রবিবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৯
হাপানী বা ব্রংকিয়াল এস্থমা
ইহা এক ধরনের শারীরিক অসুস্থতা যার বৈশিষ্ট্য হলো
শ্বাসপথের কোষকলায় দীর্ঘ সময় স্থায়ী প্রদাহ ও
শ্বাসনালীর বিভিন্ন অংশের ঝিল্লীর বৃদ্ধিপ্রাপ্ত সংবেদন শীলতা এবং
মাঝারী ও ক্ষুদ্র শ্বাসনালীগুলোর মসৃন মাংসপেশী সমুহের বৃদ্ধিপ্রাপ্ত সংকোচন প্রবনতা।
কিভাবে কোন্ উপসর্গ এবং লক্ষণ সুষ্টি হয়?
বিশ্বাস করা হয় শ্বাসনালী বা শ্বাসপথের এই প্রদাহ জনিত কারনেই এস্থমা রোগীর সৃষ্টি হয়:-
01. শ্বাসকষ্টের কারক অবস্থা সমূহ;
02. হুইজ বা রংকাই হওয়ার কারন সমূহ;
03. পূনঃ পুনঃ কাঁশী সৃষ্টি হওয়ার কারন সমূহ।
এগুলোর কারনে সৃষ্টি হয়ে থাকে নিচের উপসর্গ এবং লক্ষন গুলো; যেমন
(১) ►কফ সহ কাঁশী:-শ্বাসনালী পরিস্কার করার কেন্দ্রিক প্রবনতা হেতু কাশীর সৃষ্টি হয় এবং এতে আঠাঁলো সাদা* কফ বের হয়, (কাশী রাতে বেশী হয়, কাশীর সময় গরম বোধ হয়)।
(২) ►হুইজ:-প্রশ্বাসের সাথে সাথে বাঁশীর শব্দের মতো অগনিত শব্দ, যা সহজে শোনা যায়।
(৩) ►চেষ্ট টাইটনেস:- বুকে চাপ অনুভব করা; যতে বুক ফুলানোর ক্ষমতা কম অনুভব করা, (৪) ►ডিস্পনিয়া:- শ্বাসের কষ্ট অনুভব করা।
এস্থমা রোগীর শ্বাসকষ্টের কারক অবস্থা সমূহ
১. শ্বাসনালীর আভ্যান্তরিন ঝিল্লি ফুলে যায় ও তা থেকে অতিরিক্ত আঠালো মিউকাস নিঃসরন হওয়া,
২. শ্বাসনালীর মসৃন মাংসেপেশী সমূহের সংকোচন শীলতা বেড়ে যাওয়া ও
৩. উপোরক্ত কারনে শ্বাসপথে বাতাস চলাচলে বাধা সৃষ্টি হওয়া।
এস্থমা রোগীর হুইজ বা রংকাই হওয়ার কারন সমূহ
৪. শ্বাসনালীর মসৃন মাংসপেশী সমুহের বৃদ্ধিপ্রাপ্ত সংবেদন শীলতা এবং সংকুচিত শ্বাসপথে বাধাপ্রাপ্ত বাতাস চলাচলের ফলে সৃষ্টি হয়
(২) হুইজ:- শীষের মতো বাঁশীর শব্দ যা স্টেথোস্কোপ ছাড়া শোনা যায়;
(৩) রংকাই:-যা বুক ও পিঠের উপরে স্টেথোস্কোপ এর সাহায্যে শোনা যায়।
এস্থমা রোগীর পূনঃ পুনঃ কাঁশী সৃষ্টি হওয়ার কারন সমূহ
Ø শ্বাসনালীর আভ্যান্তরিন ঝিল্লির অতিরিক্ত সংবেদনশীলতা ও ঐ কারনে সৃষ্ট শ্বাসনালীর আভ্যান্তরিন ঝিল্লি থেকে অতিরিক্ত নিঃসরন (সাদা আঁঠালো কফ) পরিস্কার করার তাগিদে পূনঃপুনঃ কাঁশী সৃষ্টি হয়।
Ø ইহাছাড়াও জীবানু সংক্রমন এবং সংকুচিত শ্বাসনালীতে বাতাস চলাচলের কারনে কাশী সৃষ্টি হয়।
উপরোক্ত বিশ্লেষন থেকে উহা অনুমিত হওয়া স্বাভাবিক যে
ð ব্রংকিয়াল এস্থমা রোগীর ব্যবস্থাপনায় মূল লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য হবে
► শ্বাসকষ্টের কারনে যেন রোগীর জীবন কোন সময় ঝুকি পূর্ন না হয়;
► শ্বাসকষ্টের কারনে যেন রোগী কর্মক্ষমতা না কমে এবং কর্মঘন্টা না হারায়;
►দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহের কারনে যেন রোগীর শ্বাসনালী-পথের এবং শ্বাসকলার বৈকল্য না আসে;
►রোগী যেন স্বল্পস্থায়ী বা দীর্ঘ স্থায়ী অক্সিজেন কমতিতে না ভুগে।
ðএবং তাই মূলবিবেচ্য বিষয় হবে
Ø ’’ব্রংকিয়াল এস্থমা রোগীর’’ অবস্থার যথাযত মুল্যায়ন করে (স্কোরিং)
Ø শ্বাসনালীর এই অতিরিক্ত সংবেদনশীলতার যথাযত নিয়ন্ত্রন এবং কমানো ও
Ø শ্বাসনালীর সংকোচন-শীলতা প্রতিরোধ করে প্রসারনশীলতা বাড়া
গর্ভাবস্থায় পানি ভাঙা ও করণীয়
গর্ভাবস্থায় পানি ভাঙা ও করণীয়
সাধারণত অ্যামনিওটিক মেমব্রেন রাপচার বা পানি ভাঙার ঘটনা হয় লেবার পেইন ওঠার পর। কোনো কারণে যদি এর আগেই মেমব্রেন রাপচার হয়ে অ্যামনিওটিক ফ্লুইড বা গর্ভস্থ পানি বের হয়ে যায়, তবে তাকে প্রিম্যাচিওর রাপচার অব মেমব্রেন বলে। এটি গর্ভাবস্থায় একটি সাধারণ সমস্যা, যা নিয়ে অনেকে শঙ্কিত থাকেন।
