবার শুধু লাগাতে পারলে বেশী যত্নের প্রয়োজন হয়না। আমাদের দেশে ডিমলা ও সিন্দুরী নামে দুইটি উচ্চ ফলনশীল জাত রয়েছে। চৈত্র মাসের শেষ হতে বৈশাখ মাস পর্যন্ত হলুদ রোপণ করার সময়। জমি খুব ভা্লো করে ২-৩ বার চাষ দিযে মাটি ঝুরঝুরে করে হলুদ চাষের উপযোগী করতে হয়। উন্নতমানের বীজকন্দ বেছে নিতে হয় লাগানোর জন্য। সাধারণত হলুদ লাগানোর ৯-১০ মাস পর পাতা শুকিয়ে গেলে এটি সংগ্রহ করা হয়। বছরে সাধারণত একবার এর গাছ তোলা হয়।

Image may contain: food

হলুদ তোলার পর পাতা, শিকড়, কান্ড, সব কেটে পরিষ্কার করে এর কন্দ গুলো ৩/৪ বার পানি দিয়ে ধুয়ে আলাদা করতে হয়। এরপর যেখানে রোদ না লাগে এমন জায়গায় রেখে পাতা দিয়ে ঢেকে দিতে হয়। এই ভাবে ২/৩ দিন হলুদের ঘেমে যাওয়া পানি ঝরানো হয়। এই পদ্ধতিকে হলুদের ঘাম ঝরানো বলা হয়ে থাকে। উঠানোর ৩/৪ দিনের মধ্য সিদ্ধ করতে হয়, তা না হলে এর কন্দ পচে যেতে পারে। হলুদের কন্দের আকারের উপর নির্ভর করে কতক্ষণ সিদ্ধ করতে হবে। এই জন্য ভিন্ন ভিন্ন আকারের কন্দ বেছে আলাদা করে নিতে হয়, এবং কতক্ষনের মধ্যে সেই গুলো সিদ্ধ হবে সেই সময় অনুযায়ী সিদ্ধ করা হয়। সাধারনত ১ থেকে ৩/৪ ঘন্টাও লাগতে পারে সিদ্ধ করতে। মাটি বা লোহার পাত্র হলুদ সিদ্ধ করার জন্য বেশি উপযোগী। সিদ্ধ করার পরপরই ভালো ভাবে রোদে শুকাতে হয় প্রায় দুই সপ্তাহ। এরপর হলুদ মসলা হিসেবে খাওয়ার উপযুক্ত হয়। পরের বছর লাগানোর জন্য এর সতেজ কন্দ বিভিন্ন উপায়ে সংরক্ষন করা হয়ে থাকে।
Image may contain: plant, nature and outdoor

ভেষজ ও পুষ্টিগুণে গুণান্বিত হলুদ। এর গুনাগুণ নিয়ে যুগ যুগ ধরে বৈজ্ঞানিক গবেষণা হয়ে আসছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে সাম্প্রতিক গবেষণায় পাওয়া একটি বিশেষ তথ্য হলুদে ‘কারকিউমিন’ নামক একটি বায়ো-এক্টিভ যৌগের উপস্থিতি। আর এই ‘কারকিউমিনের মধ্যে রয়েছে বিশেষ উপাদান অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিবায়োটিক যা বিভিন্ন অসুখের সংক্রমণকে দমন করার ক্ষমতা রাখে। 'কারকিউমিন' হলুদে বেশী আর আদায় স্বল্প পরিমাণে থাকে। প্রত্যেক মানুষের ত্বক আলাদা ধরনের। ত্বকের অধিকাংশ সমস্যা সমাধান করতে হলুদে থাকা কারকিউমিনের অবদানের তুলনা হয়না। যে কোনো ত্বকের সমস্যায় কাঁচা হলুদ বাটা বা শুকনো গুড়ো হলুদ বিভিন্ন দ্রব্য যেমন চন্দন, চালের গুড়ো, ডালের গুড়ো, দুধের সর ইত্যাদির সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। ত্বকে কখনো সরাসরি হলুদ লাগানো উচিত না। কারণ, অনেকের হয়ত এতে অ্যালার্জি থাকতে পারে। সেইজন্য হাতে বা পায়ে সামান্য একটু লাগিয়ে পরীক্ষা করে নিলে ভালো হয়। হলুদে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এতে প্রচুর ক্যালসিয়াম, লৌহ, ক্যারোটিন, আমিষ, এবং চর্বি রয়েছে। দীর্ঘস্থায়ী নানা সংক্রামক রোগ দমন করতে হলুদ সবচেয়ে কার্যকর ও মঙ্গলকর প্রাকৃতিক উপাদান।

Share:

সোমবার, ১ জানুয়ারী, ২০১৮

মুত্রনালীর প্রদাহ , Urethritis বা প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালা পোড়া করা

