Home »
» হাঁপানি বা Asthma
হাঁপানি বা Asthma
( আমার নোট বুক থেকে সংগৃহীত এবং একটু ধৈর্য ধরে যদি পড়েন তা হলে অনেক কিছু জানার আছে বা বুজার আছে বা আপনি সমাজের সচেতন একজন নাগরিক হিসাবে অন্যান্য দেরকে সাহায্য করতে পারলেই আমি উপকৃত হব – বেশির ভাগ সংগৃহীত – ইউনি-ব্রিস্টল, ইউনি-গ্লাক্স,ইউনি-মেরিলেন্ড, বারথলূ মিউ, ও দেশের সুনাম ধন্য চিকিৎসকদের বিশেষ সঙ্কিপ্ত লিখা ও এজমা সোসাইটির উপদেশ সমূহ থেকে – এবং অনুগ্রহ পূর্বক কেউ কমারশিয়ালি ব্যাবহার করবেন না । তবে সামাজিক উপকারের জন্য বা সবাই জানার জন্য বা শিখার জন্য যে কোন সসিয়েল সাইডে ব্যাবহার করতে পারবেন – সাথে ইংলিশ ভার্শন ও অলড়ারনেটিভ মেডিসিনের কিছু বেবস্তা দেওয়া আছে – ধন্যবাদ— হেলাল কামালি )
গ্রীক ভাষায় অ্যাজমা শব্দের অর্থ হল হাঁপ ধরা ( হ্যাঁ করে শ্বাস টানা ) । গ্রীক চিকিৎসক হিপোক্রেটিস যে কোন ধরনের শ্বাসকষ্টকে হাঁপানি নাম দিয়েছিলেন। অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্ট এমন একটা রোগ যার নির্দিষ্ট কোন কারণ নেই-এজমা বা হাঁপানি আসলে শ্বাসনালির অসুখ। যদি কোন কারণে শ্বাসনালিগুলো অতিমাত্রায় সংবেদনশীল (হাইপারসেনসিটিভ) হয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন ধরনের উত্তেজনায় উদ্দীপ্ত হয় তখন বাতাস চলাচলের পথে বাধার সৃষ্টি হয়, ফলে শ্বাস নিতে বা ফেলতে কষ্ট হয়।আমাদের শ্বাসনালি গুলি খুবই ক্ষুদ্র। ২ মিমি থেকে ৫ মিমি ব্যাস বিশিষ্ট। চারদিকে মাংশপেশি পরিবেষ্টিত। এ ক্ষুদ্র শ্বাসনালির ভেতর দিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় খুব সহজেই বাতাস আসা-যাওয়া করতে পারে। যদি কখনও এলার্জিক বা উত্তেজক কোন জিনিস শরীরে প্রবেশ করে তখন শ্বাসনালির মাংস পেশিগুলো সঙ্কুচিত হয়। ফলে শ্বাসনালি গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হয় আঠালো মিউকাসজাতীয় এবং ইনফেকশনের কারণে শ্বাসনালির ভেতরের মিউকাস আবরণী ফুলে ওঠে। ফলে শ্বাসন নিতে এবং ফেলতে কষ্ট হয়। আর মিউকাসজাতীয় আঠালো কফ উঠিয়ে ফেলার লক্ষ্যে অনবরত কাশি হতে থাকে। কখনও কখনও এই শ্বাসনালি এত সরু হয় যে, বাতাস বায়ুথলিতে পৌঁছায় না ( এল্ভিওলাই ) তখন শরীরে অক্সিজেনের অভাব হয়। এটা খুবই মারাত্মক অবস্থা। এ অবস্থা বেশিক্ষণ স্থায়ী হলে অক্সিজেনের অভাবে রোগীর মৃত্যু ঘটতে পারে। হাঁপানি যেকোনো বয়সের নারী বা পুরুষের হতে পারে। এটা শ্বাসনালির একটা প্রদাহজনিত রোগ।
কীভাবে মনে করবেন হাঁপানি হয়েছে ? বা আপনার হাঁপানি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে ইত্যাদি ঃ—
