মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
জরায়ু নিচে নেমে যাওয়ার চিকিৎসা ও প্রতিকার
দেশের নারীরা কিছু সমস্যার কথা অন্যের কাছে বলতে খুবই সংকোচ বোধ করেন। যত দিন সম্ভব সমস্যার কথা চেপে রাখেন। একপর্যায়ে রোগটা জটিল আকার ধারণ করে। জরায়ু নিচের দিকে নেমে যাওয়া এমনই একটি সমস্যা।
কারণ
■ কিছু মাংসপেশি ও লিগামেন্ট জরায়ুকে নির্দিষ্ট জায়গায় ধরে রাখতে সাহায্য করে। জন্মগতভাবে যদি কারও এ কাঠামো দুর্বল থাকে, তবে এ সমস্যা হতে পারে।
■ সন্তান প্রসবের সময় জরায়ুর মুখ সম্পূর্ণভাবে খোলার আগেই যদি অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করা হয়।
■ প্রসবব্যথা যদি ১২ থেকে ১৬ ঘণ্টার বেশি স্থায়ী হয় এবং প্রসবকালে জরায়ু নিচের দিকে ছিঁড়ে যায়।
■ এক সন্তান নেওয়ার পর স্বল্প বিরতিতে আরেক সন্তান নিলে। দুই সন্তানের মধ্যে বয়সের ব্যবধান এক বছরের কম হলে ঝুঁকি বেশি।
■ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জরায়ুর মাংসপেশিসহ সহায়ক কাঠামো দুর্বল হয়ে পড়লে।
■ অনেক দিন ধরে কাশি, কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে।
■ প্রসব-পরবর্তী যত্ন সঠিকভাবে না নিলে এবং ভারী জিনিস ওঠানোর কাজ করলে।
কীভাবে বুঝবেন?
● তলপেটে ও যোনিপথে কোনো কিছু নিচের দিকে নেমে যাওয়ার মতো অস্বস্তিকর অনুভূতি হলে।
● মাসিকের পথে জরায়ু বের হয়ে এলে।
● কোমরে ও সহবাসের সময় ব্যথা হলে।
● প্রস্রাব ঘন ঘন হওয়া বা প্রস্রাব অসম্পূর্ণ হওয়ার মতো অনুভূতি হলে।
● কোষ্ঠকাঠিন্য অথবা পায়খানা সম্পূর্ণ হয়নি বলে অনুভূত হলে।
● সাদা স্রাব বা লালচে স্রাব হলে।
চিকিৎসা
জরায়ুর মুখ কিছুটা বা সম্পূর্ণ বেরিয়ে এলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। ব্যায়ামে (কেগেল এক্সারসাইজ) পেলভিক মাংসপেশি আবার শক্তিশালী হয়ে ওঠে। বয়স কম এবং সন্তান নিতে আগ্রহীদের ক্ষেত্রে জরায়ু আগের জায়গায় প্রতিস্থাপন করাই হলো চিকিৎসা। সন্তান নিতে আগ্রহী না হলে অথবা বয়স ৫০ বছরের বেশি এবং মাসিক বন্ধ হয়ে গেছে, এমন রোগীদের জরায়ু কেটে ফেলা হয়।
সতর্কতা
■ সন্তান প্রসবের সময় পাশে অভিজ্ঞ ধাত্রী থাকা বা হাসপাতালে যাওয়া উচিত।
■ প্রসব-পরবর্তী সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে। সাধারণভাবে বা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে প্রসবের পর ছয় মাসের মধ্যে কোনো ভারী কাজ করা চলবে না।
■ প্রসব-পরবর্তী যথাসম্ভব দ্রুত স্বাভাবিক হাঁটাচলা শুরু করা উচিত।
■ জরায়ুর আশপাশের মাংসপেশিগুলোকে শক্তিশালী করার জন্য নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম আছে। এগুলো নিয়মিত করা উচিত।
■ দীর্ঘমেয়াদি কাশি ও কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে চিকিৎসা করাতে হবে।
■ সঠিক জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ এবং স্বল্প সময়ের ব্যবধানে সন্তান নেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
মৃগী রোগের লক্ষণ, চিকিৎসা এবং করণীয়
মৃগী রোগের লক্ষণ, চিকিৎসা এবং করণীয়ঃ
মৃগী (Epilepsy) রোগ একটি নিউরোলজিক্যাল বা স্নায়বিক রোগ এবং এতে খিঁচুনি হয়।এটি একপ্রকার মস্তিষ্কের রোগ।চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে “নিউরোলোজিক্যাল ডিজিজ” বলা হয়।মৃগী রোগ যে কোনো বয়সে হতে পারে৷এটা কোনো সংক্রামক রোগ নয়৷এই রোগের প্রকৃত কারণ জানা যায়নি কিন্তু জন্মগত ত্রুটি,মস্তিষ্কে আঘাত,মস্তিষ্কে টিউমার বা সংক্রমণ,স্ট্রোক প্রভৃতিকে সম্ভাব্য কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে।জিনগত মিউটেশনকেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে দায়ী বলে ধারনা করা হয়।মস্তিষ্কের সেরেব্রাল কর্টেক্সের স্নায়ুকোষগুলোর অতিরিক্ত ও অস্বাভাবিক ক্রিয়ার ফলে খিঁচুনি হয়।এ রোগে রোগী বার বার স্নায়বিক কারণে ফিট অর্থাৎ হঠাৎ খিচুনি বা অজ্ঞান হয়ে যায়।মৃগী রোগের একটি বৈশিষ্ট হলো রোগী বার বার খিঁচুনিতে আক্রান্ত হয় কিন্তু আক্রান্তের পর আবার পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যায়৷মৃগী রোগ থাকলেই ব্যক্তির বুদ্ধি-বিচার-বিবেচনা বোধ কমে যাবে এমন ধারনাটা সঠিক নয়।বরং মৃগী রোগে আক্রান্তদের মধ্যে খুব কম অংশের বুদ্ধিমত্তার ঘাটতি হতে পারে।
🔵মৃগী রোগ কেন হয়?
মৃগী রোগের প্রকৃত কারণ জানা এখনও সম্ভব হয়নি।তবে মাথায় আঘাত পেলে,প্রসবজনিত জটিলতা অথবা দেরিতে প্রসব হলে,মস্তিস্কে প্রদাহ হলে,মস্তিস্কে টিউমার হলে,জন্মগত ত্রুটি,স্ট্রোক এবং অধিক পরিমান মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে মৃগী রোগ হতে পারে।
🔵যে সকল কারণে মৃগী রোগীর খিঁচুনি হতে পারেঃ
কিছু কিছু কারনে মৃগী রোগীর খিঁচুনি হতে পারে।যেমন- ঠিকমতো ঘুম না হলে,মানসিক চাপ বেশী থাকলে,শারীরিক অথবা মানসিকভাবে অতিরিক্ত পরিশ্রম করলে,কোন সংক্রমণ রোগ অথবা জ্বরের কারনে,মদ্যপান বা নেশা জাতীও অন্য কোন পানীয় পান করলে,খুব কাছে বসে টিভি দেখলে,উচ্চ শব্দের ফলে,গরম পানিতে গোসল করলে,জোরে গান বাজনা শুনলে,কিছু কিছু ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় এবং অতিরিক্ত আলো ইত্যাদি কারনে হতে পারে।
🔵মৃগী রোগীর বৈশিষ্ট্যঃ
যেসব মানুষ দীর্ঘদিন যাবৎ মৃগী রোগে ভুগছেন,সে সকল মৃগী রোগীদের মধ্যে সাধারনত কিছু বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়।যেমন- অস্বাভাবিক আত্মকেন্দ্রিক হয়,খিটখিটে তিরিক্ষি মেজাজের হয়,ঝগড়া করার প্রবণতা থাকে,বুদ্ধিমত্তার ঘাটতি,বিষণ্ণতাগ্রস্ততা,ধর্মের দিক হতে গোঁড়া হবে,আবেগ মনোবৃত্তি বৃদ্ধি,যেকোনো বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করবে,আত্মহত্যার প্রবণতা ইত্যাদি।
🔵মৃদু ধরনের মৃগী রোগের লক্ষণঃ
*হঠাৎ করে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া৷এটা সাধারনত ১০ থেকে ১৫ সেকেন্ড স্থায়ী হতে পারে।অজ্ঞান হওয়ার সাথে সাথে খিঁচুনি শুরু হতে পারে।রোগী অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যেতে পারে আবার সাথে সাথে জ্ঞান ফিরে দাঁড়িয়ে যায়৷তবে এটা খুব কম ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে।
*জিহ্বা ও দাঁতে কামড় লাগতে পারে।
*খিঁচুনির সময় পড়ে গিয়ে আঘাত পাওয়া।
*খিঁচুনির পর মাথাব্যথা,শুয়ে থাকা অথবা কিছু সময় ধরে চুপচাপ থাকা।
*খিঁচুনির সময় প্রস্রাব-পায়খানা হয়ে যেতে পারে।
🔵বড় ধরনের মৃগী রোগের লক্ষণঃ
*এই রোগ সাধারণত কয়েক ঘন্টা থেকে কয়েক দিন পর্যন্ত থাকতে পারে এবং এ সময় রোগীর আচরণে কিছু পরিবর্তন আসে৷
*ফিট বা খিঁচুনি শুরু হওয়ার পূর্বে রোগী বুঝতে পারে৷
*রোগী জ্ঞান হারায় ও মাটিতে পড়ে যায়৷
*সবগুলো মাংশ পেশী টান টান হয়ে যায় এবং রোগী কান্নার মত চিৎকার করে।আবার রোগী নীল বর্ণ ধারন করতে পারে।এ অবস্থা সাধারণত ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড স্থায়ী হয়৷
*ঝাঁকুনির মত খিঁচুনি শুরু হয় এবং মুখ দিয়ে ফেনা বের হয়৷রোগী জিহ্বা কামড় দিয়ে রাখতে পারে৷
*রোগীর অজান্তেই প্রস্রাব কিংবা পায়খানা বেরিয়ে আসতে পারে৷
*রোগীর শরীর আস্তে আস্তে শীথিল হয়ে আসে,মুর্ছা যায় এবং পরবর্তীতে আস্তে আস্তে গভীরভাবে ঘুমিযে যায়৷ রোগী জেগে উঠার পর কিছু সময়ের জন্য সঠিকভাবে চিন্তা করতে পারে না এবং কি ঘটেছে সে ব্যাপারে কিছু মনেই করতে পারে না৷
*কিছু ক্ষেত্রে মাথা ব্যথা হতে পারে৷
*শরীরের কোনো নির্দিষ্ট অংশে খিঁচুনি--
শরীরের নির্দিষ্ট কোন স্থানে খিঁচুনি হতে পারে,মতিভ্রম হতে পারে আবার খিঁচুনি এক অঙ্গ থেকে বাড়তে বাড়তে সারা শরীরে ছড়িয়ে যেতে পারে।রোগী অজ্ঞান হতেও পারে আবার নাও হতে পারে৷আবার খিচুনি বন্ধ হওয়ার পর ঐ অঙ্গে প্যারালাইসিস হতে পারে৷
🔵কারও মৃগী রোগ উঠলে আশপাশের লোকদের করণীয়ঃ
মৃগী রোগে খিঁচুনি হঠাৎ শুরু হয়ে কিছুক্ষণ পর এমনিতেই থেমে যায়।সাধারণত এ ধরনের অ্যাটাক আধা মিনিট বা এক মিনিট সময় ধরে হয়।প্রকৃত পক্ষে এ জন্য কোনো কিছু করার দরকার নেই।অনেকে অস্থির হয়ে রোগীর হাত-পা চেপে ধরে,মাথায় পানি দেয় আবার অস্থির হয়ে মুখে ওষুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করে,চামড়ার জুতা বা গরুর হাড় বা লোহার শিক ইত্যাদি মুখে চেপে ধরে।কিন্তু এসব কোন কিছুই করার দরকার নেই।এসবে কিন্তু কোনো কাজ হয় না,বরং ক্ষতিই বেশি হয়।রোগটি নিজে নিজেই থেমে যাবে এবং রোগী ঘুমিয়ে পরবে।কারও কারও খেত্রে, মাথাব্যথা হতে পারে।
🔵সাধারনত মৃগী রোগীর ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত কাজগুলো করতে হয়ঃ
*রোগী যেমন করছে,তেমনই করতে দিন।
*রোগীকে জোরে ঠেসে ধরার কোন প্রয়োজন নেই।এতে বরং রোগীর ক্ষতি হতে পারে।
*রোগীর চারিদিকে মানুষের ভীড় করা যাবে না৷
*রোগীকে ঘুমাতে দিতে হবে৷
*রোগীর আশপাশে কোন ধারালো অস্ত্র,যন্ত্রপাতি কিংবা আগুন ইত্যাদি ক্ষতিকারক কোন কিছু যেন না থাকে যাতে সে আঘাতপ্রাপ্ত হতে পারে।
*রাস্তায় খিঁচুনি হলে,রাস্তার পাশে নিরাপদ কোন জায়গায় নিয়ে যেতে হবে।
*মাথাটি পাশ ফিরিয়ে এবং সামান্য নিচের দিকে হেলান দিয়ে রাখতে হবে যেন ভালোভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারে ও মুখের ফেনা বা লালা গড়িয়ে পরতে পারে৷
*যদি ১০ মিনিটেও মৃগী না থামে,তবে অবশ্যই রোগীকে নিকটস্থ হাসপাতাল বা ক্লিনিকে স্থানান্তর করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
🔵রোগীর জন্য করণীয়ঃ
রোগীকে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো মেনে চলতে হবেঃ
*নিয়মিতভাবে ওষুধ সেবন করতে হবে।
*সঠিক নিয়মে এবং পর্যাপ্ত ঘুম।
*সবসময় ইতিবাচক থাকা ভালো।
*নিয়মিত মেডিটেশন এতে কাজ করে(গবেষণায় প্রমাণিত)
মৃগী (Epilepsy) রোগ একটি নিউরোলজিক্যাল বা স্নায়বিক রোগ এবং এতে খিঁচুনি হয়।এটি একপ্রকার মস্তিষ্কের রোগ।চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে “নিউরোলোজিক্যাল ডিজিজ” বলা হয়।মৃগী রোগ যে কোনো বয়সে হতে পারে৷এটা কোনো সংক্রামক রোগ নয়৷এই রোগের প্রকৃত কারণ জানা যায়নি কিন্তু জন্মগত ত্রুটি,মস্তিষ্কে আঘাত,মস্তিষ্কে টিউমার বা সংক্রমণ,স্ট্রোক প্রভৃতিকে সম্ভাব্য কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে।জিনগত মিউটেশনকেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে দায়ী বলে ধারনা করা হয়।মস্তিষ্কের সেরেব্রাল কর্টেক্সের স্নায়ুকোষগুলোর অতিরিক্ত ও অস্বাভাবিক ক্রিয়ার ফলে খিঁচুনি হয়।এ রোগে রোগী বার বার স্নায়বিক কারণে ফিট অর্থাৎ হঠাৎ খিচুনি বা অজ্ঞান হয়ে যায়।মৃগী রোগের একটি বৈশিষ্ট হলো রোগী বার বার খিঁচুনিতে আক্রান্ত হয় কিন্তু আক্রান্তের পর আবার পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যায়৷মৃগী রোগ থাকলেই ব্যক্তির বুদ্ধি-বিচার-বিবেচনা বোধ কমে যাবে এমন ধারনাটা সঠিক নয়।বরং মৃগী রোগে আক্রান্তদের মধ্যে খুব কম অংশের বুদ্ধিমত্তার ঘাটতি হতে পারে।
🔵মৃগী রোগ কেন হয়?
মৃগী রোগের প্রকৃত কারণ জানা এখনও সম্ভব হয়নি।তবে মাথায় আঘাত পেলে,প্রসবজনিত জটিলতা অথবা দেরিতে প্রসব হলে,মস্তিস্কে প্রদাহ হলে,মস্তিস্কে টিউমার হলে,জন্মগত ত্রুটি,স্ট্রোক এবং অধিক পরিমান মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে মৃগী রোগ হতে পারে।
🔵যে সকল কারণে মৃগী রোগীর খিঁচুনি হতে পারেঃ
কিছু কিছু কারনে মৃগী রোগীর খিঁচুনি হতে পারে।যেমন- ঠিকমতো ঘুম না হলে,মানসিক চাপ বেশী থাকলে,শারীরিক অথবা মানসিকভাবে অতিরিক্ত পরিশ্রম করলে,কোন সংক্রমণ রোগ অথবা জ্বরের কারনে,মদ্যপান বা নেশা জাতীও অন্য কোন পানীয় পান করলে,খুব কাছে বসে টিভি দেখলে,উচ্চ শব্দের ফলে,গরম পানিতে গোসল করলে,জোরে গান বাজনা শুনলে,কিছু কিছু ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় এবং অতিরিক্ত আলো ইত্যাদি কারনে হতে পারে।
🔵মৃগী রোগীর বৈশিষ্ট্যঃ
যেসব মানুষ দীর্ঘদিন যাবৎ মৃগী রোগে ভুগছেন,সে সকল মৃগী রোগীদের মধ্যে সাধারনত কিছু বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়।যেমন- অস্বাভাবিক আত্মকেন্দ্রিক হয়,খিটখিটে তিরিক্ষি মেজাজের হয়,ঝগড়া করার প্রবণতা থাকে,বুদ্ধিমত্তার ঘাটতি,বিষণ্ণতাগ্রস্ততা,ধর্মের দিক হতে গোঁড়া হবে,আবেগ মনোবৃত্তি বৃদ্ধি,যেকোনো বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করবে,আত্মহত্যার প্রবণতা ইত্যাদি।
🔵মৃদু ধরনের মৃগী রোগের লক্ষণঃ
*হঠাৎ করে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া৷এটা সাধারনত ১০ থেকে ১৫ সেকেন্ড স্থায়ী হতে পারে।অজ্ঞান হওয়ার সাথে সাথে খিঁচুনি শুরু হতে পারে।রোগী অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যেতে পারে আবার সাথে সাথে জ্ঞান ফিরে দাঁড়িয়ে যায়৷তবে এটা খুব কম ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে।
*জিহ্বা ও দাঁতে কামড় লাগতে পারে।
*খিঁচুনির সময় পড়ে গিয়ে আঘাত পাওয়া।
*খিঁচুনির পর মাথাব্যথা,শুয়ে থাকা অথবা কিছু সময় ধরে চুপচাপ থাকা।
*খিঁচুনির সময় প্রস্রাব-পায়খানা হয়ে যেতে পারে।
🔵বড় ধরনের মৃগী রোগের লক্ষণঃ
*এই রোগ সাধারণত কয়েক ঘন্টা থেকে কয়েক দিন পর্যন্ত থাকতে পারে এবং এ সময় রোগীর আচরণে কিছু পরিবর্তন আসে৷
*ফিট বা খিঁচুনি শুরু হওয়ার পূর্বে রোগী বুঝতে পারে৷
*রোগী জ্ঞান হারায় ও মাটিতে পড়ে যায়৷
*সবগুলো মাংশ পেশী টান টান হয়ে যায় এবং রোগী কান্নার মত চিৎকার করে।আবার রোগী নীল বর্ণ ধারন করতে পারে।এ অবস্থা সাধারণত ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড স্থায়ী হয়৷
*ঝাঁকুনির মত খিঁচুনি শুরু হয় এবং মুখ দিয়ে ফেনা বের হয়৷রোগী জিহ্বা কামড় দিয়ে রাখতে পারে৷
*রোগীর অজান্তেই প্রস্রাব কিংবা পায়খানা বেরিয়ে আসতে পারে৷
*রোগীর শরীর আস্তে আস্তে শীথিল হয়ে আসে,মুর্ছা যায় এবং পরবর্তীতে আস্তে আস্তে গভীরভাবে ঘুমিযে যায়৷ রোগী জেগে উঠার পর কিছু সময়ের জন্য সঠিকভাবে চিন্তা করতে পারে না এবং কি ঘটেছে সে ব্যাপারে কিছু মনেই করতে পারে না৷
*কিছু ক্ষেত্রে মাথা ব্যথা হতে পারে৷
*শরীরের কোনো নির্দিষ্ট অংশে খিঁচুনি--
শরীরের নির্দিষ্ট কোন স্থানে খিঁচুনি হতে পারে,মতিভ্রম হতে পারে আবার খিঁচুনি এক অঙ্গ থেকে বাড়তে বাড়তে সারা শরীরে ছড়িয়ে যেতে পারে।রোগী অজ্ঞান হতেও পারে আবার নাও হতে পারে৷আবার খিচুনি বন্ধ হওয়ার পর ঐ অঙ্গে প্যারালাইসিস হতে পারে৷
🔵কারও মৃগী রোগ উঠলে আশপাশের লোকদের করণীয়ঃ
মৃগী রোগে খিঁচুনি হঠাৎ শুরু হয়ে কিছুক্ষণ পর এমনিতেই থেমে যায়।সাধারণত এ ধরনের অ্যাটাক আধা মিনিট বা এক মিনিট সময় ধরে হয়।প্রকৃত পক্ষে এ জন্য কোনো কিছু করার দরকার নেই।অনেকে অস্থির হয়ে রোগীর হাত-পা চেপে ধরে,মাথায় পানি দেয় আবার অস্থির হয়ে মুখে ওষুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করে,চামড়ার জুতা বা গরুর হাড় বা লোহার শিক ইত্যাদি মুখে চেপে ধরে।কিন্তু এসব কোন কিছুই করার দরকার নেই।এসবে কিন্তু কোনো কাজ হয় না,বরং ক্ষতিই বেশি হয়।রোগটি নিজে নিজেই থেমে যাবে এবং রোগী ঘুমিয়ে পরবে।কারও কারও খেত্রে, মাথাব্যথা হতে পারে।
🔵সাধারনত মৃগী রোগীর ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত কাজগুলো করতে হয়ঃ
*রোগী যেমন করছে,তেমনই করতে দিন।
*রোগীকে জোরে ঠেসে ধরার কোন প্রয়োজন নেই।এতে বরং রোগীর ক্ষতি হতে পারে।
*রোগীর চারিদিকে মানুষের ভীড় করা যাবে না৷
*রোগীকে ঘুমাতে দিতে হবে৷
*রোগীর আশপাশে কোন ধারালো অস্ত্র,যন্ত্রপাতি কিংবা আগুন ইত্যাদি ক্ষতিকারক কোন কিছু যেন না থাকে যাতে সে আঘাতপ্রাপ্ত হতে পারে।
*রাস্তায় খিঁচুনি হলে,রাস্তার পাশে নিরাপদ কোন জায়গায় নিয়ে যেতে হবে।
*মাথাটি পাশ ফিরিয়ে এবং সামান্য নিচের দিকে হেলান দিয়ে রাখতে হবে যেন ভালোভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারে ও মুখের ফেনা বা লালা গড়িয়ে পরতে পারে৷
*যদি ১০ মিনিটেও মৃগী না থামে,তবে অবশ্যই রোগীকে নিকটস্থ হাসপাতাল বা ক্লিনিকে স্থানান্তর করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
🔵রোগীর জন্য করণীয়ঃ
রোগীকে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো মেনে চলতে হবেঃ
*নিয়মিতভাবে ওষুধ সেবন করতে হবে।
*সঠিক নিয়মে এবং পর্যাপ্ত ঘুম।
*সবসময় ইতিবাচক থাকা ভালো।
*নিয়মিত মেডিটেশন এতে কাজ করে(গবেষণায় প্রমাণিত)
শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
ইমারজেন্সি পিল
ইমারজেন্সি পিল এবং এর কার্যকারিতা
সাধারণত জন্মনিয়ন্ত্রণ একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। স্বাভাবিক ভাবে যে কোন দম্পতি বিয়ের পর শারীরিক ও মানুষিক দুই ভাবেই একে অপরের সাথে মিলিত হয়।
এমন অবস্থায় মেয়েরা সাধারনত খুব তারাতারি গর্ভবতী হতে চায় না মাঝে মাঝে এমন ও হয় বিয়ের আগে অনেকে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে এমন সময় অনেক বড় ধরণের সমস্যা হতে পারে যেমনঃ মেয়েরা গর্ভবতী হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। তাহলে এই সময়ে কি করা জেতে পারে?
জন্মনিয়ন্ত্রণের জন অনেক রকম উপায়ই আছে- পুরুষ কনডম, মহিলা কনডম, ইমারজেন্সি পিল, ইনজেকশন ইত্যাদি।
অনেকে কনডম ব্যবহার করে নিরাপদ অনুভব করে না। যদি কোন সমস্যা তার পড়েও হয় এই ক্ষেত্রে ইমারজেন্সি পিল অনেকটা কার্যকরী। একটি ইমারজেন্সি পিল ৭২ ঘণ্টার মধ্যে খেলে ৯৯% কাজ দিবে। ধরুন আজ শারীরিক ভাবে মিলিত হলে আগামি ২ দিনের মধ্যে ইমারজেন্সি খেতে হবে। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে খেলে গর্ভবতী হওয়ার কোন আসংখা থাকে না।
\
আসুন কয়েকটি ইমারজেন্সি পিল সম্পর্কে জেনে নেই:
এমকন (Emcon)
আই-পিল(I-pill)
নোরিক্স(Norix)
নরপিল(Norpill)
উপরের সব গুলো পিলই ৭২ ঘণ্টার মধ্যে খেলে গর্ভবতী হওয়ার আসংখা থাকে না। এ গুলো ছড়াও আরও অনেক পিল আছে যা আপনি আপনার নিকটস্থ ফার্মেসি বা ঔষধের দোকানে পাবেন।
বিঃদ্রঃ- মনে রাখুন, ইমারজেন্সি গর্ভনিরোধক পিল শুধু মাত্র জরুরি সময়ের জন্য। এটি নিয়মিত ব্যবহারের যোগ্য নয়। কারণ এর গর্ভধারন রোধ করার ক্ষমতা নন ইমারজেন্সি গর্ভনিরোধকসমূহের থেকে কম কার্যকরী। তাছাড়া বার বার ইমারজেন্সি বা জরুরি গর্ভনিরোধক পিল সেবনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়ারও আশঙ্কা থাকে যেমন – অনিয়মিত মাসিক। তবে এর বার বার ব্যবহার কোন সাস্থ্যের ক্ষতি করে না।
সাধারণত জন্মনিয়ন্ত্রণ একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। স্বাভাবিক ভাবে যে কোন দম্পতি বিয়ের পর শারীরিক ও মানুষিক দুই ভাবেই একে অপরের সাথে মিলিত হয়।
এমন অবস্থায় মেয়েরা সাধারনত খুব তারাতারি গর্ভবতী হতে চায় না মাঝে মাঝে এমন ও হয় বিয়ের আগে অনেকে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে এমন সময় অনেক বড় ধরণের সমস্যা হতে পারে যেমনঃ মেয়েরা গর্ভবতী হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। তাহলে এই সময়ে কি করা জেতে পারে?
জন্মনিয়ন্ত্রণের জন অনেক রকম উপায়ই আছে- পুরুষ কনডম, মহিলা কনডম, ইমারজেন্সি পিল, ইনজেকশন ইত্যাদি।
অনেকে কনডম ব্যবহার করে নিরাপদ অনুভব করে না। যদি কোন সমস্যা তার পড়েও হয় এই ক্ষেত্রে ইমারজেন্সি পিল অনেকটা কার্যকরী। একটি ইমারজেন্সি পিল ৭২ ঘণ্টার মধ্যে খেলে ৯৯% কাজ দিবে। ধরুন আজ শারীরিক ভাবে মিলিত হলে আগামি ২ দিনের মধ্যে ইমারজেন্সি খেতে হবে। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে খেলে গর্ভবতী হওয়ার কোন আসংখা থাকে না।
\
আসুন কয়েকটি ইমারজেন্সি পিল সম্পর্কে জেনে নেই:
এমকন (Emcon)
আই-পিল(I-pill)
নোরিক্স(Norix)
নরপিল(Norpill)
উপরের সব গুলো পিলই ৭২ ঘণ্টার মধ্যে খেলে গর্ভবতী হওয়ার আসংখা থাকে না। এ গুলো ছড়াও আরও অনেক পিল আছে যা আপনি আপনার নিকটস্থ ফার্মেসি বা ঔষধের দোকানে পাবেন।
বিঃদ্রঃ- মনে রাখুন, ইমারজেন্সি গর্ভনিরোধক পিল শুধু মাত্র জরুরি সময়ের জন্য। এটি নিয়মিত ব্যবহারের যোগ্য নয়। কারণ এর গর্ভধারন রোধ করার ক্ষমতা নন ইমারজেন্সি গর্ভনিরোধকসমূহের থেকে কম কার্যকরী। তাছাড়া বার বার ইমারজেন্সি বা জরুরি গর্ভনিরোধক পিল সেবনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়ারও আশঙ্কা থাকে যেমন – অনিয়মিত মাসিক। তবে এর বার বার ব্যবহার কোন সাস্থ্যের ক্ষতি করে না।
শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০২০
মূত্রনালী পথে নিঃসরণ
মূত্রনালী পথে নিঃসরণ
পুরুষের স্বাস্থ্য সমস্যা
যদি আপনার মূত্রনালী পথে রস নিঃসরণ হয়, তাহলে সম্ভবত আপনার যৌনবাহিত সংক্রমণ রয়েছে যা আপনি অন্যের মধ্যে ছড়াতে পারেন। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনি ডাক্তার দেখাবেন, এমনকি আপনার উপসর্গ চলে গেলেও।
মূত্রনালীর প্রদাহকে চিকিৎসা পরিভাষায় বলে ইউরেথ্রাইটিস। মূত্রনালী হচ্ছে একটি নল যা মূত্রথলি থেকে লিঙ্গের মাথা পর্যন্ত বিস্তৃত। মূত্রনালীর প্রদাহ সাধারণত যৌনবাহিত সংক্রমণ দ্বারা ঘটে। তবে সব সময় নয়। এটা সীমাবদ্ধ যৌন সম্পর্কের মধ্যেও ঘটতে পারে।
গনোরিয়া
এটা এক ধরনের যৌনবাহিত সংক্রমণ যা মূত্রনালীর প্রদাহ ঘটাতে পারে।নন-গনোকক্কাল ইউরেথ্রাইটিস
গনোরিয়া ছাড়া অন্য যেকোনো কারণে মূত্রনালীর প্রদাহ হলে তাকে নন-গনোকক্কাল ইউরেথ্রাইটিস বলে। এটার সবচেয়ে সাধারণ কারণ হলো ক্লামাইডিয়া নামক ব্যাকটেরিয়া। এটা এক ধরনের যৌনবাহিত সংক্রমণ। এ ধরনের মূত্রনালীর প্রদাহ অন্য ধরনের ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস দ্বারাও ঘটতে পারে। কখনো কখনো কোনো সংক্রমণ ছাড়াও ঘটতে পারে। উদাহরণস্বরূপ মূত্রনালীতে আঘাত পেলে বা কোনো অপারেশন হলে প্রদাহ হতে পারে। কোনো কোনো পুরুষের একই সময়ে গনোরিয়ার জীবাণু এবং অন্য জীবাণু দ্বারা মূত্রনালীর প্রদাহ হতে পারে।
মূত্রনালীর প্রদাহের উপসর্গগুলো কী?
সাধারণত লিঙ্গের মুখ দিয়ে নিঃসরণ বা তরল পদার্থ বের হয়, তবে সব সময় নয়।
প্রস্রাব করার সময় ব্যথা বা জ্বালাপোড়া করে। এটা অনেকে প্রস্রাবে ইনফেকশন বলে ভুল করতে পারেন।
লিঙ্গের মধ্যে জ্বালাপোড়া করতে পারে অথবা ঘন ঘন প্রস্রাব করার ইচ্ছা জাগতে পারে।
মূত্রনালীর প্রদাহে কোনো কোনো পুরুষের কোনো উপসর্গ না-ও থাকতে পারে। উদাহরণস্বরূপ ক্লামাইডিয়া সংক্রমণের অর্ধেক সংখ্যক পুরুষের কোনো উপসর্গ থাকে না।
মূত্রনালীর প্রদাহে কোনো কোনো পুরুষের কোনো উপসর্গ না-ও থাকতে পারে। উদাহরণস্বরূপ ক্লামাইডিয়া সংক্রমণের অর্ধেক সংখ্যক পুরুষের কোনো উপসর্গ থাকে না।
কিভাবে রোগের উন্নতি ঘটে?
উপসর্গগুলো অনেক সময় এমনিতেই চলে যায়। এ ক্ষেত্রে দুই সপ্তাহ থেকে ছয় মাস লাগতে পারে। যদি ব্যাকটেরিয়ার কারণে, যেমন ক্লামাইডিয়ার কারণে মূত্রনালীর প্রদাহ ঘটে তাই কিছু ব্যাকটেরিয়া মূত্রনালীতে থেকে যায়। তখন অবশ্যই চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। এ ক্ষেত্রে উপসর্গ চলে গেলেও চিকিৎসা করাতে হবে। যে ব্যাকটেরিয়াটি (ক্লামাইডিয়া) সচরাচর পুরুষদের মূত্রনালীর প্রদাহ ঘটায় সেটি মহিলাদের মারাত্মক সমস্যা ঘটাতে পারে।
মূত্রনালীর প্রদাহ হলে কী করা উচিত?
উপসর্গগুলো অনেক সময় এমনিতেই চলে যায়। এ ক্ষেত্রে দুই সপ্তাহ থেকে ছয় মাস লাগতে পারে। যদি ব্যাকটেরিয়ার কারণে, যেমন ক্লামাইডিয়ার কারণে মূত্রনালীর প্রদাহ ঘটে তাই কিছু ব্যাকটেরিয়া মূত্রনালীতে থেকে যায়। তখন অবশ্যই চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। এ ক্ষেত্রে উপসর্গ চলে গেলেও চিকিৎসা করাতে হবে। যে ব্যাকটেরিয়াটি (ক্লামাইডিয়া) সচরাচর পুরুষদের মূত্রনালীর প্রদাহ ঘটায় সেটি মহিলাদের মারাত্মক সমস্যা ঘটাতে পারে।
মূত্রনালীর প্রদাহ হলে কী করা উচিত?
এটা কখনোই অবহেলা করবেন না। অবশ্যই ডাক্তার দেখাবেন, এমনকি আপনার উপসর্গ চলে গেলেও ডাক্তার দেখাবেন।
ডাক্তার আপনাকে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে পারেন। এসব পরীক্ষার মধ্যে রয়েছে নিঃসরণ পরীক্ষা ও প্রস্রাব পরীক্ষা, যা আপনার সংক্রমণের কারণ নির্ণয়ে সাহায্য করবে।
এন্টিবায়োটিক সাধারণত সংক্রমণ দূর করবে। তবে এটি নির্ভর করে রোগের কারণের ওপর।
এন্টিবায়োটিক সাধারণত সংক্রমণ দূর করবে। তবে এটি নির্ভর করে রোগের কারণের ওপর।
আপনার যৌন সঙ্গিনীকেও ডাক্তার দেখাতে হবে, এমনকি তার কোনো উপসর্গ না থাকলেও। যৌনবাহিত রোগে আক্রান্ত অনেক মহিলার কোনো উপসর্গ প্রকাশ পায় না।
আপনার ও আপনার যৌন সঙ্গিনীর পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসা শেষ না হওয়া পর্যন্ত যৌনসঙ্গম করবেন না।
আপনার ও আপনার যৌন সঙ্গিনীর পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসা শেষ না হওয়া পর্যন্ত যৌনসঙ্গম করবেন না।
বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২০
যৌন রোগ এবং তার লক্ষণ
জেনে রাখুন ১০টি যৌন রোগ এবং তার লক্ষণ
যৌনরোগ মানেই শুধুমাত্র এইড্স নয়। আরও বহু যৌনরোগ রয়েছে যা ঠিকমতো চিকিৎসা না-হলে মারণ আকার ধারণ করতে পারে। পুরুষ ও মহিলা উভয়েই সমানভাবে আক্রান্ত হতে পারেন এই সব রোগ থেকে।
যৌনরোগ বা যৌন সংসর্গের ফলে সংক্রামিত রোগের সংখ্যা নেহাত কম নয়। ঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। সব সময় যে অবাধ সঙ্গমের ফলেই এই ধরনের রোগ হয় তা নয়, কোনও একজন আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে বহুবার শারীরিক সম্পর্কের ফলেও এই রোগ হতে পারে।
এইড্সের সম্পর্কে কমবেশি সবাই জানেন কিন্তু এটি ছাড়াও আরও অনেক যৌনরোগ রয়েছে। জেনে রাখুন তাদের নাম ও লক্ষণ—
১) ক্ল্যামিডিয়া
যোনি এবং পুরুষাঙ্গ থেকে অস্বাভাবিক ক্ষরণ এই রোগের লক্ষণ। গড়ে ৫০ শতাংশ পুরুষ ও ৭০ শতাংশ মহিলাদের মধ্যে এই রোগ দেখা যায়। দ্রুত চিকিৎসা করলে সেরে ওঠা সম্ভব। ক্ল্যামিডিয়া হলে খুব সহজেই অন্যান্য যৌনরোগ বাসা বাঁধে শরীরে।
২) গনোরিয়া
সচরাচর ক্ল্যামিডিয়া এবং গনোরিয়া একই সঙ্গে হয়। যোনি বা পুরুষাঙ্গ থেকে অস্বাভাবিক ক্ষরণ, মূত্রত্যাগ করার সময় যন্ত্রণা ইত্যাদি এই রোগের লক্ষণ। চিকিৎসা না করলে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এই রোগ।
৩) যৌনাঙ্গে হার্পিস
৮০ শতাংশ মানুষ যাঁদের যৌনাঙ্গে হার্পিস রয়েছে তাঁরা জানেন না যে তাঁদের শরীর আসলে একটি বিশেষ ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত। অজান্তেই তাঁরা সঙ্গী বা সঙ্গিনীর শরীরে সংক্রামিত করেন এই ভাইরাস। যৌনাঙ্গে ছোট ছোট ফোস্কার মতো র্যাশ এই রোগের লক্ষণ। ফোস্কা পরার বেশ কয়েক ঘণ্টা আগে থেকে চুলকানির অনুভূতি হয় যৌনাঙ্গে। একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর বার বার এই র্যাশগুলি বেরতে থাকে।
৪) সিফিলিস
প্রাচীনকাল থেকেই এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে মানুষ। ঠিক সময়ে ধরা পড়লে সাম্প্রতিক কালে সহজেই সারানো যায় এই রোগ। কিন্তু রোগ বেড়ে গেলে তা সাঙ্ঘাতিক যন্ত্রণাদায়ক। যৌনাঙ্গ, পায়ু এবং মুখে আলসার হয়, এমনকী চোখ এবং মস্তিষ্কও আক্রান্ত হয়। যৌনরোগগুলির মধ্যে অন্যতম মারণ রোগ। তবে প্রাথমিক অবস্থায় এই রোগের লক্ষণ শরীরে চট করে ধরা পড়ে না।
৫) যৌনাঙ্গে আঁচিল বা ওয়ার্ট
যৌনাঙ্গ এবং পায়ুর আশেপাশে আঁচিলের মতো র্যাশ এক ধরনের যৌন রোগ। একত্রে একসঙ্গে অনেকগুলি আঁচিল দেখা যায়। হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস, যা সার্ভিক্যাল ক্যানসারের কারণ এবং যৌন সংসর্গে এক শরীর থেকে অন্য শরীরে ছড়ায়, তাই এই রোগের জন্ম দেয়। অনেক সময় এই আঁচিলগুলি ফোস্কার মতো হয় আবার অনেক সময় এগুলি আলসারেও পরিণত হতে পারে।
৬) হেপাটাইটিস বি
অনেকেই হয়তো জানেন না, এই রোগটিও যৌন সংসর্গের ফলে ছড়ায়। একই ভাবে ছড়াতে পারে হেপাটাইটিস এ এবং হেপাটাইটিস সি তবে তার সংখ্যা খুবই কম। লিভার সংক্রান্ত জটিলতা, মূত্রের রং পরিবর্তন, গা বমি ভাব ইত্যাদি এই রোগের লক্ষণ হতে পারে।
৭) এইচআইভি
এইচআইভি ভাইরাস মারণ নয় কিন্তু এই রোগের মূল লক্ষণ শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা ভেঙে পড়া। তাই এই ভাইরাস শরীরে থাকলে অন্য যে কোনও কঠিন রোগ হলে তা মারণ আকার ধারণ করে।
৮) যৌনকেশে উকুন
মাথার চুলের মতো যৌনাঙ্গের কেশেও উকুন বাসা বাঁধতে পারে এবং শারীরিক মিলনের সময়ে তা অন্যের শরীরে সংক্রামিত হয়। যৌনাঙ্গের আশপাশে চুলকানি হলে তা এই কারণে হতে পারে।
৯) ট্রাইকোমোনিয়াসিস
যৌনাঙ্গ থেকে অস্বাভাবিক ক্ষরণ, যৌনক্রিয়ার সময় যৌনাঙ্গে যন্ত্রণা এবং মূত্রত্যাগের সময় যন্ত্রণা এই রোগের লক্ষণ যদিও সঠিক চিকিৎসায় দ্রুত সেরে ওঠা সম্ভব।
১০) ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিস
যোনি থেকে নিঃসরণে দুর্গন্ধ এই রোগের লক্ষণ। অন্যান্য রোগের তুলনায় এই রোগ খুব সহজেই সেরে যায়।
যৌনরোগ মানেই শুধুমাত্র এইড্স নয়। আরও বহু যৌনরোগ রয়েছে যা ঠিকমতো চিকিৎসা না-হলে মারণ আকার ধারণ করতে পারে। পুরুষ ও মহিলা উভয়েই সমানভাবে আক্রান্ত হতে পারেন এই সব রোগ থেকে।
যৌনরোগ বা যৌন সংসর্গের ফলে সংক্রামিত রোগের সংখ্যা নেহাত কম নয়। ঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। সব সময় যে অবাধ সঙ্গমের ফলেই এই ধরনের রোগ হয় তা নয়, কোনও একজন আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে বহুবার শারীরিক সম্পর্কের ফলেও এই রোগ হতে পারে।
এইড্সের সম্পর্কে কমবেশি সবাই জানেন কিন্তু এটি ছাড়াও আরও অনেক যৌনরোগ রয়েছে। জেনে রাখুন তাদের নাম ও লক্ষণ—
১) ক্ল্যামিডিয়া
যোনি এবং পুরুষাঙ্গ থেকে অস্বাভাবিক ক্ষরণ এই রোগের লক্ষণ। গড়ে ৫০ শতাংশ পুরুষ ও ৭০ শতাংশ মহিলাদের মধ্যে এই রোগ দেখা যায়। দ্রুত চিকিৎসা করলে সেরে ওঠা সম্ভব। ক্ল্যামিডিয়া হলে খুব সহজেই অন্যান্য যৌনরোগ বাসা বাঁধে শরীরে।
২) গনোরিয়া
সচরাচর ক্ল্যামিডিয়া এবং গনোরিয়া একই সঙ্গে হয়। যোনি বা পুরুষাঙ্গ থেকে অস্বাভাবিক ক্ষরণ, মূত্রত্যাগ করার সময় যন্ত্রণা ইত্যাদি এই রোগের লক্ষণ। চিকিৎসা না করলে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এই রোগ।
৩) যৌনাঙ্গে হার্পিস
৮০ শতাংশ মানুষ যাঁদের যৌনাঙ্গে হার্পিস রয়েছে তাঁরা জানেন না যে তাঁদের শরীর আসলে একটি বিশেষ ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত। অজান্তেই তাঁরা সঙ্গী বা সঙ্গিনীর শরীরে সংক্রামিত করেন এই ভাইরাস। যৌনাঙ্গে ছোট ছোট ফোস্কার মতো র্যাশ এই রোগের লক্ষণ। ফোস্কা পরার বেশ কয়েক ঘণ্টা আগে থেকে চুলকানির অনুভূতি হয় যৌনাঙ্গে। একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর বার বার এই র্যাশগুলি বেরতে থাকে।
৪) সিফিলিস
প্রাচীনকাল থেকেই এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে মানুষ। ঠিক সময়ে ধরা পড়লে সাম্প্রতিক কালে সহজেই সারানো যায় এই রোগ। কিন্তু রোগ বেড়ে গেলে তা সাঙ্ঘাতিক যন্ত্রণাদায়ক। যৌনাঙ্গ, পায়ু এবং মুখে আলসার হয়, এমনকী চোখ এবং মস্তিষ্কও আক্রান্ত হয়। যৌনরোগগুলির মধ্যে অন্যতম মারণ রোগ। তবে প্রাথমিক অবস্থায় এই রোগের লক্ষণ শরীরে চট করে ধরা পড়ে না।
৫) যৌনাঙ্গে আঁচিল বা ওয়ার্ট
যৌনাঙ্গ এবং পায়ুর আশেপাশে আঁচিলের মতো র্যাশ এক ধরনের যৌন রোগ। একত্রে একসঙ্গে অনেকগুলি আঁচিল দেখা যায়। হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস, যা সার্ভিক্যাল ক্যানসারের কারণ এবং যৌন সংসর্গে এক শরীর থেকে অন্য শরীরে ছড়ায়, তাই এই রোগের জন্ম দেয়। অনেক সময় এই আঁচিলগুলি ফোস্কার মতো হয় আবার অনেক সময় এগুলি আলসারেও পরিণত হতে পারে।
৬) হেপাটাইটিস বি
অনেকেই হয়তো জানেন না, এই রোগটিও যৌন সংসর্গের ফলে ছড়ায়। একই ভাবে ছড়াতে পারে হেপাটাইটিস এ এবং হেপাটাইটিস সি তবে তার সংখ্যা খুবই কম। লিভার সংক্রান্ত জটিলতা, মূত্রের রং পরিবর্তন, গা বমি ভাব ইত্যাদি এই রোগের লক্ষণ হতে পারে।
৭) এইচআইভি
এইচআইভি ভাইরাস মারণ নয় কিন্তু এই রোগের মূল লক্ষণ শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা ভেঙে পড়া। তাই এই ভাইরাস শরীরে থাকলে অন্য যে কোনও কঠিন রোগ হলে তা মারণ আকার ধারণ করে।
৮) যৌনকেশে উকুন
মাথার চুলের মতো যৌনাঙ্গের কেশেও উকুন বাসা বাঁধতে পারে এবং শারীরিক মিলনের সময়ে তা অন্যের শরীরে সংক্রামিত হয়। যৌনাঙ্গের আশপাশে চুলকানি হলে তা এই কারণে হতে পারে।
৯) ট্রাইকোমোনিয়াসিস
যৌনাঙ্গ থেকে অস্বাভাবিক ক্ষরণ, যৌনক্রিয়ার সময় যৌনাঙ্গে যন্ত্রণা এবং মূত্রত্যাগের সময় যন্ত্রণা এই রোগের লক্ষণ যদিও সঠিক চিকিৎসায় দ্রুত সেরে ওঠা সম্ভব।
১০) ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিস
যোনি থেকে নিঃসরণে দুর্গন্ধ এই রোগের লক্ষণ। অন্যান্য রোগের তুলনায় এই রোগ খুব সহজেই সেরে যায়।
বুধবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০২০
যৌনবাহিত রোগ
যৌনবাহিত রোগ(ইংরেজি: sexually transmitted disease বা STD) হল সেসব সংক্রামক রোগ যেগুলো সাধারণত যোনীমৈথুন, মুখমেহন, পায়ুমৈথুনসহ নানাবিধ যৌনকর্মের মাধ্যমে বিস্তার লাভ করে। একে সংক্ষেপে এসটিডি (STD) উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও একে যৌনবাহিত সংক্রমণ (sexually transmitted infections বা STI) অথবা যৌনব্যাধি (venereal diseases বা VD) নামেও অভিহিত করা হয়। চিকিৎসা শাস্ত্রের বিখ্যাত গ্রন্থ ডেভিডসন যৌনসংক্রমণে বিভিন্ন মানব অঙ্গপ্রত্যঙ্গের নাম বর্ণনা করা হয়েছে। অ্যালব্রেক্ট ডিউরার কর্তৃক অঙ্কিত সিফিলিস রোগের চিত্র। শ্রেণীবিভাগ এবং বহিঃস্থ সম্পদ বিশিষ্টতা সংক্রামক রোগ আইসিডি-১০ A৬৪ আইসিডি-৯-সিএম ০৯৯.৯ ডিজিসেসডিবি ২৭১৩০ পেশেন্ট ইউকে যৌনবাহিত রোগ মেএসএইচ D০১২৭৪৯ (ইংরেজি) "STIs are a group of contagious conditions whose principal mode of transmission is by intimate sexual activity involving the moist mucous membranes of the penis, vulva, vagina, cervix, anus, rectum, mouth and pharynx along with their adjacent skin surfaces."উল্লেখযোগ্য কিছু যৌনবাহিত রোগের নাম হলোঃ সিফিলিস(syphilis) বা ফিরিঙ্গি রোগ গনোরিয়া( Gonorrhoea) বা বিষমেহ ক্ল্যামাইডিয়া (Chlamydia) ট্রাইকোমোনিয়াসিস(Trichomoniasis) জেনিটাল হার্পিস (Genital herpes) জেনিটাল ওয়ার্টস ( Genital warts) হেপাটাইটিস বি এবং সি (Hepatitis B & C) এইডস (এইচ আইভির জীবাণু) চ্যানক্রয়েড (Chancroid) গ্রানুলোমা ইনগুইনাল (granuloma inguinale) লিম্ফোগ্রানুলোমা ভেনেরিয়াম (lymphogranuloma venereum) একে যৌন বহনযোগ্য রোগ বলা অধিক যুক্তিযুক্ত কারণ এসব রোগের কিছুসংখ্যক রোগ অন্যান্য প্রক্রিয়াতেও ছড়ায় (যেমন এইচআইভি)। কিছু সাধারণ যৌনরোগের জীবানুর নামঃ গনোরিয়া - Neisseria gonorrhoea. সিফিলিস - Treponema pallidum. জেনিটাল হার্পিস - Herpes simplex(type 2) এইডস -HIV virus দীর্ঘদিনের যকৃতের প্রদাহ -Hepatitis B & C virus জেনিটাল ওয়ার্টস - Human pailloma virus. তথ্যসূত্র :উইকিপিডিয়া |
সোমবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০২০
রক্তস্বল্পতায় ঘরোয়া সমাধান
রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন?
জেনে নিন ঘরোয়া সমাধান
অনেকে রক্তস্বল্পতাকে খুব বড় কোনো রোগ মনে করেন না। তবে আপনি জানেন কী? বড় অসুখের শুরু হতে পারে এই রক্তস্বল্পতা থেকেই। আবার এই রক্তস্বল্পতা কিন্তু আপনি ঘরোয়াভাবে সমাধান করতে পারেন।
কারণ, রক্তস্বল্পতা মারাত্মক পর্যায়ে না পৌঁছানো পর্যন্ত একে তেমন ক্ষতিকর কোনো সমস্যা অনেকেই মনে করেন না। তবে বাস্তবে এই অবহেলার ফল হয় মারাত্মক।
একজন পূর্ণবয়স্ক নারীর জন্য রক্তে হিমোগ্লোবিন ১২.১ থেকে ১৫.১ গ্রাম/ডেসিলিটার, পুরুষের রক্তে ১৩.৮ থেকে ১৭.২ গ্রাম/ডেসিলিটার, শিশুদের রক্তে ১১ থেকে ১৬ গ্রাম/ডেসিলিটার থাকা স্বাভাবিক। কারও রক্তে হিমোগ্লোবিন এর চেয়ে কমে গেলে তিনি রক্তস্বল্পতায় আক্রান্ত বলেই মনে করা হয়।
আসুন জেনে নিই শরীরে রক্তস্বল্পতার সমস্যা হলে কী করবেন?
১. রক্তস্বল্পতার সমস্যায় প্রতিদিন চীনাবাদাম খাওয়া জরুরি। চীনাবাদামে থাকা আয়রন আপনার রক্তস্বল্পতার সমস্যা দূর করবে।
২. দিনে মাত্র একটি ডিম খাওয়া অভ্যাস করলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি দূর হবে। তাই ডিমের মতো সহজলভ্য, পুষ্টিকর খাবার রাখুন প্রতিদিনের
খাদ্যতালিকায়।
৩. খেজুরে পুষ্টিগুণও রয়েছে ভরপুর আয়রন। তাই রক্তস্বল্পতার সমস্যা দূর করতে নিয়মিত খাদ্যতালিকায় খেজুর রাখতে পারেন। খেজুর হল অন্যতম একক ভেষজ।
৪. সহজলভ্য সবজি টমেটো রক্তস্বল্পতা দূর করতে খুবই কার্যকরী। টমেটোয় থাকা আয়রন, ভিটামিন সি এবং লাইকোপেন রক্তস্বল্পতাসহ নানা রোগের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করতে সক্ষম। তাই নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন টমেটো।তাই টমেটোকে আমরা একক ভেষজ বলতে পারি।
৫. মধু একটি উচ্চ ঔষধি গুণসম্পন্ন একক ভেষজ তরল। এই মধু রক্তস্বল্পতার সমস্যায় খুব ভালো কাজ করে।
তথ্যসূত্র: জি নিউজ
অনেকে রক্তস্বল্পতাকে খুব বড় কোনো রোগ মনে করেন না। তবে আপনি জানেন কী? বড় অসুখের শুরু হতে পারে এই রক্তস্বল্পতা থেকেই। আবার এই রক্তস্বল্পতা কিন্তু আপনি ঘরোয়াভাবে সমাধান করতে পারেন।
কারণ, রক্তস্বল্পতা মারাত্মক পর্যায়ে না পৌঁছানো পর্যন্ত একে তেমন ক্ষতিকর কোনো সমস্যা অনেকেই মনে করেন না। তবে বাস্তবে এই অবহেলার ফল হয় মারাত্মক।
একজন পূর্ণবয়স্ক নারীর জন্য রক্তে হিমোগ্লোবিন ১২.১ থেকে ১৫.১ গ্রাম/ডেসিলিটার, পুরুষের রক্তে ১৩.৮ থেকে ১৭.২ গ্রাম/ডেসিলিটার, শিশুদের রক্তে ১১ থেকে ১৬ গ্রাম/ডেসিলিটার থাকা স্বাভাবিক। কারও রক্তে হিমোগ্লোবিন এর চেয়ে কমে গেলে তিনি রক্তস্বল্পতায় আক্রান্ত বলেই মনে করা হয়।
আসুন জেনে নিই শরীরে রক্তস্বল্পতার সমস্যা হলে কী করবেন?
১. রক্তস্বল্পতার সমস্যায় প্রতিদিন চীনাবাদাম খাওয়া জরুরি। চীনাবাদামে থাকা আয়রন আপনার রক্তস্বল্পতার সমস্যা দূর করবে।
২. দিনে মাত্র একটি ডিম খাওয়া অভ্যাস করলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি দূর হবে। তাই ডিমের মতো সহজলভ্য, পুষ্টিকর খাবার রাখুন প্রতিদিনের
খাদ্যতালিকায়।
৩. খেজুরে পুষ্টিগুণও রয়েছে ভরপুর আয়রন। তাই রক্তস্বল্পতার সমস্যা দূর করতে নিয়মিত খাদ্যতালিকায় খেজুর রাখতে পারেন। খেজুর হল অন্যতম একক ভেষজ।
৪. সহজলভ্য সবজি টমেটো রক্তস্বল্পতা দূর করতে খুবই কার্যকরী। টমেটোয় থাকা আয়রন, ভিটামিন সি এবং লাইকোপেন রক্তস্বল্পতাসহ নানা রোগের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করতে সক্ষম। তাই নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন টমেটো।তাই টমেটোকে আমরা একক ভেষজ বলতে পারি।
৫. মধু একটি উচ্চ ঔষধি গুণসম্পন্ন একক ভেষজ তরল। এই মধু রক্তস্বল্পতার সমস্যায় খুব ভালো কাজ করে।
তথ্যসূত্র: জি নিউজ