মুত্রনালীর প্রদাহ , Urethritis বা প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালা পোড়া
( বাড়তি কথা ঃ- আজকের লিখাতে কিছুটা এডাল্ট শব্দ মিস্রিত আছে বিধায় আমি ক্ষমা প্রাথি তবে ইহা সকলের জানার ও শিখার জন্য ( লাইভ ৩ডি পিকচার বা লাইভ ভিডিও এড করি নাই, যাদের আগ্রহ তারা এড লিঙ্কে ক্লিক করলে দেখতে পাবেন ) – যেহেতু মেডিক্যাল রাইটিং সর্বদা সঠিক তথ্য ও প্রমান সাপেক্ষ বিষয় তাই কখন ও নিজের ইচাছা মাফিক নভেলের মত কিছু সংযোক্ত বা বাদ দেওয়া সম্বভ নয় – তা ছাড়া ইদানীং দেখতেছি বেশ নামি দামি সুনাম ধন্য পত্রিকাতে বিনা পরীক্ষাতে যে যার ইছছামত কিছু তথ্য দিতেছেন ( যেমন বেড়েলা খেলে আলসার ভাল হয় ইত্যাদি অথচ তিনি নেজেই জানেন না তাথে কি আছে ?!! ) তাই অনুরুধ থাকবে তথ্য ও প্রমানের ভিত্তিতে যে সকল ঔষধি কাজে লাগে তা জনগণকে জানানোর জন্য – যেহেতু আপনার লিখা দেখে অন্যজনের এ জাতীয় অসুখ বিশুখ থাকলে চেস্টা করবেন তা দূর করার জন্য অথবা সচেতন জনগণ উপদেশ দিবেন তা করার জন্য আপনার লিখার উপর ভিত্তি করে – তখন যদি ভালর চাইতে খারাপ কিছু হয় সে জন্য অনেকটা আপনি ও দায়ী – তাই সকলের কাছে বিনিত অনুরুধ যাহা কাজে লাগে বা মনে করেন সাধারন পাবলিক উপকৃত হবেন বা পরীক্ষিত ও অনুমোদন প্রাপ্ত , তাই যেন লিখা হয় –কারন প্রত্যেকটি ঔষধি ঔষধের বিষক্রিয়া যদি দেকা দেয় তা হলে তা ভুক্ত ভোগির জন্য খুভি মারাতবক বিপদ ঢেকে আনতে পারে – ধন্যবাদ , হেলাল )
মানুষের শরীরের দুটি কিডনি, দুটি ইউরেটার, একটি ইউরিনারি ব্লাডার (মূত্রথলি) এবং ইউরেথ্রা (মূত্রনালি) নিয়ে মূত্রতন্ত্র গঠিত – কিডনী গুলো কোমরের উপরের পেটের একেবারে পেচনের দেয়ালে মেরুদন্ডের দু পাশে এ দুটোর অবস্থান । সীমের বীচির মতো দেখতে প্রতিটি কিডন প্রায় ১২ সেমি লম্বা ও ৬ সেমি চওড়া । কিডনীর ওজন একজন পূর্ন বয়স্ক লোকের ক্ষেত্রে প্রায় ১৪০ গ্রাম । দুটি কিডনীর প্রত্যেকটিতে প্রায় ১০ লক্ষ নেফ্রন থাকে । কাজ অনেকটা ছাকনীর মতো । নেফ্রনের প্রধান দুটি অংশ গ্লোমেরুলাস ও রেনাল টিউবিউল । আমাদের শরীরে অনবরত যে জৈব রাসায়নিক ক্রিয়া চলছে, তার ফলে প্রচুর পরিমানে দুষিত পদার্থ ও এসিড তৈরি হয় । কিডনীর সাহায্যে শরীরের এই দুষিত পদার্থ এসিড প্রস্রাবের সাথে বের হয়ে আসে । শুধু তাই নয়, কেউ হয়তো বেশি পানি,অতিরিক্ত লবণ খেয়ে ফেলেন,কিডনী এই । অতিরিক্ত লবণ ও পানি প্রস্রাবের সাথে বের করে দেয় । আবার অবস্থা বিশেষে কেউ হয়তো প্রয়োজনিয় পরিমান পানি,লবণ খেতে পারছেন না, সে ক্ষেত্রে কিডনী লবণ ও পানি সংরক্ষণ করে রক্তে পাটিয়ে দেয় । এক কথায় কিডনী হল শরীরের ছাঁকনি । এই ছাঁকনি কোন কারনে ক্ষতি গ্রস্থ হলেই বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিবে ইহাই কিডনি রোগ – ( পরবর্তীতে জানানোর চেস্টা করব ) অর্থাৎ আমরা যখন পানি খাই তখন তা কিডনির মাধ্যমে ছেঁকে মূত্রনালি দিয়ে মূত্র হিসেবে বের হয়ে যায়। । আর এই মুত্রতন্ত্রের যেকোনো অংশে যদি জীবাণুর সংক্রমণ হয় তাহলে সেটাকে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন বলা হয়। সাধারণত এই সমস্যাটি নারী পুরুষ উভয়ের মধ্যে হলেও নারীদের মধ্যে ইউরিনারি ইনফেকশনে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি।
এবারে দেখি মুত্র কি বা এতে কি আছে ? মুত্র মেরুদন্ডী প্রাণীদের জলীয় রেচন পদার্থ । স্বাভাবিক মুত্র পরিষ্কার, ফিকে হলুদ বর্ণের এবং গন্ধযুক্ত (aromatic odour) । কিডনির নেফ্রনের মধ্যে মুত্র সৃষ্টি হয় এবং কিডনি থেকে নিঃসৃত হয়ে ইউরেটারসের মাধ্যমে বাহিত হয়ে মুত্রাশয়ে সঞ্চিত হয় । এর পর প্রয়োজনকালে মুত্রনালীর মাধ্যমে দেহের বাহিরে যে পানি নির্গত হয় ইহাই মুত্র – আর যখন যে কোন কারনে মুত্র নালিতে ঘা বা ইনফেকশন বা অন্যান্য যে সব কারনে জ্বালা যন্ত্রণার সৃষ্টি হয় একেই ইউরেথ্রাইটিস বা মূত্রনালির প্রদাহ বলা হয়ে থাকে –
মুত্রের উপাদান কি কি – [Composition of urine] :- একজন প্রাপ্ত বয়স্ক লোকের প্রতিদিন প্রায় 1500 cc বা 1½ লিটার মুত্র উত্পন্ন ও নিঃসৃত হয় । ওই পরিমাণ মুত্রে জল ছাড়া প্রায় 50 gm. কঠিন পদার্থ থাকে । কঠিন পদার্থের মধ্যে নানারকম অজৈব ও জৈব পদার্থ থাকে । মুত্রের প্রধান অজৈব পদার্থগুলি :- সোডিয়াম ক্লোরাইড, পটাশিয়াম ক্লোরাইড, সালফেট, ফসফেট, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রণ ইত্যাদি । মুত্রের প্রধান জৈব পদার্থগুলি :- ইউরিয়া, অ্যামোনিয়া, ইউরিক অ্যাসিড, ক্রিয়েটিনিন, হিপপিউরিক অ্যাসিড, কিটোন বডি, অ্যাসিটোন ইত্যাদি । ( মুলত সব জৈব পদার্থই বিষাক্ত ) সে যাক প্রদাহের উপর ভিত্তি করে
মুত্র তন্ত্রের সংক্রমন ( Urinary Tract Infection-UTI): মূত্রতন্ত্র যে সব অঙ্গ নিয়ে গঠিত তাদের সংক্রমনকেই মূত্রতন্ত্রের ইনফেকশন বা UTI বলে । মূত্র তন্ত্রের সংক্রমনকে দুভাগে ভাগ করা যায় । মূত্রতন্ত্রের নিচের অংশের সংক্রমন । যেমন, মূত্রনালি ও মূত্রথলির সংক্রমন । মূত্রথন্ত্রের উপরিভাগের সংক্রমন । যেমন, পাইলোনেফ্রাইটিস অর্থাৎ কিডনী ও ইউরেটার এর সংক্রমন । মূত্রতন্ত্রের নিচের অংশের সংক্রমন : মূত্রতন্ত্রের নিচের অংশে রয়েছে মূত্রথলি ও মূত্রনালী । এ দুটির সংক্রমনকে একত্রে মুত্রতন্ত্রের নিচের অংশের সংক্রমন বলে । আলাদা আলাদাভাবে মূত্রথলির মংক্রমনকে সিসটাইটিস এবং মূত্রনালির সংক্রমনকে ইউরেথ্রাইটিস বলে । এগুলার কারণ ও লক্ষণ প্রায় একই ধরনের ।