শাঁ শাঁ করে বাশির মত ফুসফুসের আওয়াজ – নিঃশ্বাস নিতে ও দিতে সমস্যা হওয়া – ( পুরাতন ব্রঙ্কাইটিস থাকলে এ সময় ঠুকরো ঠুকরো কাশ আসতে পারে ) বেশ কাশি থাকে। বিশেষ করে রাতের বেলা কাশি বেড়ে যায়।– — কফ থাকতে পারে।– অনেক সময় বুকে চাপ অনুভব হয়ে দম বন্দের মত মনে হবে – হটাত ঘুম ভেঙ্গে অস্তিরের মত শ্বাস নেওয়ার চেস্টা করা এবং সে সময় হার্টের স্পন্দন বেড়ে যাওয়া বা অনেকে চোখে ঝাপসার মত দেখে থাকেন-বুকে জমাট বাধা বা বুকে ঠান্ডা লাগা। পারে। । শারীরিক কর্মকাণ্ড করার ক্ষমতা হ্রাস পায়। কিছুক্ষন হাঁটলে বা সিঁড়ি দিয়ে উঠা নামা করলে শ্বাস কষ্ট শুরু হয়। পর দেখবেন -উপশমকারী ওষুধের পরিমাণ বাড়িয়ে চলছেন এবং ইনহেলার দ্বারা উপশম ৩-৪ ঘণ্টার বেশি হয়না। রাতে শ্বাসকষ্টে ঘুম ভেঙে যাওয়া। স্বাভাবিক কাজকর্মে শ্বাসকষ্ট হওয়া। পিক ফ্লো ধীরে ধীরে কমাতে থাকা । এসব উপসর্গের উপস্থিতি মানে আপনার হাঁপানি তে আক্রান্ত –।মারাত্মকভাবে আক্রান্ত কি না বুঝবেন কীভাবে? যখন উপশমকারী ইনহেলার ব্যবহার করে ৫-১০ মিনিটের ভেতর শ্বাসকষ্ট লাঘব হচ্ছে না তখন বুঝতে হবে আপনার হাঁপানি মারাত্মক অবস্থা ধারণ করতে যাচ্ছে। হা পরবর্তীতে মারাত্মক আকারে আক্রমণ কি ভাবে বুজবেন – যদি আপনি ইনহেলার ব্যাবহার করার ১০/১৫ মিনিট পর ও দেখেন কমতেছেনা তা হলে দেরি না করে আপনার চিকিৎসক কে ডাকা উচিৎ – অথবা যদি আপনার ঘরে নেভুলাইজার মেশিন থাকে তা হলে দেরি না করে তার বেবস্তা করা -( স্হায়ী পুরাতন হাঁপানি চিকিৎসার জন্যঃ উপশমকারী ইনহেলার কোনো উপকারই করে না। এমনকি বাধাদানকারী ইনহেলারও তার শ্বাসকষ্ট নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে না। এসব রোগীর জন্য প্রয়োজন নিয়মিত অধিকমাত্রায় উপশমকারী ওষুধ ব্যবহার করা। আর তা সম্ভব শুধু নেবুলাইজার দ্বারা। অধিকমাত্রায় বাধাদানকারী ওষুধ শ্বাসে নেয়ার জন্য নেবুলাইজার অপরিহার্য। ) মারাত্মক জটিল এজমা হতে পারে। স্থায়ী পুরনো এজমায় পরিবর্তন থেকে। স্থায়ী পুরনো এজমা থেকে হার্টফেইলুর হয়ে পানি আসতে পারে এবং রোগী শয্যাশায়ী হয়ে যেতে পারে। শরীরে সবসময় অক্সিজেন কম থাকতে পারে। তাই সবসময় অবসাদগ্রস্ত মনে হবে। অক্সিজেনের অভাবে স্মৃতিশক্তি কমতে থাকে এবং অকালে নিজেকে বৃদ্ধদের মতো দুর্বল মনে হবে। ফুসফুসের অংশ বিশেষ চুপসে যেতে পারে। নিউমোনিয়াও হতে পারে। পায়ে পানি আসতে পারে। মুখ থেকে ছিটেফোঁটা রক্ত বেরিয়ে আসতে পারে। এ ক্ষেত্রে কাশি বন্ধ করার ওষুধটা দেয়া জরুরি। মনে রাখবেন ৭৫% রোগীর এজমা রাত ২ টা থেকে ৪ টার ভিতরেই আক্রমনের সম্বাভনা বেশী থাকে –
হাঁপানি কেন হয় বা কীভাবে হতে পারে ও লক্কন সমূহ ঃ– ( মনে রাখবেন হাঁপানি ছোঁয়াচে রোগ নয়। পারিবারিক বা বংশগতভাবে হাঁপানি হতে পারে। তবে শিশুদের মায়ের বুকের দুধ খেয়ে এজমায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা নেই। মার সংস্পর্শ থেকেও হওয়ার আশঙ্কা নেই। তবে বতমান গবেষণায় দেখা গেছে জেনেটিকেলি ছলের চাইতে মেয়েদের হাঁপানি বেশী হয়ে থাকে )-হাঁপানি যেকোনো বয়সেই হতে পারে। তবে এটি সংক্রামক বা ছোঁয়াচে নয়। প্রদাহজনিত কারণে