হারবাল ঔষধ, ভেষজ ঔষধ, ভেষজ চূর্ণ, ভেষজ গুণ সম্পর্কিত গাছ, প্রাকৃতিক ঔষধ, ভেষজ উদ্ভিদ পরিচিতি, ইউনানি চিকিৎসা, আয়ুর্বেদ চিকিৎসা, আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা, গ্রামীণ চিকিৎসা সেবা, হারবাল চিকিৎসা, অর্গানিক খাদ্য,হারবাল চা,হারবাল রেমিডি,ন্যাচারাল রেমিডি, হার্বস, একক ভেষজ, হারবাল ঔষধ এর পরিচিতি,হারবাল ঔষধ এর রিভিউ, ইউনানি ঔষধ এর রিভিউ, আয়ুর্বেদিক ঔষধ এর রিভিউ,আয়ুর্বেদ চিকিৎসার ইতিহাস, ইউনানি চিকিৎসার ইতিহাস, ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকিৎসা, হারবাল টোটকা,হারবাল শরবত, ফলের গুনাগুন, ফুলের গুনাগুন ইত্যাদি নিয়ে লেখালেখি।

Blogger templates

  • This is default featured slide 1 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by NewBloggerThemes.com.

  • This is default featured slide 2 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by NewBloggerThemes.com.

  • This is default featured slide 3 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by NewBloggerThemes.com.

  • This is default featured slide 4 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by NewBloggerThemes.com.

  • This is default featured slide 5 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by NewBloggerThemes.com.

মঙ্গলবার, ৪ আগস্ট, ২০২০

গরম থেকে বাঁচার ১০ টি উপায়

আবহাওয়ার তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানবদেহের তাপমাত্রাও বাড়তে থাকে। তাই এ সময় কেউ যদি নিজের দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখার কৌশল আয়ত্ত করতে পারেন তাহলেই সম্ভব অসুস্থতার হাত থেকে রেহাই পাওয়া।




গরমকালে মানুষের পিত্ত তীব্র হয়ে ওঠে। তাই শরীরে শীতলভাব বজায় রাখতে চাইলে সবার আগে পিত্তবর্ধক খাবারগুলিকে বাদ দিতে হবে। শীতের দিনের সবজি গাজর, ফুলকপি, বিট, বাঁধাকপি বাদ দিন গ্রীষ্মের খাদ্যতালিকা থেকে। বদলে রাখুন শসা, ঝিঙা, পটল, কুমড়া, এঁচড়ের মতো সবজি ও তরমুজ, ফুটি, বেল, আপেল ইত্যাদি ফল। কিছুদিন পরে আম উঠবে, তখন আমও খেতে পারেন নিশ্চিন্তে। প্রতিটি ফল ও সবজিতেই পানির পরিমাণ বেশি, তা শরীর শীতল রাখবে। সেই সঙ্গে দইয়ের ঘোল, ডাবের পানি ইত্যাদি খেতেও ভুলবেন না। চিজ, তেল-মশলা, ভাজাভুজি, বেশি মরিচ, কমলালেবু ইত্যাদি যতটা কম খাবেন, ততই ভালো।


২. খাওয়ার মাঝে খুব বেশিক্ষণের গ্যাপ দেবেন না। খালি পেটে অ্যাসিড, পিত্ত সবেরই বাড়াবাড়ি ঘটে। দিনের মাঝখানে (অর্থাৎ লাঞ্চ ব্রেকে) সবচেয়ে ভারী খাবার খান, রাতের দিকে হালকা খেলেও চলবে। বেশি করে স্যালাড আর ফলমূল খাওয়া উচিত এ সময়ে।

৩. মাথায় আর গায়ে খাঁটি নারকেল তেল মেখে গোসল করুন, আপনার ত্বকে হিট র্যাশ বেরনোর মাত্রা নিশ্চিতভাবেই কমবে। নারকেল তেল সানস্ক্রিন হিসেবেও কাজ করে, তাই নিরক্ষীয় অঞ্চলে তার বহুল ব্যবহার দেখা যায়।
৪. গরমের দিনে এমনিতেই চা-কফি খেতে ইচ্ছে করে না। ঘরের তাপমাত্রায় শরবত খান। বরফ-ঠান্ডা পানীয় থেকেও দূরে থাকুন, তাতেও শরীর গরম হয়।
৫. দুঃসহ গরমে ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে বেরিয়ে যায় প্রচুর পরিমাণ পানি। সেই পানি পূরণ করতে আপনাকে বাড়তি পানি পান করতে হবে। শরীরের কোষগুলো সজীব রাখতে হলে চাই পানি।

৬. বিভিন্ন মাংস, ডিম ও চর্বিজাতীয় খাবারের কথা ভুলে যান। তরল খাবার, ডাবের পানি, তরমুজ খান বেশি করে।

৭. এ গরমে পোশাক পরুন হালকা রংয়ের। গাঢ় রংয়ের পোশাক রোদ শোষণ করে বলে গরম অনুভূত হয় বেশি। সবচেয়ে ভালো হয় সাদা রংয়ের পোশাক হলে। গরমে সিনথেটিক পোশাক পরবেন না। সবসময় সুতি ও ঢিলা পোশাক পরার চেষ্টা করুন।

৮. চেষ্টা করুন ছায়ার মধ্য দিয়ে চলতে। রোদে গেলে মাথায় রাখুন চওড়া ক্যাপ, স্কার্ফ অথবা ছাতা। রিকশায় চড়লে হুড উঠিয়ে চলুন। ত্বকে মাখুন সানস্ক্রিন ক্রিম বা লোশন।