কেন হয় ? কারণ একটাই জীবাণু। ব্যাকটেরিয়া (৯৫%)ও ফাঙ্গাস, প্রোটিয়াস, কেবসিয়েলা, সিউডোমনাস অন্যতম। এ ছাড়া অনেকের এলারজি জনিত কারনে ও হতে পারে ( সাময়িক হতে দেখা যায় ) (৫%) কোনভাবে মূত্রতন্ত্রে প্রবেশ করলে UTI হয়। সাধারণত মূত্রনালী পথেই সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ হয় । দীর্ঘসময় মূত্রতন্ত্রে জীবাণু অবস্থান করলেই UTI এর লক্ষণ গুলো দেখা যায়। –( সাধারণত ই-কোলাই, স্টেপট্রোকক্কাই ও স্ট্রেফাইলোকক্কাই নামক জীবানুর দ্বারা এ রোগ হয় ) । মূত্রনালীর সক্রমন খুব বেশী হয় মেয়েদের । কারণ মেয়েদের মূত্রনালীর দৈর্ঘ্য ছোট, ( the shortness of the female urethra, which is 1.5 inches compared to 8 inches in men.) মেয়েদের মূত্রদ্বার ও যোনিপথ খুব কাছাকাছি, মাসিক ঋতুস্রাবের সময় অনেক মেয়েরা ময়লা, ছেরা ও নোংরা জাতীয় কাপড় ব্যবহার করেন,এতে জীবানু প্রথমে যোনিপথে ও পরে সংলগ্ন মূত্রনালীকে সংক্রমিত করে এবং মেয়েদের প্রস্রাব না করে আটকে রাখার প্রবণতা বেশি,( সামাজিক ভিন্ন অসুবিধায় ) তাই প্রস্রাবে সংক্রমন হওয়ার সম্ভাবনা বেশী । যারা পানি কম পান করেন-প্রস্রাব আটকে রাখেন- ডায়াবেটিস আছে যাদের -প্রস্টেট-গ্রন্থি বড় হলে — ষাটের বেশি বয়স হলে-যাদের রোগ-অথবা প্রতিরোধ ক্ষমতা কম – তাদের বেলায় এ জাতীয় অসুখ একটু বেশি হয় বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত –
যাই হউক প্রথমে প্রাথমিক ভাবে ( Urethritis ) ইউরেথ্রাইটিস বা মূত্রনালীর প্রদাহ ও অন্যান্য জরুরী কিছু বিষয়ে সকলের প্রাথমিক অভিজ্ঞতা থাকা ভাল বলে মনে করি , বিশেষ করে মহিলাদের বেলায় অবশ্যই –
Urethritis ( ইউরেথ্রাইটিস ) _
ইউরেথ্রাইটিস হলো মূত্রনালীর প্রদাহ। এ ক্ষেত্রে মূত্রনালীর মুখে অর্থাৎ লিঙ্গমণ্ডুর ছিদ্রে ব্যথা অনুভূত হয়।এই ব্যথা প্রস্রাব করার সাথে সাথেই অনুভূত হয়। সাধারণত প্রস্রাব করা শেষ হয়ে গেলে কার কার একটু পর ব্যথা চলে যেতে দেখা যায় — পুরুষদের মূত্রনালী মুত্র বহন করা ছাড়া ও বীর্য বহন করা ও একটি বাড়তি কাজ . মলদ্বার থেকে ব্যাকটেরিয়া মূত্রনালী ছড়িয়ে যখন Urethritis সাধারণত সৃষ্টি হয়. সংক্রমণ মূত্রাশয় , প্রস্টেট গ্রন্তি এবং জননাঙ্গের অন্যান্য অসুখে ও প্রভাবিত করতে পারে. যেমন হারপিস বা Chlamydia হিসাবে একটি যৌন মিলনের রোগের কারনে হতে পারে ( Bruising ) যা মুলত সব বয়সের পুরুষ এবং মহিলাদের মধ্যে ঘটতে পারে –
লক্ষণ এবং উপসর্গ ঃ- প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া। প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করার প্রধান জীবাণুটি হলো ব্যাকটেরিয়া। তবে ছত্রাক বা ফাঙ্গাস এ ধরনের প্রদাহ ঘটায়। মেয়েদের মূত্রনালী পায়ুপথের খুব কাছে থাকে বলে সহজেই জীবাণু প্রবেশ করতে পারে। ই-কলাই নামক জীবাণু শতকরা ৭০-৮০ ভাগ প্রস্রাবের প্রদাহের কারণ। ( এখানে অবশ্য আরেকটি বিষয় মনে রাখা দরকার যেমন গরম আবহাওয়া বা শরীরে প্রচন্ড তাপের কারনে অ অনেক সময় পানি শূন্যতা দেখা দেওায়া বা অনেক সময় কিডনির নিঃসৃত পানি গরম থাকার জনা মুত্র নালীর প্রদাহে অনেক সময় জ্বালা পোড়া দেখা দিতে পারে, তবে তা সবাময়িক ইহা তে গাবড়ানোর মত কিছুই নাই তবে অনুরোধ থাকবে বারে বারে যাতে না হয় সে জন্য প্রচুর পরিমাণে পানি বা ঐ জাতীয় কিছু পান করার ) —