শ্বাসনালির সংবেদনশীলতা বেড়ে যায়। ফলে ঘন ঘন কাশি, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, আওয়াজ, বুকে চাপ বা দম নিতে কষ্ট হওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। যদি প্রথমেই সঠিকভাবে উপযুক্ত চিকিৎসা না নেওয়া হয়, তাহলে এ রোগের থেকে অনেক দিন পর্যন্ত রেহাই পেতে পারেন । হাঁপানির সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি। এ রোগের জন্য কোনো কিছুকে এককভাবে দায়ী করা যায় না। গবেষণায় দেখা গেছে, কারও কারও বংশগত কারণে বা পরিবেশগত কারণেও এ রোগ হতে পারে। কারও নিকটাত্মীয় যদি এতে আক্রান্ত থাকে বা কেউ যদি বিভিন্ন দ্রব্যের প্রতি অতিমাত্রায় অ্যালার্জিক হয়, তাহলে তার হাঁপানি হতে পারে। এ ছাড়া শ্বাসনালি যদি অতিমাত্রায় সংবেদনশীল হয়, এ রোগ হতে পারে। – ধুলোবালির মধ্যে থাকা মাইট নামের ক্ষুদ্র কীট, ফুলের পরাগরেণু থেকে; পশুপাখির পালক, ছত্রাক, মল্ট, ইস্ট, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সিগারেটের ধোঁয়ার মধ্যে যারা থাকে তাদের এ রোগ হতে পারে। (প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ধূমপান শুধু শ্বাসকষ্টের কারণই নয়, বরং অনেক ক্ষেত্রেই এটা হাঁপানির তীব্রতা বাড়িয়ে দেয়। হাঁপানির ওষুধের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়, কখনো কখনো ফুসফুসের দীর্ঘস্থায়ী কার্যক্ষমতাও কমে যায়। ) আবার পেশাগত কারণেও এ রোগটি হতে পারে। কিছু উত্তেজক উপাদান অনেক সময় সংবেদনশীল রোগীর শ্বাসকষ্ট শুরু করতে পারে- কোনো কোনো ওষুধ, যেমন বিটা ব্লকার, যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহৃত হয়, এনএসএআইডি (ব্যথা নিরাময়কারী ওষুধ) এসপিরিন কোনো কোনো ক্ষেত্রে হাঁপানির কারণ হতে পারে। এ ছাড়া মানসিক চাপে থাকলে হাঁপানির তীব্রতা বেড়ে যেতে পারে। কোনো কোনো খাবারের প্রতি সংবেদনশীল বা চিংড়ি মাছ, হাঁসের ডিম, গরুর মাংস, বেগুন, পুঁইশাক, মিষ্টিকুমড়া, ইলিশ মাছ প্রভৃতি খেলে চুলকায়, নাক দিয়ে পানি পড়ে কারও কারও-অর্থাৎ অ্যালার্জি বেড়ে হাঁপানি হতে পার তবে খাবারের মাধ্যমে যে অ্যালার্জি হয় তাতে খুব কম লোকের অ্যালার্জি বা শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। কারও কারও বিভিন্ন সুগন্ধি, মশার কয়েল বা কারও কারও কীটনাশকের গন্ধ থেকেও শ্বাসকষ্ট বেড়ে হাঁপানি হতে পারে – ( ব্রঙ্কিয়েল সিস্টেমে )বায়ুপথে প্রদাহ হয়ে বা ক্রনিক প্রদাহজনিত বৈকল্য হলো হাঁপানি হতে পারে তবে এই প্রদাহ জনিত হাঁপানি মারাত্মক আকার ও ধারন করত্তে পারে ।( কারন বায়ুপথগুলো তখন হয়ে ওঠে প্রচণ্ড সংবেদনশীল। বায়ুপথ হয় রুদ্ধ, বায়ু চলাচল হয় খুবই কম। বায়ুপথের একটি অংশ ক্লোমনালি হয় সংকুচিত, শ্লেষ্মা জমে পথ হয় রুদ্ধ, প্রদাহ তখন একে আরও জটিল করে তোলে। বিভিন্ন ঝুঁকি-উপাদানের মুখোমুখি রোগ হয়ে ওঠে প্রবল। ), পুরাতন বা নতুন নিউমোনিয়া জনিত কারণে ও হতে পারে স্খূলতা বা মেদ ভুড়ি বেড়ে গেলে ও হতে পারে – গর্ভ বতির বেলায় ও হতে পারে – মোট কথায় শ্বাস নালির ভিতিরের নালি সমূহ যে কোন কারণে বাতাস আদা প্রধান করতে ব্যাঘাত ঘটলেই তা হওয়ার সম্বাভনা – তাই প্রাথমিক অবস্তায় কারন অনুসন্দান করে সঠিক চিকিৎসা করলে এই অসুখ পূর্ণ ভাল হওয়ার কথা – তবে এলারজি জনিত হাঁপানি সব সময় নির্মূল করা যায় না – বা করা যাবে ও না যদি ও বাজারে এর জন্য ভ্যাকসিন আছে , তবে দীর্ঘ দিন মুক্তি থাকা সম্বভ – – মহলাদের হরমুন গত সমসসার কারণে ও হতে পারে ইত্যাদি ( । Hyperreactive Response/ Inflammatory Response/Environmental Factors (Irritants/Hormonal fluctuations or changes in hormone /Race and Ethnicity/Obesity/GERD ) অর্থাৎ ঃ- ১- অ্যালার্জি জনিত ২- ফুসফুসের প্রদাহ বা ইনফেকশন জনিত ৩- আবহাওয়া জনিত ৪- হরমুন জনিত ৫- ভিবিন্ন ঔষধ জনিত ৬- পরিপাক তন্ত্রের অসুখে ইত্যাদি ——- কিন্তু ৬৫% মানুষের এলারজি জনিত জনিত কারনেই হাঁপানি হয়ে থাকে —- এশির ভাগ কেত্রে ছোট বাচ্চাদের একটু বেশী হয় – এ ছাড়া বয়স্কদের বেলায় ও দেখা যায় । তার কারন তখন শরীরের এন্টিবডি কমতা কমে যায় বলে মনে করা হয় ( বাচ্চাদের কেন এত বেশি: ঃ আসলে বড়দের তুলনায় বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটা কম। তাই তাদের বারবার রেসপিরেটরি ট্রাক্টের সংক্রামণজনিত কারণে সর্দিকাশি হওয়ার প্রবণতা বেশি। কিছু কিছু শিশুর রেসপিরেটরি ট্রাক্টের সংক্রমণের ফলে শ্বাসনালিগুলোয় হাইপার ইরিটেবিনিটি দেখা দেয় অর্থাৎ অতিমাত্রায় সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। ক্রনিক ইনফ্লামেশনের ফলে বাইরে থেকে কোনো কিছু (ঠা-া, মাইট, ধুলো, ফুলের রেণু ইত্যাদি) শ্বাসনালিতে ঢুকলেই শুরু হয় সংকোচন আর এর ফলস্বরূপ হাঁপানির সুত্রপাত -আগে ধারণা ছিল অ্যাজমা একবার হলে আর সারে না। কিন্তু বর্তমানে চিকিৎসা ব্যবস্থার যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। প্রথমদিকে ধরা পড়লে অ্যালার্জিজনিত অ্যাজমা রোগ একেবারে সারিয়ে তোলা সম্ভব। অবহেলা করলে এবং রোগ অনেকদিন ধরে চলতে থাকলে নিরাময় করা কঠিন হয়ে পড়ে।এজমা নিয়ন্ত্রণে না থাকলে কি বিপদ হতে পারে? বর্তমানে অ্যালার্জিজনিত অ্যাজমা রোগের ভ্যাকসিনসহ উন্নত চিকিৎসা আছে )
প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা কি?— আমার অনুরুধ থাকবে যদি আর্থিক অবস্তা ভাল থাকে তা হলে স্কিন প্রিক টেস্ট করালে সবচেয়ে ভাল । কারন যেহেতু এলারজি জাতীয় হাঁপানি রোগীর সংখ্যা বেশী তাই বললাম – এ ছাড়া কোন ধরনের খাদ্য খেলে আপনার হাঁপানি ও এলারজি বাড়বে তা ও জেনে নিলেন = যার কারণে সেই হিসাবে আপনি প্রায় অর্ধেক অসুখ মুক্ত হয়ে গেলেন —
