Add caption |
বুধবার, ১৯ জুন, ২০১৯
Braces won't guarantee self-confidence
"Those who didn't have braces had varying levels of crooked teeth, just like those who had braces treatment -- ranging from mild through to very severe," Dogramaci said.
The study looked at four psychosocial aspects: how well people felt they coped with new or difficult situations and associated setbacks; how much they felt that could take care of their own health; the person believed that the support they received was from their personal network and their own level of optimism.
"These indicators were chosen because they are important for psychosocial functioning and are relevant to health behaviours and health outcomes; since the core research question was the impact of braces treatment on patients' self-confidence and happiness in later life," Dogramaci added.
During the study, dental student Alex Furlan, who has never had braces fitted: "My orthodontist recommended that I have braces fitted but I'm quite happy without them.
"I've never felt the need to straighten my teeth - I can get on in life without having perfectly straight teeth."
বৃহস্পতিবার, ৬ জুন, ২০১৯
ওজন ও মানসিক চাপ কমাতে করনীয়
সারাদিনে কাজের যেন অন্ত নেই। সব কাজ গুছিয়ে নিজেকে দেওয়ার মতো এতটুকু সময় আর নিজের জন্য থাকে না। ও দিকে ওজন বেড়ে চলেছে। এই ভাবে চললে তো ভারী মুশকিল।
১০-২০ মিনিট সময় বের করে নিয়মিত ব্যায়াম ও প্রাণায়াম করলে ওজন যেমন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। আবার বাড়তি স্ট্রেস থেকেও মুক্তি পাবেন।
★ স্ট্রেস বা মানসিক চাপ কমাতে প্রাণায়াম
প্রাণায়াম করলে শুধুই যে স্ট্রেস কমবে তা নয় এতে আপনার মনও ভালো থাকবে। অনেক শারীরিক সমস্যা থেকেও মুক্তি পাবেন।
★ হাঁটুন
ওজন কমাতে হাঁটার কোনো বিকল্প নেই। আর হাঁটলে শুধু ওজনই কমাবে না, কমাবে হৃদরোগের ঝুঁকিও। বিষণ্ণতা বা মন খারাপ ভাবও কমে যাবে অনেক।
★একটু কম খান
আগে যেখানে হয়তো ৩টি রুটি খেতেন, সেখানে ১টি রুটি খান বা যেখানে এক থালা ভাত খেতেন, সেখানে ১ কাপ ভাত খান। এর বদলে পেট ভরান সবজি আর ফল দিয়ে।
★ ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে প্রাণায়াম
যদি ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে যায় তা হলে নিয়মিত সকালে প্রাণায়াম করুন। ১ মাস নিয়মিত প্রাণায়াম করলেই বুঝতে পারবেন, হারিয়ে যাওয়া ত্বকের উজ্জ্বলতা কী ভাবে ফিরে এসেছে।
★ মনের জোর বাড়ে
প্রাণায়াম করলে মনের জোর যেমন বাড়ে আবার যে কোনো কাজে ভালো ভাবে মনঃসংযোগ দিতে কোনো অসুবিধে হবে না। যাঁরা ডিপ্রেশনে ভুগছেন, তাঁরা প্রাণায়াম অভ্যেস করলে নিশ্চিতভাবেই উপকার পাবেন।
সংগ্রহিত : ইন্টারনেট হতে।
নিয়মিত যৌনমিলনের ৭টি উপকারিতা
বিশেষজ্ঞদের মতে, সপ্তাহে ২-৩ বার সেক্স করলে নিজের সৌন্দর্য যেমন বৃদ্ধি পায়। আবার নিজের বয়সকে ধরে রাখতে চাইলেও সেক্সের জুড়ি মেলা ভার।
১।২০১৫ সালে চিনে একটি গবেষণায় দেখাগিয়েছে যাঁরা সপ্তাহে ২-৩ দিন সেক্স করেন তাঁরা সুখী হন। আর এর প্রভাব পড়ে তাঁদের চেহারায়। তারুণ্য বজায় থাকে, অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি৷ কারণ তারা মানসিক ভাবে বেশি সুখী হন।
২। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে কিংবা চুলের উজ্জ্বলতা ফেরাতে নিয়মিত সেক্স করুন।
৩। সেক্সের ফলে হার্টের কার্যকারিতা ও শরীরের রক্ত সঞ্চালন ভালো থাকে৷ যৌন মিলনের সময় আমাদের মস্তিষ্ক থেকে ‘ফিল গুড’ রাসায়নিক এন্ড্রোফিনস (endorphins) নির্গত হয়। এটি মানসিক চাপ কাটাতে সাহা্য্য করে।
৪। দু’জন দু’জনের খুব কাছাকাছি আসতে সপ্তাহে ২-৩ দিন সেক্স করুন। এ ছাড়াও নিয়মিত সেক্স করলে বাড়ে আত্মবিশ্বাস, মনও থাকে শান্ত।
৫। ওজন কমাতে আর কষ্ট করে জিমে না গিয়ে নিয়মিত সেক্স করলে দ্রুত ওজন কমতে বাধ্য।
৬। মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেতে সেক্স করলে পাবেন সুফল। তাই মনকে ফুরফুরে রাখতে নিয়মিত সেক্স করুন।
৭। ত্বকে বয়সের ছাপ পড়া থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত করুন সেক্স।
তবে গবেষণা বলছে সেক্স মানে যেমন-তেমন ‘গোগ্রাসে খাবার’ মতো ব্যাপার নয়। তাতে উভয় পক্ষের অংশগ্রহণ থাকা জরুরি। দু’জনে উত্তেজিত না হলে সুস্থ শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে না। জানতে বা বুঝতে চেষ্টা করুন কেন আপনার সংগী সেক্সে অনাগ্রহী।
সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১৯
ডাবের উপকারিতা এই গরমে
এই তীব্র গরমে আমরা তৃষ্ণা মেটাতে নানা ধরনের পানীয় পান করে থাকি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পান করা হয় কোমল পানীয়।
দাম আর পাওয়ার সহজলভ্যতার কথা মাথায় রেখে আমরা কোমল পানীয় পান করি। কিন্তু এর মধ্যে কি উপকার বা অপকার আছে আমরা তা জানি না। এমন অবস্থায় ডাবের পানি খুব বেশি উপকারী। কারণ এটি হল প্রাকৃতিক পানীয়।
শরীর থেকে যেসব লবণ গরমের কারণে বের হয়ে যায় তা পূরণ করার জন্য আমাদের খাদ্য তালিকায় নানা ধরনের ফলের সরবত, কোমল পানীয়র পাশাপাশি ডাবের পানি রাখা যায়। ডাবের পানিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ লবণ ও নানা রকম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, যা অনেক জটিল রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে।
ডাবের পানি কলেরা প্রতিরোধ করে, বদহজম দূর করে, হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, গরমে ডি-হাইড্রেশনের সমস্যায় বিশেষ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। ব্যায়ামের পর যখন শরীর ঘেমে ক্লান্ত হয়ে যায় তখন ডাবের পানি পান করলে শরীরের ফ্লুইডের ভারসাম্য বজায় থাকে।
গরমের কারণে ঘামাচি, ত্বক পুড়ে গেলে ডাবের পানি লাগালে আরাম পাওয়া যায়। ডায়াবেটিস রোগীরা ডাবের পানি পান করতে পারে। ডাবের পানি বাচ্চাদের গ্রোথ বাড়াতে সাহায্য করে এবং শরীরে ব্লাড সার্কুলেশন ভালো রাখে।
এছাড়া কোলাইটিস, আলসার, গ্যাসট্রিক, পাইলস, ডিসেন্ট্রি ও কিডনিতে পাথরসহ এসব সমস্যায় ডাবের পানি খুবই উপকারী। ঘন ঘন বমি হলে ডাবের পানি ওষুধ হিসেবে কাজ করে। এই গরমে ডাবের পানির কোনো বিকল্প নেই। তাই কৃত্রিম ক্ষতিকর পানীয়র পরিবর্তে ডাবের পানি পান করার অভ্যাস করতে হবে। এতে করে শরীর সুস্থ থাকবে।
রমজান মাসের খাবারের তালিকা যা রাখা যায়
রমজান মাস মুসলমানদের সিয়াম সাধনার মাস। এসময় সতর্কতার সাথে চললে সুস্থ থেকে সিয়াম সাধনার পাশাপাশি সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে থাকা সম্ভব। রোজার মাসে অসুস্থ ব্যক্তি যদি রোগ অনুযায়ী সঠিক খাদ্য নির্বাচন করে তাহলে রোজা রাখার ক্ষেত্রে কোন অসুবিধা হয়না। একজন সুস্থ ব্যক্তি যদি সঠিকভাবে খাদ্য নির্বাচন করে তাহলে স্বাভাবিকভাবে মাসব্যাপী সিয়াম সাধনা করতে পারেন। রোজার সময় সাধারনত: তিন বার খাবার গ্রহণ করা হয়। সূর্যাস্তের পর প্রথম খাবার হলো ইফতার, তারপর সন্ধ্যারাতের খাবার ও সেহেরী। অন্যান্য দিনের খাদ্য তালিকায় যেভাবে খাদ্য গ্রহণ করা হয় ঠিক সেভাবে রমযানেও প্রয়োজন অনুযায়ী খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।
ইফতারে তৈলাক্ত ও অতিরিক্ত মসলা জাতীয় খাবার, রাস্তার পাশে খোলা খাবার, বিভিন্ন আকৃষ্ট পানীয় যেমন- কাটা ফল, আমের রস ইত্যাদি এড়িয়ে চলতে হবে। এসব খাবার হজমে ব্যাঘাত ঘটিয়ে জন্ডিস, টাইফয়েড, হেপাটাইটিস ইত্যাদি রোগের কারণ হতে পারে। বাহিরের খোলা খাবার, অতিরিক্ত তৈলাক্ত ও মসলাযুক্ত খাবার বিভিন্ন অসুস্থতা যেমন- আলসার, গ্যাসিট্রিক, পেটফাপা ইত্যাদির কারণ হতে পারে। ক্যাফেইন সমৃদ্ধ খাবার চা-কফি কোমল পানীয় ইত্যাদি যথা সম্ভব কম খাওয়া প্রয়োজন। অতিরিক্ত খাবার শরীরের ওজন বাড়িয়ে শরীরে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি করে।
ইফতার, সন্ধ্যারাত ও সেহেরীতে সহজপাচ্য ও পরিমিত পরিমাণ খাবার গ্রহণ করা উচিত। অনেকে পেট পুরে ইফতার খেয়ে সন্ধ্যারাতে খাবার খান না। আবার অনেকে রাত করে খাবার খেয়ে সেহেরী খান না। এতে শরীর দুর্বল, ক্লান্ত ও অবসাদ দেখা দেয় এবং এ নিয়ম স্বাস্থ্যসম্মত নয়। আবার অনেকে মনে করেন, সন্ধ্যারাতে না খেয়ে সেহেরীতে বেশী খেলে ক্ষুধা কম লাগে। এটি একটি ভ্রান্ত ধারনা।
ইফতারের প্রথম খাবার হলো পানি জাতীয় খাবার যেমন শরবত্, লেবু, বেল, চিড়া, ডাবের পানি, তেতুল, রুহ আফজা, লাচ্ছি, বিভিন্ন মৌসুমী ফল, আনারস, তরমুজ, জামরুল, মাল্টা, জাম্বুরা ইত্যাদি দিয়ে তৈরি করা যায় যা শরীরের পানি শুন্যতা, কৌষ্টকাটিন্য, পেটের অসুখ দূর করে বিভিন্ন ভিটামিন ও খণিজ লবণের চাহিদা মেটায় এবং শরীর সুস্থ রাখে। ইফতার থেকে ঘুমানোর পূর্ব পর্যন্ত কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা প্রয়োজন। ইফতারের পর পর প্রচুর পানি না খেয়ে ঘুমানোর পূর্ব পর্যন্ত এ পরিমাণ পানি পান করা প্রয়োজন।
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার তথা বিভিন্ন ডাল জাতীয় খাবার যেমন- ছোলা, পেয়াজ, ঘুঘনী, বেগুনী, চটপটি ইত্যাদি। হালিম একটি পুষ্টিকর খাবার যাতে চাল, ডাল, গম, মাংস, তেল, পেয়াজ, কাঁচামরিচ, আদা, ধনেপাতা, পুদিনা পাতা, লেবু ইত্যাদি থাকে। এতে খাদ্যের ছয়টি উপাদানই রয়েছে। ঘরের তৈরি হালিমই ভাল ও পুষ্টিকর।
সন্ধ্যারাতের খাবারে মাছ, মাংস, ডাল, ডিম ইত্যাদি থেকে প্রোটিন পাওয়া যায়। সেহেরীতে মাছ অথবা মাংসের খাদ্য ব্যবস্থা রাখা যায়। সাধারণত: রমজানে তুলনামূলক ডাল জাতীয় খাবার বেশী খাওয়া হয়। তাই পরিমিত পরিমাণ মাছ বা মাংস গ্রহণ করতে হবে যাতে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। দুধ, দই, টক দই, দুধ জাতীয় খাবার ইত্যাদি সেহেরীতে খাওয়া যায়। ইফতারে যেহেতু তেলে ভাজা খাবার বেশী খাওয়া হয় তাতে ফ্যাটের চাহিদা মিটে যায়। এসময় বাড়তি তেল ও তেল জাতীয খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে।
শর্করা জাতীয় খাবার যেমন চিড়া, মুড়ি, ভাত, রুটি, চিনি, গুড় ইত্যাদি শরীরের শক্তির চাহিদা মেটায়। শরবতে চিনির পরিমাণ ঠিক রাখতে হবে। ইফতারে মিশ্র পাতলা খিচুরী খাওয়া যায়। ইফতারীতে ফল একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফলে রয়েছে বিভিন্ন ধরণের ভিটামিন ও খণিজ লবণ যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। কলা, পাকা পেঁপে, আম, আনারস, জাম্বুরা, পেয়ারা, আমড়া, কামরাংগা, কমলা, মাল্টা, ডালিম ইত্যাদি দিয়ে ইফতার করা যায়। ইফতারে ফল হজমে বড় ভূমিকা রাখে। ইফতারে শাকের বড়া, সন্ধ্যারাতে ও সেহেরীতে যে কোন শাক সব্জি ইচ্ছামত খাওয়া যায়। সবুজ শাক শব্জি, ফল বিভিন্ন ভিটামিন ও খণিজ লবণ-এর চাহিদা মিটিয়ে থাকে।
রমজান মাসে খাদ্য তালিকায় আঁশ জাতীয় খাবারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। আঁশ জাতীয় খাবার কৌষ্টকাঠিন্য দূর করে ও রক্তে কোলেস্টেরল-এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। সেহেরী খেয়ে ১০-২০ মিনিট হাঁটলে হজমে সহায়ক হয়।
রমযান মাসে অতিরিক্ত তেল ও চর্বিযুক্ত খাবার বাদ দিয়ে সহজে পাচ্য এবং পানি জাতীয় খাবার গ্রহণ করা প্রয়োজন।
প্রথমে শরবত তারপর চিড়া-দই, দুধ কলা, ক্ষীর, পায়েস, কাস্টার্ড ইত্যাদি ঠান্ডা খাবার খেয়ে পরে তেলে ভাজা খাবার বুট, পেয়াজু, বেগুনী ইত্যাদি আস্তে আস্তে পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করলে হজমে সহায়ক হয় এবং শরীর সুস্থ ও স্বাভাবিক থাকে। মনে রাখতে হবে ঘরে তৈরী ইফতার নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত হয়।
কপি পেষ্ট।
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১৯
বৃক্ক বা কিডনির পরিচিতি
ইংরেজিতে: কিডনি
বৃক্ক দেহের রেচনতন্ত্রের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। মেরুদণ্ডী প্রাণীর দেহে এক জোড়া বৃক্ক থাকে। মানুষের দেহের বৃক্কের গড়ন অনেকটা শিমের মতো। এই অঙ্গ দুটি উদরের পিছনের দিকে থাকে। বৃক্ক মূূূত্র উৎপাদন করে এবং সেই সাথে শরীরের জল ও ইলেকট্রলাইট (সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ইত্যাদি) এর ভারসাম্য বজায় রাখে।
দেহের পেছনদিকে বক্ষপিঞ্জরের নিচে মেরুদণ্ডের দুই পাশে একটি করে দুইটি বৃক্ক থাকে। বৃক্কদ্বয় ডর্সাল অ্যাওর্টার সাথে সংযুক্ত থাকে। মানুষের প্রত্যেকটি বৃক্কের রঙ লালচে, কিছুটা চাপা, অনেকটা শিমের বীজের মতো। ডান বৃক্কটি বাম বৃক্ক অপেক্ষা খানিকটা নিচে অবস্থিত। বৃক্কের ভেতরের দিকটি অবতল এবং বাইরের দিকটি উত্তল। অবতল অংশে হাইলাস নামক অনেকগুলো ভাজ দেখা যায়। এর ভেতর দিয়ে রেনাল শিরা ও ইউরেটর বহির্গত হয়। আবার, রেনাল ধমনী ও স্নায়ু এর মাধ্যমেই বৃক্কে প্রবেশ করে। সমগ্র বৃক্ক যোজক কলা নির্মিত ক্যাপস্যুলের ভিতরে থাকে । একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যাক্তির বৃক্কের দৈর্ঘ্য প্রায় ১০-১২সে.মি. , প্রস্থ ৫-৬ সে.মি. ও স্থূলত্ব প্রায় ৩ সে.মি.। পূর্ণবয়স্ক পুরুষের বৃক্কের ওজন প্রায় ১৫০-১৭০গ্রাম এবং পূর্ণবয়স্ক মহিলার বৃক্কের ওজন প্রায় ১৩০-১৫০গ্রাম।
বৃক্কের লম্বচ্ছেদ করা হলে সুস্পষ্ট দুটি অংশ দেখা যায়। এগুলো হল, কর্টেক্স ও মেডুলা। কর্টেক্স বৃক্কের ক্যাপস্যুলের সাথে সংযুক্ত এবং মেডুলাকে বৃক্কের অভ্যন্তরে দেখা যায়। নেফ্রনের ফমালপিজিয়ান কণিকা, প্রক্সিমান নালিকা, ডিস্টাল নালিকা ও রক্তবাহিকা বৃক্কের কর্টেক্সে অবস্থান করে। অপরদিকে নেফ্রনের বাকি অংশ, যেমন— লুপ অব হেনলি, সংগ্রাহী নালিকা, রক্তবাহিকাগুলো মেডুলায় দেখা যায়। উক্ত অংশগুলো সম্মিলিতভাবে রেনাল পিরামিড গঠন করে। এভাবে অনেকগুলো রেনাল পিরামিড গঠিত হয়। পিরামিডের চূড়াকে বলা হয় প্যাপিলা(papilla)।
নেফ্রন ইংরেজি nephron।
বৃক্কের অভ্যন্তরে প্রায় ১০ লক্ষ নেফ্রন থাকে। এগুলো প্রায় ৩ সে.মি লম্বা। বৃক্কে থাকা নেফ্রনের নালিকাগুলো জোড়া দিলে তার দৈর্ঘ্য প্রায় ৩৬ কি.মি. লম্বা হবে। বৃক্কে থাকা নেফ্রনের অবিরত কাজের ফলে প্রতি মিনিটে প্রায় ১২৫ ঘন সে.মি. তরল রক্ত পরিশ্রুত হয়। এর ৯৯% পানিই বিশোধিত হয়ে রক্তে ফিরা যায়। প্রতি ঘন সে.মি. মূত্র সৃষ্টি হতে সময় লাগে প্রায় ১মিনিট।
বৃক্কের গ্লোমেরুলাস-এর ভেতর দিয়ে রক্ত প্রবাহকালে রক্ত থেকে গ্লুকোজ, ইউরিয়া, ইউরিক এসিড, লবণ, পানি ইত্যাদি ক্যাপসুলে প্রবেশ করে। বৃক্কীয় নালিকা অতিক্রম করার সময় প্রয়োজনীয় গ্লুকোজ, পানি, লবণ ইত্যাদি পুনরায় শোষিত হয় এবং অবশিষ্টাংশ মূত্র হিসেবে বের হয়।
নেফ্রনকে ২ ভাগে বিভক্ত করা যায়। যথা—
১. রেনাল করপাসল বা মালপিজিয়ান বডি
২. রেনাল টিউব্যুল
১. রেনাল করপাসল (Renal Corpuscle) : নেফ্রনের অগ্রপ্রান্তকে বলা হয় রেনাল করপাসল। এটি বৃক্কের কর্টেক্সে অবস্থিত। রেনাল করপাসল ২টি অংশে বিভক্ত। ভাগ দুটি হলো— রেনাল ক্যাপস্যুল ও গ্লোমেরুলাস | ||
১.১. রেনাল ক্যাপস্যুল (Renal Capsule) : রেনাল করপাসলে অবস্থিত গ্লোমেরুলার কৈশিক জালিকগুচ্ছকে ঘিরে থাকে। এগুলো আইশাকার এপিথেলিয়াম দ্বারা গঠিত। এর আকার দ্বিস্তরী পেয়ালার মতো। এই অংশকে রেনাল ক্যাপস্যুল বলা হয়। এতে গ্লোমেরুলাস সংলগ্ন অংশকে বলা হয় ভিসেরাল স্তর। এটি পোডোসাইট নামক প্রবর্ধনযুক্ত কোষ দ্বারা তৈরী। বহিঃপ্রাচীরকে প্যারাইটাল স্তর বলে। প্যারাইটাল স্তরটি আইশাকার এপিথেলিয়াল কোষ দ্বারা আবৃত। ভিসেরাল স্তর ও প্যারাইটাল স্তরে মধ্যবর্তী স্থানকে বলা হয় ক্যাপস্যুলার স্পেস। | ||
১.২. গ্লোমেরুলাস (Glomerulus) : গ্লোমেরুলাস রেনাল ক্যাপস্যুলে প্রায় আবদ্ধ অবস্থায় থাকে। এটি অ্যাফারেন্ট ধমনী থেকে কৈশিক জালিকাকারে গ্লোমেরুলাস সৃষ্টি হয়। একটি গ্লোমারুলাসে প্রায় ৫০ টি কৈশিকজালিকা দেখা যায়। জালিকাগুলোর প্রাচীর অর্থাৎ এন্ডোথেলিয়াম খুব পাতলা। এতে অসংখ্য ছিদ্র দেখা যায়।একটি ভিত্তিঝিল্লির উপর জালিকার সমস্ত এপিথেলিয়াম কোষ অবস্থিত। উৎপন্ন কৈশিকজালিকাগুলো মিলে গিয়ে ইফারেন্ট ধমনী সৃষ্টি করে ক্যাপস্যুল থেকে বেরিয়ে আসে। ইফারেন্ট ধমনী ও কৈশিকজালিকার ব্যাস অ্যাফারেন্ট ধমনীর ব্যাস অপেক্ষা বেশি। | ||
২. রেনাল টিউব্যুল (Renal Tubule) : রেনাল ক্যাপস্যুলের অঙ্কীয়দেশ থেকে শুরু হয়ে সংগ্রাহক নালিকা পর্যন্ত বিস্তৃত প্রায় ৩ সে.মি. লম্বা ও ২০ থেকে ৬০ মাইক্রন চওড়া নালিকাকে রেনাল টিউব্যুল বলে। দুটি বৃক্কে মোট প্রায় ২৪ লক্ষ রেনাল টিউব্যুল দেখা যায়, যেগুলোকে জোড়া দিলে দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ৭২ কি.মি. বা ৪৫ মাইল। প্রত্যেকটি রেনাল টিউব্যুলে ৪টি অংশ দেখা যায়। এই অংশগুলো হলো— প্রক্সিমান প্যাচানো নালিকা, লুপ অব হেনলি, ডিস্টাল প্যাচানো নালিকা ও সংগ্রাহী নালিকা। | ||
২.১. প্রক্সিমাল প্যাচানো নালিকা (Proximal Convoluted tubule): এটি নেফ্রনের বৃহত্তম অংশ। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ১৪ মি.মি. ও প্রস্থ প্রায় ৬০ মাইক্রো মি.। এর প্রাচীর একস্তরী ঘনতলীয় কোষে গঠিত। নালিকা গহ্বর সংলগ্ন কোষপ্রান্ত অসংখ্য মাইক্রোভিলাই থাকে। নালিকার অন্যা প্রান্ত ভিত্তিঝিল্লীর উপর থাকে। ভেতরের দিকটি ভাজ হয়ে চ্যানেল তৈরি করে। ২.২. লুপ অব হেনলি (Loop of Henle) : লুপ অব হেনলি প্রক্সিমাল প্যাচানো নালিকার শেষ প্রান্ত থেকে শুরু হয়ে সোজা নিম্নগামী হয়ে মেডুলায় প্রবেশ করে। অতঃপর U আকৃতির লুপ তৈরি করে প্রান্তীয় প্যাচানো নালিকায় শেষ হয়। এতে ৩টি অংশ দেখা যায়। এগুলো হল, নিম্নগামী বাহু, পাতলা উর্ধ্বগামী বাহু ও স্থূল উর্ধ্বগামী বাহু। নিম্নগামী বাহু আইশাকার কোষ দ্বারা গঠিত। পাতলা উর্ধ্বগামী বাহুতে আইশাকার পাতলা প্রাচীর দেখা যায়। স্থুল উর্ধ্বগামী বাহুতে ঘনতলীয় কোষের প্রাচীর দেখা যায়। ২.৩. ডিস্টাল প্যাচানো নালিকা (Distal Convoluted tubule): লুপ অব হেনলির স্থূল উর্ধ্বগামী বাহুর পরবর্তী অংশ হল ডিদ্টাল প্যাচানো নালিকা। এর সাথে অ্যাফারেন্ট ধমনীর সংযোগ থাকে। এখানে উভয়ের উভয়ের কোষগুলো ক্ষরণকারী কোষে পরিবর্তিত হয়ে জাক্সটাগ্লোমেরুলার কমপ্লেক্স গঠন করে। ২.৪. সংগ্রাহী নালী (Collecting duct) : এটি ডিস্টাল নালিকার পরবর্তী অংশ। এটি নেফ্রনেরও সর্বশেষ অংশ। এর কিছু অংশ কর্টেক্সে আর বাকীটুকু মেডুলায় দেখা যায়। এটি সোজা ও ঘনতলীয় কোষে গঠিত। কয়েকটি সংগ্রাহী নালী একত্রিত হয়ে স্তম্ভাকার বেলিনির নালী গঠন করে। বেলিনির নালী পেলভিসে রেনাল পিরামিডে প্যাপিলার ছিদ্রপথে উন্মুক্ত হয়। |
১. রক্তে অম্ল ও ক্ষারের ভারসাম্য ঠিক রাখা
২. পানির ভারসাম্য রক্ষা করা
৩. লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করা
৪. রক্ত হতে নাইট্রোজেনঘটিত বর্জ্য পদার্থ অপসারণ করা
৫. ভিটামিন ডি তৈরি করা
৬. মূূূত্র উৎপাদন এবং নির্গত করার কার্যক্রম সম্পন্ন করা।
আর বৃক্ক বা কিডনি ভাল রাখতে খেতে পারেন ১০০% নিরাপদ রেনাল (শরবতে বুয়ুরী)
সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ২০০/ টাকা মাত্র।
বিঃদ্রঃ বাংলাদেশ একমাত্র ইউনানি ফুর্মূলা অনুযায়ী রেনাল বা শরবত বুয়ুরী তৈরি করে ইয়থ ল্যাবরেটরিজ ইউনানি লি:। আর অনলাইনে বিক্রয় করছে হেলথ হারবাল বিডি।
সোমবার, ২২ এপ্রিল, ২০১৯
গ্যাস্ট্রিক সমস্যার ৭টি ঘরোয়া প্রতিকার
আপনার অথবা আপনার আশে পাশের অনেকেই গ্যাস্ট্রিকে আক্রান্ত। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার কারণে অনেকেই অনেক খাবার এড়িয়ে চলেন। কিন্তু তারপরেও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে বাঁচতে পারেন না। গ্যাস্ট্রিকের মূল কারণগুলো হলো এসিডিটি, হজমের সমস্যা, বুক জ্বালা পোড়া করা ইত্যাদি। এছাড়াও গ্যাস্ট্রিকের ব্যাথার আরো কিছু কারণ হতে পারে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ, ফুড পয়জনিং, কিডনিতে পাথর, আলসার ইত্যাদি। আসুন জেনে নেয়া যাক গ্যাস্ট্রিকের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার এবং গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কমানোর কিছু ঘরোয়া উপায়।
একটি মাঝারী আকৃতির লেবু চিপে রস বের করে নিন। এরবার লেবুর রসের সাথে আধা টেবিল চামচ বেকিং সোডা ও এক কাপ পানি মিশিয়ে নিন। বেকিং সোডা ভালো করে মিশে যাওয়া পর্যন্ত নাড়ুন। এবার মিশ্রণটি খেয়ে নিন। নিয়মিত খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় আরাম পাওয়া যায়। গ্যাস্ট্রিকের ব্যথায় সাথে সাথে আরাম পেতে চাইলে হালকা গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খান। কিছুক্ষণের মধ্যেই ব্যথা কমে যাবে।
বিভিন্ন রকম প্রাকৃতিক চা যেমন সবুজ চা, পুদিনা চা, তুলসী চা এগুলো হজম ক্ষমতা বাড়ায় এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধান করে।
তেঁতুল পাতা মিহি করে বেটে নিন। এবার তেঁতুল পাতা বাটা এক গ্লাস দুধের সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন পান করুন। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হয়ে যাবে সহজেই।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় পানি খাওয়ার কোনো বিকল্প নেই। সাড়া দিনে প্রচুর পরিমাণে পানি খেলে পেটে এসিড হয় না এবং হজম শক্তি বাড়ে। তাই প্রতিদিন অন্তত ৭ থেক ৮ গ্লাস পানি খাওয়ার অভ্যাস করুন। তাহলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমে যাবে কিছুদিনের মধ্যেই।
পেটে গ্যাসের সমস্যার থেকে মুক্তি পাওয়ার সবচেয়ে সহজ ঘরোয়া সমাধান হলো আদা খাওয়া। প্রতিবেলা খাবার খাওয়ার পর এক টুকরা আদা মুখে নিয়ে চিবিয়ে রস খান। তাহলে পেটে গ্যাস জমবে না এবং গ্যাস্ট্রিকের ব্যথার থেকে মুক্তি মিলবে। যারা আদা সরাসরি খেতে পারেন না তাঁরা রান্নায় বেশি করে আদা ব্যবহার করুন।
ডাবের পানি খেলে হজম ক্ষমতা বাড়ে এবং সব খাবার সহজেই হজম হয়ে যায়। এছাড়াও গ্যাসের সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায় নিয়মিত ডাবের পানি খেলে। তাই সম্ভব হলে প্রতিদিন ডাবের পানি খাওয়ার অভ্যাস করুন। তাহলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।
লেবুর ব্যবহার
একটি মাঝারী আকৃতির লেবু চিপে রস বের করে নিন। এরবার লেবুর রসের সাথে আধা টেবিল চামচ বেকিং সোডা ও এক কাপ পানি মিশিয়ে নিন। বেকিং সোডা ভালো করে মিশে যাওয়া পর্যন্ত নাড়ুন। এবার মিশ্রণটি খেয়ে নিন। নিয়মিত খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় আরাম পাওয়া যায়। গ্যাস্ট্রিকের ব্যথায় সাথে সাথে আরাম পেতে চাইলে হালকা গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খান। কিছুক্ষণের মধ্যেই ব্যথা কমে যাবে।