বর্তমানে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানে এই চিকিৎসা বেশী প্রচলিত। পাশাপাশি উন্নত বিশ্বেও এই চিকিৎসা ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
কারন মর্ডান এলোপ্যাথি অনেক ঔষধেরই SIDE EFFECT বা পার্শ প্রতিক্রিয়া রয়েছে।যেমনঃ Antibiotic ঔষধ সিপ্রোফ্লক্রাসিন, ফ্লুক্লক্রাসিলিন, মেট্রোনিডাজল, ক্লক্রাসিলিন প্রভৃতি ঔষধ রোগ সারানোর পাশাপাশি মানব শরীরকে দুবর্ল করে ফেলে এবং দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে স্মৃতিশক্তি, যৌনশক্তি, কর্মক্ষমতা কমে যাওয়ার ইতিহাস পাওয়া যায় ।
গাছপালার গুনাগুন তথা কতিপয় হারবাল চিকিত্সা
আদিযুগে গাছপালার মাধ্যমেই মানুষের রোগের চিকিত্সা করা হতো। এই চিকিত্সা বর্তমানে 'হারবাল চিকিত্সা' তথা 'অলটারনেটিভ ট্রিটমেন্ট' নামে পরিচিতি লাভ করেছে। নিম্নে পাঠক-পাঠিকার উপকারার্থে কতিপয় SINGLE বা একক হারবাল ঔষধের গুনাগুন তুলে ধরা হলো। আশাকরি সবাই এথেকে উপকৃত হবেন।এরপরেও উপকার না পেলে অর্থাত্ রোগের তীব্রতায় কোন রেজিষ্টার্ড হারবাল চিকিত্সকের পরামর্শ নিতে পারেন।
যারা বেশীক্ষণ ওযু রাখতে পারেন না তাদের জন্য জিরাচূর্ণ ১ চা-চামচমাত্রায় ২ বেলা আহারের পর খাবেন। এতে বদহজমেও উপকার পাবেন।
গ্যাস্টিক(HYPER ACEDITY) এক্ষেত্রে ৩ বেলা কাঁচা আমলকী ২টি করে চিবিয়ে খেয়ে ১ গ্লাস পানি খাবেন।
বাচ্চাদের বদহজম, পেটব্যাথা, উদারময়, স্বরযন্ত্রের প্রদাহ, জ্বর জ্বর ভাব প্রভৃতিতে:পানের রস ১ চা চামচ মধু ১/২ চা-চামচ মাত্রায় খেতে হবে।
কৌষ্টকাঠিন্য বা পায়খানা শক্ত হলে (CONSTIPATION) এরোগে ঈসবগুলের ভূষি ৪ চা-চামচ ১ গ্লাস গরম দুধের সাথে মিশিয়ে খাবেন । এভাবে ২/৪ দিন খেলে ভাল উপকার পাওয়া যায়। পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি খেতে হবে। এরপরেও উপকার না পেলে অর্থাত্ রোগের তীব্রতায় কোন রেজিষ্টার্ড হারবাল চিকিত্সকের ( হাকীম/ডাক্তার ) পরামর্শ নিতে পারেন।
হাত-পা জ্বালাপোড়া এবং হাত ও পায়ের তালু ঘামা ধনিয়া ও মৌঢ়ী(ছব) ১ চা-চামচ প্রত্যকটি নিয়ে ১ গ্লাসপানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এভাবে দিনে ২ বেলা পান করুন। জ্বালাপোড়ার জন্য এর সাথে গুলন্চ/ গুড়ুচী লতা ভিজানো পানি ২ বেলা পান করতে পারেন।
প্রসাবের সাথে ধাতু ক্ষয় প্রসাবের আগে ও পরে অতিরিক্ত পরিমাণ পিচ্ছিল পদার্থ নিঃসরণ হলে রোগের স্বাভাবিক অবস্থায় ১টি ডাবের পানির মধ্যে ১টুকরা ফিটকিরি দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন,এভাবে দিনে ২বেলা খালি পেটে পান করুন। আশাকরি উপকার পাবেন।
যৌন দুবর্লতা কালোজিরা ১ চা চামচ সমান মধু সহ রাতে খাবারের পর এবং সকালে খালিপেটে চিবিয়ে খান।
স্বাভাবিক বাতের ব্যাথায় ত্রিফলা তথা আমলকী, হরতকী ও বহেয়া ভিজানো পানি দিনে ২ বেলা পান করুন। এর সংগে রসুন ও সরিষার তেল একত্রে সিদ্ধ করে মালিশ করতে পারেন।
লেখক
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন