হারবাল ঔষধ, ভেষজ ঔষধ, ভেষজ চূর্ণ, ভেষজ গুণ সম্পর্কিত গাছ, প্রাকৃতিক ঔষধ, ভেষজ উদ্ভিদ পরিচিতি, ইউনানি চিকিৎসা, আয়ুর্বেদ চিকিৎসা, আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা, গ্রামীণ চিকিৎসা সেবা, হারবাল চিকিৎসা, অর্গানিক খাদ্য,হারবাল চা,হারবাল রেমিডি,ন্যাচারাল রেমিডি, হার্বস, একক ভেষজ, হারবাল ঔষধ এর পরিচিতি,হারবাল ঔষধ এর রিভিউ, ইউনানি ঔষধ এর রিভিউ, আয়ুর্বেদিক ঔষধ এর রিভিউ,আয়ুর্বেদ চিকিৎসার ইতিহাস, ইউনানি চিকিৎসার ইতিহাস, ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকিৎসা, হারবাল টোটকা,হারবাল শরবত, ফলের গুনাগুন, ফুলের গুনাগুন ইত্যাদি নিয়ে লেখালেখি।

Blogger templates

  • This is default featured slide 1 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by NewBloggerThemes.com.

  • This is default featured slide 2 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by NewBloggerThemes.com.

  • This is default featured slide 3 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by NewBloggerThemes.com.

  • This is default featured slide 4 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by NewBloggerThemes.com.

  • This is default featured slide 5 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by NewBloggerThemes.com.

রবিবার, ২২ এপ্রিল, ২০১৮

খালি পেটে যে সকল ঔষধ খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর

 



খালি পেটে যে সকল ঔষধ খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর



ঔষধ আমাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমাদের সবাইকেই কোন না কোন সময় ঔষধ খেতে হয়। প্রত্যেক ঔষধ খাওয়ার নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। কোন ঔষধ খালি পেটে খেতে হয় আবার কোন ঔষধ খালি পেটে খাওয়া নিষিদ্ধ।
এখানে দেখুন কোন কোন ঔষধ খালি পেটে খাওয়া নিষেধ এবং খেলে কি কি ক্ষতি হওয়ার আশংকা থাকে।

এনেসআইডস ব্যথার ওষুধ

এনেসআইডস (যেমন- ডাইক্লোফেন, ভল্টালিন, রোলাক, ন্যাপ্রোক্স ইত্যাদি) ব্যথায় ব্যবহার করা হয়। এসব ওষুধ পেটের জ্বালা-পোড়া সহ গ্যাস্ট্রিক, আলসার এমনকি পাকস্থালী ফুটো করে ফেলতে পারে। তাই এইসব ব্যথার ওষুধ অবশ্যই ভরা পেটে খেতে হবে এবং আগে অমিটিডিন বা রেনেটিডিন জাতীয় ওষুধ খেতে হবে।

(নোটঃ প্যারাসিট্যামল যেমেন-নাপা, এইস এনেসআইডস হলেও এদের আগে অমিটিডিন বা রেনেটিডিন খাওয়ার প্রয়োজন পড়েনা, এমনকি ভরা পেটে না খেলেও তেমন অসুবিধা হয়না। তবে ভরা পেটে খাওয়া ভাল। আরেকটি এনেসআইডস ‘অ্যাসপিরিন’ যেমন- ইকোস্পিরিন/কারভার আগে অমিটিডিন বা রেনেটিডিন খাওয়ার প্রয়োজন পড়েনা, শুধু ভরা পেটে খেলেই হয়।)

অপিয়েড ব্যথার ওষুধ

এসব ওষুধ (যেমন- ট্রামাল/অ্যানাডল, মরফিন) এনেসআইডসের মত গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা না করলেও বমি বা বমি-বমি ভাবের সমস্যা করে যা ভরা পেটে খেলে কম হয়।

তা ছাড়া এসব ঔষধ কোষ্ঠকাঠিন্য এর সৃষ্টি করতে পারে যা ফাইবার যুক্ত খাবার (যেমন- শাঁক, শসা) খেলে একেবারে হয়না বললেই চলে।

স্টেরয়েড

স্টেরয়েড (যেমন- কটশন/কর্টান) অ্যাজমা, বাত-ব্যথা, অ্যালার্জি, সহ বিভিন্ন রোগে ব্যবহার করা হয়। স্টেরয়েড গ্যাস্ট্রাইটিসের সমস্যা করে, এমনকি গ্যাস্টিক আলসার করতে পারে। তাই এসব ওষুধ অবশ্যই খাবারের পরে খেতে হবে।

মেটফরমিন

মেটফরমিন ডায়াবেটিসের অতি কার্যকরী একটি ওষুধ। মেটফরমিন (যেমন- কমেট/মেটফো) বা মেটফরমিন যুক্ত ওষুধ (যেমন- গ্ল্যাল্ভাস-মেট/গ্লিপিটা-এম) খাবারের সাথে বা খাবারের পরে খেতে হবে। না হলে বমি বা বমি-বমি ভাব অথবা ডায়রিয়া হতে পারে।

অ্যান্টাসিড

অ্যান্টাসিড পাকস্থলীর অতিরিক্ত এসিডকে প্রশমন করে কাজ করে। পাকস্থলীর এসিড খাবারের পর ক্ষরিত হয়। তাই এ জাতীয় ওষুধ খাবারের আধা থেকে এক ঘণ্টা পরে খাওয়া উচিত। তবে রাতের বেলা বুক-জ্বালা পোড়া (গ্যাস্ট্রাইটিসের সমস্যা) করলে খাবার ছাড়াও অ্যান্টাসিড খাওয়া যায়।

জন্ম নিয়ন্ত্রণকারী পিল/বড়ি

খালি পেটে জন্ম নিয়ন্ত্রণকারী বড়ি বমি-বমি ভাব সৃষ্টি করতে পারে এমনকি বমিও হতে পারে। তাই জন্ম নিয়ন্ত্রণকারী পিল অবশ্যই খাবারের পরে খাওয়া উচিত।

অ্যান্টিবায়োটিক

অ্যান্টিবায়োটিক (যেমন- সেফুর, সেফ-৩, অ্যাজিথ/জিম্যক্স, মক্সাসিল ইত্যাদি) খাওয়ার পরে অনেকেই বমি-বমি ভাবে আক্রান্ত হন। ক্ষেত্র বিশেষে বমি বা ডাইরিয়াও হতে পারে। খাওয়ার পর অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করলে অনেক সময়ে এই সমস্যাটা দূর হয়।
সংগ্রহীত :ই-মেডিক লিমিটেড হতে।
Share:

শুক্রবার, ৫ জানুয়ারী, ২০১৮

মঙ্গলকর প্রাকৃতিক উপাদান হলুদ

                            প্রাকৃতিক উপাদান হলুদ

মসলার জগতে হলুদের বিচরণ সর্বাধিক। প্রতিদিনের রান্নায় আমরা এর সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে থাকি অন্য সব মসলার তুলনায়। নিত্যপ্রয়োজনীয় মসলার মধ্যে অন্যতম হলুদ শুধুমাত্র মসলা হিসেবেই ব্যবহার হয়না। বিভিন্ন প্রকার প্রসাধনী, রঙ শিল্পের কাঁচামাল, কবিরাজি এবং আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় এর প্রচুর ব্যবহার হয়ে থাকে। রংধনুর সাত রঙের এক রঙের নামও হলুদ, এই রঙ অনেক কবির কবিতার উপমায়ও উঠে এসেছে। যেমন হলুদ হলুদ জ্যোৎস্না, হলুদ নদী, হলুদ পাতা ঝরা সন্ধ্যা ইত্যাদি। দক্ষিন এশিয়ার সংস্কৃতি এবং অনুষ্ঠান পর্বের সঙ্গে এটি ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। আমাদের দেশে বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু হয় বর-কনের গায়ে হলুদ ছোঁয়ানোর মধ্য দিয়ে, এ ছাড়া যেন বিয়েই সম্পন্ন হয়না। হলুদের অনুষ্ঠান পর্ব নিয়ে বিভিন্ন সময়ে অনেক কবি সাহিত্যিক রচনা করেছেন বিখ্যাত সব গান এবং কাব্য। এর মধ্যে বহুল জনপ্রিয় একটি গান "হলুদ বাটো মেন্দি বাটো, বাটো ফুলের মৌ"। এছাড়াও বহু রকমের হলুদের গান 'হলুদ উৎসবে' গাওয়া হয়ে থাকে।Image may contain: food

আদা পরিবারের Zingiberaceae এক প্রকার গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদের শিকড় বা মূল হলো হলুদ। এর বৈজ্ঞানিক নামঃ Curcuma longa. এরা বহুবর্ষজীবী গাছ। হলুদের আদিবাস দক্ষিনপূর্ব এশিয়া এবং ভারতীয় উপমহাদেশ। দক্ষিণ এশিয়া এবং মধ্য প্রাচ্যের রান্নায় হলুদ মসলা হিসেবে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় সেই প্রাচীন কাল থেকে। ভারতবর্ষে প্রায় ২৫০০ বছর ধরে হলুদের ব্যবহার হয়ে আসছে। যা এখন বিশ্বব্যাপী ব্যাপক হারে ব্যবহৃত হচ্ছে। এটি আয়ুর্বেদীয়, ইউনানি এবং ঐতিহ্যবাহী চীনা ঔষধের একটি বিশেষ উপাদান। প্রাচীন কালে প্রথম দিকে শুধু কাপড়ে রঙিন ছাপানোর কজে হলুদ ব্যবহার করা হতো। এরপর আস্তে আস্তে বেশ কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে ঔষধি গুণের বৈশিষ্ট্যগুলির প্রকাশ পেতে থাকে। তখন থেকে রান্নার রঙ ও স্বাদ বাড়াতে এবং বিভিন্ন ধরণের রোগের ঔষধ হিসেবে হলুদের ব্যাপক ব্যবহার শুরু হয়। 



 Image may contain: food


এশিয়ান খাবারের প্রধান উপাদান গুলির মধ্যে হলুদ অন্যতম মসলা। এই জন্যই বোধকরি একে অনেকে মসলার রাণী উপাধি দিয়ে থাকেন।
হলুদ গাছ বিভিন্ন প্রজাতির হয়ে থাকে। এই গাছ দেখতে অনেকটা কলাগাছের মত, দেখলে মনে হয় ছোট জাতের কলাগাছ। কান্ডের রঙ হালকা সবুজ এবং ৬/৭ ইঞ্চি লম্বা হতে পারে। হলুদের পাতা লম্বাটে, পাতার রঙ হাল্কা সবুজ। এর কান্ডের মাঝখান থেকে ফুল বের হয়, একটা গাছে এক গুচ্ছ ফুলই ফোটে। ফুল থেকে ফল বা বীজ হয়না। হলুদ অঙ্গজ প্রজননের মাধ্যমে বংশ বিস্তার করে থাকে, এর প্রধান ব্যবহার যোগ্য অংশ হলো এর মূল। মূলের গায়ে শাখা মূল থাকে, দেখতে অনেকটা আদার মতো। হলুদের উপরের গায়ের রঙ বাদামী ধূসর, ভেতরের রঙ কমলা মিশ্রিত হলুদ। কাঁচা অবস্থায় এটি নরম এবং রসালো থাকে। এর ফুল বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে, তার মধ্য শাদা ফুলের হলুদ গাছ বেশী দেখা যায়। এছাড়া আরো আছে হালকা গোলাপি, লাল ও শাদার সঙ্গে গোলাপি লাল এবং অন্য রঙের মিশ্রণ। আমদের দেশে হলুদের বেশ কযেক প্রকার উন্নত মানের জাত রয়েছে। ২০ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ভালো জন্মে এরা। এই গাছের জন্য প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাতের দরকার হয়। হলুদ তোলার সময় যদি এর কন্দ মাটির তলায় থেকে যায়, তবে সেখান থেকে আবার গাছ জন্মায়। এইভাবে অনেক সময় বুনো হলুদের গাছ বন-জঙ্গলে বছরের পর বছর বেঁচে থাকে। বুনো হলুদও খাওয়া যায়। এই গাছ সহজেই প্রকৃতির সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে।
Image may contain: plant, flower, nature and outdoor

বাংলাদেশের প্রায় সব এলাকায় হলুদ জন্মে। এর মধ্যে রাজশাহী, নওগাঁ, পাবনা, টাঙ্গাইল, কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী, নীলফামারী, ময়মনসিংহ ও পার্বত্য জেলা গুলোতে এর ব্যাপক চাষাবাদ হয়। আমাদের দেশে ফসলের জমিতে বা বসত বাড়ির আশে-পাশে হলুদের চাষ করা হয়ে থাকে। প্রায় সব ধরনের মাটিতেই হলুদের চাষ করা করা যায়। কিন্তু এর চাষের জন্য উর্বর দো-আঁশ বা বেলে দো-আঁশ মাটি বেশী উপযোগী। পানি জমে না এমন জমিতে এটি ভালো জন্মে, এই কারণে পাহাড়ী অঞ্চলে এর ব্যাপক ফলন হয়। হলুদ চাষের জন্য সমপরিমাণ আলোছায়া যুক্ত স্থান ভালো। ছায়াযুক্ত স্থানেও হলুদ জন্মে, তবে ফলন কম হয়। উঁচু জমি এর চাষের জন্য ভালো। হলুদ চাষে ঝুকি কম, সেইজন্য একবার শুধু লাগাতে পারলে বেশী যত্নের প্রয়োজন হয়না। আমাদের দেশে ডিমলা ও সিন্দুরী নামে দুইটি উচ্চ ফলনশীল জাত রয়েছে। চৈত্র মাসের শেষ হতে বৈশাখ মাস পর্যন্ত হলুদ রোপণ করার সময়। জমি খুব ভা্লো করে ২-৩ বার চাষ দিযে মাটি ঝুরঝুরে করে হলুদ চাষের উপযোগী করতে হয়। উন্নতমানের বীজকন্দ বেছে নিতে হয় লাগানোর জন্য। সাধারণত হলুদ লাগানোর ৯-১০ মাস পর পাতা শুকিয়ে গেলে এটি সংগ্রহ করা হয়। বছরে সাধারণত একবার এর গাছ তোলা হয়।

Image may contain: food

হলুদ তোলার পর পাতা, শিকড়, কান্ড, সব কেটে পরিষ্কার করে এর কন্দ গুলো ৩/৪ বার পানি দিয়ে ধুয়ে আলাদা করতে হয়। এরপর যেখানে রোদ না লাগে এমন জায়গায় রেখে পাতা দিয়ে ঢেকে দিতে হয়। এই ভাবে ২/৩ দিন হলুদের ঘেমে যাওয়া পানি ঝরানো হয়। এই পদ্ধতিকে হলুদের ঘাম ঝরানো বলা হয়ে থাকে। উঠানোর ৩/৪ দিনের মধ্য সিদ্ধ করতে হয়, তা না হলে এর কন্দ পচে যেতে পারে। হলুদের কন্দের আকারের উপর নির্ভর করে কতক্ষণ সিদ্ধ করতে হবে। এই জন্য ভিন্ন ভিন্ন আকারের কন্দ বেছে আলাদা করে নিতে হয়, এবং কতক্ষনের মধ্যে সেই গুলো সিদ্ধ হবে সেই সময় অনুযায়ী সিদ্ধ করা হয়। সাধারনত ১ থেকে ৩/৪ ঘন্টাও লাগতে পারে সিদ্ধ করতে। মাটি বা লোহার পাত্র হলুদ সিদ্ধ করার জন্য বেশি উপযোগী। সিদ্ধ করার পরপরই ভালো ভাবে রোদে শুকাতে হয় প্রায় দুই সপ্তাহ। এরপর হলুদ মসলা হিসেবে খাওয়ার উপযুক্ত হয়। পরের বছর লাগানোর জন্য এর সতেজ কন্দ বিভিন্ন উপায়ে সংরক্ষন করা হয়ে থাকে।
Image may contain: plant, nature and outdoor

ভেষজ ও পুষ্টিগুণে গুণান্বিত হলুদ। এর গুনাগুণ নিয়ে যুগ যুগ ধরে বৈজ্ঞানিক গবেষণা হয়ে আসছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে সাম্প্রতিক গবেষণায় পাওয়া একটি বিশেষ তথ্য হলুদে ‘কারকিউমিন’ নামক একটি বায়ো-এক্টিভ যৌগের উপস্থিতি। আর এই ‘কারকিউমিনের মধ্যে রয়েছে বিশেষ উপাদান অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিবায়োটিক যা বিভিন্ন অসুখের সংক্রমণকে দমন করার ক্ষমতা রাখে। 'কারকিউমিন' হলুদে বেশী আর আদায় স্বল্প পরিমাণে থাকে। প্রত্যেক মানুষের ত্বক আলাদা ধরনের। ত্বকের অধিকাংশ সমস্যা সমাধান করতে হলুদে থাকা কারকিউমিনের অবদানের তুলনা হয়না। যে কোনো ত্বকের সমস্যায় কাঁচা হলুদ বাটা বা শুকনো গুড়ো হলুদ বিভিন্ন দ্রব্য যেমন চন্দন, চালের গুড়ো, ডালের গুড়ো, দুধের সর ইত্যাদির সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। ত্বকে কখনো সরাসরি হলুদ লাগানো উচিত না। কারণ, অনেকের হয়ত এতে অ্যালার্জি থাকতে পারে। সেইজন্য হাতে বা পায়ে সামান্য একটু লাগিয়ে পরীক্ষা করে নিলে ভালো হয়। হলুদে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এতে প্রচুর ক্যালসিয়াম, লৌহ, ক্যারোটিন, আমিষ, এবং চর্বি রয়েছে। দীর্ঘস্থায়ী নানা সংক্রামক রোগ দমন করতে হলুদ সবচেয়ে কার্যকর ও মঙ্গলকর প্রাকৃতিক উপাদান।

Share:

সোমবার, ১ জানুয়ারী, ২০১৮

মুত্রনালীর প্রদাহ , Urethritis বা প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালা পোড়া করা

মুত্রনালীর প্রদাহ , Urethritis বা প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালা পোড়া
( বাড়তি কথা ঃ- আজকের লিখাতে কিছুটা এডাল্ট শব্দ মিস্রিত আছে বিধায় আমি ক্ষমা প্রাথি তবে ইহা সকলের জানার ও শিখার জন্য ( লাইভ ৩ডি পিকচার বা লাইভ ভিডিও এড করি নাই, যাদের আগ্রহ তারা এড লিঙ্কে ক্লিক করলে দেখতে পাবেন ) – যেহেতু মেডিক্যাল রাইটিং সর্বদা সঠিক তথ্য ও প্রমান সাপেক্ষ বিষয় তাই কখন ও নিজের ইচাছা মাফিক নভেলের মত কিছু সংযোক্ত বা বাদ দেওয়া সম্বভ নয় – তা ছাড়া ইদানীং দেখতেছি বেশ নামি দামি সুনাম ধন্য পত্রিকাতে বিনা পরীক্ষাতে যে যার ইছছামত কিছু তথ্য দিতেছেন ( যেমন বেড়েলা খেলে আলসার ভাল হয় ইত্যাদি অথচ তিনি নেজেই জানেন না তাথে কি আছে ?!! ) তাই অনুরুধ থাকবে তথ্য ও প্রমানের ভিত্তিতে যে সকল ঔষধি কাজে লাগে তা জনগণকে জানানোর জন্য – যেহেতু আপনার লিখা দেখে অন্যজনের এ জাতীয় অসুখ বিশুখ থাকলে চেস্টা করবেন তা দূর করার জন্য অথবা সচেতন জনগণ উপদেশ দিবেন তা করার জন্য আপনার লিখার উপর ভিত্তি করে – তখন যদি ভালর চাইতে খারাপ কিছু হয় সে জন্য অনেকটা আপনি ও দায়ী – তাই সকলের কাছে বিনিত অনুরুধ যাহা কাজে লাগে বা মনে করেন সাধারন পাবলিক উপকৃত হবেন বা পরীক্ষিত ও অনুমোদন প্রাপ্ত , তাই যেন লিখা হয় –কারন প্রত্যেকটি ঔষধি ঔষধের বিষক্রিয়া যদি দেকা দেয় তা হলে তা ভুক্ত ভোগির জন্য খুভি মারাতবক বিপদ ঢেকে আনতে পারে – ধন্যবাদ , হেলাল )
মানুষের শরীরের দুটি কিডনি, দুটি ইউরেটার, একটি ইউরিনারি ব্লাডার (মূত্রথলি) এবং ইউরেথ্রা (মূত্রনালি) নিয়ে মূত্রতন্ত্র গঠিত – কিডনী গুলো কোমরের উপরের পেটের একেবারে পেচনের দেয়ালে মেরুদন্ডের দু পাশে এ দুটোর অবস্থান । সীমের বীচির মতো দেখতে প্রতিটি কিডন প্রায় ১২ সেমি লম্বা ও ৬ সেমি চওড়া । কিডনীর ওজন একজন পূর্ন বয়স্ক লোকের ক্ষেত্রে প্রায় ১৪০ গ্রাম । দুটি কিডনীর প্রত্যেকটিতে প্রায় ১০ লক্ষ নেফ্রন থাকে । কাজ অনেকটা ছাকনীর মতো । নেফ্রনের প্রধান দুটি অংশ গ্লোমেরুলাস ও রেনাল টিউবিউল । আমাদের শরীরে অনবরত যে জৈব রাসায়নিক ক্রিয়া চলছে, তার ফলে প্রচুর পরিমানে দুষিত পদার্থ ও এসিড তৈরি হয় । কিডনীর সাহায্যে শরীরের এই দুষিত পদার্থ এসিড প্রস্রাবের সাথে বের হয়ে আসে । শুধু তাই নয়, কেউ হয়তো বেশি পানি,অতিরিক্ত লবণ খেয়ে ফেলেন,কিডনী এই । অতিরিক্ত লবণ ও পানি প্রস্রাবের সাথে বের করে দেয় । আবার অবস্থা বিশেষে কেউ হয়তো প্রয়োজনিয় পরিমান পানি,লবণ খেতে পারছেন না, সে ক্ষেত্রে কিডনী লবণ ও পানি সংরক্ষণ করে রক্তে পাটিয়ে দেয় । এক কথায় কিডনী হল শরীরের ছাঁকনি । এই ছাঁকনি কোন কারনে ক্ষতি গ্রস্থ হলেই বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিবে ইহাই কিডনি রোগ – ( পরবর্তীতে জানানোর চেস্টা করব ) অর্থাৎ আমরা যখন পানি খাই তখন তা কিডনির মাধ্যমে ছেঁকে মূত্রনালি দিয়ে মূত্র হিসেবে বের হয়ে যায়। । আর এই মুত্রতন্ত্রের যেকোনো অংশে যদি জীবাণুর সংক্রমণ হয় তাহলে সেটাকে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন বলা হয়। সাধারণত এই সমস্যাটি নারী পুরুষ উভয়ের মধ্যে হলেও নারীদের মধ্যে ইউরিনারি ইনফেকশনে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি।
এবারে দেখি মুত্র কি বা এতে কি আছে ? মুত্র মেরুদন্ডী প্রাণীদের জলীয় রেচন পদার্থ । স্বাভাবিক মুত্র পরিষ্কার, ফিকে হলুদ বর্ণের এবং গন্ধযুক্ত (aromatic odour) । কিডনির নেফ্রনের মধ্যে মুত্র সৃষ্টি হয় এবং কিডনি থেকে নিঃসৃত হয়ে ইউরেটারসের মাধ্যমে বাহিত হয়ে মুত্রাশয়ে সঞ্চিত হয় । এর পর প্রয়োজনকালে মুত্রনালীর মাধ্যমে দেহের বাহিরে যে পানি নির্গত হয় ইহাই মুত্র – আর যখন যে কোন কারনে মুত্র নালিতে ঘা বা ইনফেকশন বা অন্যান্য যে সব কারনে জ্বালা যন্ত্রণার সৃষ্টি হয় একেই ইউরেথ্রাইটিস বা মূত্রনালির প্রদাহ বলা হয়ে থাকে –
মুত্রের উপাদান কি কি – [Composition of urine] :- একজন প্রাপ্ত বয়স্ক লোকের প্রতিদিন প্রায় 1500 cc বা 1½ লিটার মুত্র উত্পন্ন ও নিঃসৃত হয় । ওই পরিমাণ মুত্রে জল ছাড়া প্রায় 50 gm. কঠিন পদার্থ থাকে । কঠিন পদার্থের মধ্যে নানারকম অজৈব ও জৈব পদার্থ থাকে । মুত্রের প্রধান অজৈব পদার্থগুলি :- সোডিয়াম ক্লোরাইড, পটাশিয়াম ক্লোরাইড, সালফেট, ফসফেট, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রণ ইত্যাদি । মুত্রের প্রধান জৈব পদার্থগুলি :- ইউরিয়া, অ্যামোনিয়া, ইউরিক অ্যাসিড, ক্রিয়েটিনিন, হিপপিউরিক অ্যাসিড, কিটোন বডি, অ্যাসিটোন ইত্যাদি । ( মুলত সব জৈব পদার্থই বিষাক্ত ) সে যাক প্রদাহের উপর ভিত্তি করে
মুত্র তন্ত্রের সংক্রমন ( Urinary Tract Infection-UTI): মূত্রতন্ত্র যে সব অঙ্গ নিয়ে গঠিত তাদের সংক্রমনকেই মূত্রতন্ত্রের ইনফেকশন বা UTI বলে । মূত্র তন্ত্রের সংক্রমনকে দুভাগে ভাগ করা যায় । মূত্রতন্ত্রের নিচের অংশের সংক্রমন । যেমন, মূত্রনালি ও মূত্রথলির সংক্রমন । মূত্রথন্ত্রের উপরিভাগের সংক্রমন । যেমন, পাইলোনেফ্রাইটিস অর্থাৎ কিডনী ও ইউরেটার এর সংক্রমন । মূত্রতন্ত্রের নিচের অংশের সংক্রমন : মূত্রতন্ত্রের নিচের অংশে রয়েছে মূত্রথলি ও মূত্রনালী । এ দুটির সংক্রমনকে একত্রে মুত্রতন্ত্রের নিচের অংশের সংক্রমন বলে । আলাদা আলাদাভাবে মূত্রথলির মংক্রমনকে সিসটাইটিস এবং মূত্রনালির সংক্রমনকে ইউরেথ্রাইটিস বলে । এগুলার কারণ ও লক্ষণ প্রায় একই ধরনের ।
কেন হয় ? কারণ একটাই জীবাণু। ব্যাকটেরিয়া (৯৫%)ও ফাঙ্গাস, প্রোটিয়াস, কেবসিয়েলা, সিউডোমনাস অন্যতম। এ ছাড়া অনেকের এলারজি জনিত কারনে ও হতে পারে ( সাময়িক হতে দেখা যায় ) (৫%) কোনভাবে মূত্রতন্ত্রে প্রবেশ করলে UTI হয়। সাধারণত মূত্রনালী পথেই সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ হয় । দীর্ঘসময় মূত্রতন্ত্রে জীবাণু অবস্থান করলেই UTI এর লক্ষণ গুলো দেখা যায়। –( সাধারণত ই-কোলাই, স্টেপট্রোকক্কাই ও স্ট্রেফাইলোকক্কাই নামক জীবানুর দ্বারা এ রোগ হয় ) । মূত্রনালীর সক্রমন খুব বেশী হয় মেয়েদের । কারণ মেয়েদের মূত্রনালীর দৈর্ঘ্য ছোট, ( the shortness of the female urethra, which is 1.5 inches compared to 8 inches in men.) মেয়েদের মূত্রদ্বার ও যোনিপথ খুব কাছাকাছি, মাসিক ঋতুস্রাবের সময় অনেক মেয়েরা ময়লা, ছেরা ও নোংরা জাতীয় কাপড় ব্যবহার করেন,এতে জীবানু প্রথমে যোনিপথে ও পরে সংলগ্ন মূত্রনালীকে সংক্রমিত করে এবং মেয়েদের প্রস্রাব না করে আটকে রাখার প্রবণতা বেশি,( সামাজিক ভিন্ন অসুবিধায় ) তাই প্রস্রাবে সংক্রমন হওয়ার সম্ভাবনা বেশী । যারা পানি কম পান করেন-প্রস্রাব আটকে রাখেন- ডায়াবেটিস আছে যাদের -প্রস্টেট-গ্রন্থি বড় হলে — ষাটের বেশি বয়স হলে-যাদের রোগ-অথবা প্রতিরোধ ক্ষমতা কম – তাদের বেলায় এ জাতীয় অসুখ একটু বেশি হয় বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত –
যাই হউক প্রথমে প্রাথমিক ভাবে ( Urethritis ) ইউরেথ্রাইটিস বা মূত্রনালীর প্রদাহ ও অন্যান্য জরুরী কিছু বিষয়ে সকলের প্রাথমিক অভিজ্ঞতা থাকা ভাল বলে মনে করি , বিশেষ করে মহিলাদের বেলায় অবশ্যই –
Urethritis ( ইউরেথ্রাইটিস ) _
ইউরেথ্রাইটিস হলো মূত্রনালীর প্রদাহ। এ ক্ষেত্রে মূত্রনালীর মুখে অর্থাৎ লিঙ্গমণ্ডুর ছিদ্রে ব্যথা অনুভূত হয়।এই ব্যথা প্রস্রাব করার সাথে সাথেই অনুভূত হয়। সাধারণত প্রস্রাব করা শেষ হয়ে গেলে কার কার একটু পর ব্যথা চলে যেতে দেখা যায় — পুরুষদের মূত্রনালী মুত্র বহন করা ছাড়া ও বীর্য বহন করা ও একটি বাড়তি কাজ . মলদ্বার থেকে ব্যাকটেরিয়া মূত্রনালী ছড়িয়ে যখন Urethritis সাধারণত সৃষ্টি হয়. সংক্রমণ মূত্রাশয় , প্রস্টেট গ্রন্তি এবং জননাঙ্গের অন্যান্য অসুখে ও প্রভাবিত করতে পারে. যেমন হারপিস বা Chlamydia হিসাবে একটি যৌন মিলনের রোগের কারনে হতে পারে ( Bruising ) যা মুলত সব বয়সের পুরুষ এবং মহিলাদের মধ্যে ঘটতে পারে –
লক্ষণ এবং উপসর্গ ঃ- প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া। প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করার প্রধান জীবাণুটি হলো ব্যাকটেরিয়া। তবে ছত্রাক বা ফাঙ্গাস এ ধরনের প্রদাহ ঘটায়। মেয়েদের মূত্রনালী পায়ুপথের খুব কাছে থাকে বলে সহজেই জীবাণু প্রবেশ করতে পারে। ই-কলাই নামক জীবাণু শতকরা ৭০-৮০ ভাগ প্রস্রাবের প্রদাহের কারণ। ( এখানে অবশ্য আরেকটি বিষয় মনে রাখা দরকার যেমন গরম আবহাওয়া বা শরীরে প্রচন্ড তাপের কারনে অ অনেক সময় পানি শূন্যতা দেখা দেওায়া বা অনেক সময় কিডনির নিঃসৃত পানি গরম থাকার জনা মুত্র নালীর প্রদাহে অনেক সময় জ্বালা পোড়া দেখা দিতে পারে, তবে তা সবাময়িক ইহা তে গাবড়ানোর মত কিছুই নাই তবে অনুরোধ থাকবে বারে বারে যাতে না হয় সে জন্য প্রচুর পরিমাণে পানি বা ঐ জাতীয় কিছু পান করার ) —
মহিলাদের বেলায় urethritis এ যে সব উপসর্গ থাকতে পারেঃ- পেটের ব্যথা
বেদনাদায়ক মূত্রত্যাগ-অস্বাভাবিক যোনি স্রাব–জ্বর এবং শরীর ঠান্ডা হয়ে যাওয়া-ঘন ঘন প্রস্রাব বা মূত্রত্যাগ এবং তখন প্রস্রাবের প্রচণ্ড চাপ অনুভব–তল পেটে স্বাভাবিকভাবে অথবা চাপ দিলে ব্যাথা অনুভব করেন সেই সাথে কার কার কোমরের পাশের দিকে অথবা পিছনে মাঝামাঝি অংশে ব্যাথা বা খিল ধরার মত কিছু মনে হয় –মাঝে মাঝে বমি হতে পারে। নববিবাহিত মেয়েদের মধুচন্দ্রিমা যাপনকালে প্রস্রাবের প্রদাহ হতে পারে।( some factors increasing the risk. For example, women having sex for the first time or who have intense or frequent sex are at risk for a condition called “honeymoon cystitis.”) -সহবাসের পর জীবাণু মূত্রনালী দিয়ে মূত্রথলিতে প্রবেশ করে বেশির ভাগ মহিলাদের – তবে ছত্রাক বা ফাঙ্গাস জনিত কারনে হলে অবশ্যই মুত্র নালীর মুখ বা ভেজিনাতে চুলকানির লক্ষণ থাকবেই – বা প্রেগন্যান্ট মায়েরা দ্বিতীয় বা তৃতীয় ট্রাইমিস্টারে ( ১২/১৬ সপ্তাহ পর ) বেক্টোরিয়া আক্রমণে মুত্র নালীর যন্ত্রণা দেখা দিতে পারে ( সে সময় চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এন্টিবায়োটিক ব্যাবহার করবেন না কারন অনেক এন্টিবায়োটিক ভ্রুনের বাচ্চার জন্য ক্ষতিকারক ) – কিছু কিছু মহিলাদের হরমোন জনিত ঔষধ সেবন করার কারনে বেক্টোরিয়া ডেবলাপ্ট হয়ে হতে পারে তবে তা মাত্র ২% অথবা মেনোপজ এর সময় একটু বেশি হওয়ার সম্বাভনা আছেই । এলারজি জনিত কারনে হলে অবশ্যই যোনি মুখের আশ পাশ লাল হয়ে ফুলে যাওয়া ও উষ্ণ চুল্কানির লক্ষণ থাকবেই – যারা অপরিষ্কার ভাবে স্পার্মিসাইড বা কৃত্রিম ডায়াফ্রাম ব্যবহার করেন বা সজোরে যৌনমিলন করলে তাদের বেলায় একটু ঝুঁকি বেশি আছেই —
পুরুষদের বেলায় যে সব উপসর্গ থাকতে পারেঃ শুধু প্রস্রাবে জ্বালাপোড়াই করে না, বার বার প্রস্রাবের বেগ হয়, ফোঁটায় ফোঁটায় প্রস্রাব পড়ে। প্রস্রাবের রঙ ধোঁয়াটে, দুর্গন্ধযুক্ত ও পরিমাণে কম হয়। মাঝে মাঝে তলপেটে ব্যথা হতে পারে। যৌনকাজে অনিচ্ছা জাগে-শিশ্ন থেকে পূঁয বা সাদাটে শ্লেষ্মা স্রাব দেখা যায় –লিঙ্গ খোলার চারপাশে বার্ন বা চুলকানি থাকতে পারে –প্রস্রাব বা বীর্য মধ্যে রক্তের কিছু স্পট — প্রোস্টেট গ্লেন্ড বা নালীর ইনফেকশনে ও অনেক সময় তা মুত্র নালিতে সংক্রামিত হতে পারে ( অমুস্লিমদের বেলায় মুত্র নালীর সম্মখ ভাগ ফোটিয়ে সব সময় পরিষ্কার রাখা উচিৎ ) – মুসলমানি না করা হলে লিঙ্গের অগ্রভাগের ত্বকের ভাঁজের ভেতর ব্যাকটেরিয়া জমে প্রদাহ করতে পারে। বিশেষ করে মুত্র পথের মাথায় জীবাণু আটকে ঘা বাড়াতে পারে–শারীরিক পরিশ্রমের কারণে মূত্রথলি বা মূত্রনালীতে চাপ পড়লে ও অনেক সময় হতে পারে — ইত্যাদি

( পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের কেত্রে , Chlamydia , সিফিলিস , গনোরিয়া , হারপিস ভাইরাস বা এইচআইভি এবং এইডস হিসাবে যৌন রোগে ( STDs ) জাতীয় সেক্সুয়েল ট্রান্সমিটেড ডিজেজ থাকলে মুত্র নালীর প্রদাহ সব সময় লেগেই থাকবে যতক্ষণ পূর্ণ চিকিৎসা করানো না হয়েছে – আবার কার ও কারও যৌন সঙ্গমের কারণেও জীবাণু মূত্রনালীতে প্রবেশ করে প্রদাহ করতে দেখা যায় – এমন কি এসব জীবাণু মূত্রনালীপথে মূত্রথলিতে ও শেষ মেষ কিডনিতে প্রবেশ করে তার পর শারা শরীরের রক্তে ছড়িয়ে যেতে পারে — বিশেষ করে অবৈধ সম্পর্ক জাতীয় বা বহু পুরুষ বা মহিলাতে আসক্ত বেক্তিদের এ জাতীয় অসুখ থাকবেই অথবা সমকামীদের বেলায় ৯৯% এ জাতীয় অসুখ থাকবেই । যা মুলত কখন ও প্রথম অবস্তায় বুজা যায়না বা অনেকে লজ্জায় বা ভয়ে প্রাথমিক ভাবে লুকিয়ে রাখতে চান , মুলত ইহা কখন ও ঠিক না অন্তত নিজের চিকিৎসকের কাছে )
অর্থাৎ মোট কথায় মুত্র নালীর সাথে সম্পর্ক যুক্ত যে কোন অঙ্গ বেক্টোরিয়ার আক্রমণ করলে মুত্র নালী তে প্রদাহ হতেই পারে -যৌন বাহিত রোগ ছাড়া ও অন্যান্য যে সব কারনে পস্রাব করতে কস্ট বা যন্ত্রণা হতে পারে যেমন -প্রোস্টেটাইটিস (প্রোস্টেট গ্রন্থিপ্রদাহ ) ,এপিডিডাইমাইটিস (নালী যেখানে অণ্ডকোষের শুক্রাণু জমা থাকে।) ,সিস্টাইটিস ( মুত্র থলির প্রদাহ ) , নেফ্রাইটিস ( কিডনির প্রদাহ ) ইত্যাদি সব কয়টি অসুখ কে একত্রে মিলয়ে চিকিৎসকরা সঙ্কেপে ডিসইউরিয়া বলে থাকেন । উপরের কারণগুলো ছাড়াও প্রস্রাব করার সময় আর যে যে কারনে ব্যথা হতে পারে, যেমন-মূত্রথলিতে অথবা মূত্রনালীতে ক্যান্সার–মূত্রপথে প্রতিবন্ধকতা–কিডনিতে অথবা মূত্রথলিতে পাথর-,তবে এই সব কারনে মুত্র পথে জ্বালা পোড়া করলে অবশ্যই মেজর এই সব রোগের আর অন্যান্য লক্ষণ সঙ্গে যোক্ত থাকবেই যার কারনে অসুখের প্রথমেই এত ডিপে যাওয়ার প্রয়োজন মনে হয়না —
প্যাথলজিক্যাল পরিক্ষা (Investigation): ইউরিনের রুটিন পরীক্ষাকরা দরকার ইউরিনের কালচার সেনসিভিটি করালে কোন জীবাণুর দ্বারা হলে তা সহজেই ধরা পড়বে – সেই সাথে ব্লাড পরীক্ষা করালে অবশ্যই আর ও ভাল হয় – ইউরিন সিএস টেস্ট নামে পরিচিত বা আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে আর অনেক ধরনের পরীক্ষা করাতে পারেন যেমন ( Cystoscopy –Blood Cultures–) ইত্যাদি –
চিকিৎসা ঃ- ( মনে রাখবেন অবশ্যই যন্ত্রণার কারন বাহির করে ড্রাগস ব্যাবহার করা উচিৎ এবং সংক্রামণের উপর নির্ভর করে ডোজ নিরধারন করবেন আপনার চিকিৎসক ) ঃ- ড্রাগ থেরাপি হিসাবে চিকিৎসকরা নিম্ন লিখিত গ্রোফের ঔষধ সমুহ ব্যাবহার করে থাকেন , Ciprofloxacin –Levofloxacin –Sulfamethoxazole ( Bactrim , Septra ) সেফালোস্পরিন, লিভোফক্সাসিন, গ্যাটিফক্সাসিন ইত্যাদি – খুভি ভাল রেজাল্ড দিতেছে যা ৯৬% কার্যকর বেক্টোরিয়া জনিত কারনে হলে – অন্যদিকে ফাঙ্গাইয়ের কারনে হলে এন্টি ফাঙ্গাই ড্রাগস দিয়ে থাকেন সেই সাথে চুলকানি থাকলে তা রোধ করার জন্য এন্টি ফাঙ্গাই বা করটিকস্টারয়েড জাতীয় ক্রিম ও দেওয়া হয় বাহিরের চুলকানি দূর করার জন্য – এবং বেশি বেথা থাকলে নিউরোস্পাস্মটিক ঔষধ বেশ আরাম দায়ক — ( পুনরাবৃত্তি সংক্রমণ না হওয়ার জন্য একি সাথে সহবাস সঙ্গীকে প্রতিষেধক এন্টিবায়োটিক দেওয়া উচিৎ বলে মনে করি যেহেতু যৌন পৌনঃপুনিক সংক্রমণ সঙ্গে মহিলাদের UTIs ট্রিগার যোগ হতে দেখা যায় )
হারবাল ঃ– যেহেতু ইহা বেক্টোরিয়ার আক্রমণে হয়ে থাকে তাই বেক্টোরিয়া ধ্বংস কারি এন্টবায়োটিক ছাড়া এখন ও অন্য কিছু নাই , তবে সাপ্লিমেন্টারী হিসাবে WHO কৃতক অনোমুদিত এবং সর্বশেষ রিসার্চ অনুসারে নিম্নের দুটি ঔষধ ভাল ফল দায়ক – ( Cranberry 750mg Extract Super Strength ট্যাবলেট , যা দিনে তিনটি পর্যন্ত খেতে হবে – কেনবারি জুস খুভি ফল দায়ক যা দিনে ৩/৪ কাপ খেলে উপকৃত হবেন , তবে যাদের এলারজি আছে তিনিদের জন্য নিষেধ ) অথবা ট্যাবলেট Bromelain 80 mg দিনে দুবার খেতে পারেন , তবে ইহা শিশুদের জন্য নিষেধ – ( বারমুলিন মুলত আনারস কে বলা হয়েছে — অর্থাৎ আনারসের সিরাপ দিনে ২/৩ বার খেলে ভাল উপকার পাওায়া যাবে ( ইনফ রিসার্চ ঃ-Bromelain comes from the stem and fruit of the pineapple.What are the risks of taking bromelain? Side effects. Bromelain can cause stomach upset, diarrhea, vomiting, rapid heartbeat, and heavy menstrual periods. It can trigger reactions in people with allergies to pineapples, certain pollens, carrots, celery, rye and wheat flour, latex, bee venom, and other substances.– Risks. Bromelain can raise the risk of bleeding. Make sure to stop taking it at least two weeks before surgery. Check with a doctor before using bromelain if you have any health conditions, such as a bleeding disorder, asthma, heart problems, liver or kidney disease, or stomach ulcers. Interactions. If you take any drugs or supplements regularly, talk to your doctor before you start using bromelain. It could interact with certain antibiotics, blood thinners, antiplatelet drugs, aspirin and NSAID painkillers, and cancer drugs. Eating potatoes or soybeans when you take bromelain could make it less effective.Given the lack of evidence about its safety, bromelain is not recommended for children or for women who are pregnant or breastfeeding.
প্রতিরোধ ও প্রতিকার ঃ-প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। পানির পরিমাণ এত বেশি হতে হবে যাতে দৈনিক কমপক্ষে দুই লিটার প্রস্রাব তৈরি হয় যা দিনে দুই থেকে তিন ঘন্টার মধ্যে প্রস্রাব করতে হবে। কখনো প্রস্রাব আটকে রাখা যাবে না।–ঘুমোতে যাওয়ার আগে এবং ঘুম থেকে জাগার পর প্রস্রাব করতে হবে।–বাথরুম ব্যবহারের পরে টয়লেট টিস্যু পিছন থেকে সামনের দিকে না এনে সামনে থেকে পিছনের দিকে ব্যবহার করা- যাতে মলদ্বারের জীবাণু মূত্র পথে এসে সংক্রমণ করতে না পারে অথবা পরিষ্কার কাপড় ব্যাবহার করলে প্রতি বার তা সাবান দিয়ে পরিষ্কার রাখতে হবে — এবং যদি দেখা যায় আপনার প্রস্রাবের রাস্তার জ্বালা যন্ত্রণা জীবাণু জনিত বলে সন্দেহ থাকে তাহলে আপনার চিকিত্সা সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত বা আপনার উপসর্গ না যাওয়া পর্যন্ত কার ও সাথে যৌন সম্পর্ক করা উচিত নয়. ( ( সহবাস থেকে বিরত থাকাই ভাল ) — কোষ্ঠকাঠিন্য যেন না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।–কনডমে স্পার্মিসাইড বা কৃত্রিম ডায়াফ্রাম ব্যবহার করা যাবে না।–মাসিকের সময় স্যানিটারি প্যাড ঘন ঘন বদলাতে হবে- যৌন সহবাসের আগে ও পরে-যাতে মূত্র নালীতে আগত সকল জীবাণু পরিষ্কার হয় সে দিকে লক্ষ রাখবেন । ( যেহেতু অনেকের সহবাসের পরই UTI শুরু হয়। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী UTI প্রতিরোধক এন্টিবায়োটিক সহবাসের পর নেয়া যেতে পারে ) মুসলমানি করানো হলে ইনফেকশন থেকে রক্ষা পাওয়া যায়–অর্থাৎ ব্যক্তিগত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার চেস্টা করবেন প্রতিদিন – আন্ডার পেন্ট বা ঐ জাতীয় কিছু যেন অন্য কার ও সংস্পর্শে না যায় সে দিকে ও লক্ষ্য রাখতে হবে – এ ছাড়া চেস্টা করবেন টাটকা ফলের জুস খাওয়ার । অনেকে মনে করেন মাত্র দুই দিন ঔষধ সেবন করার পর অসুখ কমে গেছে কিন্তু আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে পূর্ণ ডোজ না খেলে পরবর্তীতে মারাতবক অসুবেধার সম্মুখিন হতে পারেন অথবা ড্রাগস রেসিসস্টেন্ট হলে কোন এক সময় খুব তীব্র আকার ধারন করে অসুখ টি দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহে চলে গিয়ে শেষ পর্যন্ত কিডনি আক্রান্ত বা নষ্ট ও হতে পারে।
অতিরিক্ত কিছু সমালোচনা ?- জীবাণু আক্রমণ ছাড়া স্বাভাবিক প্রস্রাবে যন্ত্রণা হলে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করলে অনেক সময় তা ভাল হয়ে যায় ? কথাটি সত্য কারন মূত্রথলির ভেতরের দেয়ালে ইমিউনো গ্লোবিউলিন নামক একটি স্তর রয়েছে, যে জন্য জীবাণু মূত্রথলির কোষের সাথে সংযুক্ত হতে পারে না।প্রস্রাব এমনিতেই অ্যাসিডিক, এ অ্যাসিডের স্বাভাবিক মাত্রা বজায় থাকলে জীবাণু বাড়তে পারে না। শুধু তা-ই নয়, পরিমিত পানি খেলে প্রতিবার প্রস্রাবের মাধ্যমে মূত্রথলির ভেতর থেকে জীবাণু বের হয়ে যায়। এ ছাড়া কিডনি কে সুস্ত সবল করে রাখতে চাইলে অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়ার অভ্যাস করতেই হবে – অনেক সময় গরম আবহাওয়ার বা উষ্ণতার কারনে আমাদের শরীর থেকে ঘামের মাধ্যমে অনেক পানি বাহির হয়ে যায় যা কোন কোন সময় আমরা বুজতে পারিনা আর ঠিক তখনি প্রাস্রাবের পরিমান কমে গিয়ে এর স্পেসিফিক গ্রেভিটি বেড়ে যায়,এমতা অবস্তায় প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালা পোড়া দেখা দিলে খুভ বেশি করে পানি খেলে অনেক সময় তা ভাল হয়ে যাবেন । কিন্তু কোন অবস্তায় যেন বারে বারে না হয় সে জন্য পানি বেশি করে পান করার অভ্যাস করবেন – তাই প্রতিকার হিসাবে প্রচুর পানি পান করাই হল প্রাথমিক প্রতিরোধ ( জীবাণু ঘটিত অসুখ ছাড়া ) এবং সাথে যদি ফলের রস মাঝে মধ্যে পান করেন তা হলে আর ও ভাল । বিশেষ করে ভিটামিন সি জাতীয় ড্রিংক বেক্টোরিয়া কে ধ্বংস করতে সাহায্য করে এবং আনারস বা এ জাতীয় ড্রিংক এর জন্য একটা ঔষধ মনে করতে পারেন — ধন্যবাদ ——
Share:

রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৭

Top 10 Benefits Of Ginger

Ginger is one of the most ancient spices worldwide. It has become well-known for its health benefits, which include its ability to boost bone health, strengthen the immune system, increase appetite, prevent various types of cancer, improve respiratory conditions, aid in digestion, eliminate arthritissymptoms, reduce excess gas, enhance sexual activity, and relieve pains related to menstrual disorders, nausea, and flu.
Ginger, also known as Zingiber Officinale, is inaccurately referred to as “ginger root”, although the edible section sold in the markets and used in dishes is actually the stem or the rhizome. In many places, it is mostly used in sweets and alcoholic beverages such as ginger beer and wine.
However, in Asian cultures, it is directly used by chopping it up or using its powder in traditional dishes and in soft drinks such as coffee and tea. Ginger’s irresistible fragrance is due to an essential oil in its composition that has been coveted and extracted by perfume makers since ancient times.
Not only is ginger known as an essence and a spice, it is known to be one of the oldest remedies known in herbal and aromatic traditional treatments, especially in China, India, and the Middle East. In China, it has been used for over 2,000 years for curing inflammation and diarrhea. Native to the Indo-Malaysian rain forests, ginger favors lush, moist, tropical soils for cultivation.
Its cultivation may have begun in southern Asia, but it has now spread to East Africa and the Caribbean. Ginger’s perennial plant grows bright red flowers that come in different shapes such as torch and honeycomb and are often used in seasonal festivals in the South Pacific for the decoration of stalls, houses, and even dresses.
Queen Elizabeth I of England, a fan of ginger herself, was the one to invent the gingerbread man in the 16th century, and it is now loved by millions of children (and adults) around the world. The gingerbread man was presented at a Royal ball, and several were made to resemble respected guests.
Today, ginger is on the FDA’s list of generally safe foods and is often used to mask the taste of bitter medicines such as cough syrups.

Health Benefits Of Ginger

The various health benefits of this amazing root are given below:

Improves Bone Health

Ginger is known to boost bone health and relieve joint pain. Two years ago, a study was conducted by the University of Miami that had several patients from different backgrounds and ages, who suffered from symptoms of osteoarthritis. The patients have then weaned away from anti-inflammatory and analgesic medications for cleansing purposes. A week later, they were split into two groups; one was put on a placebo and the other on ginger supplements. After six weeks of intensive dosage, a survey was conducted among the two groups. Both groups felt improvement, but 63% of the ginger group felt a notable pain reduction, while only half of the placebo group recorded notable improvement. The last test was for the patients to walk the distance of 50 feet, which proved to be far easier for the ginger group and their results showed twice as much improvement than the test subjects who were on placebos.
Ginger has a number of unique organic compounds which have actually been named gingerols, and these are powerful anti-inflammatory compounds, some of the most powerful that can be found in food. These gingerols have been directly associated with improvements in knee inflammation and associated pain, as well as suppressing the inflammatory compounds like cytokines and chemokines at the source before they can even begin to affect the body. Ginger represents both a preventative measure and a treatment for inflammation and its associated pain.

Treats Diarrhea

Ginger has been used since ancient times to cure diarrhea, and it was recently proven by researchers that ginger indeed helps, since it prevents stomach spasms and gas that contribute to and stimulate diarrhea. In China, its powder has been given to those with diarrhea for thousands of years; scientists have concluded that the ancient ways are indeed beneficial for this condition.

Removes Excess Gas

Ginger is a very strong carminative, meaning that it induces excess gas elimination. Excess gas does much more than leaving you in an uncomfortable situation and it can be dangerous to your health. Too much gas built up in your system can force upwards and put pressure on delicate organs in the torso. A carminative like ginger forces the gas down and out in a healthy way and also prevents additional gas from building up again.

Aids in Digestion

Ginger has been discovered to be a facilitator of the digestive process. The elevated sugar levels after a meal may cause the stomach to reduce its natural rate of emptying its contents. It helps in regulating high sugar levels that may disrupt digestion and soothe the stomach, thus, maintaining its regular rhythm. Along with that, ginger has a number of compounds that improve the absorption of nutrients and minerals from the food we eat. This is why ginger is also frequently used as an appetizer or an aperitif since it can stimulate the appetite while preparing the digestive system for an influx of food. Ginger is popular in Asian countries as an appetizer or raw menu item for precisely that reason.

Prevents Cancer

One of the most exciting developments in the discussion of ginger and its impact on human health has been the positive correlation between the organic compounds in ginger and the prevention of cancer. Gingerols, the same compounds which give ginger its anti-inflammatory qualities, have also been shown to prevent carcinogenic activity in the colon that can lead to colorectal cancer. This is yet another way that ginger benefits the gastrointestinal system, making it such a perfect addition on the side of every meal. However, more recent studies have also connected these gingerols to apoptosis in ovarian cancer cells, thereby reducing tumors and the growth of cancerous cells, without harming the healthy cells around them.

Detoxifies & Disinfects

Ginger is good at promoting sweating. Sweating not only cleans out the pores and allows your body to eliminate toxins through the liquid, but research has also shown that sweat includes a germ-fighting compound, named dermcidin. It has been positively connected to reduced bacterial and viral infections in a person who sweats regularly since it can create a sheen on the skin, which is a protective layer of previously unknown proteins!

Increases Sexual Activity

A known aphrodisiac, ginger has been used for years to arouse desire and enhance sexual activity. Ginger’s scent has a unique allure that helps in establishing the sexual connection. Not to mention, this root also helps to increase blood circulation, hence blood flows more easily to the mid-section of the body, an important area for sexual performance!

Prevents Menstrual Cramps

Cramps are the body’s way of alarming an individual to some type of danger or damage. In this case, prostaglandins, which are hormones that function as chemical messengers, are the key activators of symptoms such as cramps, pains, and fevers. Scientists believe that high levels of prostaglandins contribute to increased menstrual cramps. Ginger helps by reducing the levels of prostaglandins in the body, hence relieving the cramps.
Share:

শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৭

সজিনার গুণের কথা


সজিনার গুণের কথা
.
সজিনার কথা মনে হতেই প্রথমে মনে আসে কবির কবিতায় সজিনা ফুলের কথা। এমনই এক শ্রেষ্ঠ কবিতা জীবনানন্দের "এখানে আকাশ নীল"--
কবি সজিনা ফুলের রূপে মুগ্ধ হয়ে লিখেছিলেন...
"এখানে আকাশ নীল
নীলাভ আকাশ জুড়ে সজিনার ফুল
ফুটে থাকে হিম শাদা
রং তার আশ্বিনের আলোর মতন"
সজিনা গাছ মানুষের বসতবাড়ীর আশে পাশে অনেক দেখা যেত অতীতে, অর্থাৎ ২০/২৫ বছর আগেও। বাড়ীর আঙিনার একপাশে বা পিছনের বাগানে এদের ঠাই মিলতো, এমন কি বাড়ীর সামনের বাগানে ও কখনো কখনো এদের দেখা মিলতো। একটা ডাল পুতে দিলেই শিকড় গজিয়ে যেত, তেমন কোনো যত্নআত্তি ছাড়াই এরা বেশ খুশি মনে লকলক করে বেড়ে উঠতো। একদিন সেই ডাল থেকে গজানো ছোট বৃক্ষ শিশু যেন পরিপূর্ণ বৃক্ষে রুপান্তরিত হতো। বাড়ির আশপাশে অনাদরে বেড়ে ওঠা সজিনা গাছ এখন আর অবহেলার নয়। সবজি হিসেবে এটি যেমন উপাদেয়, তেমনি এর ভেষজ গুণাবলী অসাধারণ।
বহুগুণে সমৃদ্ধ হওয়ার কারনে সজিনাকে আমাদের দেশে বিভিন্ন নামে উল্লেখ করা হয়। সাজনা, শোভাঞ্জন, উপদংশ, সুপত্রক, রুচিরঞ্জক, সুখামোদ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এর বৈজ্ঞানিক নাম (Moringa Oleifera) এরা (Moringaceae) পরিবারের সদস্য। ইংরেজিতে সজিনাকে Horse radish tree, Drumstick tree বা ben oil tree বলা হয়। সজিনা বা সাজনা এর বাংলা নাম। এটা আমাদের দেশে একটি বহুল পরিচিত গাছ। প্রায় একডজন প্রজাতির মধ্যে বাংলাদেশে দুটি প্রজাতি দেখা যায় যার একটি Moringa oleifera এবং অন্যটি Moringa concanensis। দ্বিতীয় প্রকার গাছের পাতার আগা চোখা এবং কম ঘন। এগুলো খুলনা কুষ্টিয়া যশোর ইত্যাদি এলাকায় দেখা যায়। এর কাঁচা লম্বা ফল সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। এটি একটি অতি প্রয়োজনীয় জীবন রক্ষাকারী উদ্ভিদ।
খ্রিষ্টের জন্মের ১৫০বছর আগের ভারতীয় প্রাচীণ ভেষজ লেখনীতে সজিনার ঔষধি গুণের বর্ণনা পাওয়া যায়। সেই পুরাকাল থেকেই ভেষজ পন্ডিতগন এর বিভিন্ন রকম গুণের কথা উল্লেখ করে আসছেন। সজিনার মূল, ছাল, ফুল, ফল, বীজ, পাতা সবকিছুতেই মহাঔষধি গুণ বিদ্যমান। এর প্রধান ঔষধি রাসায়নিক পদার্থ হচ্ছে,বিটা- সিটোস্টেরোল,এক্যালয়েডস-মোরিনাজিন। আর ফুলে আছে জীবানুনাশক টিরিগোজপারমিন। এর মধ্যে আছে ভিটামিন এ,বি,সি,প্রোটিন ও চর্বি জাতীয় পদার্থ, কার্বোহাইড্রেট ইত্যাদি।
পুষ্টি এবং বিভিন্ন খাদ্যগুণে গুণান্বিত সজিনা। বর্তমানে প্রচলিত বিভিন্ন খাদ্য প্রজাতির মধ্যে সর্বোচ্চ পুষ্টিমান সম্পন্ন উদ্ভিদ হিসেবে এই গাছকে উল্লেখ করা হয়। সজিনা গাছকে “পুষ্টির ডিনামাইট” হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন অতীত এবং বর্তমান বিভিন্ন সময়ের বিজ্ঞানীরা। দক্ষিণ আফ্রিকায় এই গাছকে ‘জাদুর গাছ’ হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়েছে নানাবিধ গুণে সমৃদ্ধ হওয়ার জন্য। বর্তমানে সজিনা গাছের বিভিন্ন অংশ যেমন ফুল, পাতা, গাছের ছাল, বাকল, শিকড় ইত্যাদি প্রায় ২০০ প্রকার রোগের প্রতিষেধক হিসাবে ব্যবহার করা হয়।
বাংলাদেশে সজিনা নিয়ে তেমন গবেষণা না হলেও বিশ্বের বহু দেশে এ নিয়ে অনেক গবেষনা হয়েছে এবং এখনো অনেক গবেষণা হচ্ছে। বিশেষ করে গাছ বৃদ্ধিকারক হরমোন, ঔষধ, কাগজ তৈরী ইত্যাদি বিষয়ে। যুগ যুগ ধরে আমাদের দেশে সজিনা সবজির পাশাপাশি ঔষধ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে দুই ধরনের সজিনার কথা উল্লেখ রয়েছে যেমন, লাল ও সবুজ। লাল রঙের সজিনা এখন আর তেমন দেখা যায়না। সবুজ রঙের সজিনাই বেশী পাওয়া যায়।
সজিনা গাছ দুই ভাবেই জন্মায় বীজ ও গাছের ডাল থেকে। মূলত, ডাল থেকেই বেশী জন্মায়। বর্ষাকালে ডাল রোপন করতে হয়। সাধারণত এই গাছের উচ্চতা ২০ ফুট থেকে ৩০ ফুট অথবা তারও বেশি হয়ে থাকে। এই গাছের কাঠ অত্যন্ত নরম, বাকল আঠাযুক্ত। এটা একটি বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদ এবং একটি মৌসুমি ফল। আমাদের দেশে এখনো বাণিজ্যিক ভাবে তেমন সজিনার চাষ করা হয়না। শুধু চৈত্র,বৈশাখ মাসে কিছুদিনের জন্য সজিনা পাওয়া যায়। এর পাতা অগ্রহায়ণ মাসে হলুদ হয়ে ঝরে পড়ে। মাঘ-ফাল্গুনে থোকা থোকা সাদা ফুল পত্রশূন্য গাছ প্রায় ছেয়ে থাকে।
আমাদের দেশে সজিনা সবজি ছাড়াও ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে। এর কচি পাতা শাক হিসেবে খাওয়া হয়ে থাকে। পাতা পুষ্টি ঘাটতি পূরণে বিশেষ ভূমিকা রাখে। সজিনার পাতার গুঁড়োরও বিশেষ গুণাগুণ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এতে দুধের চেয়েও বেশি ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম ও জিংক রয়েছে। এর ফুল ভাজি করে অথবা শাকের মত রান্না করে খাওয়া হয়। এই ফুল বসন্ত রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। সজিনার বীজের তেল আমাদের দেশে তেমন পাওয়া যায় না। একে ‘বেন অয়েল’ বলে। এটি ঘড়ি মেরামতের কাজে লাগে।
অশেষ গুণাবলী সমৃদ্ধ এই সজিনা এবং সজিনার পাতা খেলে খাবারে রুচি বাড়ে,শ্বাসকষ্ট কমে, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ হয়। এর পাতা বেটে অল্প গরম করে ফোঁড়ার ওপর লাগালে ফোঁড়া ফেটে যায় এবং টিউমার বা আঘাত জনিত ফোলা স্থানে লাগালে সেটাও কমে যায়। সজিনা পাতার রস মাথায় ঘষলে খুসকি দূর হয়। এর পাতার রসে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করার ক্ষমতাও রয়েছে। সজিনার মূল ও বীজ সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। আরো বহু বহু রকম রোগে সজিনা, এর পাতা, মূল, ফুল ইত্যাদির ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এর ভেষজ গুণ তুলনাহীন।
ছবিসূত্রঃ
১। সজিনা গাছ-সূত্র-নেট
২। সজিনা ফুল-সূত্র-নেট
৩।গাছে সজিনা-সুত্র-নেট
৪। সজিনার গুড়া-সুত্র-নেট
Share:

হাঁপানি বা Asthma

                                              হাঁপানি বা Asthma 





( আমার নোট বুক থেকে সংগৃহীত এবং একটু ধৈর্য ধরে যদি পড়েন তা হলে অনেক কিছু জানার আছে বা বুজার আছে বা আপনি সমাজের সচেতন একজন নাগরিক হিসাবে অন্যান্য দেরকে সাহায্য করতে পারলেই আমি উপকৃত হব – বেশির ভাগ সংগৃহীত – ইউনি-ব্রিস্টল, ইউনি-গ্লাক্স,ইউনি-মেরিলেন্ড, বারথলূ মিউ, ও দেশের সুনাম ধন্য চিকিৎসকদের বিশেষ সঙ্কিপ্ত লিখা ও এজমা সোসাইটির উপদেশ সমূহ থেকে – এবং অনুগ্রহ পূর্বক কেউ কমারশিয়ালি ব্যাবহার করবেন না । তবে সামাজিক উপকারের জন্য বা সবাই জানার জন্য বা শিখার জন্য যে কোন সসিয়েল সাইডে ব্যাবহার করতে পারবেন – সাথে ইংলিশ ভার্শন ও অলড়ারনেটিভ মেডিসিনের কিছু বেবস্তা দেওয়া আছে – ধন্যবাদ— হেলাল কামালি ) 
গ্রীক ভাষায় অ্যাজমা শব্দের অর্থ হল হাঁপ ধরা ( হ্যাঁ করে শ্বাস টানা ) । গ্রীক চিকিৎসক হিপোক্রেটিস যে কোন ধরনের শ্বাসকষ্টকে হাঁপানি নাম দিয়েছিলেন। অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্ট এমন একটা রোগ যার নির্দিষ্ট কোন কারণ নেই-এজমা বা হাঁপানি আসলে শ্বাসনালির অসুখ। যদি কোন কারণে শ্বাসনালিগুলো অতিমাত্রায় সংবেদনশীল (হাইপারসেনসিটিভ) হয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন ধরনের উত্তেজনায় উদ্দীপ্ত হয় তখন বাতাস চলাচলের পথে বাধার সৃষ্টি হয়, ফলে শ্বাস নিতে বা ফেলতে কষ্ট হয়।আমাদের শ্বাসনালি গুলি খুবই ক্ষুদ্র। ২ মিমি থেকে ৫ মিমি ব্যাস বিশিষ্ট। চারদিকে মাংশপেশি পরিবেষ্টিত। এ ক্ষুদ্র শ্বাসনালির ভেতর দিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় খুব সহজেই বাতাস আসা-যাওয়া করতে পারে। যদি কখনও এলার্জিক বা উত্তেজক কোন জিনিস শরীরে প্রবেশ করে তখন শ্বাসনালির মাংস পেশিগুলো সঙ্কুচিত হয়। ফলে শ্বাসনালি গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হয় আঠালো মিউকাসজাতীয় এবং ইনফেকশনের কারণে শ্বাসনালির ভেতরের মিউকাস আবরণী ফুলে ওঠে। ফলে শ্বাসন নিতে এবং ফেলতে কষ্ট হয়। আর মিউকাসজাতীয় আঠালো কফ উঠিয়ে ফেলার লক্ষ্যে অনবরত কাশি হতে থাকে। কখনও কখনও এই শ্বাসনালি এত সরু হয় যে, বাতাস বায়ুথলিতে পৌঁছায় না ( এল্ভিওলাই ) তখন শরীরে অক্সিজেনের অভাব হয়। এটা খুবই মারাত্মক অবস্থা। এ অবস্থা বেশিক্ষণ স্থায়ী হলে অক্সিজেনের অভাবে রোগীর মৃত্যু ঘটতে পারে। হাঁপানি যেকোনো বয়সের নারী বা পুরুষের হতে পারে। এটা শ্বাসনালির একটা প্রদাহজনিত রোগ। 
কীভাবে মনে করবেন হাঁপানি হয়েছে ? বা আপনার হাঁপানি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে ইত্যাদি ঃ—
শাঁ শাঁ করে বাশির মত ফুসফুসের আওয়াজ – নিঃশ্বাস নিতে ও দিতে সমস্যা হওয়া – ( পুরাতন ব্রঙ্কাইটিস থাকলে এ সময় ঠুকরো ঠুকরো কাশ আসতে পারে ) বেশ কাশি থাকে। বিশেষ করে রাতের বেলা কাশি বেড়ে যায়।– — কফ থাকতে পারে।– অনেক সময় বুকে চাপ অনুভব হয়ে দম বন্দের মত মনে হবে – হটাত ঘুম ভেঙ্গে অস্তিরের মত শ্বাস নেওয়ার চেস্টা করা এবং সে সময় হার্টের স্পন্দন বেড়ে যাওয়া বা অনেকে চোখে ঝাপসার মত দেখে থাকেন-বুকে জমাট বাধা বা বুকে ঠান্ডা লাগা। পারে। । শারীরিক কর্মকাণ্ড করার ক্ষমতা হ্রাস পায়। কিছুক্ষন হাঁটলে বা সিঁড়ি দিয়ে উঠা নামা করলে শ্বাস কষ্ট শুরু হয়। পর দেখবেন -উপশমকারী ওষুধের পরিমাণ বাড়িয়ে চলছেন এবং ইনহেলার দ্বারা উপশম ৩-৪ ঘণ্টার বেশি হয়না। রাতে শ্বাসকষ্টে ঘুম ভেঙে যাওয়া। স্বাভাবিক কাজকর্মে শ্বাসকষ্ট হওয়া। পিক ফ্লো ধীরে ধীরে কমাতে থাকা । এসব উপসর্গের উপস্থিতি মানে আপনার হাঁপানি তে আক্রান্ত –।মারাত্মকভাবে আক্রান্ত কি না বুঝবেন কীভাবে? যখন উপশমকারী ইনহেলার ব্যবহার করে ৫-১০ মিনিটের ভেতর শ্বাসকষ্ট লাঘব হচ্ছে না তখন বুঝতে হবে আপনার হাঁপানি মারাত্মক অবস্থা ধারণ করতে যাচ্ছে। হা পরবর্তীতে মারাত্মক আকারে আক্রমণ কি ভাবে বুজবেন – যদি আপনি ইনহেলার ব্যাবহার করার ১০/১৫ মিনিট পর ও দেখেন কমতেছেনা তা হলে দেরি না করে আপনার চিকিৎসক কে ডাকা উচিৎ – অথবা যদি আপনার ঘরে নেভুলাইজার মেশিন থাকে তা হলে দেরি না করে তার বেবস্তা করা -( স্হায়ী পুরাতন হাঁপানি চিকিৎসার জন্যঃ উপশমকারী ইনহেলার কোনো উপকারই করে না। এমনকি বাধাদানকারী ইনহেলারও তার শ্বাসকষ্ট নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে না। এসব রোগীর জন্য প্রয়োজন নিয়মিত অধিকমাত্রায় উপশমকারী ওষুধ ব্যবহার করা। আর তা সম্ভব শুধু নেবুলাইজার দ্বারা। অধিকমাত্রায় বাধাদানকারী ওষুধ শ্বাসে নেয়ার জন্য নেবুলাইজার অপরিহার্য। ) মারাত্মক জটিল এজমা হতে পারে। স্থায়ী পুরনো এজমায় পরিবর্তন থেকে। স্থায়ী পুরনো এজমা থেকে হার্টফেইলুর হয়ে পানি আসতে পারে এবং রোগী শয্যাশায়ী হয়ে যেতে পারে। শরীরে সবসময় অক্সিজেন কম থাকতে পারে। তাই সবসময় অবসাদগ্রস্ত মনে হবে। অক্সিজেনের অভাবে স্মৃতিশক্তি কমতে থাকে এবং অকালে নিজেকে বৃদ্ধদের মতো দুর্বল মনে হবে। ফুসফুসের অংশ বিশেষ চুপসে যেতে পারে। নিউমোনিয়াও হতে পারে। পায়ে পানি আসতে পারে। মুখ থেকে ছিটেফোঁটা রক্ত বেরিয়ে আসতে পারে। এ ক্ষেত্রে কাশি বন্ধ করার ওষুধটা দেয়া জরুরি। মনে রাখবেন ৭৫% রোগীর এজমা রাত ২ টা থেকে ৪ টার ভিতরেই আক্রমনের সম্বাভনা বেশী থাকে – 
হাঁপানি কেন হয় বা কীভাবে হতে পারে ও লক্কন সমূহ ঃ– ( মনে রাখবেন হাঁপানি ছোঁয়াচে রোগ নয়। পারিবারিক বা বংশগতভাবে হাঁপানি হতে পারে। তবে শিশুদের মায়ের বুকের দুধ খেয়ে এজমায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা নেই। মার সংস্পর্শ থেকেও হওয়ার আশঙ্কা নেই। তবে বতমান গবেষণায় দেখা গেছে জেনেটিকেলি ছলের চাইতে মেয়েদের হাঁপানি বেশী হয়ে থাকে )-হাঁপানি যেকোনো বয়সেই হতে পারে। তবে এটি সংক্রামক বা ছোঁয়াচে নয়। প্রদাহজনিত কারণে শ্বাসনালির সংবেদনশীলতা বেড়ে যায়। ফলে ঘন ঘন কাশি, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, আওয়াজ, বুকে চাপ বা দম নিতে কষ্ট হওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। যদি প্রথমেই সঠিকভাবে উপযুক্ত চিকিৎসা না নেওয়া হয়, তাহলে এ রোগের থেকে অনেক দিন পর্যন্ত রেহাই পেতে পারেন । হাঁপানির সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি। এ রোগের জন্য কোনো কিছুকে এককভাবে দায়ী করা যায় না। গবেষণায় দেখা গেছে, কারও কারও বংশগত কারণে বা পরিবেশগত কারণেও এ রোগ হতে পারে। কারও নিকটাত্মীয় যদি এতে আক্রান্ত থাকে বা কেউ যদি বিভিন্ন দ্রব্যের প্রতি অতিমাত্রায় অ্যালার্জিক হয়, তাহলে তার হাঁপানি হতে পারে। এ ছাড়া শ্বাসনালি যদি অতিমাত্রায় সংবেদনশীল হয়, এ রোগ হতে পারে। – ধুলোবালির মধ্যে থাকা মাইট নামের ক্ষুদ্র কীট, ফুলের পরাগরেণু থেকে; পশুপাখির পালক, ছত্রাক, মল্ট, ইস্ট, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সিগারেটের ধোঁয়ার মধ্যে যারা থাকে তাদের এ রোগ হতে পারে। (প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ধূমপান শুধু শ্বাসকষ্টের কারণই নয়, বরং অনেক ক্ষেত্রেই এটা হাঁপানির তীব্রতা বাড়িয়ে দেয়। হাঁপানির ওষুধের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়, কখনো কখনো ফুসফুসের দীর্ঘস্থায়ী কার্যক্ষমতাও কমে যায়। ) আবার পেশাগত কারণেও এ রোগটি হতে পারে। কিছু উত্তেজক উপাদান অনেক সময় সংবেদনশীল রোগীর শ্বাসকষ্ট শুরু করতে পারে- কোনো কোনো ওষুধ, যেমন বিটা ব্লকার, যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহৃত হয়, এনএসএআইডি (ব্যথা নিরাময়কারী ওষুধ) এসপিরিন কোনো কোনো ক্ষেত্রে হাঁপানির কারণ হতে পারে। এ ছাড়া মানসিক চাপে থাকলে হাঁপানির তীব্রতা বেড়ে যেতে পারে। কোনো কোনো খাবারের প্রতি সংবেদনশীল বা চিংড়ি মাছ, হাঁসের ডিম, গরুর মাংস, বেগুন, পুঁইশাক, মিষ্টিকুমড়া, ইলিশ মাছ প্রভৃতি খেলে চুলকায়, নাক দিয়ে পানি পড়ে কারও কারও-অর্থাৎ অ্যালার্জি বেড়ে হাঁপানি হতে পার তবে খাবারের মাধ্যমে যে অ্যালার্জি হয় তাতে খুব কম লোকের অ্যালার্জি বা শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। কারও কারও বিভিন্ন সুগন্ধি, মশার কয়েল বা কারও কারও কীটনাশকের গন্ধ থেকেও শ্বাসকষ্ট বেড়ে হাঁপানি হতে পারে – ( ব্রঙ্কিয়েল সিস্টেমে )বায়ুপথে প্রদাহ হয়ে বা ক্রনিক প্রদাহজনিত বৈকল্য হলো হাঁপানি হতে পারে তবে এই প্রদাহ জনিত হাঁপানি মারাত্মক আকার ও ধারন করত্তে পারে ।( কারন বায়ুপথগুলো তখন হয়ে ওঠে প্রচণ্ড সংবেদনশীল। বায়ুপথ হয় রুদ্ধ, বায়ু চলাচল হয় খুবই কম। বায়ুপথের একটি অংশ ক্লোমনালি হয় সংকুচিত, শ্লেষ্মা জমে পথ হয় রুদ্ধ, প্রদাহ তখন একে আরও জটিল করে তোলে। বিভিন্ন ঝুঁকি-উপাদানের মুখোমুখি রোগ হয়ে ওঠে প্রবল। ), পুরাতন বা নতুন নিউমোনিয়া জনিত কারণে ও হতে পারে স্খূলতা বা মেদ ভুড়ি বেড়ে গেলে ও হতে পারে – গর্ভ বতির বেলায় ও হতে পারে – মোট কথায় শ্বাস নালির ভিতিরের নালি সমূহ যে কোন কারণে বাতাস আদা প্রধান করতে ব্যাঘাত ঘটলেই তা হওয়ার সম্বাভনা – তাই প্রাথমিক অবস্তায় কারন অনুসন্দান করে সঠিক চিকিৎসা করলে এই অসুখ পূর্ণ ভাল হওয়ার কথা – তবে এলারজি জনিত হাঁপানি সব সময় নির্মূল করা যায় না – বা করা যাবে ও না যদি ও বাজারে এর জন্য ভ্যাকসিন আছে , তবে দীর্ঘ দিন মুক্তি থাকা সম্বভ – – মহলাদের হরমুন গত সমসসার কারণে ও হতে পারে ইত্যাদি ( । Hyperreactive Response/ Inflammatory Response/Environmental Factors (Irritants/Hormonal fluctuations or changes in hormone /Race and Ethnicity/Obesity/GERD ) অর্থাৎ ঃ- ১- অ্যালার্জি জনিত ২- ফুসফুসের প্রদাহ বা ইনফেকশন জনিত ৩- আবহাওয়া জনিত ৪- হরমুন জনিত ৫- ভিবিন্ন ঔষধ জনিত ৬- পরিপাক তন্ত্রের অসুখে ইত্যাদি ——- কিন্তু ৬৫% মানুষের এলারজি জনিত জনিত কারনেই হাঁপানি হয়ে থাকে —- এশির ভাগ কেত্রে ছোট বাচ্চাদের একটু বেশী হয় – এ ছাড়া বয়স্কদের বেলায় ও দেখা যায় । তার কারন তখন শরীরের এন্টিবডি কমতা কমে যায় বলে মনে করা হয় ( বাচ্চাদের কেন এত বেশি: ঃ আসলে বড়দের তুলনায় বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটা কম। তাই তাদের বারবার রেসপিরেটরি ট্রাক্টের সংক্রামণজনিত কারণে সর্দিকাশি হওয়ার প্রবণতা বেশি। কিছু কিছু শিশুর রেসপিরেটরি ট্রাক্টের সংক্রমণের ফলে শ্বাসনালিগুলোয় হাইপার ইরিটেবিনিটি দেখা দেয় অর্থাৎ অতিমাত্রায় সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। ক্রনিক ইনফ্লামেশনের ফলে বাইরে থেকে কোনো কিছু (ঠা-া, মাইট, ধুলো, ফুলের রেণু ইত্যাদি) শ্বাসনালিতে ঢুকলেই শুরু হয় সংকোচন আর এর ফলস্বরূপ হাঁপানির সুত্রপাত -আগে ধারণা ছিল অ্যাজমা একবার হলে আর সারে না। কিন্তু বর্তমানে চিকিৎসা ব্যবস্থার যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। প্রথমদিকে ধরা পড়লে অ্যালার্জিজনিত অ্যাজমা রোগ একেবারে সারিয়ে তোলা সম্ভব। অবহেলা করলে এবং রোগ অনেকদিন ধরে চলতে থাকলে নিরাময় করা কঠিন হয়ে পড়ে।এজমা নিয়ন্ত্রণে না থাকলে কি বিপদ হতে পারে? বর্তমানে অ্যালার্জিজনিত অ্যাজমা রোগের ভ্যাকসিনসহ উন্নত চিকিৎসা আছে ) 
প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা কি?— আমার অনুরুধ থাকবে যদি আর্থিক অবস্তা ভাল থাকে তা হলে স্কিন প্রিক টেস্ট করালে সবচেয়ে ভাল । কারন যেহেতু এলারজি জাতীয় হাঁপানি রোগীর সংখ্যা বেশী তাই বললাম – এ ছাড়া কোন ধরনের খাদ্য খেলে আপনার হাঁপানি ও এলারজি বাড়বে তা ও জেনে নিলেন = যার কারণে সেই হিসাবে আপনি প্রায় অর্ধেক অসুখ মুক্ত হয়ে গেলেন — 