বুকের এক্সরে পরিক্কা , রক্ত পরীক্ষা বিশেষত – ইয়োসিনোফিলের মাত্রা বেশি আছে কি না তা দেখা। সিরাম আইজিইয়ের মাত্রা সাধারণত এজমা রোগীদের ক্ষেত্রে আইজিইয়ের মাত্রা বেশি থাকে। ( Arterial blood gases
Mild: pH, PaO2, PaCO2 normal; forced vital capacity (FVC) 80% of normal Moderate: pH increased; PaO2, PaCO2 decreased; FVC 50% of normal Severe: pH, PaO2 decreased; PaCO2 increased; FVC 25% of normal —Sputum
Increased viscosity, plugs Complete blood count
Increased Hct, eosinophilia ) — স্পাইরোমেট্রি বা ফুসফুসের ক্ষমতা দেখা : এ পরীক্ষা করে রোগীর ফুসফুসের অবস্থা সম্পর্কে সঠিক ধারণা করা যায়। ( Lung function as measured by FEV1 and FEV1/FVC, measured with pulmonary function testing at the doctor’s office ) ইত্যাদি
এজমার জরুরি প্রাথমিক চিকিৎসা?:—-উপশমকারী ওষুধ ৫-১০ মিনিট পর আবার নিতে হবে। নিজেকে শান্ত রাখুন, স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে চেষ্টা করুন। যেভাবে বসলে আরাম লাগে সেভাবে বসুন। আপনার হাত হাঁটুর ওপরে রাখুন, যাতে সোজা হয়ে বসে থাকতে পারে। শ্বাস তাড়াহুড়া করে নেবেন না, তাড়াহুড়া করে শ্বাস নিলে অবসাদগ্রস্ত হয়ে যাবেন। যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তার বা সাহায্যকারীর শরণাপন্ন হওয়া উচিৎ -মনে রাখবেন সঠিক চিকিৎসা ও ওষুধের ব্যবহারের মাধ্যমে হাঁপানি নিয়ন্ত্রণ না করলে বয়স বাড়ার সাথে সাথে ফুসফুসের কর্মক্ষমতা হ্রাস পাবে এবং অকেজো হবে । শিশুদের হাঁপানির ঠিকমতো চিকিৎসা না করালে বৃদ্ধি ব্যাহত হয় এবং মায়েদের বেলায় গর্ভস্থ ভ্রূণের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। –
( চিকিৎসক আসার পর আপনার যা করনিয় ঃ প্রথমে চিকিৎসক কে সব কিছুর হিস্টোরি জানাতে অবশ্যই সহায়তা করতে হবে -অর্থাৎ চিকিৎসক কে বুজতে হবে আপনার কোন কারণে এই হাঁপানি হইতেছে — বিশেশ করে চিকিসকের যা জানার দরকার হতে পারে ঃ কোন ধরনের ভ্যাকসিন দেওয়া আছে কি না – অ্যালার্জি, পুরাতন নিউমোনিয়া , শ্বাস তন্ত্রের কোন প্রকারের প্রদাহ ছিল কি না – পেট ফাপা জাতীয় অসুখ ইত্যাদি তখন সহজেই আপনার অসুখের মুল কারন বেরিয়ে আসবে এবং তাড়া তাড়ি সুস্থ হওয়ার সম্বাভনা বেশী থাকবে ( Hyperreactive Response/ Inflammatory Response/Environmental Factors (Irritants/Hormonal fluctuations or changes in hormone /Race and Ethnicity/Obesity/GERD/ড্রুগস / ইত্যাদি ) ))
প্রধানত শুধু মাত্র হাপানির জন্য চিকিৎসকরা দুপ্রকারের ওষুধ দিয়া থাকেন যা অনেক সময় হাঁপানি প্রতিরোধক হিসেবে ও কাজ করে:—(১)অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি ওষুধসমূহ ঃ ( প্রদাহ জনিত ) – এসব ওষুধ শ্বাসনালির প্রদাহ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে হাঁপানি প্রতিরোধ করে। এই শ্রেণীর বহুল ব্যবহৃত বুসোনাইড, ক্লোমিথাসেন, ফ্লুটিকাসোন ইত্যাদি। (২)ব্রঙ্কোডাইলেটর বা শ্বাসনালি প্রসারক :ব্রঙ্কোডাইলেটরসমূহ উপশমকারক হিসেবে কাজ করে। ব্রঙ্কোডাইলেটরসমূহ শ্বাসনালিকে দ্রুত প্রসারিত করে ফলে ফুসফুসে সহজে বায়ু চলাচল করতে পারে এবং এর মাধ্যমে হাঁপানি আক্রান্ত রোগীর উপসর্গসমূহ দ্রুত উপশম হয়। যেমন ভেন্টলিন ( Albutero ) বা নতুন হিসাবে খুভি ভাল Levalbuterol (Xopenex ) ইত্যাদি কিন্তু ইহা ক্ষণস্থায়ী ব্রঙ্কোডাইলেটর তবে দীর্ঘ স্তায়ি হিসাবে চিকিৎসকরা ব্যামবিউটামল ( থিওফাইলিনের বিকল্প হিসাবে কারন ইহা ঘুমের ইহা ঘুমের ব্যাঘাত সহ আলসার বা হার্টের রুগিকে ব্যাবহার খুভি মারাত্মক তাই ) ) ব্যাবহার করে থাকেন – এবং সেই সাথে ইনহেলার দিয়ে থাকেন বিশেষ করে করটিকস্টারয়েড জাতীয় ( ডেক্সমেথাসন বা ঐ জাতীয় ) কারন এ জাতীয় ঔষধ টেব্লেট হিসাবে ব্যাবহার করতে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশই দরকার – তা ছাড়া Levalbuterol (Xopenex) /Oral (Systemic) Corticosteroids/As with other anti-inflammatory ঔষধ হিসাবে ব্যাবহার করা হয় -তবে অনেক কেত্রে মুখ , জিহবা খাদ্যনালি ইত্তাদিতে যাহাতে প্রদাহ না করতে পারে সে জন্য চিকিৎসকরা সাথে সাপ্লিমেন্ট হিসাবে ক্যালসিয়াম দিয়ে থাকেন -যেহেতু লং টার্মের অসুখ তাই এ কেত্রে Omalizuma সবচেয়ে ভাল – সিরিয়াস কেত্রে অবশ্যই নেভুলাইজার মেশিনের ব্যাবহার করতেই হবে – যা আজকাল বাড়িতে বসে নিজে করতে পারবেন স্বাস্থ্য সম্মন্দে যাদের একটু অভিজ্জতা আছে তাদের সাহায্য নিয়ে ।
হারবাল ঃ– Western method : Coleus forskohlii ( Viridian Coleus Forskohlii Root Tablets ) / ylophora (Tylophora indica, 250 mg one to three times per day ) ycnogenol (Pinus pinaster, 1 mg per pound of body weight, up to 200 mg)
Asian method : ( মনে রাখবেন চেস্টা করবেন ভাল নামি ব্যান্ডের কোম্পানির ঔষধ কেনার জন্য কারন গুনগত মানের জন্য বলছি – আমাদের দেশে হারবাল পধতি এখন ও অনেক পিছিয়ে আছেদ উন্নত দেশের চাইতে বিশেষ করে ঔষধ মেনুফেকচারিঙ্গের বেলায় ) BHI Asthma 100 TAB ( খুভি ভাল এলারজি জাতীয় হাপানির জন্য ) , Dr. Klear’s Inhaler Lung Cleaner – ( ইনহেলার হিসাবে দীর্ঘ স্তায়ি ) ড্রপ Heel Inc Sinusin , Bronchitis & Asthma Aide, 100 সিরাপ হিসাবে , Levocetrizine 5 mg টেব্লেট হিসাবে – ARA tablets:/Triphala Capsules হিসবে ব্যাবহার করে দেখতে পারেন – যা এফ ডি আই কৃতক অনুমূদিত –
আকুপাংচার ঃ হাপানির বেলায় এখন ও অনুমুদিত হয় নাই — তবে শ্বাস নালি সমহের ডায়লেশনের সহায়ক হিসাবে কিছু ভাল ফল মিলে –
অ্যাজমা প্রতিরোধের উপায় ও কিছু উপদেশ ঃ ( সংগৃহীত, বাংলাদেশ এজমা সোসাইটি ও সুনাম ধন্য চিকিৎসকদের লিখা থেকে )
**ভিটামিন–এ জাতীয় খাবার যেমন, কলিজা ও গাজর খাবেন। সবুজ শাকসবজি বিশেষ করে পালং শাক ও মধু অ্যাজমার জন্য উপকারি। তাই এগুলো বেশি খাবেন *** বেশী করে পেট ভরতি খাবার খাবেন না *** ঘুমানুর বালিশ যেন অন্তত ৬ ইঞ্চি উচু হয় ** অ্যালার্জিকারক বস্তু এড়িয়ে চলা। যেমনঃ ধুলো, বালি, ঘরের ঝুল, ধোঁয়া, ঝাঁঝালো গন্ধ ইত্যাদি থেকে দূরে থাকা। ** ঘর বাড়িকে ধুলাবালু মুক্ত রাখার চেষ্টা করা। এ জন্য দৈনিক অন্তত একবার ঘরের মেঝে, আসবাবপত্র, ভিজা কাপড় দিয়ে মুছতে হবে। অথবা ভ্যাকিউম ক্লিনার ব্যবহার করা। ** ঘরে কার্পেট না রাখা। **. বালিশ, তোষক, ম্যাট্রেসে তুলা ব্যবহার না করে স্পঞ্জ ব্যবহার করা। **শীতকালে যথাসম্ভব গরম পানিতে ওজু-গোসল করা। **** ধূমপান না করা। *****যেসব খাবারে অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে তা পরিহার করে চলা। ****. ঠাণ্ডা খাবার, আইসক্রিম ইত্যাদি না খাওয়া। ***মানসিক চাপ, উৎকণ্ঠা, দুশ্চিন্তাকে ইতিবাচক মনোভাবে মানিয়ে চলা। কিংবা মানসিক চাপের কারণকে এড়িয়ে চলা। *** . পেশাগত কারণে অ্যাজমা লে চেষ্টা করতে হবে স্থান বা পেশা পরিবর্তনের। *** পরিশ্রম বা খেলাধুলার কারণে শ্বাসকষ্ট বাড়লে চেষ্টা করতে হবে পরিশ্রমের কাজ পরিহার করা। ***. সব সময় ইতিবাচক চিন্তা করা। ইতিবাচক মন আপনাকে ভালো থাকতে সাহায্য করবে। ***. পরাগ রেণু পরিহারে সকাল-সন্ধ্যা বাগান এলাকায় বা শস্য ক্ষেতের কাছে না যাওয়া। ***. পরাগ রেণু এলাকা থেকে বাসায় ফিরে মাথার চুল ও কাপড় ধুয়ে ফেলা। ****. কুকুর-বিড়াল বাগান থেকে পরাগ রেণু বহন করতে পারে। এ জন্য নিয়মিত কুকুর-বিড়ালকে গোসল করানো প্রয়োজন। ****হাঁপানি যেকোনো বয়সের নারী বা পুরুষের হতে পারে। এটা শ্বাসনালির একটা প্রদাহজনিত রোগ।***বিছানা-বালিশ সপ্তাহান্তে পরিষ্কার রাখা***** ধূমপান থকে বিরিত থাকা এবং ধূমপায়ীদের কাছ থেকে দূরে থকা
সকলের যা মনে রাখতে হবে যে-ঃ *ব্রঙ্কিয়াল এজমা সম্পূর্ণরূপে নিরাময় করা সম্ভব নয়। তাই এ ক্ষেত্রে “Prevention is better than cure অর্থাৎ নিরাময় অপেক্ষা প্রতিরোধই শ্রেয়”- এই পন্থা অবলম্বন করতে হয়। এ রোগটির প্রাদুর্ভাব দিন দিন বেড়েই চলেছে। এটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে অন্য দশজনের মত স্বভাবিক জীবন জাপন করা যায়। তাই রোগটি সম্পর্কে মোটামুটি কিছু ধারনা নেয়া, নিয়ন্ত্রণের জন্য সচেতন হওয়ার পাশাপাশি প্রতিরোধের জন্য ব্যবস্থা নেয়া জরুরী।****এজমার ওষুধ হঠাৎ বন্ধ করা মোটেই ঠিক নয়। এ রোগটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে চিকিৎসকের পরামর্শমত নিয়মিত ওষুধ সেবন করতে হবে। অনেকেই ইনহেলার নিতে ভয় পান। কিন্তু মনে রাখবেন, মুখে খাওয়া ওষুধের পাশাপাশি প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে নিয়মিত ইনহেলার নিয়াই উত্তম। দেখা গেছে এতে করে একজন ক্রনিক এজমা রোগীও উপসর্গ মুক্ত থেকে ভালভাবে জীবন কাটাতে পারেন। কারো এলার্জিক রাইনাইটিস থাকলে নাসিকা ঝিল্লির প্রদাহ হয়। ফলশ্রুতিতে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। এ ধরনের রোগীর ক্ষেত্রে নাকে ব্যবহৃত বিশেষ স্প্রে নিলে ভাল ফল পাওয়া যায়।