৯. খুব ভোরে বা সন্ধে নামার পর যখন প্রকৃতি শীতল হয়েছে, তখনই একমাত্র ভারী ব্যায়াম করুন। রোদের মধ্যে ভারী ব্যায়াম করলে মাসলে ক্র্যাম্প ধরা থেকে আরম্ভ করে নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে।

১০. সিগারেট খাওয়ার অভ্যাস থাকলে ত্যাগ করুন। ধূমপানে শরীর আরও গরম হয়ে যায়।

এ ছাড়া ইউনানি ফর্মূলায় তৈরি রেনাল (যার মূল নাম শরবতে বূযুরী) খেতে পারেন ৪চা চামচ করে দৈনিক  ৪-৫ বার ১গ্লাস পানিতে মিশিয়ে শরবত করে।এতে শরীর থেকে টক্সিন বের হয়ে যাবে ও পিত্ত প্রকোপ কমে যাবে, কিডনি ভাল থাকবে, মুত্রথলীর সমস্যায় আরাম হবে, প্রস্রাবের ইনফেকশন দূর হবে, শরীরে জ্বর থাকলে তাপমাত্রা কমবে, ব্যাথা কমাতে ও সহায়ক। 
বি.দ্র.আসল শরবত বুযুরীর নিচে তলানি জমবে আসল হার্বস থাকায় আর নকল বুযুরীতে শুধু সাইট্রিক এসিডের  মিশ্রণ আছে। 

রেনাল খুচরা মূল্য ২০০/- (দুইশত টাকা মাত্র)    
এটা ডায়াবেটিস এর রোগী  ও খেতে পারেন। 
যোগাযোগ:Health Harbal Bd 
01911787524               

Share:

মঙ্গলবার, ২১ জুলাই, ২০২০

কোন রোগে কি টেষ্ট করাতে হয়

 যখন আমরা অসুস্থ হই তখন চিকিৎসকের শরনাপন্ন হলে পরীক্ষা করানোর উপদেশ দেন চিকিৎসকরা রোগ ধরার প্রাথমিক ধাপ হিসাবে। এই পরীক্ষা নিয়ে আমাদের মাঝে অনেক ভুল বুঝাবুঝির উপলক্ষ রয়েছে, রোগী মাত্রই ভাবেন বেশি বা অযাচিত দিয়েছেন পরীক্ষা।

রোগীকে কোন পরীক্ষা কেন দেওয়া হয়েছে তা সঠিকভাবে বুঝিয়ে হয়ত দেওয়া হয় না বলেই হয়ত এই বিপত্তি। কোনো পরীক্ষার রিপোর্ট থেকে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক কী প্রত্যাশা করছেন, কোন পরীক্ষার সঙ্গে অন্য আরেকটি পরীক্ষার কী ধরনের সম্পর্ক থাকতে পারে তা বুঝিয়ে দিলে বিপত্তি অনেকাংশেই হয়ত থাকবে না। রোগীর অতিরিক্ত চাপ থেকে সময়ের অভাবে এই সমস্যা তৈরি হলে রোগীকে সেটি মানবিকভাবেই বিবেচনা করা উচিত। এটাও স্বাভাবিক যে রোগী তার রোগ নিয়ে উৎকণ্ঠায় থাকবে।

চিকিৎসকগণ যেসকল পরীক্ষা দিয়ে থাকেন তার মাঝে যে কয়েকটি রয়েছেঃ

১. সিবিসি

২. রুটিন একজামিনেশান অব ইউরিন

৩. লিভার ফাঙ্কশান টেস্ট

৪. কিডনি ফাঙ্কশান টেস্ট ইত্যাদি।

মনে হতে পারে কেন এতো পরীক্ষা বা একটি দিলেও সেটি কেন? আসুন জেনে নিই চিকিৎসকরা কোন টেস্ট কী রোগের সন্দেহে দিয়ে থাকেন।

সিবিসি: একটি সিবিসি একটি সাধারণ রক্ত পরীক্ষা যা বিভিন্ন কারণে করা হয়।

রোগীর সামগ্রিক স্বাস্থ্য পর্যালোচনা: রোগীর সাধারণ স্বাস্থ্যের ওপর নজর রাখতে এবং রক্তস্বল্পতা জাতীয় বিভিন্ন রোগের জন্য স্ক্রিন করার জন্য ডাক্তার একটি রুটিন মেডিকেল পরীক্ষার অংশ হিসাবে সিবিসি করার পরামর্শ দিতে পারে।

রোগের সামগ্রিক অবস্থা নির্ণয় করা: রোগীর দুর্বলতা, অবসন্নতা, জ্বর, প্রদাহ, ক্ষত বা রক্তপাতের অভিজ্ঞতা থাকলে ডাক্তার সম্পূর্ণ সিবিসি পরামর্শ দিতে পারে। সিবিসি পরীক্ষা এই লক্ষণগুলি ও লক্ষণগুলির কারণ নির্ণয় করতে সহায়তা করতে পারে। ডাক্তার যদি সন্দেহ করে যে রোগীর কোনও সংক্রমণ রয়েছে তবে পরীক্ষাটি এটি নির্ণয় নিশ্চিত করতেও সহায়তা করতে পারে।

চিকিৎসারত রোগীর বর্তমান অবস্থা নিরীক্ষণ: রোগীর রক্তের সেলকে প্রভাবিত করে এমন একটি রক্ত ব্যাধি দ্বারা চিহ্নিত হয়ে থাকেন তবে ডাক্তার রোগীর অবস্থার উপর নজর রাখতে সিবিসি ব্যবহার করতে পারেন।

