হারবাল ঔষধ, ভেষজ ঔষধ, ভেষজ চূর্ণ, ভেষজ গুণ সম্পর্কিত গাছ, প্রাকৃতিক ঔষধ, ভেষজ উদ্ভিদ পরিচিতি, ইউনানি চিকিৎসা, আয়ুর্বেদ চিকিৎসা, আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা, গ্রামীণ চিকিৎসা সেবা, হারবাল চিকিৎসা, অর্গানিক খাদ্য,হারবাল চা,হারবাল রেমিডি,ন্যাচারাল রেমিডি, হার্বস, একক ভেষজ, হারবাল ঔষধ এর পরিচিতি,হারবাল ঔষধ এর রিভিউ, ইউনানি ঔষধ এর রিভিউ, আয়ুর্বেদিক ঔষধ এর রিভিউ,আয়ুর্বেদ চিকিৎসার ইতিহাস, ইউনানি চিকিৎসার ইতিহাস, ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকিৎসা, হারবাল টোটকা,হারবাল শরবত, ফলের গুনাগুন, ফুলের গুনাগুন ইত্যাদি নিয়ে লেখালেখি।

Blogger templates

  • This is default featured slide 1 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by NewBloggerThemes.com.

  • This is default featured slide 2 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by NewBloggerThemes.com.

  • This is default featured slide 3 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by NewBloggerThemes.com.

  • This is default featured slide 4 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by NewBloggerThemes.com.

  • This is default featured slide 5 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by NewBloggerThemes.com.

শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৭

মূত্রনালীর সংক্রামন বা UTI এর কারণ ও প্রতিকার


শরীরে মূত্র তৈরি এবং দেহ থেকে তা নিঃসরণের জন্য যে অঙ্গসমূহ কাজ করে সেগুলোতে কোনো কারণে ইনফেকশন দেখা দিলে তাকে ইউনারি ট্রেক্ট ইনফেকশন (ইউটিআই বা UTI ) বলে। আজকাল মেয়েদের মধ্যে এ অসুখটির প্রকোপ দেখা যাচ্ছে খুব বেশি। তবে একটু সতর্ক হলে এ রোগ থেকে আমরা মুক্তি পেতে পারি।

মূত্র নালীর সংক্রামন বা ইউটিআই রোগের কারণ:
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়া (৯৫%) এবং কিছু ক্ষেত্রে ফাঙ্গাস,প্রোটিয়াস,কেবসিয়েলা,সিউডোমনাস অন্যতম।
 এ ছাড়া অনেকের এলার্জি জনিত কারনেও হতে পারে (সাময়িক হতে দেখা যায়)

 দীর্ঘসময় মূত্রতন্ত্রে জীবাণু অবস্থান করলেই UTI এর লক্ষণ গুলো দেখা যায়।

 মূত্রনালীর সক্রমন খুব বেশী হয় মেয়েদের। কারণ মেয়েদের মূত্রনালীর দৈর্ঘ্য ছোট,মেয়েদের মূত্রনালীর দৈর্ঘ্য মাত্র ১.৫ ইঞ্চি, অথচ ছেলেদের ৮ ইঞ্চি।

মেয়েদের মূত্রদ্বার ও যোনিপথ খুব কাছাকাছি, মাসিক ঋতুস্রাবের সময় অনেক মেয়েরা ময়লা, ছেরা ও নোংরা জাতীয় কাপড় ব্যবহার করেন, এতে জীবানু প্রথমে যোনিপথে ও পরে সংলগ্ন মূত্রনালীকে সংক্রমিত করে

মেয়েদের প্রস্রাব না করে আটকে রাখার প্রবণতা বেশি, তাই প্রস্রাবে সংক্রমন হওয়ার সম্ভাবনা বেশী।

 যারা পানি কম পান করেন
ডায়াবেটিস আছে যাদের

 প্রস্টেট গ্রন্থি বড় হলে

 ষাটের বেশি বয়স হলে, যাদের রোগ অথবা প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের বেলায়।

লক্ষণসমূহ:

১) ঘন ঘন প্রস্রাব
২) প্রস্রাবের প্রচণ্ড চাপ অনুভব
৩) প্রস্রাবের সময় ব্যাথা, জ্বালাপোড়া ও অসহ্য অনুভূতি
৪) তল পেটে স্বাভাবিকভাবে অথবা চাপ দিলে ব্যাথা অনুভব
৫) ঘন ফেনার মত অথবা দুর্গন্ধযুক্ত প্রস্রাব
৬) জ্বর-কাঁপুনিসহ অথবা কাঁপুনি ছাড়া
৭) বমি বমি ভাব ও বমি হওয়া
৮) কোমরের পাশের দিকে অথবা পিছনে মাঝামাঝি অংশে ব্যাথা
৯) প্রস্রাবের চাপে রাতে বার বার ঘুম ভেঙ্গে যাওয়া।

             চিকিৎসা:

 ড্রাগ থেরাপি হিসাবে চিকিৎসকরা নিম্ন লিখিত গ্রুপের ঔষধ সমুহ ব্যাবহার করে থাকেন, সেফালোস্পরিন, লিভোফক্সাসিন, গ্যাটিফক্সাসিন ইত্যাদি – খুবই ভাল যা ৯৬% কার্যকর ব্যাক্টেরিয়া জনিত কারনে হলে।
অন্যদিকে ফাংগাসের কারনে হলে এন্টি ফাংগাল ড্রাগস দিয়ে থাকেন সেই সাথে চুলকানি থাকলে তা রোধ করার জন্য এন্টি ফাংগাল বা করটিকস্টারয়েড জাতীয় ক্রিম ও দেওয়া হয় বাহিরের চুলকানি দূর করার জন্য এবং বেশি বেথা থাকলে নিউরোস্পাস্মটিক ঔষধ বেশ আরাম দায়ক। পুনরাবৃত্তি সংক্রমণ না হওয়ার জন্য একি সাথে সহবাস সঙ্গীকে প্রতিষেধক এন্টিবায়োটিক দেওয়া উচিৎ।

হারবাল: যেহেতু ইহা ব্যাক্টেরিয়ার আক্রমণে হয়ে থাকে তাই ব্যাক্টেরিয়া ধ্বংস কারি এন্টবায়োটিক ছাড়া এখন ও অন্য কিছু নাই, তবে সাপ্লিমেন্টারী হিসাবে WHO কৃতক অনুমদিত এবং সর্বশেষ রিসার্চ অনুসারে নিম্নের দুটি ঔষধ ভাল ফল দায়ক
– ( Cranberry 750mg Extract Super Strength ট্যাবলেট , যা দিনে তিনটি পর্যন্ত খেতে হবে – কেনবারি জুস খুভি ফল দায়ক যা দিনে ৩/৪ কাপ খেলে উপকৃত হবেন , তবে যাদের এলার্জি আছে তাদের জন্য নিষেধ।

অথবা ট্যাবলেট Bromelain 80 mg দিনে দুবার খেতে পারেন, তবে ইহা শিশুদের জন্য নিষেধ – (বারমুলিন মুলত আনারস কে বলা হয়েছে — অর্থাৎ আনারসের সিরাপ দিনে ২/৩ বার খেলে ভাল উপকার পাওায়া যাবে)
সঠিক চিকিৎসা হলে সাধারণত UTI ২-৩ দিনেই ভাল হয়ে যায়। তবে যাদের UTI কমপ্লিকেটেড (যাদের বার বার UTI হয়, যাদের Sexual অভ্যাস স্বাভাবিক নয়, সাথে ডায়াবেটিস বা অন্যান্য অসুখের উপস্থিতি যেগুলোতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় ইত্যাদি কমপ্লিকেটেড UTI) সেটা ভাল হতে ১-২ সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। দরকার হলে শিরা পথেও এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে অনেক সময় হাসপাতালে ভর্তিও থাকতে হয়। মনে রাখবেন রোগের লক্ষণ উপশম হওয়া মানেই রোগমুক্তি নয়, চিকিৎসক যতদিন চিকিৎসা চালাতে বলবেন ততদিন চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে। কমপ্লিকেটেড UTI তে সাধারনত ৩-৪ সপ্তাহ অসুধ খেতে হয়।

সতর্কতা: কোন ওষুধই রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যাতিত সেবন করা নিষেধ।
প্রতিরোধ

যে কোন অসুখে প্রতিরোধই সর্বোৎকৃষ্ট চিকিৎসা। জেনে নিন এই অসুখ প্রতিরোধের কিছু টিপস-
১) দিনে বার বার পানি ও অন্যান্য তরল যেমন ফ্রুট জুস, ডাবের পানি ইত্যাদি খাওয়া। পানি ও অন্যান্য তরল জীবাণুর সংক্রামণ ও বৃদ্ধি প্রতিহত করে মূত্রতন্ত্রকে পরিষ্কার রাখে।
২) বাথরুম ব্যবহারের পরে টয়লেট টিস্যু পিছন থেকে সামনের দিকে না এনে সামনে থেকে পিছনের দিকে ব্যবহার করা- যাতে মলদ্বারের জীবাণু মূত্র পথে এসে সংক্রমণ করতে না পারে।
৩) যৌন সহবাসের আগে ও পরে অবশ্যই প্রস্রাব করা-যাতে মূত্র নালীতে আগত সকল জীবাণু পরিষ্কার হয়। অনেকের সহবাসের পরই UTI শুরু হয়। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী UTI প্রতিরোধক এন্টিবায়োটিক সহবাসের পর নেয়া যেতে পারে।
তাই উল্লেখিত লক্ষণগুলো দেখলেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। এক্ষেত্রে একজন ইউরোলজিস্ট আপনার জন্য সর্বোৎকৃষ্ট পরামর্শদাতা হতে পারে।
মনে রাখবেন, চিকিৎসায় যার প্রথমবার UTI ভাল হয়েছে, তার ২০% সম্ভাবনা রয়েছে দ্বিতীয়বার ইনফেকশন হওয়ার, যার দ্বিতীয়বার ভাল হয়েছে, তার ৩০% সম্ভাবনা রয়েছে তৃতীয় বার ইনফেকশন হওয়ার- এভাবে সম্ভাবনা বাড়তে থাকে। তাই প্রতিরোধের উপায়গুলো অভ্যাস করুন, সঠিক সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং সুস্থ থাকুন।
লেখক-ডাঃ আওরঙ্গজেব আল হোসাইন
রেসিডেন্ট, ইউরোলজী ও রেনাল ট্রান্সপ্লান্টেশন
এপোলো হসপিটালস ঢাকা।
তথ্যসূত্র: রাইজিংবিডি
Share:

আদা

আদা
 একটি উদ্ভিদ মূল মূল যা মানুষের খাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয়। মশলা জাতীয় ফসলের মধ্যে আদা অন্যতম। আদা খাদ্যশিল্পে, পানীয় তৈরীতে, আচার, ঔষধ ও সুগণ্ধি তৈরীতে ব্যবহার করা হয়। এটি ভেষজ ঔষধ। মুখের রুচি বাড়াতে ও বদহজম রোধে আদা শুকিয়ে চিবিয়ে খাওয়া হয়। অধিকন্তু সর্দি, কাশি, আমাশয়, জন্ডিস, পেট ফাঁপায় আদা চিবিয়ে বা রস করে খাওয়া হয়। [১] অন্যান্য অর্থকরী ফসলের চেয়ে আদা চাষ করা লাভজনক।
বাংলাদেশের টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, রংপুর, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, নীলফামারী, পঞ্চগড় ও পার্বত্য জেলাগুলোতে ব্যাপকভাবে আদা চাষ হয়ে থাকে।আদা বীজ রোপণের প্রায় ৭-৮ মাস পর ফসল পরিপক্ব হয়। আদা এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে মে মাস পর্যন্ত রোপণ করা হয়। সাধারণত ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে আদা উত্তোলন করা হয়। আদায় আমিষ ২·৩%, শ্বেতসার ১২·৩% , আঁশ ২·৪% , খনিজ পদার্থ, ১·২% পানি ৮০·৮% ইত্যাদি উপাদান বিদ্যমান।

গুনাগুণ

  • জ্বর, ঠাণ্ডা লাগা, ব্যথায় আদা উপকারী।
  • অতিরিক্ত ওজন ঝরাতেও আদা সাহায্য করে।
  • বসন্ত রোগে এর রস উপকারী।



Share:

11 Proven Health Benefits of Ginger

11 Proven Health Benefits of Ginger

Ginger is among the healthiest (and most delicious) spices on the planet.
It is loaded with nutrients and bioactive compounds that have powerful benefits for your body and brain.
Here are 11 health benefits of ginger that are supported by scientific research.

Ginger is a flowering plant that originated from China.
It belongs to the Zingiberaceae family, and is closely related to turmeric, cardomon and galangal.
The rhizome (underground part of the stem) is the part commonly used as a spice. It is often called ginger root, or simply ginger.
Ginger has a very long history of use in various forms of traditional/alternative medicine. It has been used to help digestion, reduce nausea and help fight the flu and common cold, to name a few.
Ginger can be used fresh, dried, powdered, or as an oil or juice, and is sometimes added to processed foods and cosmetics. It is a very common ingredient in recipes.
The unique fragrance and flavor of ginger come from its natural oils, the most important of which is gingerol.
Gingerol is the main bioactive compound in ginger, responsible for much of its medicinal properties. It has powerful anti-inflammatory and antioxidant effects (1).
BOTTOM LINE:Ginger is a popular spice. It is high in gingerol, a substance with powerful anti-inflammatory and antioxidant properties.

Ginger appears to be highly effective against nausea.
For example, it has a long history of use as a sea sickness remedy, and there is some evidence that it may be as effective as prescription medication .
Ginger may also relieve nausea and vomiting after surgery, and in cancer patients undergoing chemotherapy.
But it may be the most effective when it comes to pregnancy-related nausea, such as morning sickness.
According to a review of 12 studies that included a total of 1,278 pregnant women, 1.1-1.5 grams of ginger can significantly reduce symptoms of nausea .
However, ginger had no effect on vomiting episodes in this study.
Although ginger is considered safe, talk to your doctor before taking large amounts if you are pregnant. Some believe that large amounts can raise the risk of miscarriage, but there are currently no studies to support this.
BOTTOM LINE:1-1.5 grams of ginger can help prevent various types of nausea. This applies to sea sickness, chemotherapy-related nausea, nausea after surgery and morning sickness.

Ginger has been shown to be effective against exercise-induced muscle pain.
In one study, consuming 2 grams of ginger per day, for 11 days, significantly reduced muscle pain in people performing elbow exercises.
Ginger does not have an immediate impact, but may be effective at reducing the day-to-day progression of muscle pain .
These effects are believed to be mediated by the anti-inflammatory properties.
BOTTOM LINE:Ginger appears to be effective at reducing the day-to-day progression of muscle pain, and may reduce exercise-induced muscle soreness.

Osteoarthritis is a common health problem.
It involves degeneration of the joints in the body, leading to symptoms like joint pain and stiffness.
In a controlled trial of 247 people with osteoarthritis of the knee, those who took ginger extract had less pain and required less pain medication .
Another study found that a combination of ginger, mastic, cinnamon and sesame oil, can reduce pain and stiffness in osteoarthritis patients when applied topically .
BOTTOM LINE:There are some studies showing ginger to be effective at reducing symptoms of osteoarthritis, which is a very common health problem.

This area of research is relatively new, but ginger may have powerful anti-diabetic properties.
In a recent 2015 study of 41 participants with type 2 diabetes, 2 grams of ginger powder per day lowered fasting blood sugar by 12% .
It also dramatically improved HbA1c (a marker for long-term blood sugar levels), leading to a 10% reduction over a period of 12 weeks.
There was also a 28% reduction in the ApoB/ApoA-I ratio, and a 23% reduction in markers for oxidized lipoproteins. These are both major risk factors for heart disease.
This graph shows what happened:

However, keep in mind that this was just one small study. The results are incredibly impressive, but they need to be confirmed in larger studies before any recommendations can be made.
BOTTOM LINE:Ginger has been shown to lower blood sugar levels and improve various heart disease risk factors in patients with type 2 diabetes.

Chronic indigestion (dyspepsia) is characterized by recurrent pain and discomfort in the upper part of the stomach.
It is believed that delayed emptying of the stomach is a major driver of indigestion.
Interestingly, ginger has been shown to speed up emptying of the stomach in people with this condition.
After eating soup, ginger reduced the time it took for the stomach to empty from 16 to 12 minutes .
In a study of 24 healthy individuals, 1.2 grams of ginger powder before a meal accelerated emptying of the stomach by 50% .
BOTTOM LINE:Ginger appears to speed up emptying of the stomach, which can be beneficial for people with indigestion and related stomach discomfort.

Menstrual pain (dysmenorrhea) refers to pain felt during a woman's menstrual cycle.
One of the traditional uses of ginger is for pain relief, including menstrual pain.
In one study, 150 women were instructed to take 1 gram of ginger powder per day, for the first 3 days of the menstrual period .
Ginger managed to reduce pain as effectively as the drugs mefenamic acid and ibuprofen.
BOTTOM LINE:Ginger appears to be very effective against menstrual pain when taken at the beginning of the menstrual period.

High levels of LDL lipoproteins (the "bad" cholesterol) are linked to an increased risk of heart disease.
The foods you eat can have a strong influence on LDL levels.
In a 45-day study of 85 individuals with high cholesterol, 3 grams of ginger powder caused significant reductions in most cholesterol markers .
This is supported by a study in hypothyroid rats, where ginger extract lowered LDL cholesterol to a similar extent as the cholesterol-lowering drug atorvastatin .
Both studies also showed reductions in total cholesterol and blood triglycerides.
BOTTOM LINE:There is some evidence, in both animals and humans, that ginger can lead to significant reductions in LDL cholesterol and blood triglyceride levels.

Cancer is a very serious disease that is characterized by uncontrolled growth of abnormal cells.
Ginger extract has been studied as an alternative treatment for several forms of cancer.
The anti-cancer properties are attributed to 6-gingerol, a substance that is found in large amounts in raw ginger .
In a study of 30 individuals, 2 grams of ginger extract per day significantly reduced pro-inflammatory signalling molecules in the colon .
However, a follow-up study in individuals at a high risk of colon cancer did not confirm these findings .
There is some, albeit limited, evidence that ginger may be effective against pancreatic cancer, breast cancer and ovarian cancer. More research is needed 
BOTTOM LINE:Ginger contains a substance called 6-gingerol, which may have protective effects against cancer. However, this needs to be studied a lot more.

Oxidative stress and chronic inflammation can accelerate the aging process.
They are believed to be among the key drivers of Alzheimer's disease and age-related cognitive decline.
Some studies in animals suggest that the antioxidants and bioactive compounds in ginger can inhibit inflammatory responses that occur in the brain (24).
There is also some evidence that ginger can enhance brain function directly. In a study of 60 middle-aged women, ginger extract was shown to improve reaction time and working memory.
There are also numerous studies in animals showing that ginger can protect against age-related decline in brain function.
BOTTOM LINE:Studies suggest that ginger can protect against age-related damage to the brain. It can also improve brain function in elderly women.

Gingerol, the bioactive substance in fresh ginger, can help lower the risk of infections.
In fact, ginger extract can inhibit the growth of many different types of bacteria .
It is very effective against the oral bacteria linked to inflammatory diseases in the gums, such as gingivitis and periodontitis.
Fresh ginger may also be effective against the RSV virus, a common cause of respiratory infections.

12. Anything Else?

Ginger is one of the very few "superfoods" actually worthy of that term.
Share:

ঘামছে হাত-পা........



শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগের প্রধান রাশেদ খান বলেন, হাত-পা ঘামার সুনির্দিষ্ট কারণ এখনো বের করা যায়নি। তবে বংশগতভাবে এ রোগ থাকা, শারীরিক কিছু সমস্যা, শরীরের ভেতরের ভারসাম্যহীনতা, মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা প্রভৃতি কারণে হতে পারে।

হাত-পা ঘামার কারণহাত-পা ঘামার প্রাথমিক কারণ হিসেবে তেমন কিছু পাওয়া যায়নি। তবে অতিরিক্ত স্নায়বিক উত্তেজনার কারণে ঘাম হয়ে থাকে। এ ছাড়া আরও নানা কারণে হাত-পা ঘেমে থাকে। যেমন পারকিনসন্স ডিজিজ, থাইরয়েডে সমস্যা, ডায়বেটিস, জ্বর, শরীরে গ্লুকোজের স্বল্পতা, মেনোপোজের পর প্রভৃতি। অনেক সময় শরীরে ভিটামিনের অভাব থাকলে হাত-পা অতিরিক্ত ঘামতে পারে। আবার মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা ও জেনেটিক কারণে হাত-পা ঘামে।
অলংকরণ: তুলি
চিকিৎসা
সঠিক কারণ বের না করে চিকিৎসা করা উচিত নয়। আগে অনুসন্ধান বা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কারণ খুঁজতে হবে। তারপর সঠিক চিকিৎসা নিলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সাধারণত বিভিন্নভাবে হাত-পা ঘামা কমানো যেতে পারে। অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইডযুক্ত একধরনের বিশেষ লোশন হাত-পায়ে ব্যবহার করলে হাত-পা ঘামা কমে যায়। বিশেষ ধরনের বৈদ্যুতিক যন্ত্রে হাত-পা সেকে নিলে হাত-পা ঘামা কমে যাবে। পরবর্তী সময়ে এটি দেখা দিলে আবার একইভাবে সেই বৈদ্যুতিক যন্ত্রে হাত-পা সেকে নিতে হবে। এসব পদ্ধতি ছাড়াও একটি বিশেষ ধরনের নার্ভের অস্ত্রোপচার করেও হাত-পা ঘামা কমানো যায়।
তবে হাত-পায়ের ঘাম রোধে যা-ই করা হোক না কেন, এর আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।

ধন্যবাদ


Share:

চুলপড়া রোধে বিজ্ঞান সম্মত চিকিৎসা, প্রাকৃতিক উপায়ে খুশকি দূর করার টিপস...

হেয়ার লস বা চুলপড়া সমস্যা নিয়ে রোগীরা কার কাছে যাবেন, কি ধরণের চিকিৎসা নিতে হবে এসব নিয়ে নানা বিভ্রান্তি রয়েছে। এছাড়া প্রচারনির্ভর অপচিকিৎসাও কম নয়। বিজ্ঞানভিত্তিক আধুনিক চিকিৎসা কতজন নিতে পারছেন চুলপড়া সমস্যার ক্ষেত্রে এর কোন সঠিক পরিসংখ্যান নেই। অন্তত: বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এটা বলা যায়। চুলপড়া সমস্যার চিকিৎসায় শুধু মার্কিনিরা ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ান ডলার বছরে ব্যয় করে। তবে আমেরিকান হেয়ার লস এসোসিয়েশন একটি উদ্বেগজনক তথ্য দিয়েছে। তা হচ্ছে চুলপড়ার সমস্যার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত শতকরা ৯৯ ভাগ প্রডাক্টের কোন অনুমোদন নেই। যুক্তরাষ্ট্রের এফডিএ (ফুড এন্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিষ্ট্রেশন) হচ্ছে এধরণের প্রডাক্ট অনুমোদনের ক্ষেত্রে সর্বোচ সংস্থা এবং এফডিএ এ পর্যন্ত চুলপড়া সমস্যার চিকিৎসার ক্ষেত্রে মাত্র দু’ ধরণের ওষুধ ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। এ দু’ধরণের ওষুধ হচ্ছে মাথার ত্বকে ব্যবহারের জন্য মিনক্সিডিল এবং মুখে খাবার ওষুধ ফিনাস্ট্রাইড। এছাড়া অন্যকোন ধরণের ওষুধ চুলপড়া সমস্যার ক্ষেত্রে ব্যবহারের অনুমোদন নেই এফডিএ-এর। আমেরিকান হেয়ার লস এসোসিয়েশন চুলপড়া সমস্যায় আক্রান্তদের কোনভাবেই অননুমোদিত ওষুধ ব্যবহার করা উচিত নয় বলে সতর্ক করে দিয়েছে এবং বেশির ভাগ অননুমোদিত প্রডাক্টের মারাত্মক পার্শ প্রতিক্রিয়া রয়েছে বলেও সংস্থাটি-এর অভিমত।  চুলপড়া সমস্যার কোন চিকিৎসা নেই এবং এটা কোন রোগ নয়। শরীরের অন্যকোন সমস্যার কারণে চুল পড়ে যেমন: হরমোনের সমস্যা, পুষ্টির সমস্যা, মানসিক সমস্যা, কিছু কিছু ইন্টারনাল অর্গানিক ডিজিজ, হেরিডিটরী, মাথার ত্বকের কোন ডিজিজ, খুশকি ইত্যাদি। আমি নিজেও কোন রোগীকে বলিনা চুলপড়ার সমস্যার কোন স্থায়ী চিকিৎসা আছে। মূলত: নানা ধরণের চুলপড়া সমস্যা রয়েছে যেমন; এন্ড্রোজেনেটিক এলোপোসিয়া, এলোপেসিয়া এরিয়েটা, ইত্যাদি।
সাধারণত: দিনে কোন পুরুষ বা মহিলার ১০০টি পর্যন্ত চুলপড়া সাভাবিক। তবে চুল যত কম পড়বে তত ভালো। শুধু চিকিৎসার ওপর চুলপড়া সমস্যার সমাধান নির্ভর করেনা। চুলের সঠিক পরিচর্যা ও সুষম খাদ্যাভ্যাস ও চুলপড়া সমস্যার সমাধানে সহায়ক। তবুও আমেরিকান হেয়ার লস এসোসিয়েশনের গাইড লাইন অনুসারে প্রধানত: চুলের চিকিৎসায় কিছু পদক্ষেপ নিতে পারি। 
যেমন- এক: খাবার ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা।
দুই: মাথার ত্বকে মিনক্সিডিল জাতীয় ওষুধের ব্যবহার।
তিন: লেজারের মাধ্যমে চিকিৎসা।
চার: মেজোথেরাপিরসহ প্লাটিলেট রিচ প্লাজমা থেরাপি।
পাঁচ: সার্জিক্যাল ট্রিটমেন্ট বা হেয়ার ট্রানপ্লান্ট ইত্যাদি।


আমরা সাধারণত: দু’ ভাবে চুলপড়া সমস্যার চিকিৎসা করে থাকি। যেমন: মুখে খাবার ওষুধ ও মিনক্সিডিল জাতীয় ওষুধের ব্যবহার। মূলত: যুক্তরাষ্ট্রের ফুড এন্ড ড্রাগ এ্যাডমিনিষ্ট্রেশন এ দু’টো ওষুধ অনুমোদন করেছে এবং সবচেয়ে আশার কথা হলো বাংলাদেশের কয়েকটি শীর্ষ স্থানীয় কোম্পানী এফডিএ অনুমোদিত দু’ধরণের ওষুধই তৈরি করছে। তাই দেশের লক্ষ লক্ষ চুলপড়া সমস্যার রোগীদের জন্য এটা নিঃসন্দেহে আশার কথা।
চুলপড়া সমস্যার ক্ষেত্রে বিশে¡র সর্বাধিক ব্যবহৃত ওষুধ প্রপেসিয়া (ফিনাসট্রেইড) এবং রোগেইন (মিনক্সিডিল)। এন্ড্রোজেনেটিক এলোপেসিয়ার ক্ষেত্রে পুরুষের জন্য ফিনাসট্রেইড কার্যকর। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এফডিএ অনুমোদিত ফিনাসট্রেইড মহিলাদের ব্যবহারের জন্য নয়। মহিলা ও পুরুষের উভয়ের জন্য একমাত্র মিনক্সিডিল কার্যকর। মিনক্সিডিল তৈরি লোশন পুরুষদের জন্য ৫% এবং মহিলাদের জন্য ২% ব্যবহার করার নিয়ম। মিনিক্সিডিল চুল পড়া রোধ, সরু হয়ে যাওয়া চুল স¡াভাবিক অবস্থায় আনতে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। তবে মনে রাখতে হবে চুলপড়া সমস্যায় বিশ¡ব্যাপী সর্বাধিক ব্যবহৃত মিনিক্সিডিল ও ফিনাস্ট্রাইড কোন অবস্থাতেই চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত ব্যবহার করা বাঞ্চনীয় নয়। এছাড়া চুলপড়া সমস্যা চিকিৎসায় ওষুধের পাশাপাশি যথাযথ পরিচর্যাও জরুরি। শুধু ওষুধ ব্যবহার করে চুলপড়া সমস্যা রোধ করা যায় না।
প্রাকৃতিক উপায়ে খুশকি দূর করার টিপস :
----------------------------- খুশকি আপনার মাথার চুলের তো ক্ষতি করছেই, তার ওপরে এটা আবার মুখে ব্র“ণও সৃষ্টি করতে পারে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খুশকি দূর করাই বাঞ্ছনীয়। অ্যান্টি ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহারে খুশকি দূর হতে পারে। তবে আমরা দেখবো প্রাকৃতিক কিছু টিপস। প্রাকৃতিকভাবে কিভাবে নির্মূল করা যায় খুশকি।
৩-৪ টুকরা লেবু নিন এবং ৪-৫ কাপ পানির মধ্যে দিয়ে ১৫-২০ মিনিট ধরে সিদ্ধ করুন। এরপর এটি ঠান্ডা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এবার আপনার মাথার চুল ধোয়ার সময় এটি ব্যবহার করুন। কমপক্ষে ১ সপ্তাহ এটি ব্যবহার করবেন।
২ টেবিল চামচ মেথি সারারাত ধরে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর সকালে তা দিয়ে সুন্দর করে পেস্টের মত বানিয়ে ফেলুন। এই পেস্ট আপনার চুলে এবং মাথার তালুতে ব্যবহার করুন কমপক্ষে ৩০ মিনিট। এরপর ধুয়ে ফেলুন। ভাল ফলাফলের জন্য অন্তত ৪ সপ্তাহ ব্যবহার করুন।
গোসলে যাওয়ার আগে লেবুর রস দিয়ে আপনার মাথার তালুতে ম্যাসাজ করুন। ১৫-২০ মিনিট পর মাথা ধুয়ে ফেলুন।
সমপরিমান পানি এবং ভিনেগার দিয়ে মিক্সার তৈরি করুন। রাতে মিক্সারটি মাথার তালুতে লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন। সকালে ওঠে বেবি শ্যাম্পু দিয়ে হালকাভাবে চুল ধুয়ে ফেলুন।
কিছু পরিমাণ দধি চুলে এবং মাথার তালুতে লাগিয়ে রাখুন। এটা ১ ঘন্টা রেখে দিন। এরপর হালকাভাবে বেবি শ্যাম্পু ব্যবহার করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত দুইবার এই পদ্ধতি অবলম্বন করুন।
দু’টো ডিম ভাঙুন এবং এটি পেস্ট আকারে মাথার তালুতে লাগান। এক ঘন্টা পর ভালভাবে ধুয়ে ফেলুন। এই পদ্ধতি খুশকি দূর করতে এবং চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে।
হালকা উষ্ণ বাদাম তেল, নারিকেল তেল অথবা অলিভ ওয়েল মাথার তালুতে ম্যাসাজ করতে পারেন। এতে খুশকি দূর হয়।
১ টেবিল চামচ লেবুর রস এবং ৫ টেবিল চামচ নারিকেল তেল একসাথে মেশান। এবার এই মিক্সার মাথার তালুতে ব্যবহার করুন। ২০-৩০ মিনিট পর ভাল শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
নিমপাতা পিষে পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। এবার মাথার শুষ্ক খুলিতে এই পেস্ট সরাসরি প্রয়োগ করুন। আধাঘন্টা পর ধুয়ে ফেলুন।
চুল সবসময় পরিস্কার রাখুন। অপরিস্কার চুলে খুশকি হবে এবং বৃদ্ধি পাবে এর কোনো বিকল্প নেই। কাজেই প্রতিদিনই আপনার চুল পরিস্কার করে ধুয়ে ফেলবেন। ধীরে ধীরে আপনার চুল থেকে হারিয়ে যাবে খুশকি।
Share:

ব্রণ সমস্যার সমাধান

ব্রণ কী? ব্রণ কেন হয়, ব্রণ হলে কী করবেন, ব্রণ থেকে মুক্তির উপায়, কালো দাগ দূর করার সহজ পদ্ধতিঃঃঃ
ব্রণ বিভিন্ন করনে হতে পারে। বয়ঃসন্ধির সময় হরমোনের ক্ষরণ মাত্রার ভারসাম্যের অভাবে ত্বকের তেলগ্রন্থি ও সেবাম ক্ষরণ বেড়ে যায়। এতে লোমকুপ গুলো বন্ধ হয়ে যায় ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হয়। এভাবে জীবাণুর বিষক্রিয়ায় ত্বকে ব্রণের সৃষ্টি হয়। ব্রণের জীবাণুর নাম ‘প্রোপাইনো ব্যাকটেরিয়াম অ্যাকনে’।
ব্রণ কী? ব্রণ কেন হয়, ব্রণ হলে কী করবেন, ব্রণ থেকে মুক্তির উপায়, কালো দাগ দূর করার সহজ পদ্ধতি
ব্রণ
কখন ও কোথায় ব্রণ হয় বয়ঃসন্ধির সময় প্রথম ব্রণ দেখা যায়। ছেলেদের ক্ষেত্রে ১৬-১৯ বছর বয়সের মাঝে এবং মেয়েদের ১৪-১৬ বছর বয়সে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। ৮০ শতাংশের ক্ষেত্রে ২০ বছর বয়সের মাঝামাঝি সময় থেকে ব্রণ হওয়ার হার কমে যেতে থাকে।
তবে অনেকের ৩০-৪০ বছর বয়স পর্যন্ত ব্রণ হওয়ার প্রবণতা থেকেই যায়। ব্রণ সাধারণত মুখেই দেখা যায়, তবে পিঠে, ঘাড়ে ও বুকেও হতে পারে।গরমকালে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা অনেক বেড়ে যায়।
নিয়ম
ব্রণ হলে কী করবেন:
দিনে দুই-তিনবার হালকা সাবান বা ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোবেন।
ব্রণে হাত লাগাবেন না।
তেল ছাড়া অর্থাৎ ওয়াটার বেসড মেকআপ ব্যবহার করবেন।
মাথা খুশকিমুক্ত রাখার চেষ্টা করুন।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন এবং নিজের জন্য আলাদা তোয়ালে রাখুন।
রাতে ঠিকমতো ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
মানসিক চাপ পরিহার করুন।
প্রচুর পরিমাণে ফল, সবজি খান ও প্রচুর পানি পান করুন।
ব্রণ হলে কী করবেন না:
রোদে বেরুবেন না, রৌদ্র এড়িয়ে চলুন।
তেলযুক্ত ক্রিম বা ফাউন্ডেশন ব্যবহার করবেন না।
ব্রণে হাত লাগাবেন না। ব্রণ খুঁটবেন না।
চুলে এমনভাবে তেল দেবেন না যাতে মুখটাও তেলতেলে হয়ে যায়।
অতিরিক্ত তেল, ঘি, মশলা খাবেন না।
কেন ব্রণের চিকিৎসা করাবেন:
ব্রণ হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত। কারণ চিকিৎসা না করালে অনেক সময় ব্রণ ত্বকের মারাÍক ক্ষতি করতে পারে। ত্বকে গভীর প্রদাহ সৃষ্টি হতে পারে। আর ব্রণ হলে চেহারা খারাপ দেখানোর কারণে অনেকে হতাশ হয়ে যায়।
রাতে ঘুমানোর সময় ভালো করে মুখ ধুয়ে শুধু ব্রণগুলোর ওপর চিকিৎসকের পরামর্শমতো জেল লাগানো যেতে পারে। দু’একদিন জেল ব্যবহারের পর ঠিক হয়ে যায়। চুলকানি বা লাল ভাব বেশি হলে ব্যবহার বন্ধ করে দিতে হবে।
কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে তা দূর করতে হবে। ঝাল-মশলাযুক্ত ও তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। সুষম সহজপাচ্য হালকা খাবার, শাকসবজি, ফলমূল এবং প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। পুষ্টিহীনতায় ভুগলে প্রোটিন ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
মাথায় খুশকি থাকলে অ্যান্টিড্যানড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার করে খুশকি দূর করতে হবে। ব্রণের তীব্রতা বেশি হলে চিকিৎসকের মতামত নিয়ে প্রয়োজনীয় ওষুধ সেবন করতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ব্রণের জন্য অন্যের কথা শুনে বা নিজের পছন্দসই কোনও ওষুধ লাগাবেন না। কতটা বেশি ব্রণ হয়েছে তার ওপর নির্ভর করে খাবার ও লাগানোর জন্য এন্টিবায়োটিক ওষুধ দেয়া হয়। তবে ব্রণের চিকিৎসা সময় সাপেক্ষ। তাই ধৈর্য ধরতে হবে আপনাকে। হঠাৎ চিকিৎসা পদ্ধতি বা ডাক্তার বদলাবেন না।
ব্রণের চিকিৎসা :
সব ধরনের প্রসাধনী বর্জন করতে হবে। নখ দিয়ে ব্রণ খোঁটাখুঁটি করা যাবে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্রণ আপনা-আপনি সেরে যায়।
দিনে দুই থেকে তিনবার ফেসওয়াশ সাবান দিয়ে মুখ ধুতে হবে। অনেকে ব্রণ হলে মুখে সাবান ব্যবহার বন্ধ করে দেন অথচ এ সময়ে সাবান দিয়ে মুখ ধুলে উপকার হয়, কেননা সাবান মুখের তৈলাক্ততা দূর করে এবং লোককূপ পরিষ্কার রাখে।
আমাদের ত্বকের তৈল গ্রন্থি ব্যাটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হলে এর আকৃতি বৃদ্ধি পায় তখন এর ভিতরে পুঁজ জমা হতে থাকে, যা ধীরে ধীরে বর্ন পরিবর্তন করেব্রণের আকার ধারণ করে। এটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বংশগত। ব্রণকে অনেকেই pimple, zit বা spot বলে থাকে। সাধারণত টিনেজার মেয়েরাইব্রণের সমস্যায় বেশি ভোগে।বাজারে ব্রণ দূর করার জন্য নানারকম কসমেটিক্স/ঔষধ পাওয়া যায়।সেগুলো ব্যবহার করারআগে নিচের ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো অনুসরন করতে পারেন। ঘরোয়া পদ্ধতি্তে ব্রণ এবং ব্রণেরদাগ দুর করার কিছু সহজ উপায়ঃ ১। কাঁচা হলুদ এবং চন্দনকাঠের গুঁড়ো ব্রণের জন্য খুবই কার্যকর দুটো উপাদান। সমপরিমাণ বাটা কাঁচা হলুদ এবংচন্দন কাঠের গুঁড়ো একত্রে নিয়ে এতে পরিমাণ মত পানি মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করতে হবে।মিশ্রণটি এরপর ব্রণ আক্রান্ত জায়গায় লাগিয়ে রেখে কিছুক্ষন পর শুকিয়ে গেলে মুখঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই মিশ্রণটি শুধুমাত্র ব্রণদূর করার কাজ করে না বরং ব্রণের দাগ দূর করতেও সাহায্য করে। ২।আপেল এবং মুধ এর মিশ্রণহচ্ছে ব্রণের দাগ দূর করার সবচেয়ে জনপ্রিয় ঘরোয়া পদ্ধতি। প্রথমে আপেলের পেষ্ট তৈরিকরে তাতে ৪-৬ ফোঁটা মধু মিশাতে হবে। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষন অপেক্ষা করেএরপর মুখ ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি ত্বকের টানটান ভাব বজায় রাখেএবং কমপ্লেকশন হালকা করে।সপ্তাহে ৫-৬ বার এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। আপনিকয়েকদিনের মধ্যে পরিবর্তনটা অনুভব করতে পারবেন। ৩।ব্রণের জন্য তুলসি পাতাররস খুব উপকারী।কারণ তুলসি পাতায় আছে আয়ূরবেদিক গুণ।শুধুমাত্র তুলসি পাতার রস ব্রণআক্রান্ত অংশে লাগিয়ে রেখে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।এরপর কুসুম গরমপানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। ৪।প্রথমে চন্দন কাঠের গুড়োঁরসাথে গোলাপ জল মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করুন। এরপর এতে ২-৩ ফোঁটা লেবুর রস মিশাণ। গোলাপজল অনেকের ত্বকের সাথে এডজাষ্ট হয় না।তারা সেইক্ষেত্রে গোলাপ জলের পরিবর্তে মুধব্যবহার করতে পারেন।এই পেষ্ট আপনার ব্রণের দাগ দূর করতে সাহায্য করবে।সপ্তাহে ৩-৪দিন ব্যবহার করতে পারলে ভাল ফল পাওয়া যাবে। ৫।এছাড়া রাতে শোয়ার আগেডিমের সাদা অংশ ব্রণ আক্রান্ত জায়গায় মেসেজ করে সারারাত রাখতে পারেন।এটি আপনারত্বকের খসখসে ভাব দূর করে।সবচেয়ে ভাল হয় যদি এর সাথে লেবুর রস যোগ করা যায়।আপনিএটি সারারাতও রাখতে পারেন আবার আধ ঘন্টা পরও ধুয়ে ফেলতে পারেন। ৬।প্রতিদিন ৯-১০ গ্লাস পানিখান। ৭।প্রতিদিন রাতের খাবারের পরযেকোন ধরনের মৌসুমি ফল খান। এটি আপনার ত্বককে সতেজ রাখবে।যতটা সম্ভব তেলযুক্ত বাফাষ্ট ফুড জাতীয় খাবার পরিহার করুন। ৮।সবসময় বাহির থেকে আসামাত্র মুখ ফেসওয়াস দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এছাড়া হালকা গরম পানির স্টীম নিতে পারেন।এতেকরে ত্বকে জমে থাকা ধুলোবালি পরিষ্কার হয়ে যাবে। যারা বহুদিন যাবত ব্রণসমস্যায় ভুগছেন,কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছে না,তারা আর দেরি না করে কোন অভিজ্ঞডাক্তারের শরণাপন্ন হোন।
ব্রণের সমস্যা এত বিচ্ছিরি একটা ব্যাপার যে তা যেন আপনার সমস্ত সৌন্দর্যকে ম্লান করে দেয়। নারী হন বা পুরুষ, মুখে ব্রণ কারো ক্ষেত্রেই ভালো লাগে না দেখতে। নানান রকম চিকিৎসা করিয়ে যারা হতাশ হয়ে পড়েছেন, তাঁদের জন্য রইলো ব্রণের আরেকটি ঘরোয়া চিকিৎসা। নিয়মিত ব্যবহারে ব্রণ ওঠা শূন্যের কোটায় চলে যাবে, আবার চট জলদি ব্রণ কমাতেও এর জুড়ি নেই। ত্বকের জন্য সর্বদা প্রাকৃতিক চিকিৎসাই সবচাইতে উপকারী!

বিশুদ্ধ মধু সংগ্রহ করুন প্রথমেই। মধু একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক। ব্রণের প্রকোপ কমাতে ও দাগ দূর করতে এর জুড়ি নেই।
মুখ ভালো করে পরিষ্কার করে নিন খুব হাল্কা ফেসওয়াশ দিয়ে। তারপর ভালো করে মুখ ধুয়ে আলতো করে মুছে নিন। এবার আঙ্গুলের ডগায় মধু নিয়ে ভেজা ত্বকেই লাগান। অল্প একটু ম্যাসাজ করে ১০ মিনিট রাখুন। তারপর পানি দিয়ে খুব ভালো করে ধুয়ে নিন। অন্তত ২ ঘণ্টা মুখে কোন প্রসাধনলাগাবেন না।
ত্বকের গঠন অত্যন্ত জটিল। এ জটিলতম ত্বকে একাধিক কারণেও বিভিন্ন রকমের সমস্যা দেখা দেয়। এর মধ্যে অন্যতম হলো ব্রণের সমস্যা। ব্রণ মূলত টিনএজারদের সমস্যা। এ বয়সে যখন মুখের সৌন্দর্যের প্রতি সবাই আকর্ষণবোধ ও প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে ঠিক সে বয়সেই মুখে এই বিশ্রী গোটাগুলো দেখা দেয়, যা তাদের অন্যতম দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অথচ একটু সচেতন থাকলেই এ সমস্যা থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া সম্ভব।
ব্রণ হওয়ার কারণ : সাধারণত বয়ঃসন্ধিকালে অথবা হরমোনের প্রভাবে ব্রণ হয়ে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে বংশগত প্রভাবেও ব্রণ কমবেশি হয়ে থাকে। সাধারণত ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সে এটি হয়। এ বয়সেই কমবেশি ব্রণ হয়ে থাকে। তবে ২০ বছর বয়সের পর থেকে এগুলো স্বাভাবিকভাবেই ধীরে ধীরে কমতে থাকে। যাদের মুখ অতিরিক্ত তৈলাক্ত, তাদের ব্রণ তুলনামূলকভাবে বেশি হয়।
ব্রণ থেকে মুক্তির উপায় : কিছু নিয়ম অবলম্বন করলেই ব্রণ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। অনেকের ধারণা, কোনো বিশেষ খাবার খেলেই ব্রণ হয়ে থাকে। আসলে এটি ঠিক নয়। কোনো খাবার খেলে যদি ব্রণের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে তবে সে খাবারটি বাদ দিতে হবে। তবে প্রচুর ফলমূল ও পানি খেতে হবে। মুখে বেশি ব্রণ থাকলে রাসায়নিক কোনো উপাদান বা কসমেটিক ব্যবহার করা ঠিক নয়, যথাসম্ভব প্রাকৃতিক বা হারবাল জিনিস ব্যবহার করা ভালো কারণ এতে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। বেশির ভাগ ব্রণ নিজস্ব পরীক্ষার মাধ্যমে সেরে ফেলা সম্ভব।
ব্রণ প্রতিরোধে কিছু উপায় : মূলত ব্রণের জন্য সবচেয়ে বড় ওষুধ হলো অপেক্ষা করা। ব্রণ নিয়ে কখনোই বেশি চিন্তা করবেন না। ব্রণ দু-একটা হবে আবার একাই চলে যাবে। অতিরিক্ত ব্রণ হলে এটি চিন্তার বিষয়। তবে নিচের পরামর্শগুলো অবশ্যই মনে রাখা প্রয়োজন।
ত্বক পরিষ্কার রাখুন। মুখে ভালো সাবান মেখে দু-এক মিনিট রাখুন। পরে আস্তে আস্তে পরিষ্কার করুন। ক্স অ্যাসট্রিনজেন্ট লোশন বা ফেস স্ক্র্যাব ব্যবহার করুন। ক্স প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। দৈনিক ৮ থেকে ১০ গ্লাস। ক্স ত্বকে কোনোরকম অত্যাচার করবেন না এবং হাত লাগাবেন না, ত্বক কুচকাবেন না, খামচাবেন না, গোটা খোঁটাখুঁটি করবেন না। গোটা খুঁটলে হাতের জীবাণু থেকে ইনফেকশন হয়, ফলে দাগ পড়ে যা সহজে সারে না। এ ছাড়া ত্বকে আরো বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।
শরীরের ঘাম দ্রুত মুছে ফেলুন। ক্স ওয়াটার বেজড মেকআপ ব্যবহার করুন। তৈলাক্ত ক্রিম, লোশন বা মেকআপ ব্যবহার করবেন না ।
কালো দাগ থেকে মুক্তির উপায়
অনেকেরই মুখে দেখা যায় ব্রণ ও কালো ছোপ ছোপ দাগ। এ জাতীয় ব্রণ ও কালো দাগ হলে প্রথম থেকেই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ। ত্বকের ক্ষেত্রে অবহেলার ফল মারাত্নক হতে পারে। আর নষ্ট করে দিতে পারে আপনার সুন্দর চেহারার সৌন্দর্য মুখের এসব কালো দাগ ও ব্রণ দূর করার জন্য বাড়তি একটু পরিচর্যা দরকার।প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি আর মওসুমী ফল খেতে হবে রোজ পর্যাপ্ত পরিমানে। আরও কিছু টিপস নীচে দেওয়া হলঃ
*২ চামচ বেসন, ১ চা চামচ কাঁচা হলুদ বাটা, ১ চা চামচ কমলার খোসা বাটা একসাথে মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করুন। এবার এটা মুখে ঘাড়ে মাখিয়ে রেখে ১৫-২০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন।
*আপেল এবং কমলার খোসা একসাথে বেটে এর সাথে ১ চামচ দুধ, ডিমের সাদা অংশ এবং কমলার রস মেশান। এবার মিশ্রনটা ত্বকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন।
*পাকা পেঁপের শাঁস মুখে মেখে নিন। ১ চামচ পাকা পেঁপের শাঁস ও ১ চামচ শশার রস মুখে মেখে নিন। ত্বক উজ্জ্বল হবে।
*ব্রণ থাকাকালীন মুখমন্ডলের ত্বকে কোন তৈলাক্ত পদার্থ ও ক্রিম লাগাবেন না।
*একটি ডিম, ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল, একটি গোটা লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে নিন, এটি নখ, গলা, হাত ও ঘাড়ের কালো ছোপে ১৫-২০ মিনিট লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ব্রণের দাগ, হাত, ঘাড়ের কালো ছোপ ইত্যাদি সেরে যাবে।
*আধাপাকা চিনির সাথে অলিভ অয়েল মিশিয়ে সারাগায়ে মেখে শুকাতে দিন। শুকিয়ে গেলে এটিকে ঘষে তুলে ফেলুন। এবার সামান্য গরম পানিতে ভালো করে গোসল করে নিন। সপ্তাহে একবার করবেন। এতে শরীরের ত্বক মসৃণ থাকবে।
*নিত্যদিনের খাবারের তালিকায় এ ভিটামিন যুক্ত খাবার অবশ্যই রাখবেন। ভিটামিন এ এর প্রধান উৎস প্রাণীজ প্রোটিন যেমন যকৃত, ডিমের কুসুম, দুধ, মলা-ঢেলা, পুঁটি মাছ, কচুশাক, লাউশাক, পেঁপে, মিষ্টি কুমড়া, কাঁঠাল ইত্যাদি।
*২ চা চামচ চিনা বাদাম বাটা, ২ চা চামচ দুধের সর মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১০-২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ব্রণের দাগ মিলিয়ে যাবে।
*১ চা চামচ লেবুর রস ও ১ চামচ মধু মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১০-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলবন। মুখে লাবন্য আসবে।
ত্বকের ঔজ্জ্বল্য এবং সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয় ব্রণ। মুখে এসব ব্রণের দাগের জন্য চিন্তায় কাটাচ্ছেন? চিন্তার কোনো কারণ নেই। ব্রণ থেকে বাঁচতে কিছু উপায় অবলম্বন করুন। দেখুন আপনি অনেক ভালো থাকবেন।
— ব্রণ হলে একেবারেই আচার খাবেন না। তবে মিষ্টি চাটনি খেতে পারেন।
— বেশি পরিমাণে নিরামিষ খাবার খান। আমিষ খাবার যতটা সম্ভব না খাওয়ার চেষ্টা করুন।
— ডেইরি প্রোডাক্টসের মধ্যে হরমোনাল উপাদান বেশি পরিমাণে থাকে বলে তা খুব সহজে রক্তের সঙ্গে মিশে যায়। এ কারণেই পনির, দুধ এবং দই কম খান।
— কোল ড্রিঙ্কস খাওয়া একেবারেই বন্ধ করে দিন।
— খুব বেশি পরিমাণে পানি খান। দিনে যদি দু লিটার পানি খেতে পারেন তা আপনার স্বাস্থ্য এবং ত্বকের ক্ষেত্রে ফলদায়ক হবে। পানি বেশি খাওয়ার ফলে শরীর থেকে পিত্ত বেরিয়ে যাবে। আপনি ব্রণের সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাবেন।
— আয়ুর্বেদের মতে অতিরিক্ত ক্রোধের ফলে শরীরে পিত্ত সঞ্চিত হয়। তাই ক্রোধ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখুন।
ব্রণের দাগ দূর করতে ভেষজ পদ্ধতি:
— কমলা লেবুর খোসা শুকিয়ে মিক্সিতে গুঁড়ো করে নিন। মসুরির ডাল আর চাল ভিজিয়ে ভালো করে পিষে নিন। ওই পেস্টের মধ্যে চন্দন পাউডার, মুলতানি মাটি, কমলালেবুর খোসার গুঁড়ো মিশিয়ে ভালো করে মিলিয়ে নিন। এই মিশ্রণের মধ্যে দুই চামচ দুধও মিশিয়ে নিতে পারেন। মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রাখার পর ধুয়ে নিন। এই প্যাকটা নিয়মিত মুখে লাগান। ত্বকের জেল্লা বাড়বে। ব্রণের দাগও দূর হয়ে যাবে।
ব্রণ দূর করবে নিম:
— চার-পাঁচটা নিম পাতা ভালো করে ধুয়ে পিষে নিন। এর মধ্যে এক চামচ মুলতানি মাটি, অল্প গোলাপ জল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। প্যাকটা যদি গাঢ় হয়ে যায় তাহলে এর মধ্যে গোলাপ জল মিশিয়ে নিন। মুখে লাগিয়ে বেশ কিছুক্ষণ রেখে দিন। প্যাকটা মুখে শুকিয়ে গেলে হালকা পানি দিয়ে মুখটা ধুয়ে ফেলুন।
Share:

কাশি ভালো না হওয়ার ৮ টি কারণ

আপনি কি আপনার কঠিন কাশি নিয়ে চরম ভাবে হতাশ? আপনার কাশি ভাল না হওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে, এবং তা যেমন রোগীর জন্য তেমনি চিকিৎসকের জন্যও হতাশা জনক হতে পারে।
কারণ ১: ফ্লু বা ঠাণ্ডা লাগার পরে শ্বাসনালীতে যন্ত্রণা
তীব্র কাশির সাধারণ কারণগুলি আগে থেকেই ধারনা করা যায়। বেশীর ভাগ ঠাণ্ডা লাগার উপসর্গ এমনিতেই কয়েকদিন পরে সেরে যায়। আপনার কাশি, তার পররেও, কয়েক সপ্তাহ, কখনও মাসের পর মাস দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে কারণ ভাইরাসের জন্য আপনার শ্বাসনালী অতি সংবেদনশীল এবং ফুলে যেতে পারে। ভাইরাস দূর হয়ে যাওয়ার পরেও এটি দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।
 
কারণ ২: অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্য সমস্যাবলী
কাশির সাধারণ কারণ হল অ্যালার্জি এবং অ্যাজমা। ঠাণ্ডার কারণেও অ্যাজমার আক্রমণ ঘটতে পারে। অনেক মানুষ ঠাণ্ডা লাগলে তখন জানেন যে তাদের অ্যাজমা আছে।
 
পেটে এসিড জনিত সমস্যা এবং ঘুমের মধ্যে দম বন্ধ হয়ে যাওয়াও কাশির কারণ হতে পারে। সৌভাগ্যবশত এ অবস্থা নিরাময় যোগ্য। আপনার যদি নিম্নবর্ণিত এসিড জাতীয় সমস্যার উপসর্গ থাকে তবে রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুনঃ
         
            ঢেকুর তোলা
            বুক জ্বালা পোড়া
            বিকাশমান কাশি
            পেট মুচড়িয়ে উঠা
 
এছাড়াও যদি আপনার মধ্যে নিম্নবর্ণিত ঘুমের মধ্যে দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার মত উপসর্গ দেখা যায় তবে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুনঃ
           
            দীর্ঘমেয়াদী অনিদ্রা
            সশব্দে নাক ডাকা
            নিদ্রাকালিন নিশ্বাস আটকে যাওয়া
            ঘুমের মধ্যে বার বার চমকে জেগে উঠা
            দিনের বেলা নিদ্রালু ভাব
 
কারণ ৩: মানসিক চাপ
মানসিক চাপ, বিশেষত এটি যখন তীব্র হয়, ঠাণ্ডা লাগাকে আরও দীর্ঘস্থায়ী করে তুলতে পারে। আপনি যখন অসুস্থ তখন কাশির দীর্ঘস্থায়িত্ব কমাতে, মানসিক চাপ ক্রমে কমিয়ে দিন। নিজেকে কঠিন অবস্থার দিকে ঠেলে দিলে তা আপনাকে আরও অসুস্থ করে তুলবে। নিরুদ্বেগ হওয়ার একটি উপায় হল আরও বেশী বিশ্রামঃ রাতে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমের টার্গেট করুন।
 
কারণ ৪: পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল পান না করা
যখন আপনি ফ্লু বা ঠাণ্ডাতে আক্রান্ত হন, তখন আপনার প্রচুর তরল পান করা প্রয়োজন। পানি, জুস, এবং স্যুপ আপনার শ্বাসনালীর মিউকাস কমে না যেতে সাহায্য করতে পারে ফলে আপনি কাশি দিয়ে কফ বের করে দিতে পারেন। অ্যালকোহল এবং ক্যাফিন যুক্ত পানীয় বেছে নেয়াটা ভাল হবে না কারণ এগুলি  আপনাকে পানি শূন্য করে দিবে—অসুস্থ অবস্থায় যা আপনার প্রয়োজন তার থেকে একেবারে বিপরীত। আপনার শ্বাসনালীকে আর্দ্র রাখার আরেকটি উপায় হল নাকের স্যালাইন স্প্রে ব্যবহার করা।
 
কারণ ৫: OTC বন্ধ নাক খুলে দেয়ার স্প্রে র অতি ব্যবহার
প্রেসক্রিপশন ছাড়াই পাওয়া যায় এমন বন্ধ নাক খোলার স্প্রে নাক খুলে দিয়ে নিঃশ্বাস নিতে সাহায্য করতে পারে। এগুলি কখনও ৩ দিনের বেশী ব্যবহার করবেন না, তারপরেও, আপনি যদি তা করেন, যখন শেষ পর্যন্ত এগুলির ব্যবহার একেবারে বন্ধ করে দিবেন তখন এর উপসর্গগুলি আরও বেশী খারাপ ভাবে দেখা দিতে পারে—একটি বিপরীত প্রতিক্রিয়া হিসাবে। ঐ সকল স্প্রের অতি ব্যবহার আপনার নাকের ঝিল্লীকে স্ফীত করে দেবে, যা নাক আরও বেশী বন্ধ করে দিবে, নাক থেকে ফোটা ঝরা বাড়িয়ে দিবে এবং সর্দিকাশি বাড়িয়ে দিবে।
 
কারণ ৬: খুব শুকনা বা আর্দ্রতা যুক্ত বাতাস
শুষ্ক বাতাস—বিশেষত শীতের দিনে যা একটি সাধারণ ব্যাপার—সর্দি কাশিকে যন্ত্রনাময় করে দিতে পারে। অপর দিকে, আর্দ্রতা খুব বেশী বাড়িয়ে দেয়া এ অবস্থা উন্নয়নে সহায়ক হয় না। আর্দ্র বাতাস অ্যাজমা বাড়িয়ে দিতে পারে এবং ধূলি কণার মধ্যে মাইট এবং মোলড অ্যালার্জেন জন্মাতে উৎসাহিত করে যা আপনাকে আক্রমণ করা শুরু করতে পারে।
 
কারণ ৭: ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ
ঠাণ্ডা লাগার পরে, যখন আপনার শ্বাসনালী দুর্বল এবং যন্ত্রণাময় থাকে তখন ব্যাকটেরিয়ার জন্য সেখানে অভিযান চালানো সহজ হয়। ব্যাকটেরিয়ার কারণে সাইনাস ইনফেকশন, ব্রংকাইটিস, এবং নিউমোনিয়া হতে পারে। যদি আপনার দীর্ঘমেয়াদী কাশির সাথে জ্বর বা ব্যাথা থাকে তবে তা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের কারণে হতে পারে। আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন, হয়ত আপনার অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করার প্রয়োজন হতে পারে।
 
কারণ ৮: আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ঔষধ
আপনি কি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য ঔষধ গ্রহণ করেন? যদি তা হয়, আপনার কাশি নিরাময় না হওয়ার সেটি একটি কারণ হতে পারে। প্রতি ৫ জন মানুষের ১ জন যারা ACE ইনহিবিটর গ্রহণ করেন তাদের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসাবে তীব্র শুষ্ক কাশি দেখা দিতে পারে। যদি আপনার এমন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, তবে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন। অন্য কোন ঔষধ হয়ত আপনার জন্য উপযোগী হতে পারে। অনেক ধরণের ACE ইনহিবিটর পাওয়া যায়, এর মধ্যে আছেঃ
       
       Altace (ramipril)
       Capoten (captopril)
       Lotensin (benazepril)
       Prinivil, Zestril (lisinopril)
       Vasotec (enalapril)

যদি আপনার ঔষধের জেনেরিক নাম “pril” দিয়ে শেষ হয় তবে সেটি একটি ACE ইনহিবিটর হওয়ার বেশী সম্ভাবনা আছে। যদি আপনার কাশি এক সপ্তাহ পরে ভাল না হয়, তবে আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন। একত্রে মিলে আপনার কাশির কি কারণ তা বের করে আপনার সঠিক চিকিৎসা নিশ্চিত  করতে পারেন।
Share:

Sample Text

হারবাল ঔষধ, ভেষজ ঔষধ, ভেষজ চূর্ণ, ভেষজ গুণ সম্পর্কিত গাছ, প্রাকৃতিক ঔষধ, ভেষজ উদ্ভিদ পরিচিতি, ইউনানি চিকিৎসা, আয়ুর্বেদ চিকিৎসা, আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা, গ্রামীণ চিকিৎসা সেবা, হারবাল চিকিৎসা, অর্গানিক খাদ্য,হারবাল চা,হারবাল রেমিডি,ন্যাচারাল রেমিডি, হার্বস, একক ভেষজ, হারবাল ঔষধ এর পরিচিতি,হারবাল ঔষধ এর রিভিউ, ইউনানি ঔষধ এর রিভিউ, আয়ুর্বেদিক ঔষধ এর রিভিউ,আয়ুর্বেদ চিকিৎসার ইতিহাস, ইউনানি চিকিৎসার ইতিহাস, ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকিৎসা, হারবাল টোটকা,হারবাল শরবত, ফলের গুনাগুন, ফুলের গুনাগুন ইত্যাদি নিয়ে লেখালেখি।

Blogger দ্বারা পরিচালিত.

About

test

Wikipedia

সার্চ ফলাফল

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

আমার ব্লগ তালিকা

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

About

আমার ব্লগ তালিকা

Blogroll

Unordered List

Theme Support

Blogroll

BTemplates.com

Blogroll

Natural Health

আমার ফটো
kishoregonj, dhaka, Bangladesh
I am simple Man and Harbs Learner.

Contact form

নাম

ইমেল *

বার্তা *

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

অনুসরণকারী

Followers

Generate More Traffic on your Website.

Generate More Traffic on your Website.
It is a long established fact that a reader will be distracted by the readable content of a page when looking at its layout. The point of using Lorem Ipsum is that it has a more-or-less normal distribution of letters, as opposed to using 'Content here, content here'.

Translate

BTemplates.com

THE LIFESTYLE

Pages - Menu

Random Posts

Pages

Pages - Menu

Pages

Pages

Most Popular

Recent Posts

Unordered List

Pages

Theme Support