বুকের এক্সরে পরিক্কা , রক্ত পরীক্ষা বিশেষত – ইয়োসিনোফিলের মাত্রা বেশি আছে কি না তা দেখা। সিরাম আইজিইয়ের মাত্রা সাধারণত এজমা রোগীদের ক্ষেত্রে আইজিইয়ের মাত্রা বেশি থাকে। ( Arterial blood gases 
Mild: pH, PaO2, PaCO2 normal; forced vital capacity (FVC) 80% of normal Moderate: pH increased; PaO2, PaCO2 decreased; FVC 50% of normal Severe: pH, PaO2 decreased; PaCO2 increased; FVC 25% of normal —Sputum
Increased viscosity, plugs Complete blood count
Increased Hct, eosinophilia ) — স্পাইরোমেট্রি বা ফুসফুসের ক্ষমতা দেখা : এ পরীক্ষা করে রোগীর ফুসফুসের অবস্থা সম্পর্কে সঠিক ধারণা করা যায়। ( Lung function as measured by FEV1 and FEV1/FVC, measured with pulmonary function testing at the doctor’s office ) ইত্যাদি 
এজমার জরুরি প্রাথমিক চিকিৎসা?:—-উপশমকারী ওষুধ ৫-১০ মিনিট পর আবার নিতে হবে। নিজেকে শান্ত রাখুন, স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে চেষ্টা করুন। যেভাবে বসলে আরাম লাগে সেভাবে বসুন। আপনার হাত হাঁটুর ওপরে রাখুন, যাতে সোজা হয়ে বসে থাকতে পারে। শ্বাস তাড়াহুড়া করে নেবেন না, তাড়াহুড়া করে শ্বাস নিলে অবসাদগ্রস্ত হয়ে যাবেন। যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তার বা সাহায্যকারীর শরণাপন্ন হওয়া উচিৎ -মনে রাখবেন সঠিক চিকিৎসা ও ওষুধের ব্যবহারের মাধ্যমে হাঁপানি নিয়ন্ত্রণ না করলে বয়স বাড়ার সাথে সাথে ফুসফুসের কর্মক্ষমতা হ্রাস পাবে এবং অকেজো হবে । শিশুদের হাঁপানির ঠিকমতো চিকিৎসা না করালে বৃদ্ধি ব্যাহত হয় এবং মায়েদের বেলায় গর্ভস্থ ভ্রূণের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। –
( চিকিৎসক আসার পর আপনার যা করনিয় ঃ প্রথমে চিকিৎসক কে সব কিছুর হিস্টোরি জানাতে অবশ্যই সহায়তা করতে হবে -অর্থাৎ চিকিৎসক কে বুজতে হবে আপনার কোন কারণে এই হাঁপানি হইতেছে — বিশেশ করে চিকিসকের যা জানার দরকার হতে পারে ঃ কোন ধরনের ভ্যাকসিন দেওয়া আছে কি না – অ্যালার্জি, পুরাতন নিউমোনিয়া , শ্বাস তন্ত্রের কোন প্রকারের প্রদাহ ছিল কি না – পেট ফাপা জাতীয় অসুখ ইত্যাদি তখন সহজেই আপনার অসুখের মুল কারন বেরিয়ে আসবে এবং তাড়া তাড়ি সুস্থ হওয়ার সম্বাভনা বেশী থাকবে ( Hyperreactive Response/ Inflammatory Response/Environmental Factors (Irritants/Hormonal fluctuations or changes in hormone /Race and Ethnicity/Obesity/GERD/ড্রুগস / ইত্যাদি ) ))
প্রধানত শুধু মাত্র হাপানির জন্য চিকিৎসকরা দুপ্রকারের ওষুধ দিয়া থাকেন যা অনেক সময় হাঁপানি প্রতিরোধক হিসেবে ও কাজ করে:—(১)অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি ওষুধসমূহ ঃ ( প্রদাহ জনিত ) – এসব ওষুধ শ্বাসনালির প্রদাহ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে হাঁপানি প্রতিরোধ করে। এই শ্রেণীর বহুল ব্যবহৃত বুসোনাইড, ক্লোমিথাসেন, ফ্লুটিকাসোন ইত্যাদি। (২)ব্রঙ্কোডাইলেটর বা শ্বাসনালি প্রসারক :ব্রঙ্কোডাইলেটরসমূহ উপশমকারক হিসেবে কাজ করে। ব্রঙ্কোডাইলেটরসমূহ শ্বাসনালিকে দ্রুত প্রসারিত করে ফলে ফুসফুসে সহজে বায়ু চলাচল করতে পারে এবং এর মাধ্যমে হাঁপানি আক্রান্ত রোগীর উপসর্গসমূহ দ্রুত উপশম হয়। যেমন ভেন্টলিন ( Albutero ) বা নতুন হিসাবে খুভি ভাল Levalbuterol (Xopenex ) ইত্যাদি কিন্তু ইহা ক্ষণস্থায়ী ব্রঙ্কোডাইলেটর তবে দীর্ঘ স্তায়ি হিসাবে চিকিৎসকরা ব্যামবিউটামল ( থিওফাইলিনের বিকল্প হিসাবে কারন ইহা ঘুমের ইহা ঘুমের ব্যাঘাত সহ আলসার বা হার্টের রুগিকে ব্যাবহার খুভি মারাত্মক তাই ) ) ব্যাবহার করে থাকেন – এবং সেই সাথে ইনহেলার দিয়ে থাকেন বিশেষ করে করটিকস্টারয়েড জাতীয় ( ডেক্সমেথাসন বা ঐ জাতীয় ) কারন এ জাতীয় ঔষধ টেব্লেট হিসাবে ব্যাবহার করতে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশই দরকার – তা ছাড়া Levalbuterol (Xopenex) /Oral (Systemic) Corticosteroids/As with other anti-inflammatory ঔষধ হিসাবে ব্যাবহার করা হয় -তবে অনেক কেত্রে মুখ , জিহবা খাদ্যনালি ইত্তাদিতে যাহাতে প্রদাহ না করতে পারে সে জন্য চিকিৎসকরা সাথে সাপ্লিমেন্ট হিসাবে ক্যালসিয়াম দিয়ে থাকেন -যেহেতু লং টার্মের অসুখ তাই এ কেত্রে Omalizuma সবচেয়ে ভাল – সিরিয়াস কেত্রে অবশ্যই নেভুলাইজার মেশিনের ব্যাবহার করতেই হবে – যা আজকাল বাড়িতে বসে নিজে করতে পারবেন স্বাস্থ্য সম্মন্দে যাদের একটু অভিজ্জতা আছে তাদের সাহায্য নিয়ে । 
হারবাল ঃ– Western method : Coleus forskohlii ( Viridian Coleus Forskohlii Root Tablets ) / ylophora (Tylophora indica, 250 mg one to three times per day ) ycnogenol (Pinus pinaster, 1 mg per pound of body weight, up to 200 mg) 
Asian method : ( মনে রাখবেন চেস্টা করবেন ভাল নামি ব্যান্ডের কোম্পানির ঔষধ কেনার জন্য কারন গুনগত মানের জন্য বলছি – আমাদের দেশে হারবাল পধতি এখন ও অনেক পিছিয়ে আছেদ উন্নত দেশের চাইতে বিশেষ করে ঔষধ মেনুফেকচারিঙ্গের বেলায় ) BHI Asthma 100 TAB ( খুভি ভাল এলারজি জাতীয় হাপানির জন্য ) , Dr. Klear’s Inhaler Lung Cleaner – ( ইনহেলার হিসাবে দীর্ঘ স্তায়ি ) ড্রপ Heel Inc Sinusin , Bronchitis & Asthma Aide, 100 সিরাপ হিসাবে , Levocetrizine 5 mg টেব্লেট হিসাবে – ARA tablets:/Triphala Capsules হিসবে ব্যাবহার করে দেখতে পারেন – যা এফ ডি আই কৃতক অনুমূদিত –
আকুপাংচার ঃ হাপানির বেলায় এখন ও অনুমুদিত হয় নাই — তবে শ্বাস নালি সমহের ডায়লেশনের সহায়ক হিসাবে কিছু ভাল ফল মিলে – 
অ্যাজমা প্রতিরোধের উপায় ও কিছু উপদেশ ঃ ( সংগৃহীত, বাংলাদেশ এজমা সোসাইটি ও সুনাম ধন্য চিকিৎসকদের লিখা থেকে ) 
**ভিটামিন–এ জাতীয় খাবার যেমন, কলিজা ও গাজর খাবেন। সবুজ শাকসবজি বিশেষ করে পালং শাক ও মধু অ্যাজমার জন্য উপকারি। তাই এগুলো বেশি খাবেন *** বেশী করে পেট ভরতি খাবার খাবেন না *** ঘুমানুর বালিশ যেন অন্তত ৬ ইঞ্চি উচু হয় ** অ্যালার্জিকারক বস্তু এড়িয়ে চলা। যেমনঃ ধুলো, বালি, ঘরের ঝুল, ধোঁয়া, ঝাঁঝালো গন্ধ ইত্যাদি থেকে দূরে থাকা। ** ঘর বাড়িকে ধুলাবালু মুক্ত রাখার চেষ্টা করা। এ জন্য দৈনিক অন্তত একবার ঘরের মেঝে, আসবাবপত্র, ভিজা কাপড় দিয়ে মুছতে হবে। অথবা ভ্যাকিউম ক্লিনার ব্যবহার করা। ** ঘরে কার্পেট না রাখা। **. বালিশ, তোষক, ম্যাট্রেসে তুলা ব্যবহার না করে স্পঞ্জ ব্যবহার করা। **শীতকালে যথাসম্ভব গরম পানিতে ওজু-গোসল করা। **** ধূমপান না করা। *****যেসব খাবারে অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে তা পরিহার করে চলা। ****. ঠাণ্ডা খাবার, আইসক্রিম ইত্যাদি না খাওয়া। ***মানসিক চাপ, উৎকণ্ঠা, দুশ্চিন্তাকে ইতিবাচক মনোভাবে মানিয়ে চলা। কিংবা মানসিক চাপের কারণকে এড়িয়ে চলা। *** . পেশাগত কারণে অ্যাজমা লে চেষ্টা করতে হবে স্থান বা পেশা পরিবর্তনের। *** পরিশ্রম বা খেলাধুলার কারণে শ্বাসকষ্ট বাড়লে চেষ্টা করতে হবে পরিশ্রমের কাজ পরিহার করা। ***. সব সময় ইতিবাচক চিন্তা করা। ইতিবাচক মন আপনাকে ভালো থাকতে সাহায্য করবে। ***. পরাগ রেণু পরিহারে সকাল-সন্ধ্যা বাগান এলাকায় বা শস্য ক্ষেতের কাছে না যাওয়া। ***. পরাগ রেণু এলাকা থেকে বাসায় ফিরে মাথার চুল ও কাপড় ধুয়ে ফেলা। ****. কুকুর-বিড়াল বাগান থেকে পরাগ রেণু বহন করতে পারে। এ জন্য নিয়মিত কুকুর-বিড়ালকে গোসল করানো প্রয়োজন। ****হাঁপানি যেকোনো বয়সের নারী বা পুরুষের হতে পারে। এটা শ্বাসনালির একটা প্রদাহজনিত রোগ।***বিছানা-বালিশ সপ্তাহান্তে পরিষ্কার রাখা***** ধূমপান থকে বিরিত থাকা এবং ধূমপায়ীদের কাছ থেকে দূরে থকা 
সকলের যা মনে রাখতে হবে যে-ঃ *ব্রঙ্কিয়াল এজমা সম্পূর্ণরূপে নিরাময় করা সম্ভব নয়। তাই এ ক্ষেত্রে “Prevention is better than cure অর্থাৎ নিরাময় অপেক্ষা প্রতিরোধই শ্রেয়”- এই পন্থা অবলম্বন করতে হয়। এ রোগটির প্রাদুর্ভাব দিন দিন বেড়েই চলেছে। এটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে অন্য দশজনের মত স্বভাবিক জীবন জাপন করা যায়। তাই রোগটি সম্পর্কে মোটামুটি কিছু ধারনা নেয়া, নিয়ন্ত্রণের জন্য সচেতন হওয়ার পাশাপাশি প্রতিরোধের জন্য ব্যবস্থা নেয়া জরুরী।****এজমার ওষুধ হঠাৎ বন্ধ করা মোটেই ঠিক নয়। এ রোগটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে চিকিৎসকের পরামর্শমত নিয়মিত ওষুধ সেবন করতে হবে। অনেকেই ইনহেলার নিতে ভয় পান। কিন্তু মনে রাখবেন, মুখে খাওয়া ওষুধের পাশাপাশি প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে নিয়মিত ইনহেলার নিয়াই উত্তম। দেখা গেছে এতে করে একজন ক্রনিক এজমা রোগীও উপসর্গ মুক্ত থেকে ভালভাবে জীবন কাটাতে পারেন। কারো এলার্জিক রাইনাইটিস থাকলে নাসিকা ঝিল্লির প্রদাহ হয়। ফলশ্রুতিতে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। এ ধরনের রোগীর ক্ষেত্রে নাকে ব্যবহৃত বিশেষ স্প্রে নিলে ভাল ফল পাওয়া যায়।****এজমা রোগীদের মধ্যে যাদের কোল্ড এলার্জি আছে তাদের জন্য খুব ঠান্ডা খাবার না খেয়ে তা নরমাল করে খাওয়াই ভাল। তাছাড়া যেসব জিনিসে এলার্জি হয় সেগুলো এভয়েট করাই শ্রেয়। বেগুন, চিংড়িমাছ, গরুর মাংস এমনকি অনেকের ক্ষেত্রে মিষ্টিকুমড়া, পুঁইশাক, ছিম ইত্যাদি ****আমাদের চারপাশের পরিবেশ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে এলার্জি জনিত শ্বাসকষ্ট অনেকটাই প্রতিরোধ করা যায়। তবে ধুলো-বালি ও ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না হলে ফিল্টার মাস্ক ব্যবহার করে এ অবস্থা থেকে অনেকটা মুক্তি পাওয়া সম্ভব। ধুমপান অবশ্যই পরিহার করতে হবে। **শীতের শুরুতে পশমী কম্বল ইত্যাদি ওয়াশ করে নিতে হবে এবং লেপ, কম্বল ও বালিশে মোটা সুতির কাভার ব্যবহার করতে হবে। সকালে ও রাতে বিছানা ছেড়ে লেপ/ কম্বল থেকে বের হবার সময় গায়ে গরম কাপড় দিতে হবে। গরমের সময় ঘামে ভেজা কাপড় গায়ে শুকানোর আগেই বদলে নিতে হবে। **ঘরে যাতে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস প্রবেশ করতে পারে সেদিকে নজর দিতে হবে। অপ্রয়োজনীয় কাপড়-চোপড়, জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলতে হবে ও ঘরের আসবাবপত্র ধুলামুক্ত ও পরিষ্কার রাখতে হবে। শোবার ঘর থেকে পশমী কার্পেট সরিয়ে রাখতে হবে। বসার ঘরের কার্পেট ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। বাক্স-পেটরা ও পুরানো কাপড়-চোপড় রাখার স্থান পাতলা প্লাস্টিকের কাভার দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।***এজমা রোগীদের জন্য বিশেষ কিছু ওষুধ যেমন উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত বিটা-ব্লকার গ্রুপের প্রপানোলল, এটেনোলল ইত্যাদি বর্জন করা চাই। জ্বর বা ব্যথা কমানোর জন্য প্যারাসিটামল, ডিসপ্রিন ইত্যাদি খেলেও এ ধরনের রোগীদের কারো কারো ক্ষেত্রে উপসর্গ বেড়ে যেতে পারে। কাজেই এগুলো খাবার ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করাই ভাল।****এজমা রোগটি নিয়ন্ত্রণে রাখা না গেলে রোগী খুবই কষ্ট পান। বৃদ্ধ ও শিশুদের বেলায় এটি হঠাৎ করেই মারাত্মক আকার ধারন করতে পারে। তাই কোন পরিবারে এ ধরনের রোগী থাকলে জরুরী অবস্থা সামলে সেবার জন্য বিশেষ কিছু ব্যবস্থা হিসেবে বাসায় স্পেসার, নেবুলাইজার এবং প্রয়োজনে পোর্টেবেল অক্সিজেন সিলিন্ডার রাখতে হবে। শ্বাসকষ্ট কিছুতেই না কমলে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে। ( ধন্যবাদ ) English version next pages pls

Share:

Sample Text

হারবাল ঔষধ, ভেষজ ঔষধ, ভেষজ চূর্ণ, ভেষজ গুণ সম্পর্কিত গাছ, প্রাকৃতিক ঔষধ, ভেষজ উদ্ভিদ পরিচিতি, ইউনানি চিকিৎসা, আয়ুর্বেদ চিকিৎসা, আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা, গ্রামীণ চিকিৎসা সেবা, হারবাল চিকিৎসা, অর্গানিক খাদ্য,হারবাল চা,হারবাল রেমিডি,ন্যাচারাল রেমিডি, হার্বস, একক ভেষজ, হারবাল ঔষধ এর পরিচিতি,হারবাল ঔষধ এর রিভিউ, ইউনানি ঔষধ এর রিভিউ, আয়ুর্বেদিক ঔষধ এর রিভিউ,আয়ুর্বেদ চিকিৎসার ইতিহাস, ইউনানি চিকিৎসার ইতিহাস, ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকিৎসা, হারবাল টোটকা,হারবাল শরবত, ফলের গুনাগুন, ফুলের গুনাগুন ইত্যাদি নিয়ে লেখালেখি।

Blogger দ্বারা পরিচালিত.

About

test

Wikipedia

সার্চ ফলাফল

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

আমার ব্লগ তালিকা

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

About

আমার ব্লগ তালিকা

Blogroll

Unordered List

Theme Support

Blogroll

BTemplates.com

Blogroll

Natural Health

আমার ফটো
kishoregonj, dhaka, Bangladesh
I am simple Man and Harbs Learner.

Contact form

নাম

ইমেল *

বার্তা *

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

অনুসরণকারী

Followers

Generate More Traffic on your Website.

Generate More Traffic on your Website.
It is a long established fact that a reader will be distracted by the readable content of a page when looking at its layout. The point of using Lorem Ipsum is that it has a more-or-less normal distribution of letters, as opposed to using 'Content here, content here'.

Translate

BTemplates.com

THE LIFESTYLE

Pages - Menu

Random Posts

Pages

Pages - Menu

Pages

Pages

Most Popular

Recent Posts

Unordered List

Pages

Theme Support