সোমবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৭
কলার সাথে দই খেলে যা ফলাফল ঘটবে শরীরে
পালংও উপকারী, আবার পাতিলেবু। জানেন কি এই দুইয়ের যুগলবন্দিতে কী হবে? কেন দইয়ের সঙ্গে কলা খাবেন? বা ডিমের সঙ্গে চিজ?
পালং শাকের সঙ্গে লেবু:- পালং শাকের মধ্যে রয়েছে পর্যাপ্ত আয়রন। ফলে যারা রক্তাল্পতায় ভুগছেন,
তাদের খাদ্যতালিকায় পালং শাক থাকাটা বাঞ্ছনীয়। এর সঙ্গে যদি পাতিলেবু মিশিয়ে নিতে পারেন,
তো কথাই নেই। তাতে পালং শাকের আয়রন আরও সহজে শরীর শোষণ করতে পারে।
স্ট্রবেরির সঙ্গে পালংশাক:- স্ট্রবেরিতে রয়েছে ভিটামিন-সি আর পালংশাকে আয়রন। আয়রনের অভাবে ক্লান্তি, পেশিদুর্বলতা দেখা দেয়। গোছা গোছা চুল পড়ে।
তাই বিশেষত মেয়েদের ভিটামিন সি-র সঙ্গে আয়রনসমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খাওয়া উচিত। স্ট্রবেরির সঙ্গে পালংশাক যথাযথ কম্বিনেশন।
টোম্যাটোর সঙ্গে অলিভ অয়েল:- টোম্যাটোর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট লাইকোপেন ও ক্যারোটিনয়েড। টোম্যাটোর পুরো গুণ পেতে হলে এর সঙ্গে অলিভ অয়েল মেশালে ভালো।
এতে কোলেস্টেরল ও ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ হবে। ক্যানসার প্রতিরোধেও এর তুলনা নেই।
মাছের সঙ্গে কারি মশলা:- মাছ খেতে হলে একসঙ্গে হলুদ, জিরে ও ধনে পাতা বেটে রান্না করুন।
তাতে হার্টের পক্ষে উপকারী ওমেগা থ্রি-র উপকার পাবেন। মাছে রয়েছে ডিএইচএ ও ইপিএ ফ্যাট, যা ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।
বেরি খেলে মিক্সড বেরি খান:- মানে ব্ল্যাকবেরি, স্ট্রবেরি সব একসঙ্গে খান। কারণ অনেক বেশি পুষ্টিদায়ক।
কলার সঙ্গে দই খান:- এটা আপনার ঠিকঠাক ব্রেকফাস্ট হতে পারে। কলার মধ্যে রয়েছে পটাসিয়াম।
দইয়ে আছে হাইপ্রোটিন। তাই কলা ও দই একসঙ্গে খেলে পেশি সুগঠিত হয়। অ্যামাইনো অ্যাসিডের ঘাটতি পূরণ করে।
ডিমের সঙ্গে চিজ:- হাড়ের গঠন মজবুত করতে ক্যালসিয়াম জরুরি। এ ক্যালসিয়াম অ্যাবজর্ভ করার জন্য লাগে ভিটামিন ডি।
খুব কম খাবারেই ভিটামিন ডি রয়েছে। তার মধ্যে একটি ডিমের কুসুম। ডিমের ওমলেট খেলে পরিমাণ মতো চিজ মিশিয়ে নিন। তাতে ভালো ফল পাবেন
পাইলসে ভুগছেন তবে সারিয়ে তুলুন এক নিমিষেই
পাইলস বা হেমোরয়েড খুব পরিচিত একটি রোগ। প্রায় ঘরে এই রোগ হতে দেখা দেয়। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে ৭৫% মানুষ এই রোগে ভুগে থাকেন।
বিশেষত ৪৫ থেকে ৬৫ বয়সী মানুষেরা এই রোগে বেশি ভুগে থাকেন। বর্তমান সময়ে সব বয়সী মানুষের এই রোগ হতে দেখা দেয়। মলদ্বারে যন্ত্রণা, রক্ত পড়া, মলদ্বার ফুলে যাওয়া, জ্বালাপোড়া ইত্যাদি পাইলসের সাধারণ সমস্যা।
পারিবারিক ইতিহাস, কোষ্ঠকাঠিন্য, কম ফাইবারযুক্ত খাবার, স্থূলতা, শারীরিক কার্যকলাপ, গর্ভাবস্থায়, এবং দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে অথবা বসে থাকা ইত্যাদি কারণে পাইলস দেখা দেয়।
সাধারণত ওষুধ, অপারেশন পাইলসের চিকিৎসা হয়ে থাকে। এর সাথে কিছু ঘরোয়া উপায় এই সমস্যা সমাধান করা যায়।
১। বরফ ঘরোয়া উপায়ে পাইলস নিরাময় করার অন্যতম উপায় হল বরফ। এটি রক্তনালী রক্ত চলাচল সচল রাখে এবং ব্যথা দূর করে দেয়। একটি কাপড়ে কয়েক টুকরো বরফ পেঁচিয়ে ব্যথার স্থানে ১০ মিনিট রাখুন। এটি দিনে কয়েকবার করুন।
২। অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার একটি তুলোর বলে অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার লাগিয়ে ব্যথার স্থানে লাগান। শুরুতে এটি জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করবে, কিছুক্ষণ পর এই জ্বালাপোড়া কমে যাবে।
এটি দিনে কয়েকবার করুন। অভ্যন্তরীণ হেমোরয়েডের জন্য এক চা চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে নিন। এটি দিনে দুইবার পান করুন। এরসাথে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে নিতে পারেন।
৩। অ্যালোভেরা বাহ্যিক হেমোরয়েডের জন্য অ্যালোভেরা জেল আক্রান্ত স্থানে ম্যাসাজ করে লাগান। এটি জ্বালাপোড়া দূর করে ব্যথা কমিয়ে দেবে।
আভ্যন্তরীণ হেমোরয়েডের ক্ষেত্রে অ্যালোভেরা পাতার কাঁটার অংশ কেটে জেল অংশটুকু একটি প্ল্যাস্টিকের প্যাকেটে ভরে ফ্রিজে রেখে দিন। এবার এই ঠান্ডা অ্যালোভেরা জেলের টুকরো ক্ষত স্থানে লাগিয়ে রাখুন। এটি জ্বালাপোড়া, ব্যথা, চুলকানি দূর করে দেবে।
৪। অলিভ অয়েল প্রতিদিন এক চা চামচ অলিভ অয়েল খান। এটি দেহের প্রদাহ হ্রাস করে এবং মোনোস্যাচুরেটেড চর্বি উন্নত করে থাকে। এছাড়া কিছু বরই পাতা গুঁড়ো করে অলিভ অয়েলের সাথে মিশিয়ে নিন। এটি আক্রান্ত স্থানে ম্যাসাজ করে লাগান। এটি ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে।
৫। আদা এবং লেবুর রস ডিহাইড্রেশন হেমোরয়েডের অন্যতম আরেকটি কারণ। আদাকুচি, লেবু এবং মধু মিশ্রিত জুস দিনে দুইবার পান করুন। এটি নিয়মিত পান করুন। এটি শরীর হাইড্রেটেড করে পাইলস দূর করে দেয়। এছাড়া দিনে ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করুন।
তবে পাইলসের সবচেয়ে ভালো ট্রিটমেন্ট রয়েছে হোমিওতে। তাই এই রোগ থেকে আরোগ্য লাভ করতে রেজিস্টার্ড একজন হাকীম অথবা হোমিও ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।