সোমবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৬
অ্যালার্জির সমস্যায় ভেষজ
আপেল আপেল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং অ্যালার্জি দূরে রাখে। আপেলের
ফ্ল্যাভোনয়েড এবং কোয়ারটিন অ্যালার্জি প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। প্রতিদিন
একটি আপেল খাওয়ার চেষ্টা করুন। আপেলের পরিবর্তে আপেলের জুসও খেতে পারেন।
হলুদ হলুদ অ্যান্টিবায়োটিক মশলা হিসেবে পরিচিত।
বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে এটি বেশ কার্যকর। হলুদের কারকিউমন,
অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি
ইনফ্লামেটরি উপাদান বিভিন্ন অ্যালার্জি দূর করে থাকে।চায়ের সাথে এক চা চামচ হলুদের
গুঁড়ো মিশিয়ে নিন, এটি প্রতিদিন পান করুন।তবে হলুদে যদি আপনার সমস্যা থাকে তবে এটি
পান করা থেকে বিরত থাকুন।
রসুন রসুন রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান রয়েছে। প্রতিদিনের খাবারে রসূন রাখুন।এটি ঔষধ খাওয়ার
মতোই আপনাকে নির্দিষ্ট কিছু ইনফেকশন থেকে সুরক্ষা দেবে।
টকদই টকদইয়ে ভাল কিছু ব্যাকটেরিয়া আছে যা অ্যালার্জি কমাতে সাহায্য করে।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে যারা নিয়মিত দই খান তাদের ইনফ্লামেশন হওয়ার
সম্ভাবনা কমে।
লেবু লেবুর ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
উপাদান অ্যালার্জি দূর করে থাকে।এটি ইমিউন সিস্টেমকে উদ্দীওইত করে অ্যালার্জি
প্রতিরোধ করে। তবে এই খাবারগুলোতেও কারও কারও সমস্যা থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে
অতিরিক্ত না খাওয়াই বাঞ্ছনী।
কোনো সমস্যা দেখা গেলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
রবিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৬
পেঁপের ভেষজ গুনাগুণ
পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণ
মিনারেল,
অ্যানটিঅক্সিডেন্ট এবং
ভিটামিন রয়েছে যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। শুধু তাই নয়, পেঁপেকে ভিটামিনের দোকান বলা
হয়। লো ক্যালরির ফল হওয়ায় এটি ওজন কমাতে বেশ কার্যকর। আপনি যদি ওজন কমাতে চান প্রতিদিনের খাবারে
রাখুন পেঁপে। শুধু ওজন হ্রাস নয় পেঁপের রয়েছে আরো অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা।
জেনে নিন
প্রতিদিনের খাবারের তালিকায়
কেন পেঁপে রাখা উচিত।
কোলেস্টেরল হ্রাস
করে
পেঁপেতে রয়েছে
ফাইবার, ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে
যা ধমনীতে কোলেস্টেরল জমতে বাঁধা প্রদান করে। ধমনীতে চর্বি জমার কারণে
হার্ট অ্যাটাকের মত ঘটনাও ঘটতে পারে।
হজম ক্ষমতা বাড়ায়
পেঁপেতে প্রচুর
পরিমাণে এনজাইম আছে যা খাবার হজমে
সহায়তা করে থাকে। এছাড়াও প্রচুর পানি ও
দ্রবণীয় ফাইবার আছে। যারা হজমের
সমস্যায় ভুগে থাকেন তাঁরা নিয়মিত পথ্য
হিসেবে পাকা বা কাঁচা পেঁপে খেতে
পারেন।
রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
পেঁপেতে রয়েছে প্রচুর
পরিমাণে ভিটামিন এ,
সি ও ই। এই ভিটামিন গুলো শরীরে রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং শরীরের ভিবিন্ন রোগ সারাতে এর জুড়ি রয়েছে। এছাড়া পেঁপেতে বিদ্যমান প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ যা চোখের
জন্য উপকারী।
ডায়াবেটিস
প্রতিরোধে
চিনির পরিমাণ কম
থাকায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পেঁপে
একটি আর্দশ ফল। যাদের ডায়াবেটিস নেই
তাদের ও প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় পেঁপে রাখা উচিত।পেঁপে
ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে।
ক্যালসিয়ামের
চাহিদা মেটায়
পেঁপেতে প্রচুর
পরিমাণে ক্যালসিয়াম,প্টাশিয়াম,ম্যাগনেশিয়াম এবং কপার রয়েছে, নিয়মিত পেঁপে খেলে
শরীরে ক্যালসিয়াম তৈরি হয় হাড় মজবুত করে বাত-ব্যাথা কমিয়ে দেয়।
স্ট্রেস হ্রাস
করতে
সারাদিন ক্লান্তি
এক নিমিষে দূর করে দিতে পারে এক প্লেট পেঁপে। এতে থাকা ভিটামিন সি স্ট্রেস হ্রাস
করে। University of Alabama এর মতে দৈনিক ২০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি আমাদের খাবারের
তালিকায় রাখা উচিত যা স্টোক কমাতে সাহায্য করে।
ক্যান্সার
প্রতিরোধক
পেঁপেতে রয়েছে প্রচুর
পরিমাণের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফ্ল্যাভোনোক্সিড যা দেহে
ক্যান্সারের কোষ তৈরিতে বাঁধা দেয়। Harvard
School of Public Health’s Department এক
গবেষণায় দেখা গেছে যে পেঁপের বিটা কেরোটিন
উপাদান কোলন ক্যান্সার,
প্রোসটেট ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।