মহিলাদের বেলায় urethritis এ যে সব উপসর্গ থাকতে পারেঃ- পেটের ব্যথা
বেদনাদায়ক মূত্রত্যাগ-অস্বাভাবিক যোনি স্রাব–জ্বর এবং শরীর ঠান্ডা হয়ে যাওয়া-ঘন ঘন প্রস্রাব বা মূত্রত্যাগ এবং তখন প্রস্রাবের প্রচণ্ড চাপ অনুভব–তল পেটে স্বাভাবিকভাবে অথবা চাপ দিলে ব্যাথা অনুভব করেন সেই সাথে কার কার কোমরের পাশের দিকে অথবা পিছনে মাঝামাঝি অংশে ব্যাথা বা খিল ধরার মত কিছু মনে হয় –মাঝে মাঝে বমি হতে পারে। নববিবাহিত মেয়েদের মধুচন্দ্রিমা যাপনকালে প্রস্রাবের প্রদাহ হতে পারে।( some factors increasing the risk. For example, women having sex for the first time or who have intense or frequent sex are at risk for a condition called “honeymoon cystitis.”) -সহবাসের পর জীবাণু মূত্রনালী দিয়ে মূত্রথলিতে প্রবেশ করে বেশির ভাগ মহিলাদের – তবে ছত্রাক বা ফাঙ্গাস জনিত কারনে হলে অবশ্যই মুত্র নালীর মুখ বা ভেজিনাতে চুলকানির লক্ষণ থাকবেই – বা প্রেগন্যান্ট মায়েরা দ্বিতীয় বা তৃতীয় ট্রাইমিস্টারে ( ১২/১৬ সপ্তাহ পর ) বেক্টোরিয়া আক্রমণে মুত্র নালীর যন্ত্রণা দেখা দিতে পারে ( সে সময় চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এন্টিবায়োটিক ব্যাবহার করবেন না কারন অনেক এন্টিবায়োটিক ভ্রুনের বাচ্চার জন্য ক্ষতিকারক ) – কিছু কিছু মহিলাদের হরমোন জনিত ঔষধ সেবন করার কারনে বেক্টোরিয়া ডেবলাপ্ট হয়ে হতে পারে তবে তা মাত্র ২% অথবা মেনোপজ এর সময় একটু বেশি হওয়ার সম্বাভনা আছেই । এলারজি জনিত কারনে হলে অবশ্যই যোনি মুখের আশ পাশ লাল হয়ে ফুলে যাওয়া ও উষ্ণ চুল্কানির লক্ষণ থাকবেই – যারা অপরিষ্কার ভাবে স্পার্মিসাইড বা কৃত্রিম ডায়াফ্রাম ব্যবহার করেন বা সজোরে যৌনমিলন করলে তাদের বেলায় একটু ঝুঁকি বেশি আছেই —
পুরুষদের বেলায় যে সব উপসর্গ থাকতে পারেঃ শুধু প্রস্রাবে জ্বালাপোড়াই করে না, বার বার প্রস্রাবের বেগ হয়, ফোঁটায় ফোঁটায় প্রস্রাব পড়ে। প্রস্রাবের রঙ ধোঁয়াটে, দুর্গন্ধযুক্ত ও পরিমাণে কম হয়। মাঝে মাঝে তলপেটে ব্যথা হতে পারে। যৌনকাজে অনিচ্ছা জাগে-শিশ্ন থেকে পূঁয বা সাদাটে শ্লেষ্মা স্রাব দেখা যায় –লিঙ্গ খোলার চারপাশে বার্ন বা চুলকানি থাকতে পারে –প্রস্রাব বা বীর্য মধ্যে রক্তের কিছু স্পট — প্রোস্টেট গ্লেন্ড বা নালীর ইনফেকশনে ও অনেক সময় তা মুত্র নালিতে সংক্রামিত হতে পারে ( অমুস্লিমদের বেলায় মুত্র নালীর সম্মখ ভাগ ফোটিয়ে সব সময় পরিষ্কার রাখা উচিৎ ) – মুসলমানি না করা হলে লিঙ্গের অগ্রভাগের ত্বকের ভাঁজের ভেতর ব্যাকটেরিয়া জমে প্রদাহ করতে পারে। বিশেষ করে মুত্র পথের মাথায় জীবাণু আটকে ঘা বাড়াতে পারে–শারীরিক পরিশ্রমের কারণে মূত্রথলি বা মূত্রনালীতে চাপ পড়লে ও অনেক সময় হতে পারে — ইত্যাদি

( পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের কেত্রে , Chlamydia , সিফিলিস , গনোরিয়া , হারপিস ভাইরাস বা এইচআইভি এবং এইডস হিসাবে যৌন রোগে ( STDs ) জাতীয় সেক্সুয়েল ট্রান্সমিটেড ডিজেজ থাকলে মুত্র নালীর প্রদাহ সব সময় লেগেই থাকবে যতক্ষণ পূর্ণ চিকিৎসা করানো না হয়েছে – আবার কার ও কারও যৌন সঙ্গমের কারণেও জীবাণু মূত্রনালীতে প্রবেশ করে প্রদাহ করতে দেখা যায় – এমন কি এসব জীবাণু মূত্রনালীপথে মূত্রথলিতে ও শেষ মেষ কিডনিতে প্রবেশ করে তার পর শারা শরীরের রক্তে ছড়িয়ে যেতে পারে — বিশেষ করে অবৈধ সম্পর্ক জাতীয় বা বহু পুরুষ বা মহিলাতে আসক্ত বেক্তিদের এ জাতীয় অসুখ থাকবেই অথবা সমকামীদের বেলায় ৯৯% এ জাতীয় অসুখ থাকবেই । যা মুলত কখন ও প্রথম অবস্তায় বুজা যায়না বা অনেকে লজ্জায় বা ভয়ে প্রাথমিক ভাবে লুকিয়ে রাখতে চান , মুলত ইহা কখন ও ঠিক না অন্তত নিজের চিকিৎসকের কাছে )
অর্থাৎ মোট কথায় মুত্র নালীর সাথে সম্পর্ক যুক্ত যে কোন অঙ্গ বেক্টোরিয়ার আক্রমণ করলে মুত্র নালী তে প্রদাহ হতেই পারে -যৌন বাহিত রোগ ছাড়া ও অন্যান্য যে সব কারনে পস্রাব করতে কস্ট বা যন্ত্রণা হতে পারে যেমন -প্রোস্টেটাইটিস (প্রোস্টেট গ্রন্থিপ্রদাহ ) ,এপিডিডাইমাইটিস (নালী যেখানে অণ্ডকোষের শুক্রাণু জমা থাকে।) ,সিস্টাইটিস ( মুত্র থলির প্রদাহ ) , নেফ্রাইটিস ( কিডনির প্রদাহ ) ইত্যাদি সব কয়টি অসুখ কে একত্রে মিলয়ে চিকিৎসকরা সঙ্কেপে ডিসইউরিয়া বলে থাকেন । উপরের কারণগুলো ছাড়াও প্রস্রাব করার সময় আর যে যে কারনে ব্যথা হতে পারে, যেমন-মূত্রথলিতে অথবা মূত্রনালীতে ক্যান্সার–মূত্রপথে প্রতিবন্ধকতা–কিডনিতে অথবা মূত্রথলিতে পাথর-,তবে এই সব কারনে মুত্র পথে জ্বালা পোড়া করলে অবশ্যই মেজর এই সব রোগের আর অন্যান্য লক্ষণ সঙ্গে যোক্ত থাকবেই যার কারনে অসুখের প্রথমেই এত ডিপে যাওয়ার প্রয়োজন মনে হয়না —
প্যাথলজিক্যাল পরিক্ষা (Investigation): ইউরিনের রুটিন পরীক্ষাকরা দরকার ইউরিনের কালচার সেনসিভিটি করালে কোন জীবাণুর দ্বারা হলে তা সহজেই ধরা পড়বে – সেই সাথে ব্লাড পরীক্ষা করালে অবশ্যই আর ও ভাল হয় – ইউরিন সিএস টেস্ট নামে পরিচিত বা আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে আর অনেক ধরনের পরীক্ষা করাতে পারেন যেমন ( Cystoscopy –Blood Cultures–) ইত্যাদি –
চিকিৎসা ঃ- ( মনে রাখবেন অবশ্যই যন্ত্রণার কারন বাহির করে ড্রাগস ব্যাবহার করা উচিৎ এবং সংক্রামণের উপর নির্ভর করে ডোজ নিরধারন করবেন আপনার চিকিৎসক ) ঃ- ড্রাগ থেরাপি হিসাবে চিকিৎসকরা নিম্ন লিখিত গ্রোফের ঔষধ সমুহ ব্যাবহার করে থাকেন , Ciprofloxacin –Levofloxacin –Sulfamethoxazole ( Bactrim , Septra ) সেফালোস্পরিন, লিভোফক্সাসিন, গ্যাটিফক্সাসিন ইত্যাদি – খুভি ভাল রেজাল্ড দিতেছে যা ৯৬% কার্যকর বেক্টোরিয়া জনিত কারনে হলে – অন্যদিকে ফাঙ্গাইয়ের কারনে হলে এন্টি ফাঙ্গাই ড্রাগস দিয়ে থাকেন সেই সাথে চুলকানি থাকলে তা রোধ করার জন্য এন্টি ফাঙ্গাই বা করটিকস্টারয়েড জাতীয় ক্রিম ও দেওয়া হয় বাহিরের চুলকানি দূর করার জন্য – এবং বেশি বেথা থাকলে নিউরোস্পাস্মটিক ঔষধ বেশ আরাম দায়ক — ( পুনরাবৃত্তি সংক্রমণ না হওয়ার জন্য একি সাথে সহবাস সঙ্গীকে প্রতিষেধক এন্টিবায়োটিক দেওয়া উচিৎ বলে মনে করি যেহেতু যৌন পৌনঃপুনিক সংক্রমণ সঙ্গে মহিলাদের UTIs ট্রিগার যোগ হতে দেখা যায় )
হারবাল ঃ– যেহেতু ইহা বেক্টোরিয়ার আক্রমণে হয়ে থাকে তাই বেক্টোরিয়া ধ্বংস কারি এন্টবায়োটিক ছাড়া এখন ও অন্য কিছু নাই , তবে সাপ্লিমেন্টারী হিসাবে WHO কৃতক অনোমুদিত এবং সর্বশেষ রিসার্চ অনুসারে নিম্নের দুটি ঔষধ ভাল ফল দায়ক – ( Cranberry 750mg Extract Super Strength ট্যাবলেট , যা দিনে তিনটি পর্যন্ত খেতে হবে – কেনবারি জুস খুভি ফল দায়ক যা দিনে ৩/৪ কাপ খেলে উপকৃত হবেন , তবে যাদের এলারজি আছে তিনিদের জন্য নিষেধ ) অথবা ট্যাবলেট Bromelain 80 mg দিনে দুবার খেতে পারেন , তবে ইহা শিশুদের জন্য নিষেধ – ( বারমুলিন মুলত আনারস কে বলা হয়েছে — অর্থাৎ আনারসের সিরাপ দিনে ২/৩ বার খেলে ভাল উপকার পাওায়া যাবে ( ইনফ রিসার্চ ঃ-Bromelain comes from the stem and fruit of the pineapple.What are the risks of taking bromelain? Side effects. Bromelain can cause stomach upset, diarrhea, vomiting, rapid heartbeat, and heavy menstrual periods. It can trigger reactions in people with allergies to pineapples, certain pollens, carrots, celery, rye and wheat flour, latex, bee venom, and other substances.– Risks. Bromelain can raise the risk of bleeding. Make sure to stop taking it at least two weeks before surgery. Check with a doctor before using bromelain if you have any health conditions, such as a bleeding disorder, asthma, heart problems, liver or kidney disease, or stomach ulcers. Interactions. If you take any drugs or supplements regularly, talk to your doctor before you start using bromelain. It could interact with certain antibiotics, blood thinners, antiplatelet drugs, aspirin and NSAID painkillers, and cancer drugs. Eating potatoes or soybeans when you take bromelain could make it less effective.Given the lack of evidence about its safety, bromelain is not recommended for children or for women who are pregnant or breastfeeding.
প্রতিরোধ ও প্রতিকার ঃ-প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। পানির পরিমাণ এত বেশি হতে হবে যাতে দৈনিক কমপক্ষে দুই লিটার প্রস্রাব তৈরি হয় যা দিনে দুই থেকে তিন ঘন্টার মধ্যে প্রস্রাব করতে হবে। কখনো প্রস্রাব আটকে রাখা যাবে না।–ঘুমোতে যাওয়ার আগে এবং ঘুম থেকে জাগার পর প্রস্রাব করতে হবে।–বাথরুম ব্যবহারের পরে টয়লেট টিস্যু পিছন থেকে সামনের দিকে না এনে সামনে থেকে পিছনের দিকে ব্যবহার করা- যাতে মলদ্বারের জীবাণু মূত্র পথে এসে সংক্রমণ করতে না পারে অথবা পরিষ্কার কাপড় ব্যাবহার করলে প্রতি বার তা সাবান দিয়ে পরিষ্কার রাখতে হবে — এবং যদি দেখা যায় আপনার প্রস্রাবের রাস্তার জ্বালা যন্ত্রণা জীবাণু জনিত বলে সন্দেহ থাকে তাহলে আপনার চিকিত্সা সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত বা আপনার উপসর্গ না যাওয়া পর্যন্ত কার ও সাথে যৌন সম্পর্ক করা উচিত নয়. ( ( সহবাস থেকে বিরত থাকাই ভাল ) — কোষ্ঠকাঠিন্য যেন না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।–কনডমে স্পার্মিসাইড বা কৃত্রিম ডায়াফ্রাম ব্যবহার করা যাবে না।–মাসিকের সময় স্যানিটারি প্যাড ঘন ঘন বদলাতে হবে- যৌন সহবাসের আগে ও পরে-যাতে মূত্র নালীতে আগত সকল জীবাণু পরিষ্কার হয় সে দিকে লক্ষ রাখবেন । ( যেহেতু অনেকের সহবাসের পরই UTI শুরু হয়। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী UTI প্রতিরোধক এন্টিবায়োটিক সহবাসের পর নেয়া যেতে পারে ) মুসলমানি করানো হলে ইনফেকশন থেকে রক্ষা পাওয়া যায়–অর্থাৎ ব্যক্তিগত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার চেস্টা করবেন প্রতিদিন – আন্ডার পেন্ট বা ঐ জাতীয় কিছু যেন অন্য কার ও সংস্পর্শে না যায় সে দিকে ও লক্ষ্য রাখতে হবে – এ ছাড়া চেস্টা করবেন টাটকা ফলের জুস খাওয়ার । অনেকে মনে করেন মাত্র দুই দিন ঔষধ সেবন করার পর অসুখ কমে গেছে কিন্তু আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে পূর্ণ ডোজ না খেলে পরবর্তীতে মারাতবক অসুবেধার সম্মুখিন হতে পারেন অথবা ড্রাগস রেসিসস্টেন্ট হলে কোন এক সময় খুব তীব্র আকার ধারন করে অসুখ টি দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহে চলে গিয়ে শেষ পর্যন্ত কিডনি আক্রান্ত বা নষ্ট ও হতে পারে।
অতিরিক্ত কিছু সমালোচনা ?- জীবাণু আক্রমণ ছাড়া স্বাভাবিক প্রস্রাবে যন্ত্রণা হলে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করলে অনেক সময় তা ভাল হয়ে যায় ? কথাটি সত্য কারন মূত্রথলির ভেতরের দেয়ালে ইমিউনো গ্লোবিউলিন নামক একটি স্তর রয়েছে, যে জন্য জীবাণু মূত্রথলির কোষের সাথে সংযুক্ত হতে পারে না।প্রস্রাব এমনিতেই অ্যাসিডিক, এ অ্যাসিডের স্বাভাবিক মাত্রা বজায় থাকলে জীবাণু বাড়তে পারে না। শুধু তা-ই নয়, পরিমিত পানি খেলে প্রতিবার প্রস্রাবের মাধ্যমে মূত্রথলির ভেতর থেকে জীবাণু বের হয়ে যায়। এ ছাড়া কিডনি কে সুস্ত সবল করে রাখতে চাইলে অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়ার অভ্যাস করতেই হবে – অনেক সময় গরম আবহাওয়ার বা উষ্ণতার কারনে আমাদের শরীর থেকে ঘামের মাধ্যমে অনেক পানি বাহির হয়ে যায় যা কোন কোন সময় আমরা বুজতে পারিনা আর ঠিক তখনি প্রাস্রাবের পরিমান কমে গিয়ে এর স্পেসিফিক গ্রেভিটি বেড়ে যায়,এমতা অবস্তায় প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালা পোড়া দেখা দিলে খুভ বেশি করে পানি খেলে অনেক সময় তা ভাল হয়ে যাবেন । কিন্তু কোন অবস্তায় যেন বারে বারে না হয় সে জন্য পানি বেশি করে পান করার অভ্যাস করবেন – তাই প্রতিকার হিসাবে প্রচুর পানি পান করাই হল প্রাথমিক প্রতিরোধ ( জীবাণু ঘটিত অসুখ ছাড়া ) এবং সাথে যদি ফলের রস মাঝে মধ্যে পান করেন তা হলে আর ও ভাল । বিশেষ করে ভিটামিন সি জাতীয় ড্রিংক বেক্টোরিয়া কে ধ্বংস করতে সাহায্য করে এবং আনারস বা এ জাতীয় ড্রিংক এর জন্য একটা ঔষধ মনে করতে পারেন — ধন্যবাদ ——
Share:

Sample Text

হারবাল ঔষধ, ভেষজ ঔষধ, ভেষজ চূর্ণ, ভেষজ গুণ সম্পর্কিত গাছ, প্রাকৃতিক ঔষধ, ভেষজ উদ্ভিদ পরিচিতি, ইউনানি চিকিৎসা, আয়ুর্বেদ চিকিৎসা, আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা, গ্রামীণ চিকিৎসা সেবা, হারবাল চিকিৎসা, অর্গানিক খাদ্য,হারবাল চা,হারবাল রেমিডি,ন্যাচারাল রেমিডি, হার্বস, একক ভেষজ, হারবাল ঔষধ এর পরিচিতি,হারবাল ঔষধ এর রিভিউ, ইউনানি ঔষধ এর রিভিউ, আয়ুর্বেদিক ঔষধ এর রিভিউ,আয়ুর্বেদ চিকিৎসার ইতিহাস, ইউনানি চিকিৎসার ইতিহাস, ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকিৎসা, হারবাল টোটকা,হারবাল শরবত, ফলের গুনাগুন, ফুলের গুনাগুন ইত্যাদি নিয়ে লেখালেখি।

Blogger দ্বারা পরিচালিত.

About

test

Wikipedia

সার্চ ফলাফল

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

আমার ব্লগ তালিকা

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

About

আমার ব্লগ তালিকা

Blogroll

Unordered List

Theme Support

Blogroll

BTemplates.com

Blogroll

Natural Health

আমার ফটো
kishoregonj, dhaka, Bangladesh
I am simple Man and Harbs Learner.

Contact form

নাম

ইমেল *

বার্তা *

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

অনুসরণকারী

Followers

Generate More Traffic on your Website.

Generate More Traffic on your Website.
It is a long established fact that a reader will be distracted by the readable content of a page when looking at its layout. The point of using Lorem Ipsum is that it has a more-or-less normal distribution of letters, as opposed to using 'Content here, content here'.

Translate

BTemplates.com

THE LIFESTYLE

Pages - Menu

Random Posts

Pages

Pages - Menu

Pages

Pages

Most Popular

Recent Posts

Unordered List

Pages

Theme Support