ভুলগুলো
গর্ভাবস্থায় কানো কারণে মাসিকের রাস্তা দিয়ে যদি অতিরিক্ত পানি বের হয়, তবে বেশির ভাগ গর্ভবতী নারী ধরে নেন, এটা বাচ্চার পানি—অর্থাৎ অ্যামনিওটিক ফ্লুইড। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এ রকম ধারণা ভুল হতে পারে। অনেক সময় অনেক কারণেই এমন হতে পারে। তা ছাড়া ইউরিন বা প্রস্রাব বের হলেও তা অ্যামনিওটিক ফ্লুইডের মতোই মনে হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় ভ্যাজাইনাল সিক্রেশন অনেক বেড়ে যায়। ফলে মাঝেমধ্যে এই নরমাল সিক্রেশনকেও অ্যামনিওটিক ফ্লুইড ভেবে অনেকে ভুল করে থাকেন।
পরীক্ষা
এ সময় ভালোভাবে রোগীর ইতিহাস নিলেই কিছুটা আইডিয়া করা যায় যে আসলেই মেমব্রেন রাপচার হয়েছে কি না। এটা হলে সাধারণত একসঙ্গে অনেক পানি বের হবে এবং পেটিকোট বা পরনের কাপড় ভিজে যাবে। এ ছাড়া স্পেকুলাম এক্সামিনেশনের মাধ্যমে জরায়ুর মুখ সরাসরি দেখে নিশ্চিত হওয়া যায়। কিন্তু আলট্রাসনোগ্রামের মাধ্যমে জানা যাবে অ্যামনিওটিক ফ্লুইড কতটা আছে। মেমব্রেন রাপচার হয়েছে কি না এ সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য মিলবে না।
ফলাফল
গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে এমনটি হয়ে থাকলে একে সাধারণত অ্যাবরশন হিসেবেই ধরা হয়। আর যদি বাচ্চা ম্যাচিওর হতে কিছুদিন বাকি থাকে, তবে রোগীকে হাসপাতালে বেড রেস্টে রেখে বাচ্চার ম্যাচিওরিটি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। আর এর মধ্যেই লেবার পেইন বা ইনফেকশনের কোনো লক্ষণ দেখা গেলে সেই গর্ভাবস্থা আর নিয়মিত করা সম্ভব হয় না। গর্ভাবস্থার শেষ দিকে পানি ভাঙলে মাকে ২৪ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে লেবার পেইন উঠে যায়। যদি পেইন না থাকে, তবে ইন্ডাকশন (ওষুধের মাধ্যমে লেবার পেইন শুরু) করাও সম্ভব।
সতর্কতা
গর্ভাবস্থায় অ্যামনিওটিক ফ্লুইড রাপচার বা পানি ভাঙা একটি জরুরি সমস্যা। কারণ এই মেমব্রেন গর্ভস্থ বাচ্চাকে বাইরের জীবাণু থেকে রক্ষা করে। তাই মেমব্রেন রাপচার হলে রোগীকে জীবাণুমুক্ত প্যাড ব্যবহার করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হয়, অ্যান্টিবায়োটিক শুরু করা হয়। একই সঙ্গে অ্যামনিওটিক ফ্লুইড এবং প্রস্রাব পরীক্ষা করে দেখা হয় কোনো ইনফেকশনের লক্ষণ আছে কি না। কারণ বিভিন্ন ইনফেকশনের কারণেও মেমব্রেন রাপচার হতে পারে।
তাই পানি ভাঙার লক্ষণ দেখা দিলেই গর্ভবতী নারীদের উচিত অনতিবিলম্বে নিকটস্থ চিকিৎসককে অবহিত করা।
বর্ষায় শ্বাসরোগ
বর্ষায় শ্বাসরোগ
গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহের পর বহুপ্রতীক্ষিত বর্ষা স্বভাবতই আমাদের মনকে আনন্দে ভরিয়ে দেয়। কিন্তু এই আনন্দের মধ্যেও দুঃসংবাদ হলো, এই বৃষ্টি কিছু শ্বাসরোগও বয়ে আনে। তাই কেউ যদি বাইরে গিয়ে হঠাৎ ঝুম বৃষ্টিতে ভিজে যান, তাহলে তিনি অ্যালার্জির রিঅ্যাকশনে পড়তে পারেন। ফলে অতিরিক্ত হাঁচি আসা, সর্দি-ঠাণ্ডায় আক্রান্ত হওয়া ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। তখন এসব উপসর্গকে খুব বেশি গুরুত্ব না দিলে সমস্যা বেড়ে গিয়ে ফুসফুসে প্রদাহ ও ইনফেকশন হতে পারে, কফ-কাশি বা নিউমোনিয়াও হতে পারে। নিউমোনিয়ার উপসর্গগুলো হচ্ছে—জ্বর, কাশি, কফ, বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, কখনো বুকে অস্বাভাবিক শব্দ ইত্যাদি। আর বয়স্কদের ক্ষেত্রে দেখা যায় খাদ্যে অরুচি, মাথা ব্যথা, দুর্বলতা, ক্লান্তি লাগা ইত্যাদি।
তা ছাড়া বর্ষার ভাপসা আবহাওয়ায় ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ বেড়ে যায়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে, বিশেষত শিশুদের অ্যাজমায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় সর্দি-কাশি। আগে থেকে শ্বাসকষ্টের রোগীদের যেকোনো সংক্রমণ হলেও উপসর্গগুলো আরো বাড়িয়ে দেয়।
ভালো থাকার উপায়
♦ বর্ষার সময় সাবধানতার সঙ্গে বাইরে যান, যাতে করে হুটহাট বৃষ্টিতে ভিজে না যান।
♦ আবহাওয়ার পূর্বাভাস সম্পর্কে জানুন।
♦ সব সময় ছাতা বা রেইনকোট সঙ্গে রাখুন।
♦ বাড়তি এক সেট জামাকাপড় সঙ্গে রাখতে পারেন।
♦ এ সময় সর্দি-হাঁচি-কাশিকে অবহেলা করবেন না। কাশির সঙ্গে হলুদ কফ দেখা গেলেই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
♦ যাঁরা আগে থেকেই শ্বাসকষ্টের রোগী (যেমন—অ্যাজমা, সিওপিডি ইত্যাদি), তাঁরা অবশ্যই নিয়মিত ওষুধ সেবন করবেন।
♦ উপসর্গ বেড়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
♦ বর্ষায় বাড়িঘর, বিছানাপত্র স্যাঁতসেঁতে হয়ে যায়, ছত্রাক বাসা বাঁধে। তাই যাঁরা অ্যাজমার রোগী তাঁরা চারপাশ পরিচ্ছন্ন ও শুকনো রাখুন।
♦ নির্দেশিত কিছু ভ্যাকসিন আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে। এ ব্যাপারে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।
দশটি সেরা ওজন কমানোর উপায়
দশটি সেরা ওজন কমানোর উপায়
যারা দেহের বাড়তি ওজন নিয়ে সমস্যায় ভুগছেন, “ওজন কমানোর উপায়” খুঁজছেন তাদের জন্য এই ব্লগটি ভীষণ কার্যকরী হবে। এই ব্লগটিতে আপনারা পাবেন সবচেয়ে কার্যকরী এবং সহজ দেহের অতিরিক্ত ওজন শুধু দৈনন্দিন জীবনে শারীরিক সমস্যাই সৃষ্টি করে না, এটি মানসিক সমস্যা সৃষ্টিরও একটি কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে আপনার জীবনে। নিচে দশটি সেরা ও সহজ ওজন কমানোর উপায় দেওয়া হল।
Push Up Exercise to Loss weight
১. Exercise Regularly To Lose Weight ( নিয়মিত ব্যায়াম করুন) :
দ্রুত ওজন কমানোর জন্য প্রতিদিন সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে হালকা ব্যায়াম করুন অথবা দৌড়ান। সকাল বেলা কম করে হলেও নিয়ম করে আধ ঘন্টা Exercise করুন। Exercise করার ক্ষেত্রে পুশ -আপ ব্যায়াম ভীষণ কার্যকরী।ব্যায়াম শরীর কে যেমন ফিট রাখে তেমনি মানসিক শান্তিও প্রদান করে।
২. লেবু জলের সাহায্যে ওজন কমানোর উপায়:
ওজন কমানোর জন্য লেবু জলের জুড়ি মেলা ভার। লেবুতে থাকে সাইট্রিক অ্যাসিড যা দেহের অতিরিক্ত ফ্যাট কমিয়ে দেয় ফলে দেহের ওজন দ্রুত কমে যায়। সকাল বেলা ব্যায়াম করা হয়ে গেলে ২০ থেকে ২৫ মিনিট বিশ্রাম করুন। এরপর একগ্লাস হালকা গরম জল নিন। এবার একটি পাতি লেবুর রস এই জলের সাথে মিশিয়ে নিন। এর পর একচামচ মধু জলের সাথে মিশিয়ে ভালো করে চামচ দিয়ে নেড়ে এই জল পান করুন। প্রতিদিন নিয়ম করে লেবুজল পান করলে খুব দ্রুতই ওজন আপনার কমবে।
৩. Lose Weight By White Part of Egg (ওজন কমাতে সকালের ব্রেকফাস্টে খান ডিম্):
লেবু জল পান করার আধ ঘন্টা পর সকালের খাবার খাবেন (সকাল ৮ টার দিকে) . সকালের খাবারে তেল জাতীয় খাবার এবং ফাস্ট ফুড এড়িয়ে চলুন। মেনুতে অবশ্যই একটি ডিম্ রাখুন। মনে রাখবেন আপনি ডিমের শুধু সাদা অংশটিই খাবেন। ডিমের কুসুম কোনভাবেই খাবেন না। ডিমের সাদা অংশে থাকে প্রোটিন যা দেহে প্রোটিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে দেহের অতিরিক্ত চর্বি জমতে বাধা দেয় , ফলে দেহের ওজন কমে। অন্য্ দিকে ডিমের কুসুমে থাকে ফ্যাট যা দেহে চর্বি তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। সেজন্য ডিমের কুসুম ভুলেও খাবেন না যারা অতিরিক্ত মোটা হয়ে যাচ্ছেন।
৪. Avoid These Food To Loose Weight (খাবারের মেনু থেকে যে খাবারগুলি বাদ দেবেন):
ওজন কমানোর জন্য খাবারের মেনু থেকে অবশ্যই মশলা জাতীয় এবং চর্বি জাতীয় খাবারগুলোকে বাদ দিতে হবে। অতিরিক্ত মসলা এবং চর্বি জাতীয় খাবার দেহে চর্বি বৃদ্ধি করে এবং দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করে। সুতরাং অতিরিক্ত তেল , মসলা এবং চর্বি জাতীয় খাবার যেমন দুধ, ঘি, আইসক্রিম, মাখন ইত্যাদি খাবার একদম এড়িয়ে চলুন।
৫. Add These Food To Your Menu To Loss Weight (যে খাবারগুলি মেনুতে এড করবেন):
ওজন কমানোর জন্য খাবারের মেনুতে রাখুন অধিক শাক সবজি। চর্বিহীন মাংস সয়াবিন , ছোটমাছ ইত্যাদি প্রোটিন জাতীয় খাবার বেশি করে খান। খাবারের মেনুতে অবশ্যই শশা, গাজর , টমেটো ইত্যাদি দিয়ে তৈরি স্যালাড রাখুন।
৬. Eat More Fruit To Lose Weight Fast (ওজন কমাতে প্রতিদিন ফল খান) :
ওজন কমাতে ফলের ভূমিকা অপরিসীম। বিভিন্ন ধরণের টক জাতীয় ফল যেমন আঙ্গুর, আপেল, কমলা লেবু, পেয়ারা, ইত্যাদি ফলে থাকে অ্যাসিড যা দেহের চর্বি কম করে। এর ফলে আপনার দেহের ওজন কমবে দ্রুত। এজন্য প্রতিদিন ২০০ থেকে ৩০০ গ্রাম ফল বা একগ্লাস ফলের জুস্ পান করুন।
৭. গ্রিন টি এর সাহায্যে ওজন কমানোর উপায় :
ওজন কমাতে গ্রিন টি এর জুড়ি মেলা ভার। গ্রিন টি ওজন কমাতে টনিকের কাজ করে। গ্রিন টি তে থাকে একটি বিশেষ ধরণের এন্টিঅক্সিডেন্ট যা দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং দেহের অতিরিক্ত ফ্যাট বার্ন আউট করে এবং ক্ষুধা কমিয়ে দেয়। স্বভাবতই খাওয়া কমে গেলে এবং দেহ থেকে অতিরিক্ত ফ্যাট কমে গেলে ওজন কমতে বাধ্য। তবে গ্রিন টি কখনোই চিনি দিয়ে তৈরি করবেন না।
৮. Avoid Rice at Night to lose Weight Fast (রাতের বেলায় ভাত একদম নয়) :
ওজন কমাতে চাইলে রাতের বেলায় ভাত একদম খাবেন না। ভাতের বদলে রুটি খান। ভাত দ্রুত ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। সুতরাং রাতের বেলায় ভাতের বদলে ২ থেকে ৩ টি রুটি খাবেন এবং বেশি করে শাক সবজি খাবেন।
৯. Fast One Day Per week To Lose Weight (সপ্তাহে একদিন উপোস থাকুন) :
আধুনিক বিজ্ঞান অনুযায়ী যারা সপ্তাহে অন্তত একদিন দিনের বেলায় ৮ থেকে ও 9 ঘন্টা না খেয়ে থাকেন বা উপোস থাকেন তাদের দেহে কখনোই মেদ জমতে পারে না। প্রাচীন আয়ুর্বেদ শাস্ত্রেও এর উল্লেখ রয়েছে। এর মূল কারণ হল আমরা যখন না খেয়ে থাকি তখন দেহে জমে থাকা চর্বি বার্ন আউট হয়ে দেহে শক্তি উৎপন্ন হয়। ফলে দেহে চর্বি জমে থাকতে পারে না এবং দেহের ওজন ও কম হয়ে যায়।
১০. ওজন কমানোর জন্য নিয়ম করে ঘুমান :
ওজন কম করতে চাইলে অতিরিক্ত ঘুম বা কম ঘুম চলবে না। কারন অতিরিক্ত বা কম ঘুম দেহের হজম শক্তির উপর প্রভাব ফেলে। ফলে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ১০ গুন্ পর্যন্ত বেড়ে যায়। রাতের বেলায় ৬ থেকে ৭ ঘন্টা ঘুমোন। কিন্তু দিনের বেলায় কখনোই ঘুমোবেন না। কারন বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে দিনের বেলায় ঘুমোলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা ১০০% পর্যন্ত বেড়ে যায়।
বিঃ দ্রঃ :
ওজন কমানোর উপায়
এর জন্য সবচেয়ে জরুরি পজিটিজ মাইন্ড এবং নিয়মিত উপরের টিপস গুলি ফলো করা , তাহলেই আপনি সফল হতে পারবেন।
Note- These weight loss tips in Bangla will be very effective if you follow all the weight loss tips and instruction carefully.
শনিবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৯
আপার বেলি ফ্যাট কারণ ও পেটের মেদ কমাতে কার্যকরী ব্যায়াম
আপার বেলি ফ্যাট কারণ ও পেটের মেদ কমাতে ৫টি কার্যকরী ব্যায়াম
যে ৫টি কারণে আপার বেলি ফ্যাট দেখা যায়
১) অস্বাস্হ্যকর খাবার
আমরা প্রত্যেকেই বিভিন্ন জাঙ্ক ফুড (Junk food) যেমন ভাজাপোড়া খাবার,ফাস্টফুড ও মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে পছন্দ করি। এসব খাবার বেশীরভাগই অস্বাস্থ্যকর। কারণ এগুলো আমাদের শরীরে ক্যালরির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। নিয়মিত জাঙ্ক ফুড ও প্রক্রিয়াজাত খাবার আমাদের বিপাক তন্ত্রের ক্রিয়া হ্রাস করে এবং উপরের পেটে মেদ জমায়।
২) শারীরিক পরিশ্রম না করা
ব্যস্ততার কারণে বা আলসেমি করে আমরা শারীরিক পরিশ্রম করিনা। বাইরে বের হলে পায়ে না হেঁটে যানবাহন ব্যবহার করি। সিঁড়ি ব্যবহার না করে দ্রুত লিফটে উঠে যাই। নিয়মিত হাঁটাচলা আর ব্যায়াম আমাদের জন্য খুব জরুরি। এতে আমাদের শরীরসহ উপরের পেট মেদ মুক্ত থাকে।
৩) দুশ্চিন্তাগ্রস্থ থাকা
আমাদের কঠিন জীবন ধারার কারণে আমরা প্রায়ই দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়ি। আর এ দুশ্চিন্তাই আমাদের উপরের পেটের চর্বি বাড়ায়। দুশ্চিন্তা আমাদের শরীরে আ্যাড্রিনাল (Adrenaline) গ্রন্থি থেকে নিসৃত এক ধরনের হরমোন তৈরী করে, যা আমাদের যকৃত থেকে চিনি নিঃসরণ করে উপরের পেটে মেদ তৈরী করে।
৪) অনিয়মিত ঘুম
রাত জাগা,ঘুম কম হওয়া এসব কারণেও উপরের পেটে মেদ জমে।
৫) বয়স বাড়া
বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের শরীরে অনেক পরিবর্তন আসতে থাকে। তখন ত্বকের নিম্নস্তরের চর্বি হ্রাস পেতে থাকে এবং উপরের পেটে মেদ তৈরী হতে থাকে।
আপার বেলি ফ্যাট কমানোর উপায়
৫ টি উপায় অবলম্বন করলে এ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়
১) প্রচুর পানি পান করা
প্রচুর পানি পান করতে হবে। বাইরের এনার্জি ড্রিংকস, সফট ড্রিংকস এগুলো খাওয়া বাদ দিতে হবে। পর্যাপ্ত পানি পান আমাদের শরীরে ম্যাজিকের মতো চর্বি কাটতে সাহায্য করে। এছাড়া প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ১ গ্লাস কুসুম গরম পানির সঙ্গে অর্ধেকটা লেবু ও ১ চামচ মধু মিশিয়ে খেলে উপরের পেটের মেদ কাটে। আবার আদা থেতো করে ১ গ্লাস পরিমাণ পানির সাথে সেদ্ধ করে এতে অর্ধেকটা লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে খেলেও মেদ কেটে যায়। নিয়মিত এই মিশ্রণ গুলো খেলে উপরের পেটের মেদ অনেকাংশেই কেটে যাবে।
২) স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া
সকালের নাস্তায় ওটস রাখতে হবে। এক বাটি ওটসের সাথে ফ্যাট ফ্রি দুধ, সাথে যেকোন ফল মিশিয়ে সকালের নাস্তা করতে হবে। প্রচুর ফলমূল খেতে হবে। ওটস আমাদের শরীরের এনার্জি বাড়ায়।
৩) হেলদি ডায়েট অনুসরণ করা
সঠিক ডায়েট অনুসরণ করলে আমাদের উপরের পেটের মেদ কমার সাথে সাথে সুন্দর ও সুগঠিত থাকবে। একবারে ভরপেট না খেয়ে দৈনিক ৫-৬ বার অল্প অল্প করে খাবেন। এতে করে ঘন ঘন ক্ষুধাভাবটা কেটে যাবে আর খাওয়ার পরিমাণটাও কমে যাবে। কম তেল ও কম মশলা যুক্ত খাবার খেতে হবে। রান্নায় সয়াবিন ও সরিষার তেলের পরিবর্তে অলিভ ওয়েল ব্যবহার করবেন। লাল চালের ভাত ও লাল আটার রুটি খেতে হবে। চর্বি জাতীয় মাংস বর্জন করে মুরগীর মাংস খান। আঁশ জাতীয় খাবার ,মাছ, ডিম,শাকসবজি ও সালাদ খেতে হবে। খাওয়ার ১৫/২০ মিনিট আগে এক গ্লাস পানি পান করতে হবে। এতে ক্ষুধাভাব কমে যাবে। খাওয়ার এক ঘন্টা পর পানি পান করতে হবে। রাতে ঘুমের ২ ঘন্টা আগে খাওয়া শেষ করবেন।
৪) আট ঘন্টা ঘুমান
ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলে আমাদের উপরের পেটের মেদ বাড়ে। আমাদের শরীরে ২ ধরনের হরমোন কাজ করে-
১. Ghrelin Hormone (গ্রীলিন হরমোন)।
২. Leptin Hormone (ল্যাপটিন হরমোন)।
Ghrelin হরমোন আমাদের শরীরে ক্ষুধাভাব তৈরী করে। যখন আমরা কম ঘুমাই, রাত জাগি তখন আমাদের শরীরে প্রচুর Ghrelin হরমোন তৈরী হয়। এতে আমাদের ক্ষুধাভাবও বেড়ে যায়। Leptin হরমোন জানান দেয় কখন আমাদের খাওয়া বন্ধ করতে হবে। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে আমাদের শরীর থেকে Leptin হরমোন কমে যেতে থাকে। কাজেই দৈনিক ৮ ঘন্টা ঘুম আমাদের শরীর ফিট রাখে এবং উপরের পেটে মেদ না জমতে সাহায্য করে।
৫) সপ্তাহে ৪ দিন ব্যায়াম
উপরের পেটের চর্বি কমানোর বেস্ট সমাধান হলো ব্যায়াম। ব্যাস্ততার কারণে আমরা জিমে যেতে না পারলে ঘরে বসেই সহজ কিছু ব্যায়াম করে আমরা উপরের পেটের মেদ কমাতে পারি। যা করতে সময়ও কম লাগে এবং বাড়তি কোন উপকরণের প্রয়োজনও পড়ে না। সপ্তাহে ৪ দিন ৪৫ মিনিট করে ব্যায়াম করুন। এছাড়া সাঁতার কাটা,সাইকেল চালানো উপরের পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করে।
আপার বেলি ফ্যাট কমাতে ব্যায়াম
নীচে কিছু ব্যায়ামের নিয়মাবলী আলোচনা করা হলো, উপরের পেটের মেদ দ্রুত কমাতে যা আপনি ঘরে বসেই করতে পারবেন
১) আরামদায়ক দূরত্বে পা ফাঁক করে মাথার পেছনে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে একবার বা দিকে ঝুঁকতে হবে, আরেকবার ডান দিকে ঝুঁকতে হবে। এভাবে ৩০ বার করুন।
২) পা দুটো সোজা করে রেখে শুয়ে পড়ুন। দুই হাত নিতম্বের নিচে থাকবে। হাত দুটো নিচে রেখে পা দুটো এবার আরও উপরে তুলতে হবে। উপরে উঠানোর সময় নিশ্বাস ছাড়তে হবে এবং নিচে নামানোর সময় নিশ্বাস নিতে হবে। এভাবে ১৫ থেকে ২০ বার করতে হবে।
৩) ম্যাটের উপর হাঁটু ভাজ করে রাখুন। এবার মাথার নিচে হাত রাখুন। কোমর পর্যন্ত পুরো শরীরকে উপরের দিকে উঠান। আবার নামিয়ে আনুন। কিন্তু শরীর নামানোর সময় মাথা যেন ম্যাটের সঙ্গে লেগে না যায়, খেয়াল রাখতে হবে সেদিকে। এভাবে ৩০ বার করুন।
৪) হাত মাথার নিচে রাখুন। পা ভাঁজ করে উপরের দিকে তুলুন। এবার মাথা উপরে তুলে বাম হাতের কনুই দিয়ে ডান পা ছোঁয়ার চেষ্টা করুন। একই ভাবে ডান কনুই দিয়ে বাঁ পাশের পায়ে ছোঁয়াতে হবে। এভাবে ৩০ বার করুন।
৫) দুই কনুইয়ের উপর ভর দিয়ে উপুর হয়ে শুয়ে পড়ুন। চোখ থাকবে সামনের দিকে। পায়ের আঙ্গুল ও কনুইয়ের উপর ভর দিয়ে পুরো শরীরকে উপরের দিকে উঠান। দুই কনুই ও পায়ের আঙ্গুলের উপর ভর দিয়ে প্রতিবার ১ মিনিট থাকতে হবে। এভাবে ৩ বার করুন।
নিয়মিত এ ব্যায়াম করলে ৩ মাসের মধ্যে এর সুফলতা পাবেন। সকালে খালি পেটে ৪৫ মিনিট অথবা সকালে সম্ভব না হলে সন্ধ্যা বা রাতের দিকেও করতে পারেন। সঠিক খাদ্যাভ্যাস আর দৈনন্দিন জীবনের সুন্দর পরিবর্তন আপনাকে উপরের পেটের মেদ ঝরিয়ে করে তুলতে আকর্ষণীয় ও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী।
ছবি- সংগৃহীত: সাজগোজ; ইমেজেস বাজার.কম
১ মাসেই ৫ কেজি ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট
১ মাসেই ৫ কেজি ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট জানেন কী?
অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ছিপছিপে গড়নের শরীর কে না চায়? কিন্তু চাইলেই তো আর হবে না। তার জন্য চাই প্রচেষ্টা আর উদ্যোগ। আর আপনাদের সেই উদ্যোগকে আর এক ধাপ এগিয়ে নিতেই আজকের এই ডায়েট চার্ট। আজকে আপনাদের জন্য এমন একটি ডায়েট
চার্ট দেয়া হলো যার সাহায্যে ১ মাসেই ৫ কেজি পর্যন্ত ওজন কমানো সম্ভব এবং খুব সহজেই পরিমিত খাবার গ্রহণের মাধ্যমে সুস্থ্য গতিতে এই ওজন কমানো সম্ভব। আর সেই লক্ষ্যে পৌছাতে হলে প্রতিদিন আপনাকে অবশ্যই ১২৮০ক্যালরি,
তার মানে মাসে ৩৮,৪০০ ক্যালরি বার্ণ করতে হবে এবং ডায়েট চার্টে এমন সব খাবার থাকতে হবে যা মোটামুটি ১৫০০ ক্যালরির হতে হবে।
১ মাসেই ৫ কেজি ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট
সকাল ৮:০০
সেদ্ধ ডিম ১ টি সাদা অংশ (৫২ ক্যালরি)
এক বাটি জাম্বুরা( জুস করে বা এমনি খেতে পারেন) (৯৬ ক্যালরি)
২ টি রুটি (২১০ ক্যালরি)
ভেজিটেবল সুপ (১৫০ ক্যালরি)
সকাল ১১:০০
এক কাপ গ্রিন টি চিনি ছাড়া (কোন ক্যালরি নেই)
একটি আপেল (৮১ ক্যালরি)/একটি কমলা (৮৬ ক্যালরি)
দুপুর ২:০০
ভাত ১ কাপ (২১৬ ক্যালরি) / ২ টি রুটি (২১০ ক্যালরি)
১ বাটি মিক্স্ড ভেজিটেবল (৮৫ ক্যালরি)
১ কাপ ডাল (২২০ ক্যালরি) / এক টুকরা মাছ (১৪২ ক্যালরি)
বিকেল ৫:০০
এক কাপ গ্রিন টি (চিনি ছাড়া)
২ টি ক্রিম ছাড়া বিস্কিট (৩০ ক্যালরি)
সন্ধ্যা ৭:০০
ডাবের পানি (৪৬ ক্যালরি)
অথবা ৮-১০ টি পেস্তা বাদাম (৭০ক্যালরি)
রাত ৮:৩০
ভাত ১ কাপ (২১৬ ক্যালরি) / ২ টি রুটি (২১০ ক্যালরি)
১ কাপ সালাদ (৫০ ক্যালরি)
১ কাপ সবজি (৮৫ ক্যালরি) / আধা কাপ টক দই (৬৫ ক্যালরি)
এই হলো মোটামুটি ১৫০০ ক্যালরির একটি ডায়েট চার্ট। তবে এই ডায়েট চার্ট মেনে চলার পাশাপাশি শারীরিক ব্যায়াম করা অত্যাবশ্যক। কারণ এর মাধ্যমে আপনি দেহের অতিরিক্ত ক্যালরি বার্ণ করতে পারবেন। যেকোনো ব্যায়াম ক্যালরি বার্ণ করতে সহায়ক। শুরুতে হালকা ব্যায়াম দিয়ে শুরু করুন। প্রতিদিন ৪৫ মিনিট হাঁটার অভ্যাস করূন। এছাড়াও ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করতে পারেন।
১ মাসেই ৫ কেজি ওজন কমানোর জন্য কিছু টিপস
১. প্রতিদিন সকাল, দুপুর এবং রাতের খাবারের পূর্বে ২ গ্লাস ঠান্ডা পানি পান করুন।
২. সকালে খালি পেটে এক টুকরা লেবু এবং আধা চা চমচ মধু হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে পান করুন।
৩. সবজির লিস্টে ব্রোকলি, লেটুস, পালং শাক এবং অন্যন্য সবুজ সবজি রাখার চেষ্টা করুন।
৪. রেগুলার সালাদের সাথে অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। এটি ক্যালরি বার্ণ করতে খুবই উপকারী।
৫. রাতের খাবার ঘুমানোর অন্তত ২ ঘণ্টা আগে খেয়ে ফেলুন।
আশা করি পোস্টটি দ্বারা আপনারা উপকৃত হবেন।
সতর্কতা: দ্রুত ওজন কমানোর চেয়ে আস্তে আস্তে ওজন কমানো ভাল।
ছবি – স্টাইলহিটজ ডট কম
সোর্স – ক্যালরিল্যাব ডট কম, ক্যালরিকাউন্ট ডট এবাউট ডট কম, ফ্যাটসিক্রেট ডট কম, নিউট্রিশনডাটা ডট সেল্ফ ডট কম
x
বৃহস্পতিবার, ৮ আগস্ট, ২০১৯
প্রস্রাবে আমিষ গেলে কী করবেন
রুটিন প্রস্রাব পরীক্ষায় আমিষ বা প্রোটিনের উপস্থিতি দেখলে আমরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি। প্রস্রাবের সঙ্গে আমিষ বা প্রোটিন (কখনো বলা হয় এলবুমিন) নিঃসরণ স্বাভাবিক কিছু নয়। এটি কিডনি সমস্যার প্রাথমিক উপসর্গ। যাদের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ আছে তাদের মাঝে মাঝে প্রস্রাবের আমিষ পরীক্ষা করা উচিত। কেননা এতে কিডনির অবস্থা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
প্রস্রাবে আমিষ কেন যায়
আমাদের রক্তে যে আমিষ আছে, তা সাধারণত কিডনির ছাঁকনি গলে প্রস্রাবের সঙ্গে যেতে পারে না। দৈনিক ৩০ মিলিগ্রামের বেশি এলবুমিন যাওয়াটা অস্বাভাবিক। ৩০০ মিলিগ্রামের বেশি এলবুমিন নিঃসরণ উদ্বেগজনক। প্রস্রাবে আমিষ নিঃসরণের অন্যতম কারণ ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ। এ ছাড়া কিডনির প্রদাহ, সংক্রমণ, এসএলই বা লুপাস, অ্যামাইলয়েডোসিস, কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় প্রস্রাবে আমিষ যেতে পারে। অন্তঃসত্ত্বা নারীর ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপের সঙ্গে প্রস্রাবে আমিষ গেলে প্রি–একলাম্পশিয়ার মতো বিপদ ঘটতে পারে।
কখনো কখনো জ্বর, অত্যধিক পরিশ্রম বা ব্যায়াম কিংবা দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেও প্রস্রাবে সামান্য আমিষ যেতে পারে। কিন্তু ক্রমাগত আমিষ গেলে, বিশেষ করে তিন মাসের বেশি সময় এমনটা হলে তা ক্রনিক কিডনি রোগই নির্দেশ করে।
কীভাবে বুঝবেন
রুটিন প্রস্রাব পরীক্ষা করা ছাড়া এ সমস্যা শনাক্ত করা মুশকিল। তাই ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের ৬ মাস বা এক বছর অন্তর প্রস্রাবে আমিষ পরীক্ষা করা উচিত। আমিষ নিঃসরণের হার বেশি হলে শরীর ফুলে যায় ও দুর্বল হয়ে পড়ে এবং মুখে ও পায়ে পানি আসে। প্রস্রাব ঘোলাটে বা সাদাটে হতে পারে।
কী করবেন
প্রস্রাব পরীক্ষায় আমিষ ধরা পড়লে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। চিকিৎসক ২৪ ঘণ্টায় নিঃসৃত আমিষের পরিমাণ নির্ণয় করে জটিলতার মাত্রা বোঝার চেষ্টা করবেন। ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ থাকলে তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। অন্য কোনো কারণ আছে কি না, তা নির্ণয় করতে হবে। কিডনির কার্যকারিতার মাত্রা বোঝার জন্য জিএফআর দেখতে হয়। এসিই ইনহিবিটর বা এআরবি গোত্রের ওষুধ ব্যবহার করলে এলবুমিন নিঃসরণ কিছুটা কমে। প্রস্রাবে এলবুমিন নিঃসরণ কেবল কিডনি রোগের সতর্কসংকেতই নয়, এটি আশু হৃদ্রোগেরও সতর্কসংকেত। তাই হৃদ্যন্ত্র সুস্থ রাখার দিকেও নজর দিতে হবে।