রক্তের সেলের পরিমাণকে প্রভাবিত করতে পারে এমন কিছু গ্রহণ করা হলে রোগীর স্বাস্থ্যের নিরীক্ষণের জন্য সিবিসি ব্যবহার করা হয়।

সিবিসি সাধারণত একটি চূড়ান্ত নির্ণয়ের পরীক্ষা নয় । চিকিত্সক যে পরীক্ষার জন্য এই পরীক্ষার পরামর্শ দিয়েছেন তার উপর নির্ভর করে স্বাভাবিক পরিসরের বাইরে ফলাফলগুলি অনুসরণ করতে পারে বা নাও পারে।

উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি স্বাস্থ্যবান হন এবং অসুস্থতার লক্ষণ বা লক্ষণ না থাকে তবে সিবিসি স্বাভাবিক পরিসরের বাইরে সামান্য ফলাফল উদ্বেগের কারণ নাও হতে পারে, এবং এর জন্য ফলোআপের প্রয়োজন নাও হতে পারে।

রোগীর জ্বর নানা কারনে হতে পারে, জ্বরকে সাধারন বলা যায় না।কারন পরিপূর্ণভাবে বের না করা ভবিষ্যতে আরও বড় কিছু হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়। রক্তের রিপোর্ট সেই কারণ বের করার প্রাথমিক ধাপ।

ইউরিন বা প্রস্রাব পরীক্ষা

রক্তের সিবিসির পরবর্তী একেবারে কমন পরীক্ষা হল রুটিন ইউরিন একজামিনেশন। এর মাধ্যমে রোগী ডায়াবেটিসে আক্রান্ত কিনা, কিডনি থেকে প্রস্রাব করার রাস্তার একেবারে শেষ প্রান্ত পর্যন্ত কোনও ইনফেকশান আছে কিনা, ফাঙ্গাস আক্রান্ত কিনা, কিডনি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে কিনা তার প্রাথমিক ধারণা পাওয়া যায়। অনেক রোগ রয়েছে যা কিডনিকে ক্ষতি করে, ইউরিন বা প্রস্রাব পরীক্ষা করা ছাড়া তার সম্পরকে ধারণা পাওয়া দুষ্কর।

লিভার ফাঙ্কশান টেস্ট


নিম্নলিখিত পরিস্থিতিতে প্রায়শই লিভার ফাংশন টেস্টের পরামর্শ দেওয়া হয়:

১. হেপাটাইটিস বি এবং হেপাটাইটিস সি এর মতো লিভারের সংক্রমণের ক্ষয়ক্ষতি পরীক্ষা করতে,

২. লিভার বা যকৃত প্রভাবিত করার জন্য পরিচিত কিছু ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলি পর্যবেক্ষণ করতে,

৩. রোগী যদি ইতিমধ্যে কোনও লিভারের রোগ থাকে তবে এই রোগটি পর্যবেক্ষণ করতে এবং একটি নির্দিষ্ট চিকিত্সা কতটা ভাল কাজ করছে,

৪. ডাক্তার যদি দেখেন রোগীর মাঝে লিভার ডিজঅর্ডারের লক্ষণগুলি রয়েছে।

৫. রোগী যদি উচ্চতর ট্রাইগ্লিসারাইডস, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, বা রক্তস্বল্পতার মতো কিছু নির্দিষ্ট শর্ত থাকে

৬. রোগী যদি পিত্তথলি রোগের ইতিহাস থাকে।

কিডনি ফাঙ্কশান টেস্ট কেন করা হয়?

রোগীর কিডনিতে সমস্যা চিহ্নিত করতে পারে এমন লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:

উচ্চ রক্তচাপ

প্রস্রাবে রক্ত

প্রস্রাব করার জন্য ঘন ঘন urges

প্রস্রাব শুরু করা অসুবিধা

বেদনাদায়ক প্রস্রাব

শরীরে তরল তৈরির কারণে হাত ও পা ফোলা

একক লক্ষণ বলতে মারাত্মক কিছু বোঝাতে পারে না। যাইহোক, একই সঙ্গে সংঘটিত হওয়ার সময়, এই লক্ষণগুলি পরামর্শ দেয় যে রোগীর কিডনিগুলি সঠিকভাবে কাজ করছে না। কিডনি ফাংশন পরীক্ষা কারণ নির্ধারণে সহায়তা করতে পারে।

এখন দেখা গেলো সব রিপোর্ট স্বাভাবিক তাহলে কি ডাক্তার ভুল করেছেন?

রিপোর্ট স্বাভাবিক হলেই যে ডাক্তার অসাধু উদ্দেশ্যে দিয়েছেন তা বলা যাবে না। চিকিৎসা শাস্ত্রের এ পর্যন্ত যেসকল বই বের হয়েছে তাতে স্পষ্ট করে লেখা আছে রুটিন বেজ লাইন একজামিনেশান করে রোগের চিকিৎসা ধাপে ধাপে এগুনোর জন্য। আর্থ সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় হয়ত চিকিৎসক পরীক্ষা কমিয়ে দিতে পারেন বা নাও করাতে পারেন নিজস্ব অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে। তবে মানুষ যেমন প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকার চেষ্টা চালায় তেমনি জীবাণুও চেষ্টা করে। তাই রোগের ধরন কিন্তু পাল্টায়, গবেষণা চলে প্রতিনিয়ত কিভাবে এসব কে জয় করা যায়। অনেকেই ভেবে থাকেন ডাক্তারের কাছে গেলেই টেস্ট দিবেন তার চেয়ে দোকান থেকেই চিকিৎসা নিয়ে ফেলি। এতে রোগের লক্ষন চলে যায় হয়ত তবে অন্য অনেক সমস্যার সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকি থাকে। যে জীবাণুর বিরুদ্ধে যে ওষুধ ব্যবহার করা দরকার তার অভাবে সেই জীবাণু পরবর্তীতে আরও ক্ষতি করার শক্তি অর্জন করে নয়ত সেই ওষুধ টি অকার্যকর হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

ডাক্তার সময় দেয়না কথা শুনার এটি আমাদের অভিযোগ। অমুলক নয় একেবারে। বড় ডাক্তারের সঙ্গে  আসলে আপেক্ষিক। যোগ্যতা সম্পন্ন ডাক্তারের অভাব কিন্তু অনেকটাই কমে এসেছে বর্তমানে। যে ডাক্তার বেশী রোগী দেখেন তিনিই যে বড় তা কিন্তু নয়, অনেকেই রয়েছেন আপনাদের সঠিক চিকিৎসা নিশ্চিত করার দক্ষতা সম্পন্ন। কাজেই চিকিতসকের যেমন এই ব্যাপারে কর্তব্য রয়েছে তেমনি রোগীদেরও রয়েছে সঠিক ভাবে রোগের চিকিৎসা সঠিকভাবে নেওয়ার রাস্তা সুগম রাখার। আস্থাহীনতার দোলাচলে পড়ে যেন আমরা পথ হারিয়ে না ফেলি সেটিই আমাদের সকলের কাম্য।


Share:

রবিবার, ১ মার্চ, ২০২০


Share:

বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

লাল শাকের কিছু অসাধারণ স্বাস্থ্যগুন

লাল শাকের কিছু অসাধারণ স্বাস্থ্যগুন


লাল শাক নিশ্চয়ই সকলেই চেনেন। খেতে সুস্বাদু এই লাল শাকে যে কতো রকমের স্বাস্থ্যগুন লুকিয়ে আছে তা হয়তো আপনি জানেন না। অনেকেই খেতে ভালোবাসেন আবার অনেকে লাল শাক পছন্দও করেন না। কিন্তু আমাদের দেহের সুস্থতা বজায় রাখার জন্য লাল শাকের গুরুত্ব অনেক বেশি।
লাল শাক ভাজি, বা ছোট কোন মাছ দিয়ে লাল শাকের ঝোল খেতে কে না ভালোবাসে। যারা এখনো লাল শাক খান নি তারা খাওয়ার আগে একবার জেনেই নিন এর বাহারি স্বাস্থ্যগুন সম্পর্কে তাহলে অবশ্যই দেহের সুস্থতার দিক চিন্তা করে লাল শাক খাবেন।
দেহের রক্তশূন্যতা রোধ করে
দেহের রক্তশূন্যতা রোধ করতে লাল শাক খুব উপকারী কারণ এতে আছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। লাল শাক দিয়ে আপনি জুস বানিয়েও খেতে পারেন। কিছু সাধারণ উপাদান যেমন- ডিম, মধু, লেবুর রস ও লাল শাক একসাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন তারপর এরপর ব্লেন্ড করে সামান্য পানি মিশিয়ে খেয়ে নিন। ভালো ফলাফল পেতে প্রতিদিন একবার খাওয়া উচিৎ।
কিডনি সমস্যা দূর করতে
কিডনি ফাংশনগুলো ভালো রাখতে ও কিডনি পরিষ্কার রাখতে লাল শাক খুব ভালো। এছাড়াও যেসকল নারীরা মাত্রই সন্তান জন্ম দিয়েছেন তাঁদের জন্য লাল শাক খুব কার্যকরী।
ভালো দৃষ্টি শক্তি
লাল শাকে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধির জন্য খুব উপকারী। তাই দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করতে ডায়েট মেন্যুতে রাখুন লাল শাক।
চুলের গোড়া মজবুত করে
চুলের স্বাস্থ্যের জন্য লাল শাক ভালো। লাল শাক ও লবণ একসাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন, তারপর ছেকে রস সংরক্ষন করুন রসটি চুলের গোঁড়ায় তেলের মতো করে দিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন। এই জুসটি পুরো সপ্তাহে ২/৩ বার ব্যবহার করতে পারেবন চুলে। এটি চুলের গোড়া মজবুত করে এবং চুলে মিনারেল ও পুষ্টি যোগায়।
জ্বর সারিয়ে তোলে
দেহের সুস্থতায় লাল শাক যে ভালো তা আমরা জানি। কিন্তু জ্বর সারাতেও লাল শাকের উপকারিতা অনেক বেশি। জ্বরের সময় লাল শাক ভাজি প্রতিদিন খান দেখবেন জ্বর ধীরে ধীরে কমে যাবে।
লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।
জনপ্রিয় শাকের মধ্যে লাল শাক অন্যতম। খেতেও যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিগুণে ভরপুর। পুষ্টিগুণ এবং রোগ প্রতিরোধের দিক দিয়ে লাল শাকের চেয়ে যোজন যোজন দূরে অন্যান্য শাক।
লাল শাক রূপে যেমন মনোহারী গুণেও তেমন কার্যকরী। পাতের ভাতকে নতুন রূপ দিতেও সেরা। ছোট বড় সবাই এর স্বাদের ভক্ত।
লাল শাক, ডাঁটা শাক বা ডাঙ্গা শাক, এরা সবই একই গোত্রের এবং এদের প্রজাতিও একই। বিশ্বের অন্য দেশে এদেরকে ফুলের গাছ হিসাবে ব্যবহার করা হলেও আমাদের বাংলাদেশে কিন্তু আমরা একে সবজি হিসাবে ব্যবহার করি।
লালশাকে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ অন্য শাকের তুলনায় সবচেয়ে বেশি। ১০০ গ্রাম লাল শাকে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ রয়েছে ৩৭৪ মিলিগ্রাম, যেখানে পুঁই শাকে ১৬৪ মিলিগ্রাম, মূলা শাকে ২৭.৯০ মিলিগ্রাম, পালং শাকে ৭৯ মিলিগ্রাম ও ডাঁটা শাকে ৮০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে।
ক্যালসিয়াম ছাড়া লাল শাকে অন্য যে সমস্ত পুষ্টি উপাদান রয়েছে তা হলো- শর্করা ৪.৯৬ মিলিগ্রাম, প্রোটিন ৫.৩৪ মিলিগ্রাম, স্নেহ ০.১৪ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি-১ ০.১০ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি-২ ০.১৩ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ৪২.৯০ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন ১১.৯৪ মিলিগ্রাম, অন্যান্য খনিজ ১.০৬ মিলিগ্রাম, খাদ্য শক্তি ৪৩ কিলোক্যালরি।
ক্যালসিয়াম দেহের জন্য অত্যন্ত দরকারি উপাদান বিশেষ করে দাঁত এবং হাঁড় গঠনে। গর্ভবতী এবং প্রসূতি মাতাদের দৈনিক ক্যালসিয়ামের চাহিদা অনেক বেশি প্রায় ১৫০০-২০০০ মিলিগ্রাম। এ সময় ক্যালসিয়ামের অভাব হলে মা ও শিশুর নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়।
বাড়ন্ত শিশুর ক্যালসিয়ামের অভাব হলে দাঁত ও হাঁড়ের গঠন ঠিকমতো হয় না ফলে শিশুর দৈহিক গঠন দুর্বল হয় এবং হাঁটাও বিলম্ব হয়। ছোটবেলা থেকেই শিশুদের লাল শাক খাওয়ার অভ্যাস করা দরকার।
ক্যালসিয়ামের অভাবে শিশুদের রিকেটস এবং বয়স্কদের অস্টিও পোরেসিস রোগ হয়। সুতরাং ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণে অন্যান্য ক্যালসিয়ামযুক্ত খাদ্যের পাশাপাশি সস্তা এবং সহজলভ্য লাল শাক খাওয়া উচিত।
(ঢাকাটাইমস/১৫অক্টোবর/এমআর)
ভিটামিন 'এ'-তে ভরপুর লালশাক। ফলে নিয়মিত এই শাক খেলে অন্ধত্ব ও রাতকানা রোগ প্রতিরোধের পাশাপাশি দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে।
এতে আছে এন্টি-অক্সিডেন্ট, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। এছাড়া শরীরে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম জমার কারণে যে অসুখ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে লাল শাক তা প্রতিরোধ করে।
লাল শাকে আছে বিটা-ক্যারোটিন। যেটি আপনার হার্টস্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিকে অনেকাংশে কমিয়ে আনবে। আর রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে লাল শাকের জুড়ি নেই।
যাদের দাঁতে সমস্যা আছে তারা বেশি করে লাল শাক খাওয়া প্রয়োজন। কারণ এতে আছে ভিটামিন 'সি'। আর লাল শাক দাঁত ও দাঁতের অস্থি গঠনে দারুণভাবে সাহায্য করে। দাঁতের মাড়ি ফোলা দূর করে।
যেহেতু আঁশ জাতীয় অংশ খাবার তাই নিশ্চিতভাবেই খাবার পরিপাকে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ভূমিকা রাখে।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও লাল শাক অনেক উপকারী। কারণ এতে ক্যালরি নেই বললেই চলে। আর ক্যালরি না থাকায় ওজন বাড়ারও ভয় নেই লাল শাকে।
সুতরাং এই শীতে লাল শাকই হোক আপনার প্রতিদিনের খাদ্য।
লাল শাক চাষ
লাল শাক চাষ কনটেন্টটিতে লাল শাক চাষ কিভাবে করা যায়,চাষ করার জন্য প্রশিক্ষণের প্রয়োজন আছে কিনা, এক বিঘা জমির উৎপাদন খরচ,এর পুষ্টিমান এবং সর্বোপরি এর মাধ্যমে কিভাবে বাড়তি আয় করা সম্ভব, সেই বিষয় সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে।
লাল শাক চাষ
আমাদের দেশে লাল শাক একটি জনপ্রিয় শাক। এর ইংরেজি নাম Red amaramth ও বৈজ্ঞানিক নাম Anaranthus oleraceus. বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলেই কম বেশি লাল শাকের চাষ হয়। রান্নার পর শাকের রং গাঢ় লাল রঙ হয়। লাল শাক একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার। আমাদের দেশের অনেক জায়গায় এখন বাণিজ্যিক ভিত্তিতে লাল শাক চাষ ও বাজারজাত করা হচ্ছে। একজন বেকার নারী বা পুরুষ নিজের কর্মসংস্থান ব্যবস্থার জন্য নিজের জমিতে অথবা বর্গা নেওয়া জমিতে লাল শাক চাষ করে ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
পুষ্টিগুণ
লাল শাকে প্রচুর ভিটামিন এ, বি, সি ও ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়।
বাজার সম্ভাবনা
লাল শাক সুস্বাদু ও পুষ্টিকর তাই ছোট বড় সবাই এই শাক খুব পছন্দ করে। যেহেতু এর চাহিদা সবার কাছেই আছে তাই লাল শাক চাষ করে পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি অতিরিক্ত উৎপাদন বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় করাও সম্ভব। এছাড়া দেশের চাহিদা মেটানোর পর অতিরিক্ত উৎপাদন বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব। এক্ষেত্রে বিভিন্ন রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান সহায়তা দিয়ে থাকে। লাল শাক বিদেশে রপ্তানি করার জন্য এসব প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
লাল শাক উৎপাদন কৌশল
জাত
১. আমাদের দেশে বারি লালশাক-১ জাতের শাক চাষ ১৯৯৬ সালে অনুমোদন করা হয়।
২. এ শাকের পাতার বোটা ও কান্ড নরম ও উজ্জ্বল লাল রঙের হয়।
৩. প্রতি গাছে ১৫ থেকে ২০টি পাতা থাকে।
৪. গাছের উচ্চতা ২৫-৩৫ সে.মি. এবং ওজন ১০-১৫ গ্রাম হয়ে থাকে।
৫. এ শাকের ফুলের রঙ লাল এবং বীজ গোলাকার হয়।
৬. বীজের উপরিভাগ কালো ও কিছুটা লাল দাগ মেশানো থাকে।
তথ্যসূত্র : কৃষি প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল, জুন ২০০৭, Microfinance for Marginal and Small Farmers (MFMSF) Project, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট সেল-১, পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ), ঢাকা।

* চাষের উপযোগী পরিবেশ ও মাটি
জলবায়ু মাটির প্রকৃতি
সারাবছরই লালশাক চাষ করা যায়। তবে শীতের শুরুতে লাল শাকের ফলন বেশি হয়। প্রায় সব ধরণের মাটিতেই সারাবছর বারি লাল শাক-১ এর চাষ করা হয়। তবে দো-আঁশ ও বেলে দো-আঁশ মাটি লাল শাক চাষের জন্য সবচেয়ে ভালো।
জমি তৈরি ও বীজ বপন
১. লাল শাক চাষের আগে জমি খুব ভালোভাবে চাষ ও মই দিয়ে তৈরি করে নিতে হবে। জমি ও মাটির অবস্থা বুঝে ৪-৬টি চাষ ও মই দিতে হবে।
২. লাল শাকের বীজ ছিটিয়ে ও সারিতে বপন করা যায়। তবে সারিতে বীজ বপন করা সুবিধাজনক।
৩. এক সারি থেকে অন্য সারির দূরত্ব ২০ সে.মি. রাখতে হবে।
৪. একটি কাঠি দিয়ে ১৫-২০ সে.মি. গভীর লাইন টেনে সারিতে বীজ বুনে মাটি সমান করে দিতে হবে।
সার প্রয়োগ
কৃষকদের মতে গুণগত মানসম্পন্ন ভালো ফলন পেতে হলে লাল শাক চাষের জমিতে যতটুকু সম্ভব জৈব সার প্রয়োগ করতে হবে। মাটি পরীক্ষা করে মাটির ধরণ অনুযায়ী সার প্রয়োগ করতে হবে। তবে জৈব সার ব্যবহার করলে মাটির গুণাগুণ ও পরিবেশ উভয়ই ভালো থাকবে। বাড়িতে গবাদি পশু থাকলে সেখান থেকে গোবর সংগ্রহ করা যাবে। নিজের গবাদি পশু না থাকলে পাড়া-প্রতিবেশি যারা গবাদি পশু পালন করে তাদের কাছ থেকে গোবর সংগ্রহ করা যেতে পারে। এছাড়া ভালো ফলন পেতে হলে জমিতে আবর্জনা পচা সার ব্যবহার করা যেতে পারে। বাড়ির আশে-পাশে গর্ত করে সেখানে আবর্জনা, ঝরা পাতা ইত্যাদি স্তুপ করে রেখে আবর্জনা পচা সার তৈরি করা সম্ভব।
চাষের সময় পরিচর্যা
১. বীজ গজানোর এক সপ্তাহের পর প্রত্যেক সারিতে ৫ সে.মি. পর পর গাছ রেখে বাকি গাছগুলো তুলে ফেলতে হবে।
২. নিড়ানি দিয়ে জমি আগাছামুক্ত রাখতে হবে।
৩. জমির উপরের মাটিতে চটা হলে নিড়ানি দেওয়ার সময় তা ভেঙ্গে দিতে হবে।
উৎপাদিত ফসলের পরিমাণ
উন্নত পদ্ধতিতে চাষ করলে প্রতি বিঘা জমি থেকে প্রায় ৫০০ কেজি লাল শাক পাওয়া যায়।
লাল শাক উৎপাদন খরচ
* ১বিঘা (৩৩ শতাংশ) জমিতে ফসল উৎপাদন খরচ
খরচের খাত পরিমাণ আনুমানিক মূল্য (টাকা)
বীজ ১ কেজি ২০০
জমি তৈরি ------- ৯০০
পানি সেচ ------- সাধারণত প্রয়োজন হয় না
শ্রমিক ৫জন (প্রতিজন=২০০ টাকা) ১০০০
সার প্রয়োজন আনুসারে জৈব সার নিজস্ব
বিকল্প হিসেবে
টিএসপি=৫ কেজি (১ কেজি=২৩ টাকা)
ইউরিয়া=২৩ কেজি (১ কেজি=১৫ টাকা)
এমপি=৬ কেজি (১ কেজি=২৮ টাকা)
জিপসাম=৩ কেজি (১ কেজি ১২ টাকা) ৬৬৪
কীটনাশক প্রয়োজন অনুসারে জৈব বা রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার নিজস্ব/দোকান
জমি ভাড়া একবছর ৪০০০
মাটির জৈব গুণাগুণ রক্ষা ও উৎপাদন খরচ কমানোর জন্য জৈব সার ও জৈব কীটনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে লাভের পরিমাণ বাড়তে পারে।
তথ্যসূত্র : মাঠকর্ম, ঘিওর, মানিকগঞ্জ, অক্টোবর ২০০৯
মূলধন
এক বিঘা (৩৩ শতাংশ) জমিতে লাল শাক চাষের জন্য ৩০০০-৪০০০ টাকার প্রয়োজন হবে। মূলধন সংগ্রহের জন্য ঋণের প্রয়োজন হলে নিকট আত্মীয়স্বজন, সরকারি ও বেসরকারি ঋণদানকারী ব্যাংক বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান (এনজিও)-এর সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে। এসব সরকারি ও বেসরকারি ঋণদানকারী ব্যাংক বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান (এনজিও) শর্ত সাপেক্ষে ঋণ দিয়ে থাকে।
প্রশিক্ষণ
লাল শাক চাষের আগে এ সম্পর্কে অভিজ্ঞ কারও কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে। এছাড়া চাষ সংক্রান্ত কোন তথ্য জানতে হলে স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তা অথবা উপজেলা কৃষি অফিসে যোগাযোগ করা যেতে পারে। এছাড়া বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে। এসব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্ধারিত ফি এর বিনিময়ে কৃষি বিষয়ক প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।
লাল শাক একটি জনপ্রিয় শাক। এটি খেতে সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। তাই এর চাহিদা শহর গ্রাম সবখানেই আছে। উন্নত পদ্ধতিতে চাষ করে লাল শাকে ফলন বাড়ানো সম্ভব।
সচরাচর জিজ্ঞাসা
প্রশ্ন ১ : কোন সময় লাল শাক চাষ করা হয়?
উত্তর : সারাবছরই লাল শাক চাষ করা যায়। তবে শীতের শুরুতে লাল শাকের ফলন বেশি হয়।
প্রশ্ন ২ : কোন ধরণের মাটিতে লাল শাক চাষ করা হয়?
উত্তর : প্রায় সব ধরণের মাটিতেই সারাবছর বারি লালশাক-১ এর চাষ হয়। তবে দো-আঁশ ও বেলে দো-আঁশ মাটি লাল শাক চাষের জন্য সবচেয়ে ভালো।
প্রশ্ন ৩ : লাল শাকে কি কি পুষ্টিগুণ আছে ?
উত্তর : লাল শাকে প্রচুর ভিটামিন এ, বি, সি ও ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়।
২৮-১১-২০১৩ | দেখা হেয়েছ: ২৫৮০ বার | 
আপলোড করেছে: কৃষি তথ্য সার্ভিস

Share:

বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

পুদিনা পাতা / Spearmint

Spearmint/পুদিনা পাতা:

পুদিনা একটি সাধারণ আগাছা ধরনের গাছ। কাণ্ড ও পাতা বেশ নরম। কাণ্ডের রঙ বেগুনি, পাতার রঙ সবুজ। ছোট গুল্ম জাতীয় এই গাছের পাতা ডিম্বাকার, পাতার কিনারা খাঁজকাটা ও সুগন্ধীযুক্ত হয়। পাতা কিছুটা রোমশ ও মিন্টের তীব্র গন্ধযুক্ত । পুদিনা পাতার মূল, পাতা, কান্ড সহ সমগ্র গাছই ওষুধীগুনে পরিপূর্ণ। বিশ্বের অনেক দেশেই পুদিনার গাছ জন্মে। এর পাতা সুগন্ধি হিসাবে রান্নায় ব্যবহার করা হয়।


Share:

মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

রঙ্গন

রঙ্গন


বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ:Plantae
(শ্রেণীবিহীন): Angiosperms
(শ্রেণীবিহীন): Eudicots
(শ্রেণীবিহীন): Asterids
বর্গ:Gentianales
পরিবার:Rubiaceae
উপপরিবার:Ixoroideae
গোত্র: Ixoreae
গণ:Ixora
প্রজাতি:I. coccinea
দ্বিপদী নামIxora coccinea
রঙ্গন ফুল যা শোভাবর্ধনকারী উদ্ভিদ হিসেবে অতি জনপ্রিয়। এটি গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ[১]
আকার
রঙ্গন ঘন চিরসবুজ গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ যা তিন থেকে ছয় মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়। রঙ্গনের মঞ্জুরিপত্র বিশিষ্ট গাঢ় লালবর্ণের পুষ্প-মঞ্জুরিতে থাকে অসংখ্য পুষ্পের সমাবেশ। পাতার বিন্যাস ঘন। পাতা সরল ও প্রতিমুখ বা আবর্ত, কিনারা অখ, উপপত্র দুটি বৃত্তের মাঝে অবস্থিত। ফুল নলাকৃতি, তারার মতো চারটি পাপড়ির বিন্যাস।[১]
বংশবিস্তার
রুদ্রাকৃতির সবুজ ফল থেকে গাছের চারা জন্মানো যায় কিংবা পরিণত গাছের ডাল নিচ থেকে কেটে মাটিতে রোপণ করে নিয়মিত জল দিয়ে পরিচর্যা করলে ক'দিন পরই মূল গজায়। জোড় কলম করেও রঙ্গনের বংশবিস্তার করা যায়।[১]
Share:

সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

অলোকা

অলোকা


হঠাৎ দেখলে মনে হতে পারে গোলাপ। আবার খাড়া পাতাসহ ডগা দূর থেকে অনেকটা টিউলিপের মতো দেখায়। রঙেরও ছড়াছড়ি। প্রায় ৪৫টি রঙের এ ফুলটি গাছ থেকে তোলার পর ১৫ দিন পর্যন্ত সতেজ থাকে। ফুলটির জাপানি নাম তরুকোগিকিও। আমাদের দেশে ইউস্টোমা নামেই বেশি পরিচিত। কেউ কেউ বলেন লিসিয়েন্থাস। নন্দিনী নামেও পরিচিত। তবে অতিসম্প্রতি আমাদের দেশে ফুলটি অলোকা নামে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে। বৈজ্ঞানিক নাম Eustoma grandifloram.
জেনেটিনসিয়া পরিবারের অন্তর্ভুক্ত বর্ষজীবী গুল্মজাতীয় এ ফুলটি বুনো বৈশিষ্ট্যের। ঝড়, বৃষ্টি, প্রচণ্ড গরম বা অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগেও এটি অক্ষত থাকে। এটি মূল কান্ড এবং পাতায় বিভক্ত, পাতার রঙ নিলাভ সবুজ রঙের। গাছটি লম্বায় ২০ থেকে ৬০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত উচুঁ হয়। প্রতিটি ফুল শক্ত ডাঁটা বা বৃন্তের ওপর থাকে বলে কখনো বেঁকে যায় না বা নুয়ে পড়ে না।
কাট ফ্লাওয়ার হিসেবে বেশ কদর থাকলেও দাম চড়া। তাই ফুলটি কয়েকটি দূতাবাস আর নামীদামি হোটেলেই বেশি দেখা যায়। কেউ কেউ শখ করে ঘরেও রাখেন। একটানা ১৫ দিন পর্যন্ত ফুলটি অবিকল থাকে বলে দাম এত বেশি। ফুলদানির পানিতে চিনি মিশিয়ে ২৫ দিন পর্যন্ত তাজা রাখা যায়। একটি গাছে একাধিক ফুল ফোটে। কলিগুলো ধারাবাহিক ভাবে ফোটে বলে গাছটি ফুলশূন্য হয় না। একেকটি গাছ একাধিক মৌসুমে ফুল দিতে পারে। প্রতি মৌসুমে একটি গাছ থেকে অন্তত ১২০টি ফুল পাওয়া যেতে পারে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, ফুলের সঙ্গে চলে আসা কলিগুলো ঘরের স্বাভাবিক পরিবেশে ফুলদানিতেই কয়েক দিন পর সম্পূর্ণ ফোটে।
সাধারণত জুন-জুলাই মাসে ফুলটি ফুটলেও সারা বছরই উৎপাদন সম্ভব। অধিক ফলন, রোগমুক্ত চারা, একসঙ্গে একই বয়সের অনেক চারা পাওয়া ও ফুলের গুণগত বৈশিষ্ট্য অক্ষুণ্ন রাখার জন্য টিস্যু কালচার অপরিহার্য। তাছাড়া এই জাতের ফুলের বীজ সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা কঠিন এবং বীজের অঙ্কুরোদগম ক্ষমতাও কম। সাধারণত বেলে দোআঁশ এবং জৈব পদার্থযুক্ত মাটি এই ফুল চাষের জন্য উপযুক্ত। চারা লাগানোর নব্বই দিনের মধ্যে ফুল পাওয়া যায়। প্রসঙ্গত বলা যায় যশোরের গদখালীতে ফুলটির বাণিজ্যিক চাষ শুরু হয়েছে।




তথ্য কৃতজ্ঞতা : পুষ্পকথন
Share:

Sample Text

হারবাল ঔষধ, ভেষজ ঔষধ, ভেষজ চূর্ণ, ভেষজ গুণ সম্পর্কিত গাছ, প্রাকৃতিক ঔষধ, ভেষজ উদ্ভিদ পরিচিতি, ইউনানি চিকিৎসা, আয়ুর্বেদ চিকিৎসা, আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা, গ্রামীণ চিকিৎসা সেবা, হারবাল চিকিৎসা, অর্গানিক খাদ্য,হারবাল চা,হারবাল রেমিডি,ন্যাচারাল রেমিডি, হার্বস, একক ভেষজ, হারবাল ঔষধ এর পরিচিতি,হারবাল ঔষধ এর রিভিউ, ইউনানি ঔষধ এর রিভিউ, আয়ুর্বেদিক ঔষধ এর রিভিউ,আয়ুর্বেদ চিকিৎসার ইতিহাস, ইউনানি চিকিৎসার ইতিহাস, ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকিৎসা, হারবাল টোটকা,হারবাল শরবত, ফলের গুনাগুন, ফুলের গুনাগুন ইত্যাদি নিয়ে লেখালেখি।

Blogger দ্বারা পরিচালিত.

About

test

Wikipedia

সার্চ ফলাফল

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

আমার ব্লগ তালিকা

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

About

আমার ব্লগ তালিকা

Blogroll

Unordered List

Theme Support

Blogroll

BTemplates.com

Blogroll

Natural Health

আমার ফটো
kishoregonj, dhaka, Bangladesh
I am simple Man and Harbs Learner.

Contact form

নাম

ইমেল *

বার্তা *

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

অনুসরণকারী

Followers

Generate More Traffic on your Website.

Generate More Traffic on your Website.
It is a long established fact that a reader will be distracted by the readable content of a page when looking at its layout. The point of using Lorem Ipsum is that it has a more-or-less normal distribution of letters, as opposed to using 'Content here, content here'.

Translate

BTemplates.com

THE LIFESTYLE

Pages - Menu

Random Posts

Pages

Pages - Menu

Pages

Pages

Most Popular

Recent Posts

Unordered List

Pages

Theme Support