হারবাল ঔষধ, ভেষজ ঔষধ, ভেষজ চূর্ণ, ভেষজ গুণ সম্পর্কিত গাছ, প্রাকৃতিক ঔষধ, ভেষজ উদ্ভিদ পরিচিতি, ইউনানি চিকিৎসা, আয়ুর্বেদ চিকিৎসা, আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা, গ্রামীণ চিকিৎসা সেবা, হারবাল চিকিৎসা, অর্গানিক খাদ্য,হারবাল চা,হারবাল রেমিডি,ন্যাচারাল রেমিডি, হার্বস, একক ভেষজ, হারবাল ঔষধ এর পরিচিতি,হারবাল ঔষধ এর রিভিউ, ইউনানি ঔষধ এর রিভিউ, আয়ুর্বেদিক ঔষধ এর রিভিউ,আয়ুর্বেদ চিকিৎসার ইতিহাস, ইউনানি চিকিৎসার ইতিহাস, ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকিৎসা, হারবাল টোটকা,হারবাল শরবত, ফলের গুনাগুন, ফুলের গুনাগুন ইত্যাদি নিয়ে লেখালেখি।

Blogger templates

  • This is default featured slide 1 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by NewBloggerThemes.com.

  • This is default featured slide 2 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by NewBloggerThemes.com.

  • This is default featured slide 3 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by NewBloggerThemes.com.

  • This is default featured slide 4 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by NewBloggerThemes.com.

  • This is default featured slide 5 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by NewBloggerThemes.com.

শনিবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৯

আপার বেলি ফ্যাট কারণ ও পেটের মেদ কমাতে কার্যকরী ব্যায়াম

আপার বেলি ফ্যাট কারণ ও পেটের মেদ কমাতে ৫টি কার্যকরী ব্যায়াম

আপার বেলি ফ্যাট আমাদের জীবনের কমন একটা সমস্যা। এ সমস্যায় আমাদের উপরের পেটে চর্বি জমে কোমরের সাইজ নষ্ট করে দেয়।  পেট ফুলে থাকার কারণে আমাদের কোন ড্রেসই মানানসই মনে হয়না। এ নিয়ে আমাদের বিব্রত থাকতে হয়। মেদজনিত সমস্যায় শরীরের সব অংশের তুলনায় দ্রুত আক্রান্ত হয় উপরের পেট। আর সবচেয়ে বেশী দেরীতেও ঝরে এ অংশের মেদ। শারীরিক সৌন্দর্য পুরাই নষ্ট করে দেয় এ অংশের মেদ। তাই এ নিয়ে নারী পুরুষ উভয়েরই দুশ্চিন্তার শেষ নেই। অনেকের ক্ষেত্রে বংশগত সমস্যার কারণেও উপরের পেট বড় হয়। আবার হরমোন জনিত সমস্যার কারণেও উপরের পেটে মেদ জমে। সঠিক খাদ্যাভ্যাস, দৈনন্দিন জীবনে পরিবর্তন ও নিয়মিত ব্যায়াম আমাদের উপরের পেটের মেদ জমা থেকে বাঁচাতে পারে। চলুন জেনে নেই আপার বেলি ফ্যাট এর কারণ ও পরিত্রাণের উপায়।

যে ৫টি কারণে আপার বেলি ফ্যাট দেখা যায়

১) অস্বাস্হ্যকর খাবার
আপার বেলি ফ্যাট কমাতে অস্বাস্থ্যকর খাবার - shajgoj.com
আমরা প্রত্যেকেই বিভিন্ন জাঙ্ক ফুড (Junk food) যেমন ভাজাপোড়া খাবার,ফাস্টফুড ও মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে পছন্দ করি। এসব খাবার বেশীরভাগই অস্বাস্থ্যকর। কারণ এগুলো আমাদের শরীরে ক্যালরির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। নিয়মিত জাঙ্ক ফুড ও প্রক্রিয়াজাত খাবার আমাদের বিপাক তন্ত্রের ক্রিয়া হ্রাস করে এবং উপরের পেটে মেদ জমায়।

২) শারীরিক পরিশ্রম না করা

ব্যস্ততার কারণে বা আলসেমি করে আমরা শারীরিক পরিশ্রম করিনা। বাইরে বের হলে পায়ে না হেঁটে যানবাহন ব্যবহার করি। সিঁড়ি ব্যবহার না করে দ্রুত লিফটে উঠে যাই। নিয়মিত হাঁটাচলা আর ব্যায়াম আমাদের জন্য খুব জরুরি। এতে আমাদের শরীরসহ উপরের পেট মেদ মুক্ত থাকে।

৩) দুশ্চিন্তাগ্রস্থ থাকা
আপার বেলি ফ্যাটের কারণ দুশ্চিন্তা - shajgoj.com

আমাদের কঠিন জীবন ধারার কারণে আমরা প্রায়ই দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়ি। আর এ দুশ্চিন্তাই আমাদের উপরের পেটের চর্বি বাড়ায়। দুশ্চিন্তা আমাদের শরীরে আ্যাড্রিনাল (Adrenaline) গ্রন্থি থেকে নিসৃত  এক ধরনের হরমোন তৈরী করে, যা আমাদের যকৃত থেকে চিনি নিঃসরণ করে উপরের পেটে মেদ তৈরী করে।

৪) অনিয়মিত ঘুম
আপার বেলি ফ্যাট কমাতে ঘুম - shajgoj.com
রাত জাগা,ঘুম কম হওয়া এসব কারণেও উপরের পেটে মেদ জমে।

৫) বয়স বাড়া
বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের শরীরে অনেক পরিবর্তন আসতে থাকে। তখন ত্বকের নিম্নস্তরের চর্বি হ্রাস পেতে থাকে এবং উপরের পেটে মেদ তৈরী হতে থাকে।

আপার বেলি ফ্যাট কমানোর উপায়
৫ টি উপায় অবলম্বন করলে এ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়

১) প্রচুর পানি পান করা
আপার বেলি ফ্যাট কমাতে পানি পান - shajgoj.com
প্রচুর পানি পান করতে হবে। বাইরের এনার্জি ড্রিংকস, সফট ড্রিংকস এগুলো খাওয়া বাদ দিতে হবে। পর্যাপ্ত পানি পান আমাদের শরীরে ম্যাজিকের মতো চর্বি কাটতে সাহায্য করে। এছাড়া প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ১ গ্লাস কুসুম গরম পানির সঙ্গে অর্ধেকটা লেবু ও ১ চামচ মধু মিশিয়ে খেলে উপরের পেটের মেদ কাটে। আবার আদা থেতো করে ১ গ্লাস পরিমাণ পানির সাথে সেদ্ধ করে এতে অর্ধেকটা লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে খেলেও মেদ কেটে যায়। নিয়মিত এই মিশ্রণ গুলো খেলে উপরের পেটের মেদ অনেকাংশেই কেটে যাবে।

২) স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া

সকালের নাস্তায় ওটস রাখতে হবে। এক বাটি ওটসের সাথে ফ্যাট ফ্রি দুধ, সাথে যেকোন ফল মিশিয়ে সকালের নাস্তা করতে হবে। প্রচুর ফলমূল খেতে হবে। ওটস আমাদের শরীরের এনার্জি বাড়ায়।

৩) হেলদি ডায়েট অনুসরণ করা
আপার বেলি ফ্যাট কমাতে হেলদি ডায়েট - shajgoj.com
সঠিক ডায়েট অনুসরণ করলে আমাদের উপরের পেটের মেদ কমার সাথে সাথে সুন্দর ও সুগঠিত থাকবে। একবারে ভরপেট না খেয়ে দৈনিক ৫-৬ বার অল্প অল্প করে খাবেন। এতে করে ঘন ঘন ক্ষুধাভাবটা কেটে যাবে আর খাওয়ার পরিমাণটাও  কমে যাবে। কম তেল ও কম মশলা যুক্ত খাবার খেতে হবে। রান্নায় সয়াবিন ও সরিষার তেলের পরিবর্তে অলিভ ওয়েল ব্যবহার করবেন। লাল চালের ভাত ও লাল আটার রুটি খেতে হবে।  চর্বি জাতীয় মাংস বর্জন করে মুরগীর মাংস খান।  আঁশ জাতীয় খাবার ,মাছ, ডিম,শাকসবজি ও সালাদ  খেতে হবে। খাওয়ার ১৫/২০ মিনিট আগে এক গ্লাস পানি পান করতে হবে। এতে ক্ষুধাভাব কমে যাবে। খাওয়ার এক ঘন্টা পর পানি পান করতে হবে। রাতে ঘুমের ২ ঘন্টা আগে খাওয়া শেষ করবেন।

৪) আট ঘন্টা ঘুমান
আপার বেলি ফ্যাট কমাতে ঘুম - shajgoj.com
ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলে আমাদের উপরের পেটের মেদ বাড়ে। আমাদের শরীরে ২ ধরনের হরমোন কাজ করে-

১. Ghrelin Hormone (গ্রীলিন হরমোন)।

২. Leptin Hormone (ল্যাপটিন হরমোন)।

Ghrelin হরমোন আমাদের শরীরে ক্ষুধাভাব তৈরী করে। যখন আমরা কম ঘুমাই, রাত জাগি তখন আমাদের শরীরে প্রচুর Ghrelin হরমোন তৈরী হয়। এতে আমাদের ক্ষুধাভাবও বেড়ে যায়। Leptin হরমোন জানান দেয় কখন আমাদের খাওয়া বন্ধ করতে হবে। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে আমাদের শরীর থেকে Leptin  হরমোন কমে যেতে থাকে। কাজেই দৈনিক ৮ ঘন্টা ঘুম আমাদের শরীর ফিট রাখে এবং উপরের পেটে মেদ না জমতে সাহায্য করে।

৫) সপ্তাহে ৪ দিন ব্যায়াম

উপরের পেটের চর্বি কমানোর বেস্ট সমাধান হলো ব্যায়াম। ব্যাস্ততার কারণে আমরা জিমে যেতে না পারলে ঘরে বসেই সহজ কিছু ব্যায়াম করে আমরা উপরের পেটের মেদ কমাতে পারি। যা করতে সময়ও কম লাগে এবং বাড়তি কোন উপকরণের প্রয়োজনও পড়ে না। সপ্তাহে ৪ দিন ৪৫ মিনিট করে ব্যায়াম করুন। এছাড়া সাঁতার কাটা,সাইকেল চালানো উপরের পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করে।

আপার বেলি ফ্যাট কমাতে ব্যায়াম
নীচে কিছু ব্যায়ামের নিয়মাবলী আলোচনা করা হলো, উপরের পেটের মেদ দ্রুত কমাতে যা আপনি ঘরে বসেই করতে পারবেন

১) আরামদায়ক দূরত্বে পা ফাঁক করে মাথার পেছনে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে একবার বা দিকে ঝুঁকতে হবে, আরেকবার ডান দিকে ঝুঁকতে হবে। এভাবে ৩০ বার করুন।

২) পা দুটো সোজা করে রেখে শুয়ে পড়ুন। দুই হাত নিতম্বের নিচে থাকবে। হাত দুটো নিচে রেখে পা দুটো এবার আরও উপরে তুলতে হবে। উপরে উঠানোর সময় নিশ্বাস ছাড়তে হবে এবং নিচে নামানোর সময় নিশ্বাস নিতে হবে। এভাবে ১৫ থেকে ২০ বার করতে হবে।আপার বেলি ফ্যাট কমাতে পেটে প্রেশার দেয়া ব্যায়াম - shajgoj.com
৩) ম্যাটের উপর হাঁটু ভাজ করে রাখুন। এবার মাথার নিচে হাত রাখুন। কোমর পর্যন্ত পুরো শরীরকে উপরের দিকে উঠান। আবার নামিয়ে আনুন। কিন্তু শরীর নামানোর সময় মাথা যেন ম্যাটের সঙ্গে লেগে না যায়, খেয়াল রাখতে হবে সেদিকে। এভাবে ৩০ বার করুন।

৪) হাত মাথার নিচে রাখুন। পা ভাঁজ করে উপরের দিকে তুলুন। এবার মাথা উপরে তুলে বাম হাতের কনুই দিয়ে ডান পা ছোঁয়ার চেষ্টা করুন। একই ভাবে ডান কনুই দিয়ে বাঁ পাশের পায়ে ছোঁয়াতে হবে। এভাবে ৩০ বার করুন।আপার বেলি ফ্যাট কমাতে প্লাঙ্ক - shajgoj.com
৫) দুই কনুইয়ের উপর ভর দিয়ে উপুর হয়ে শুয়ে পড়ুন। চোখ থাকবে সামনের দিকে। পায়ের আঙ্গুল ও কনুইয়ের উপর ভর দিয়ে পুরো শরীরকে উপরের দিকে উঠান। দুই কনুই ও পায়ের আঙ্গুলের উপর ভর দিয়ে প্রতিবার ১ মিনিট থাকতে হবে। এভাবে ৩ বার করুন।

নিয়মিত এ ব্যায়াম করলে ৩ মাসের মধ্যে এর সুফলতা পাবেন। সকালে খালি পেটে ৪৫ মিনিট অথবা সকালে সম্ভব না হলে সন্ধ্যা বা রাতের দিকেও করতে পারেন। সঠিক খাদ্যাভ্যাস আর দৈনন্দিন জীবনের সুন্দর পরিবর্তন আপনাকে উপরের পেটের মেদ ঝরিয়ে করে তুলতে আকর্ষণীয় ও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী।



ছবি- সংগৃহীত: সাজগোজ; ইমেজেস বাজার.কম

Share:

১ মাসেই ৫ কেজি ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট

১ মাসেই ৫ কেজি ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট জানেন কী?
অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ছিপছিপে গড়নের শরীর কে না চায়? কিন্তু চাইলেই তো আর হবে না। তার জন্য চাই প্রচেষ্টা আর উদ্যোগ। আর আপনাদের সেই উদ্যোগকে আর এক ধাপ এগিয়ে নিতেই আজকের এই ডায়েট চার্ট। আজকে আপনাদের জন্য এমন একটি ডায়েট 
চার্ট দেয়া হলো যার সাহায্যে ১ মাসেই ৫ কেজি পর্যন্ত ওজন কমানো সম্ভব এবং খুব সহজেই পরিমিত খাবার গ্রহণের মাধ্যমে সুস্থ্য গতিতে এই ওজন কমানো সম্ভব। আর সেই লক্ষ্যে পৌছাতে হলে প্রতিদিন আপনাকে অবশ্যই ১২৮০ক্যালরি,
তার মানে মাসে ৩৮,৪০০ ক্যালরি বার্ণ করতে হবে এবং ডায়েট চার্টে এমন সব খাবার থাকতে হবে যা মোটামুটি ১৫০০ ক্যালরির হতে হবে।

১ মাসেই ৫ কেজি ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট
            সকাল ৮:০০
১ মাসেই ৫ কেজি ওজন কমাতে সকাল ৮টার ডায়েট প্ল্যান - shajgoj.com
 সেদ্ধ ডিম ১ টি সাদা অংশ (৫২ ক্যালরি)
 এক বাটি জাম্বুরা( জুস করে বা এমনি খেতে পারেন) (৯৬ ক্যালরি)
 ২ টি রুটি (২১০ ক্যালরি)
 ভেজিটেবল সুপ (১৫০ ক্যালরি)

                সকাল ১১:০০
১ মাসেই ৫ কেজি ওজন কমাতে সকাল ১১টার ডায়েট প্ল্যান - shajgoj.com
এক কাপ গ্রিন টি চিনি ছাড়া (কোন ক্যালরি নেই)
একটি আপেল (৮১ ক্যালরি)/একটি কমলা (৮৬ ক্যালরি)

                    দুপুর ২:০০
১ মাসেই ৫ কেজি ওজন কমাতে দুপুর ২টার ডায়েট প্ল্যান - shajgoj.com
ভাত ১ কাপ (২১৬ ক্যালরি) / ২ টি রুটি (২১০ ক্যালরি)
 ১ বাটি মিক্স্ড ভেজিটেবল (৮৫ ক্যালরি)
১ কাপ ডাল (২২০ ক্যালরি) / এক টুকরা মাছ (১৪২ ক্যালরি)

                  বিকেল ৫:০০
১ মাসেই ৫ কেজি ওজন কমাতে বিকেল ৫ টায় ডায়েট গ্রীন টি - shajgoj.com
এক কাপ গ্রিন টি (চিনি ছাড়া)
২ টি ক্রিম ছাড়া বিস্কিট (৩০ ক্যালরি)

                     সন্ধ্যা ৭:০০
১ মাসেই ৫ কেজি ওজন কমাতে সন্ধ্যা ৭টায় খাবার ডাব - shajgoj.com
ডাবের পানি (৪৬ ক্যালরি)
অথবা ৮-১০ টি পেস্তা বাদাম (৭০ক্যালরি)

                   রাত ৮:৩০
১ মাসেই ৫ কেজি ওজন কমাতে রাত ৮:৩০ এর ডায়েট প্ল্যান - shajgoj.com
ভাত ১ কাপ (২১৬ ক্যালরি) / ২ টি রুটি (২১০ ক্যালরি)
১ কাপ সালাদ (৫০ ক্যালরি)
১ কাপ সবজি (৮৫ ক্যালরি) / আধা কাপ টক দই (৬৫ ক্যালরি)
১ মাসেই ৫ কেজি ওজন কমাতে ব্যায়াম - shajgoj.com
এই হলো মোটামুটি ১৫০০ ক্যালরির একটি ডায়েট চার্ট। তবে এই ডায়েট চার্ট মেনে চলার পাশাপাশি শারীরিক ব্যায়াম করা অত্যাবশ্যক। কারণ এর মাধ্যমে আপনি দেহের অতিরিক্ত ক্যালরি বার্ণ করতে পারবেন। যেকোনো ব্যায়াম ক্যালরি বার্ণ করতে সহায়ক। শুরুতে হালকা ব্যায়াম দিয়ে শুরু করুন। প্রতিদিন ৪৫ মিনিট হাঁটার অভ্যাস করূন। এছাড়াও ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করতে পারেন।

১ মাসেই ৫ কেজি ওজন কমানোর জন্য কিছু টিপস
১. প্রতিদিন সকাল, দুপুর এবং রাতের খাবারের পূর্বে ২ গ্লাস ঠান্ডা পানি পান করুন।
২. সকালে খালি পেটে এক টুকরা লেবু এবং আধা চা চমচ মধু হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে পান করুন।
৩. সবজির লিস্টে ব্রোকলি, লেটুস, পালং শাক এবং অন্যন্য সবুজ সবজি রাখার চেষ্টা করুন।
৪. রেগুলার সালাদের সাথে অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। এটি ক্যালরি বার্ণ করতে খুবই উপকারী।১ মাসেই ৫ কেজি ওজন কমাতে খাবার - shajgoj.com
৫. রাতের খাবার ঘুমানোর অন্তত ২ ঘণ্টা আগে খেয়ে ফেলুন।
আশা করি পোস্টটি দ্বারা আপনারা উপকৃত হবেন।
সতর্কতা: দ্রুত ওজন কমানোর চেয়ে আস্তে আস্তে ওজন কমানো ভাল।
ছবি – স্টাইলহিটজ ডট কম
সোর্স – ক্যালরিল্যাব ডট কম, ক্যালরিকাউন্ট ডট এবাউট ডট কম, ফ্যাটসিক্রেট  ডট কম, নিউট্রিশনডাটা ডট সেল্ফ ডট কম
x
Share:

বৃহস্পতিবার, ৮ আগস্ট, ২০১৯

প্রস্রাবে আমিষ গেলে কী করবেন

রুটিন প্রস্রাব পরীক্ষায় আমিষ বা প্রোটিনের উপস্থিতি দেখলে আমরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি। প্রস্রাবের সঙ্গে আমিষ বা প্রোটিন (কখনো বলা হয় এলবুমিন) নিঃসরণ স্বাভাবিক কিছু নয়। এটি কিডনি সমস্যার প্রাথমিক উপসর্গ। যাদের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ আছে তাদের মাঝে মাঝে প্রস্রাবের আমিষ পরীক্ষা করা উচিত। কেননা এতে কিডনির অবস্থা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।

প্রস্রাবে আমিষ কেন যায়
আমাদের রক্তে যে আমিষ আছে, তা সাধারণত কিডনির ছাঁকনি গলে প্রস্রাবের সঙ্গে যেতে পারে না। দৈনিক ৩০ মিলিগ্রামের বেশি এলবুমিন যাওয়াটা অস্বাভাবিক। ৩০০ মিলিগ্রামের বেশি এলবুমিন নিঃসরণ উদ্বেগজনক। প্রস্রাবে আমিষ নিঃসরণের অন্যতম কারণ ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ। এ ছাড়া কিডনির প্রদাহ, সংক্রমণ, এসএলই বা লুপাস, অ্যামাইলয়েডোসিস, কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় প্রস্রাবে আমিষ যেতে পারে। অন্তঃসত্ত্বা নারীর ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপের সঙ্গে প্রস্রাবে আমিষ গেলে প্রি–একলাম্পশিয়ার মতো বিপদ ঘটতে পারে।
কখনো কখনো জ্বর, অত্যধিক পরিশ্রম বা ব্যায়াম কিংবা দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেও প্রস্রাবে সামান্য আমিষ যেতে পারে। কিন্তু ক্রমাগত আমিষ গেলে, বিশেষ করে তিন মাসের বেশি সময় এমনটা হলে তা ক্রনিক কিডনি রোগই নির্দেশ করে।

কীভাবে বুঝবেন
রুটিন প্রস্রাব পরীক্ষা করা ছাড়া এ সমস্যা শনাক্ত করা মুশকিল। তাই ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের ৬ মাস বা এক বছর অন্তর প্রস্রাবে আমিষ পরীক্ষা করা উচিত। আমিষ নিঃসরণের হার বেশি হলে শরীর ফুলে যায় ও দুর্বল হয়ে পড়ে এবং মুখে ও পায়ে পানি আসে। প্রস্রাব ঘোলাটে বা সাদাটে হতে পারে।
কী করবেন
প্রস্রাব পরীক্ষায় আমিষ ধরা পড়লে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। চিকিৎসক ২৪ ঘণ্টায় নিঃসৃত আমিষের পরিমাণ নির্ণয় করে জটিলতার মাত্রা বোঝার চেষ্টা করবেন। ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ থাকলে তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। অন্য কোনো কারণ আছে কি না, তা নির্ণয় করতে হবে। কিডনির কার্যকারিতার মাত্রা বোঝার জন্য জিএফআর দেখতে হয়। এসিই ইনহিবিটর বা এআরবি গোত্রের ওষুধ ব্যবহার করলে এলবুমিন নিঃসরণ কিছুটা কমে। প্রস্রাবে এলবুমিন নিঃসরণ কেবল কিডনি রোগের সতর্কসংকেতই নয়, এটি আশু হৃদ্‌রোগেরও সতর্কসংকেত। তাই হৃদ্‌যন্ত্র সুস্থ রাখার দিকেও নজর দিতে হবে।
Share:

বুধবার, ৭ আগস্ট, ২০১৯

নারীদের কোষ্ঠকাঠিন্য

নারীরা যে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় একটু বেশি ভোগেন, তার কিছু কারণ আছে। আইবিএস (ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম) বা হাইপোথাইরয়েডের মতো রোগ নারীদের মধ্যে বেশি। এ দুটিই কোষ্ঠকাঠিন্যর অন্যতম কারণ। আরেকটি বড় কারণ হলো খাদ্যাভ্যাস। ঘন ঘন বাথরুমে যাওয়ার ভয়ে নারীরা অনেক সময় পানি কম খান, আঁশযুক্ত খাবারও প্রায়ই খাওয়া পড়ে না। অনেকেই তেমন ব্যায়াম বা কায়িক শ্রম করেন না। দীর্ঘদিনের ডায়াবেটিস কোষ্ঠকাঠিন্যের একটি প্রধান কারণ। কিছু ওষুধও এর জন্য দায়ী।
কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে নারীদের অ্যানাল ফিসার, পাইলস, ইউটেরাইন প্রলাপস ইত্যাদি সমস্যা বেড়ে যায়। এগুলো তাঁদের জন্য খুবই কষ্টদায়ক ও বিব্রতকর সমস্যা। কিশোরীদের মধ্যেও কোষ্ঠকাঠিন্য প্রায়ই বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় ও অনেকেই এ জন্য ক্রনিক পেটব্যথায় আক্রান্ত হয়।

কোষ্ঠকাঠিন্যের এই বিরক্তিকর সমস্যা থেকে রেহাই পেতে আপনি যা করতে পারেন:
  • প্রচুর পানি পান করুন। স্কুল–কলেজ বা অফিসে গেলে পানি পান কমিয়ে দেবেন না। বাথরুমে যেতে হলে চেপে রাখবেন না।
  • প্রতিদিনের বাউয়েল মুভমেন্ট বা মলত্যাগের অভ্যাস স্বাস্থ্যকর করে তুলুন। একটু ভোরে ঘুম থেকে উঠুন। টয়লেট ব্যবহারের একটা নির্দিষ্ট সময় থাকা ভালো, যেমন সকালের নাশতার ১৫ বা ২০ মিনিট পর। টয়লেট ব্যবহারে তাড়াহুড়া করবেন না।
  • দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় যোগ করুন প্রচুর আঁশযুক্ত খাবার। সকালের নাশতায় রাখতে পারেন লাল রুটি, ওটস, হোল গ্রেইন সিরিয়াল বা কর্নফ্লেক্স। রাখুন গোটা ফল, পারলে ফলের খোসাসহ। খেজুর, বাদাম, কিশমিশ, অ্যাভোকেডো, আম, কলা, পেঁপে খাওয়া ভালো। দুপুরের খাবারে সবজি এবং সালাদ অবশ্যই রাখবেন। রাতে এক গ্লাস গরম দুধ অনেক কাজে আসবে। ব্রকলি, বরবটি, মটরশুঁটি এবং যেকোনো ধরনের বীজজাতীয় খাবার রাখুন খাদ্যতালিকায়।
  • বিস্কুট, কুকি, ক্যান্ডি, আইসক্রিম ও উচ্চ শর্করাযুক্ত খাবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়ায়। এগুলো এড়িয়ে চলুন।
  • বয়স্ক নারীদের হঠাৎ নতুন করে কোষ্ঠকাঠিন্য, মাঝেমধ্যে ডায়রিয়া মাঝেমধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্য, মলের সঙ্গে রক্তপাত, অল্প অল্প জ্বর, পেটব্যথা, ওজন হ্রাস ইত্যাদি থাকলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।


Share:

মঙ্গলবার, ৬ আগস্ট, ২০১৯

পায়ের দুর্গন্ধ দূরের উপায়

কারও কারও পায়ে বেশ দুর্গন্ধ হয়। জুতা খুললেই বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সহজ কিছু কৌশল অবলম্বন করলে এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
আমাদের ত্বকে আছে অসংখ্য ঘামগ্রন্থি। জুতা পরা অবস্থায় অনেকেরই পা ঘামে। ঘামের সঙ্গে পানি, লবণ, তেল বা চর্বিজাতীয় পদার্থ ও বিপাকীয় আরও অনেক পদার্থ বের হয়। পায়ের ত্বকে থাকা হাজারো জীবাণু ঘর্মাক্ত পায়ের স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে এসব নিঃসরণ গ্রহণ করে নানা উচ্ছিষ্ট তৈরি করে। এগুলোর মধ্যে ‘আইসোভ্যালেরিক অ্যাসিড’ নামে একধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড অন্যতম। এর জন্যই পায়ে দুর্গন্ধ হয়।


কারও কারও পায়ে বেশ দুর্গন্ধ হয়। জুতা খুললেই বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সহজ কিছু কৌশল অবলম্বন করলে এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
আমাদের ত্বকে আছে অসংখ্য ঘামগ্রন্থি। জুতা পরা অবস্থায় অনেকেরই পা ঘামে। ঘামের সঙ্গে পানি, লবণ, তেল বা চর্বিজাতীয় পদার্থ ও বিপাকীয় আরও অনেক পদার্থ বের হয়। পায়ের ত্বকে থাকা হাজারো জীবাণু ঘর্মাক্ত পায়ের স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে এসব নিঃসরণ গ্রহণ করে নানা উচ্ছিষ্ট তৈরি করে। এগুলোর মধ্যে ‘আইসোভ্যালেরিক অ্যাসিড’ নামে একধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড অন্যতম। এর জন্যই পায়ে দুর্গন্ধ হয়।
পায়ের দুর্গন্ধ প্রতিরোধের উপায়
পায়ের দুর্গন্ধ দূর করতে পা এবং জুতা-মোজার পরিচ্ছন্নতাই প্রথম কথা। এর সঙ্গে কিছু কৌশল বিব্রতকর দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পেতে সহায়ক হতে পারে। 
• পা পরিষ্কার রাখুন। প্রতিদিন একাধিকবার পা ধুয়ে নিন। হালকা গরম সাবানপানি দিয়ে ধোয়াই ভালো। অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সোপ হলে আরও ভালো। এতে ত্বকে থাকা জীবাণুর সংখ্যা কমবে। 
• জুতা বা মোজা পায়ে দেওয়ার আগে পা ভালো করে শুকিয়ে নিন। জুতার ভেতর পা ভেজা ভেজা মনে হলে কিছুক্ষণ জুতা খুলে রাখুন। 
• সুতি মোজা ব্যবহার করুন। সুতি মোজা পায়ের ঘাম শোষণ করে। পরপর দুই দিন একই মোজা ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রতিদিনই পরিষ্কার মোজা ব্যবহার করুন। 
• গরমের দিনে খোলা স্যান্ডেল পায়ে দিন। শুর ক্ষেত্রে চামড়ার বা কাপড়ের শু ব্যবহার করুন। এতে জুতার ভেতর বাতাস যাওয়া-আসা করতে পারবে। ফলে পা ঘামবে কম। 
• বাসায় ফিরে জুতা শুকাতে দিন। প্রয়োজনে রোদে শুকান। 
• পায়ের নখ ছোট ও পরিষ্কার রাখুন। তাহলে জীবাণুর লুকিয়ে থাকার জায়গা কমে যাবে।
লেখক: বিভাগীয় প্রধান, কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগ কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ, ময়মনসিংহ
Share:

সোমবার, ৫ আগস্ট, ২০১৯

শর্করা বেশি খাওয়ার আগে ভাবুন


আমাদের সারা দিনের খাদ্যতালিকার অন্যতম উপাদান হচ্ছে শর্করা। ভাত তার প্রধান মাধ্যম। যত কিছুই খাই না কেন ভাত না খেলে ঠিক তৃপ্তি আসে না। একদিন অথবা এক বেলা ভাত না খাবার কথা আমরা চিন্তাই করতে পারি না। প্রতিদিন দুই বেলা, কখনো কখনো তিন বেলাই ভাত খাওয়া হয়।
আবার অনেকেই পিৎজা, বার্গার, স্যান্ডউইচ ছাড়া নিজেকে কল্পনা করতে পারেন না। কোল্ড ড্রিংকস পানের কারণে তো পানি পানের প্রয়োজনীয়তা অনেক সময়ই আমরা ভুলে যাই। ভাত, পিৎজা, বার্গার, স্যান্ডউইচ, কোল্ড ড্রিংকস সবকিছুই শর্করা খাবারের একেক রূপ। অতিরিক্ত শর্করা খাবারের ফলে আমাদের শরীরে কত সমস্যা হচ্ছে তার কিছুই আমরা জানি না।
অতিরিক্ত শর্করা খাবারের জন্য আমাদের শরীরে রক্তশূন্যতা হতে পারে, তা কি আমরা জানি? নিশ্চয়ই খুব অবাক হচ্ছেন। আপনার খাবারে হয়তো আয়রনের ঘাটতি নেই। কিন্তু আপনার খাবার শর্করা দিয়ে ভরপুর। শর্করা জাতীয় খাবারে উচ্চমাত্রায় ফসফেট ও ফাইটিক অ্যাসিড থাকে। শর্করা খাওয়ার পরে খাদ্যনালিতে গিয়ে খাবারে থাকা আয়রনের সঙ্গে মিশে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে আয়রন ফসফেট এবং ফাইটেট তৈরি করে, যা পানিতে অদ্রবণীয়। এই আয়রন ফসফেট ও ফাইটেট খাদ্যনালি থেকে শোষিত হয়ে রক্তে যেতে পারে না।

আপনি হয়তো আয়রনসমৃদ্ধ খাবার খাচ্ছেন কিংবা আয়রন ঘাটতির জন্য ওষুধ খাচ্ছেন। কিন্তু আপনার খাবারের আয়রন কতটুকু রক্তে যাচ্ছে তা অনেকগুলো বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। এর মধ্যে অন্যতম হলো আপনার খাদ্যতালিকায় শর্করার পরিমাণ কতটুকু বা আপনার খাদ্যাভ্যাস কেমন? কিছু পাওয়া না গেলেও বাংলার মাঠেঘাটে কচুশাক কিন্তু পাওয়াই যায়। এক গামলা ভাত কচুশাক দিয়ে খেয়ে ফেললাম। ভাবলাম আহ! কত আয়রন খেলাম। কিন্তু বুঝতেই পারলাম না, শুধু ভাতের জন্য আমাদের খাবারের আয়রন শোষণ হয়ে রক্তে যেতে পারছে না।
আয়রন রক্তের হিমোগ্লোবিন তৈরির জন্য জরুরি উপাদান। প্রয়োজনীয় পরিমাণ আয়রন না থাকলে হিমোগ্লোবিন তৈরি বাধাপ্রাপ্ত হবে। ফলে রক্তশূন্যতা দেখা দেবে। আমাদের দেশের মেয়েদের রক্তশূন্যতা বেশি। একে তো খাদ্যাভ্যাসের সমস্যা তার ওপর যদি প্রতি মাসে ঋতুস্রাব, গর্ভধারণ, বাচ্চাকে দুগ্ধপান ইত্যাদি কারণে শরীর থেকে আয়রন বের হয়ে যায়, তাহলে রক্তশূন্যতা হতে বাধ্য। তাই শুধু আয়রন ট্যাবলেট বা আয়রনযুক্ত খাবার খেলেই হবে না। সঙ্গে খাবারের শর্করার পরিমাণও পরিমিত রাখতে হবে, যাতে শর্করা আয়রনকে শোষণ করে নিতে না পারে।
Share:

বর্ষাকালে চুলের বিশেষ যত্ন

চুল নানা কারণে পড়ে। কিন্তু বর্ষাকালে বৃষ্টির পানি যা আমরা খালি চোখে দেখি পরিষ্কার কিন্তু তাতে একধরনের অ্যাসিড থাকে, যা চুলের ক্ষতি করে। তা ছাড়া এই সময়ে স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া, মাথায় ঘাম, চুল ঠিকমতো না শুকানো ইত্যাদি কারণে ছত্রাকের বাসা বাঁধতে সুবিধা হয়। এগুলোই মাথার ত্বকে চুলের গোড়ায় ইনফেকশন, খুশকি, চুল পড়াসহ নানা ধরনের ছত্রাকের আক্রমণসংক্রান্ত সমস্যা হওয়ার প্রধান কারণ।

অনেকে মনে করেন, বর্ষাকালে ধুলাবালু কম, তাই চুলের সমস্যা কম হবে। কিন্তু তা নয়, অন্যান্য ঋতুতে যা চুল পড়ে, বর্ষাকালে তার দ্বিগুণ চুল পড়ে। যেমন খুশকি, চুলের উজ্জ্বলতা কমে যায় ও উকুনও বেড়ে যায়। এ সময় মাথার ত্বকের তৈলাক্ততা বেড়ে যায়, চুল সহজে শুকাতে পারে না। তাই চুলের গোড়া থাকে নরম। চুলের সঠিক যত্নের অভাবে এ সমস্যাগুলো আরও বেশি বেড়ে যায়। আর আগে থেকেই তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীরা এ ধরনের সমস্যায় তাঁরা আরও বেশি ভোগেন। আবার মাথার তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণও হতে পারে।
ঘরোয়া যত্নই হতে পারে চুলের সমস্যা সমাধানের উত্তম উপায়। শ্যাম্পু ব্যবহার করার পাশাপাশি বেশি তেলের খাবার এড়িয়ে যেতে হবে। এক দিন পরপরই শ্যাম্পু করা উচিত। আর সপ্তাহে অন্তত এক দিন কিটোকোনাজল শ্যাম্পু করা উচিত। প্রচুর পানি পান করতে হবে। গোসলের পরই চুল শুকিয়ে ফেলতে হবে। ফ্যানের বাতাসে শুকানোই সবচেয়ে ভালো হবে। তবে সমস্যা বেড়ে গেলে চর্ম ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
সোজা করা চুলে বা রঙিন চুলে যেমন রাসায়নিক থাকে এবং তেমনি চুল শুষ্কও থাকে। তাই শ্যাম্পু ব্যবহার করার পাশাপাশি ভালো কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। অথবা শ্যাম্পু করার আগে তেল ব্যবহার করা যেতে পারে।
সবশেষে চুল পড়া রোধ বা কমাতে হলে চুলকে নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে, নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে, দুশ্চিন্তামুক্ত জীবন যাপন করতে হবে, যেকোনো ওষুধ গ্রহণের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। 
ডা. মাসুদা খাতুন : সহযোগী অধ্যাপক, চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
Share:

Sample Text

হারবাল ঔষধ, ভেষজ ঔষধ, ভেষজ চূর্ণ, ভেষজ গুণ সম্পর্কিত গাছ, প্রাকৃতিক ঔষধ, ভেষজ উদ্ভিদ পরিচিতি, ইউনানি চিকিৎসা, আয়ুর্বেদ চিকিৎসা, আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা, গ্রামীণ চিকিৎসা সেবা, হারবাল চিকিৎসা, অর্গানিক খাদ্য,হারবাল চা,হারবাল রেমিডি,ন্যাচারাল রেমিডি, হার্বস, একক ভেষজ, হারবাল ঔষধ এর পরিচিতি,হারবাল ঔষধ এর রিভিউ, ইউনানি ঔষধ এর রিভিউ, আয়ুর্বেদিক ঔষধ এর রিভিউ,আয়ুর্বেদ চিকিৎসার ইতিহাস, ইউনানি চিকিৎসার ইতিহাস, ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকিৎসা, হারবাল টোটকা,হারবাল শরবত, ফলের গুনাগুন, ফুলের গুনাগুন ইত্যাদি নিয়ে লেখালেখি।

Blogger দ্বারা পরিচালিত.

About

test

Wikipedia

সার্চ ফলাফল

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

আমার ব্লগ তালিকা

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

About

আমার ব্লগ তালিকা

Blogroll

Unordered List

Theme Support

Blogroll

BTemplates.com

Blogroll

Natural Health

আমার ফটো
kishoregonj, dhaka, Bangladesh
I am simple Man and Harbs Learner.

Contact form

নাম

ইমেল *

বার্তা *

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

অনুসরণকারী

Followers

Generate More Traffic on your Website.

Generate More Traffic on your Website.
It is a long established fact that a reader will be distracted by the readable content of a page when looking at its layout. The point of using Lorem Ipsum is that it has a more-or-less normal distribution of letters, as opposed to using 'Content here, content here'.

Translate

BTemplates.com

THE LIFESTYLE

Pages - Menu

Random Posts

Pages

Pages - Menu

Pages

Pages

Most Popular

Recent Posts

Unordered List

Pages

Theme Support