****এজমা রোগীদের মধ্যে যাদের কোল্ড এলার্জি আছে তাদের জন্য খুব ঠান্ডা খাবার না খেয়ে তা নরমাল করে খাওয়াই ভাল। তাছাড়া যেসব জিনিসে এলার্জি হয় সেগুলো এভয়েট করাই শ্রেয়। বেগুন, চিংড়িমাছ, গরুর মাংস এমনকি অনেকের ক্ষেত্রে মিষ্টিকুমড়া, পুঁইশাক, ছিম ইত্যাদি ****আমাদের চারপাশের পরিবেশ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে এলার্জি জনিত শ্বাসকষ্ট অনেকটাই প্রতিরোধ করা যায়। তবে ধুলো-বালি ও ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না হলে ফিল্টার মাস্ক ব্যবহার করে এ অবস্থা থেকে অনেকটা মুক্তি পাওয়া সম্ভব। ধুমপান অবশ্যই পরিহার করতে হবে। **শীতের শুরুতে পশমী কম্বল ইত্যাদি ওয়াশ করে নিতে হবে এবং লেপ, কম্বল ও বালিশে মোটা সুতির কাভার ব্যবহার করতে হবে। সকালে ও রাতে বিছানা ছেড়ে লেপ/ কম্বল থেকে বের হবার সময় গায়ে গরম কাপড় দিতে হবে। গরমের সময় ঘামে ভেজা কাপড় গায়ে শুকানোর আগেই বদলে নিতে হবে। **ঘরে যাতে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস প্রবেশ করতে পারে সেদিকে নজর দিতে হবে। অপ্রয়োজনীয় কাপড়-চোপড়, জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলতে হবে ও ঘরের আসবাবপত্র ধুলামুক্ত ও পরিষ্কার রাখতে হবে। শোবার ঘর থেকে পশমী কার্পেট সরিয়ে রাখতে হবে। বসার ঘরের কার্পেট ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। বাক্স-পেটরা ও পুরানো কাপড়-চোপড় রাখার স্থান পাতলা প্লাস্টিকের কাভার দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।***এজমা রোগীদের জন্য বিশেষ কিছু ওষুধ যেমন উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত বিটা-ব্লকার গ্রুপের প্রপানোলল, এটেনোলল ইত্যাদি বর্জন করা চাই। জ্বর বা ব্যথা কমানোর জন্য প্যারাসিটামল, ডিসপ্রিন ইত্যাদি খেলেও এ ধরনের রোগীদের কারো কারো ক্ষেত্রে উপসর্গ বেড়ে যেতে পারে। কাজেই এগুলো খাবার ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করাই ভাল।****এজমা রোগটি নিয়ন্ত্রণে রাখা না গেলে রোগী খুবই কষ্ট পান। বৃদ্ধ ও শিশুদের বেলায় এটি হঠাৎ করেই মারাত্মক আকার ধারন করতে পারে। তাই কোন পরিবারে এ ধরনের রোগী থাকলে জরুরী অবস্থা সামলে সেবার জন্য বিশেষ কিছু ব্যবস্থা হিসেবে বাসায় স্পেসার, নেবুলাইজার এবং প্রয়োজনে পোর্টেবেল অক্সিজেন সিলিন্ডার রাখতে হবে। শ্বাসকষ্ট কিছুতেই না কমলে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে। ( ধন্যবাদ ) English version next pages pls
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন