রবিবার, ২২ এপ্রিল, ২০১৮
খালি পেটে যে সকল ঔষধ খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর
খালি পেটে যে সকল ঔষধ খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর
ঔষধ আমাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমাদের সবাইকেই কোন না কোন সময় ঔষধ খেতে হয়। প্রত্যেক ঔষধ খাওয়ার নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। কোন ঔষধ খালি পেটে খেতে হয় আবার কোন ঔষধ খালি পেটে খাওয়া নিষিদ্ধ।
এখানে দেখুন কোন কোন ঔষধ খালি পেটে খাওয়া নিষেধ এবং খেলে কি কি ক্ষতি হওয়ার আশংকা থাকে।
এনেসআইডস (যেমন- ডাইক্লোফেন, ভল্টালিন, রোলাক, ন্যাপ্রোক্স ইত্যাদি) ব্যথায় ব্যবহার করা হয়। এসব ওষুধ পেটের জ্বালা-পোড়া সহ গ্যাস্ট্রিক, আলসার এমনকি পাকস্থালী ফুটো করে ফেলতে পারে। তাই এইসব ব্যথার ওষুধ অবশ্যই ভরা পেটে খেতে হবে এবং আগে অমিটিডিন বা রেনেটিডিন জাতীয় ওষুধ খেতে হবে।
(নোটঃ প্যারাসিট্যামল যেমেন-নাপা, এইস এনেসআইডস হলেও এদের আগে অমিটিডিন বা রেনেটিডিন খাওয়ার প্রয়োজন পড়েনা, এমনকি ভরা পেটে না খেলেও তেমন অসুবিধা হয়না। তবে ভরা পেটে খাওয়া ভাল। আরেকটি এনেসআইডস ‘অ্যাসপিরিন’ যেমন- ইকোস্পিরিন/কারভার আগে অমিটিডিন বা রেনেটিডিন খাওয়ার প্রয়োজন পড়েনা, শুধু ভরা পেটে খেলেই হয়।)
এসব ওষুধ (যেমন- ট্রামাল/অ্যানাডল, মরফিন) এনেসআইডসের মত গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা না করলেও বমি বা বমি-বমি ভাবের সমস্যা করে যা ভরা পেটে খেলে কম হয়।
তা ছাড়া এসব ঔষধ কোষ্ঠকাঠিন্য এর সৃষ্টি করতে পারে যা ফাইবার যুক্ত খাবার (যেমন- শাঁক, শসা) খেলে একেবারে হয়না বললেই চলে।
স্টেরয়েড (যেমন- কটশন/কর্টান) অ্যাজমা, বাত-ব্যথা, অ্যালার্জি, সহ বিভিন্ন রোগে ব্যবহার করা হয়। স্টেরয়েড গ্যাস্ট্রাইটিসের সমস্যা করে, এমনকি গ্যাস্টিক আলসার করতে পারে। তাই এসব ওষুধ অবশ্যই খাবারের পরে খেতে হবে।
মেটফরমিন ডায়াবেটিসের অতি কার্যকরী একটি ওষুধ। মেটফরমিন (যেমন- কমেট/মেটফো) বা মেটফরমিন যুক্ত ওষুধ (যেমন- গ্ল্যাল্ভাস-মেট/গ্লিপিটা-এম) খাবারের সাথে বা খাবারের পরে খেতে হবে। না হলে বমি বা বমি-বমি ভাব অথবা ডায়রিয়া হতে পারে।
অ্যান্টাসিড পাকস্থলীর অতিরিক্ত এসিডকে প্রশমন করে কাজ করে। পাকস্থলীর এসিড খাবারের পর ক্ষরিত হয়। তাই এ জাতীয় ওষুধ খাবারের আধা থেকে এক ঘণ্টা পরে খাওয়া উচিত। তবে রাতের বেলা বুক-জ্বালা পোড়া (গ্যাস্ট্রাইটিসের সমস্যা) করলে খাবার ছাড়াও অ্যান্টাসিড খাওয়া যায়।
খালি পেটে জন্ম নিয়ন্ত্রণকারী বড়ি বমি-বমি ভাব সৃষ্টি করতে পারে এমনকি বমিও হতে পারে। তাই জন্ম নিয়ন্ত্রণকারী পিল অবশ্যই খাবারের পরে খাওয়া উচিত।
অ্যান্টিবায়োটিক (যেমন- সেফুর, সেফ-৩, অ্যাজিথ/জিম্যক্স, মক্সাসিল ইত্যাদি) খাওয়ার পরে অনেকেই বমি-বমি ভাবে আক্রান্ত হন। ক্ষেত্র বিশেষে বমি বা ডাইরিয়াও হতে পারে। খাওয়ার পর অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করলে অনেক সময়ে এই সমস্যাটা দূর হয়।