হারবাল ঔষধ, ভেষজ ঔষধ, ভেষজ চূর্ণ, ভেষজ গুণ সম্পর্কিত গাছ, প্রাকৃতিক ঔষধ, ভেষজ উদ্ভিদ পরিচিতি, ইউনানি চিকিৎসা, আয়ুর্বেদ চিকিৎসা, আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা, গ্রামীণ চিকিৎসা সেবা, হারবাল চিকিৎসা, অর্গানিক খাদ্য,হারবাল চা,হারবাল রেমিডি,ন্যাচারাল রেমিডি, হার্বস, একক ভেষজ, হারবাল ঔষধ এর পরিচিতি,হারবাল ঔষধ এর রিভিউ, ইউনানি ঔষধ এর রিভিউ, আয়ুর্বেদিক ঔষধ এর রিভিউ,আয়ুর্বেদ চিকিৎসার ইতিহাস, ইউনানি চিকিৎসার ইতিহাস, ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকিৎসা, হারবাল টোটকা,হারবাল শরবত, ফলের গুনাগুন, ফুলের গুনাগুন ইত্যাদি নিয়ে লেখালেখি।

Blogger templates

  • This is default featured slide 1 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by NewBloggerThemes.com.

  • This is default featured slide 2 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by NewBloggerThemes.com.

  • This is default featured slide 3 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by NewBloggerThemes.com.

  • This is default featured slide 4 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by NewBloggerThemes.com.

  • This is default featured slide 5 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by NewBloggerThemes.com.

বুধবার, ৭ আগস্ট, ২০১৯

নারীদের কোষ্ঠকাঠিন্য

নারীরা যে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় একটু বেশি ভোগেন, তার কিছু কারণ আছে। আইবিএস (ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম) বা হাইপোথাইরয়েডের মতো রোগ নারীদের মধ্যে বেশি। এ দুটিই কোষ্ঠকাঠিন্যর অন্যতম কারণ। আরেকটি বড় কারণ হলো খাদ্যাভ্যাস। ঘন ঘন বাথরুমে যাওয়ার ভয়ে নারীরা অনেক সময় পানি কম খান, আঁশযুক্ত খাবারও প্রায়ই খাওয়া পড়ে না। অনেকেই তেমন ব্যায়াম বা কায়িক শ্রম করেন না। দীর্ঘদিনের ডায়াবেটিস কোষ্ঠকাঠিন্যের একটি প্রধান কারণ। কিছু ওষুধও এর জন্য দায়ী।
কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে নারীদের অ্যানাল ফিসার, পাইলস, ইউটেরাইন প্রলাপস ইত্যাদি সমস্যা বেড়ে যায়। এগুলো তাঁদের জন্য খুবই কষ্টদায়ক ও বিব্রতকর সমস্যা। কিশোরীদের মধ্যেও কোষ্ঠকাঠিন্য প্রায়ই বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় ও অনেকেই এ জন্য ক্রনিক পেটব্যথায় আক্রান্ত হয়।

কোষ্ঠকাঠিন্যের এই বিরক্তিকর সমস্যা থেকে রেহাই পেতে আপনি যা করতে পারেন:
  • প্রচুর পানি পান করুন। স্কুল–কলেজ বা অফিসে গেলে পানি পান কমিয়ে দেবেন না। বাথরুমে যেতে হলে চেপে রাখবেন না।
  • প্রতিদিনের বাউয়েল মুভমেন্ট বা মলত্যাগের অভ্যাস স্বাস্থ্যকর করে তুলুন। একটু ভোরে ঘুম থেকে উঠুন। টয়লেট ব্যবহারের একটা নির্দিষ্ট সময় থাকা ভালো, যেমন সকালের নাশতার ১৫ বা ২০ মিনিট পর। টয়লেট ব্যবহারে তাড়াহুড়া করবেন না।
  • দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় যোগ করুন প্রচুর আঁশযুক্ত খাবার। সকালের নাশতায় রাখতে পারেন লাল রুটি, ওটস, হোল গ্রেইন সিরিয়াল বা কর্নফ্লেক্স। রাখুন গোটা ফল, পারলে ফলের খোসাসহ। খেজুর, বাদাম, কিশমিশ, অ্যাভোকেডো, আম, কলা, পেঁপে খাওয়া ভালো। দুপুরের খাবারে সবজি এবং সালাদ অবশ্যই রাখবেন। রাতে এক গ্লাস গরম দুধ অনেক কাজে আসবে। ব্রকলি, বরবটি, মটরশুঁটি এবং যেকোনো ধরনের বীজজাতীয় খাবার রাখুন খাদ্যতালিকায়।
  • বিস্কুট, কুকি, ক্যান্ডি, আইসক্রিম ও উচ্চ শর্করাযুক্ত খাবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়ায়। এগুলো এড়িয়ে চলুন।
  • বয়স্ক নারীদের হঠাৎ নতুন করে কোষ্ঠকাঠিন্য, মাঝেমধ্যে ডায়রিয়া মাঝেমধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্য, মলের সঙ্গে রক্তপাত, অল্প অল্প জ্বর, পেটব্যথা, ওজন হ্রাস ইত্যাদি থাকলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।


Share:

মঙ্গলবার, ৬ আগস্ট, ২০১৯

পায়ের দুর্গন্ধ দূরের উপায়

কারও কারও পায়ে বেশ দুর্গন্ধ হয়। জুতা খুললেই বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সহজ কিছু কৌশল অবলম্বন করলে এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
আমাদের ত্বকে আছে অসংখ্য ঘামগ্রন্থি। জুতা পরা অবস্থায় অনেকেরই পা ঘামে। ঘামের সঙ্গে পানি, লবণ, তেল বা চর্বিজাতীয় পদার্থ ও বিপাকীয় আরও অনেক পদার্থ বের হয়। পায়ের ত্বকে থাকা হাজারো জীবাণু ঘর্মাক্ত পায়ের স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে এসব নিঃসরণ গ্রহণ করে নানা উচ্ছিষ্ট তৈরি করে। এগুলোর মধ্যে ‘আইসোভ্যালেরিক অ্যাসিড’ নামে একধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড অন্যতম। এর জন্যই পায়ে দুর্গন্ধ হয়।


কারও কারও পায়ে বেশ দুর্গন্ধ হয়। জুতা খুললেই বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সহজ কিছু কৌশল অবলম্বন করলে এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
আমাদের ত্বকে আছে অসংখ্য ঘামগ্রন্থি। জুতা পরা অবস্থায় অনেকেরই পা ঘামে। ঘামের সঙ্গে পানি, লবণ, তেল বা চর্বিজাতীয় পদার্থ ও বিপাকীয় আরও অনেক পদার্থ বের হয়। পায়ের ত্বকে থাকা হাজারো জীবাণু ঘর্মাক্ত পায়ের স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে এসব নিঃসরণ গ্রহণ করে নানা উচ্ছিষ্ট তৈরি করে। এগুলোর মধ্যে ‘আইসোভ্যালেরিক অ্যাসিড’ নামে একধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড অন্যতম। এর জন্যই পায়ে দুর্গন্ধ হয়।
পায়ের দুর্গন্ধ প্রতিরোধের উপায়
পায়ের দুর্গন্ধ দূর করতে পা এবং জুতা-মোজার পরিচ্ছন্নতাই প্রথম কথা। এর সঙ্গে কিছু কৌশল বিব্রতকর দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পেতে সহায়ক হতে পারে। 
• পা পরিষ্কার রাখুন। প্রতিদিন একাধিকবার পা ধুয়ে নিন। হালকা গরম সাবানপানি দিয়ে ধোয়াই ভালো। অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সোপ হলে আরও ভালো। এতে ত্বকে থাকা জীবাণুর সংখ্যা কমবে। 
• জুতা বা মোজা পায়ে দেওয়ার আগে পা ভালো করে শুকিয়ে নিন। জুতার ভেতর পা ভেজা ভেজা মনে হলে কিছুক্ষণ জুতা খুলে রাখুন। 
• সুতি মোজা ব্যবহার করুন। সুতি মোজা পায়ের ঘাম শোষণ করে। পরপর দুই দিন একই মোজা ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রতিদিনই পরিষ্কার মোজা ব্যবহার করুন। 
• গরমের দিনে খোলা স্যান্ডেল পায়ে দিন। শুর ক্ষেত্রে চামড়ার বা কাপড়ের শু ব্যবহার করুন। এতে জুতার ভেতর বাতাস যাওয়া-আসা করতে পারবে। ফলে পা ঘামবে কম। 
• বাসায় ফিরে জুতা শুকাতে দিন। প্রয়োজনে রোদে শুকান। 
• পায়ের নখ ছোট ও পরিষ্কার রাখুন। তাহলে জীবাণুর লুকিয়ে থাকার জায়গা কমে যাবে।
লেখক: বিভাগীয় প্রধান, কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগ কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ, ময়মনসিংহ
Share:

সোমবার, ৫ আগস্ট, ২০১৯

শর্করা বেশি খাওয়ার আগে ভাবুন


আমাদের সারা দিনের খাদ্যতালিকার অন্যতম উপাদান হচ্ছে শর্করা। ভাত তার প্রধান মাধ্যম। যত কিছুই খাই না কেন ভাত না খেলে ঠিক তৃপ্তি আসে না। একদিন অথবা এক বেলা ভাত না খাবার কথা আমরা চিন্তাই করতে পারি না। প্রতিদিন দুই বেলা, কখনো কখনো তিন বেলাই ভাত খাওয়া হয়।
আবার অনেকেই পিৎজা, বার্গার, স্যান্ডউইচ ছাড়া নিজেকে কল্পনা করতে পারেন না। কোল্ড ড্রিংকস পানের কারণে তো পানি পানের প্রয়োজনীয়তা অনেক সময়ই আমরা ভুলে যাই। ভাত, পিৎজা, বার্গার, স্যান্ডউইচ, কোল্ড ড্রিংকস সবকিছুই শর্করা খাবারের একেক রূপ। অতিরিক্ত শর্করা খাবারের ফলে আমাদের শরীরে কত সমস্যা হচ্ছে তার কিছুই আমরা জানি না।
অতিরিক্ত শর্করা খাবারের জন্য আমাদের শরীরে রক্তশূন্যতা হতে পারে, তা কি আমরা জানি? নিশ্চয়ই খুব অবাক হচ্ছেন। আপনার খাবারে হয়তো আয়রনের ঘাটতি নেই। কিন্তু আপনার খাবার শর্করা দিয়ে ভরপুর। শর্করা জাতীয় খাবারে উচ্চমাত্রায় ফসফেট ও ফাইটিক অ্যাসিড থাকে। শর্করা খাওয়ার পরে খাদ্যনালিতে গিয়ে খাবারে থাকা আয়রনের সঙ্গে মিশে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে আয়রন ফসফেট এবং ফাইটেট তৈরি করে, যা পানিতে অদ্রবণীয়। এই আয়রন ফসফেট ও ফাইটেট খাদ্যনালি থেকে শোষিত হয়ে রক্তে যেতে পারে না।

আপনি হয়তো আয়রনসমৃদ্ধ খাবার খাচ্ছেন কিংবা আয়রন ঘাটতির জন্য ওষুধ খাচ্ছেন। কিন্তু আপনার খাবারের আয়রন কতটুকু রক্তে যাচ্ছে তা অনেকগুলো বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। এর মধ্যে অন্যতম হলো আপনার খাদ্যতালিকায় শর্করার পরিমাণ কতটুকু বা আপনার খাদ্যাভ্যাস কেমন? কিছু পাওয়া না গেলেও বাংলার মাঠেঘাটে কচুশাক কিন্তু পাওয়াই যায়। এক গামলা ভাত কচুশাক দিয়ে খেয়ে ফেললাম। ভাবলাম আহ! কত আয়রন খেলাম। কিন্তু বুঝতেই পারলাম না, শুধু ভাতের জন্য আমাদের খাবারের আয়রন শোষণ হয়ে রক্তে যেতে পারছে না।
আয়রন রক্তের হিমোগ্লোবিন তৈরির জন্য জরুরি উপাদান। প্রয়োজনীয় পরিমাণ আয়রন না থাকলে হিমোগ্লোবিন তৈরি বাধাপ্রাপ্ত হবে। ফলে রক্তশূন্যতা দেখা দেবে। আমাদের দেশের মেয়েদের রক্তশূন্যতা বেশি। একে তো খাদ্যাভ্যাসের সমস্যা তার ওপর যদি প্রতি মাসে ঋতুস্রাব, গর্ভধারণ, বাচ্চাকে দুগ্ধপান ইত্যাদি কারণে শরীর থেকে আয়রন বের হয়ে যায়, তাহলে রক্তশূন্যতা হতে বাধ্য। তাই শুধু আয়রন ট্যাবলেট বা আয়রনযুক্ত খাবার খেলেই হবে না। সঙ্গে খাবারের শর্করার পরিমাণও পরিমিত রাখতে হবে, যাতে শর্করা আয়রনকে শোষণ করে নিতে না পারে।
Share:

বর্ষাকালে চুলের বিশেষ যত্ন

চুল নানা কারণে পড়ে। কিন্তু বর্ষাকালে বৃষ্টির পানি যা আমরা খালি চোখে দেখি পরিষ্কার কিন্তু তাতে একধরনের অ্যাসিড থাকে, যা চুলের ক্ষতি করে। তা ছাড়া এই সময়ে স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া, মাথায় ঘাম, চুল ঠিকমতো না শুকানো ইত্যাদি কারণে ছত্রাকের বাসা বাঁধতে সুবিধা হয়। এগুলোই মাথার ত্বকে চুলের গোড়ায় ইনফেকশন, খুশকি, চুল পড়াসহ নানা ধরনের ছত্রাকের আক্রমণসংক্রান্ত সমস্যা হওয়ার প্রধান কারণ।

অনেকে মনে করেন, বর্ষাকালে ধুলাবালু কম, তাই চুলের সমস্যা কম হবে। কিন্তু তা নয়, অন্যান্য ঋতুতে যা চুল পড়ে, বর্ষাকালে তার দ্বিগুণ চুল পড়ে। যেমন খুশকি, চুলের উজ্জ্বলতা কমে যায় ও উকুনও বেড়ে যায়। এ সময় মাথার ত্বকের তৈলাক্ততা বেড়ে যায়, চুল সহজে শুকাতে পারে না। তাই চুলের গোড়া থাকে নরম। চুলের সঠিক যত্নের অভাবে এ সমস্যাগুলো আরও বেশি বেড়ে যায়। আর আগে থেকেই তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীরা এ ধরনের সমস্যায় তাঁরা আরও বেশি ভোগেন। আবার মাথার তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণও হতে পারে।
ঘরোয়া যত্নই হতে পারে চুলের সমস্যা সমাধানের উত্তম উপায়। শ্যাম্পু ব্যবহার করার পাশাপাশি বেশি তেলের খাবার এড়িয়ে যেতে হবে। এক দিন পরপরই শ্যাম্পু করা উচিত। আর সপ্তাহে অন্তত এক দিন কিটোকোনাজল শ্যাম্পু করা উচিত। প্রচুর পানি পান করতে হবে। গোসলের পরই চুল শুকিয়ে ফেলতে হবে। ফ্যানের বাতাসে শুকানোই সবচেয়ে ভালো হবে। তবে সমস্যা বেড়ে গেলে চর্ম ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
সোজা করা চুলে বা রঙিন চুলে যেমন রাসায়নিক থাকে এবং তেমনি চুল শুষ্কও থাকে। তাই শ্যাম্পু ব্যবহার করার পাশাপাশি ভালো কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। অথবা শ্যাম্পু করার আগে তেল ব্যবহার করা যেতে পারে।
সবশেষে চুল পড়া রোধ বা কমাতে হলে চুলকে নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে, নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে, দুশ্চিন্তামুক্ত জীবন যাপন করতে হবে, যেকোনো ওষুধ গ্রহণের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। 
ডা. মাসুদা খাতুন : সহযোগী অধ্যাপক, চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
Share:

সোমবার, ২২ জুলাই, ২০১৯

মেয়েদের গোপন যায়গায় ঘামে দুর্গন্ধ হওয়ার কারণ ও প্রতিকার

মেয়েদের কিছু গোপন যায়গায় ঘামে দুর্গন্ধ হওয়ার কারণ ও প্রতিকার

শরীরে ঘামের দুর্গন্ধ মানুষকে অস্বস্তি এবং বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে। আমাদের শরীরে দুই ধরনের ঘাম নিঃসরণকারী গ্রন্থি থাকে, ‘এক্রিন’ এবং ‘অ্যাপোক্রিন’। ‘এক্রিন’ গ্রন্থি আমাদের পুরো শরীরে ছড়িয়ে আছে যা শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
এই গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত ঘাম লবণ আর পানির মিশ্রণ, যার কোনো গন্ধ নেই। অপরদিকে ‘অ্যাপোক্রিন’ গ্রন্থি থাকে চুলের গোড়া, বগল এবং মাথার ত্বকে। এই গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত ঘন ঘাম হলো প্রোটিন এবং লিপিডের মিশ্রণ। ব্যাকটেরিয়া এই গ্রন্থির সংস্পর্শে এলে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটায়। এই বিক্রিয়ার বাজে গন্ধ থেকেই শরীরের দুর্গন্ধ হয়।
আজ শরীরে দুর্গন্ধ হওয়ার বিভিন্ন কারণ ও প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করা হলো-
ঘামে দুর্গন্ধ হওয়ার কারণ: ওজন: স্থূলকায় মানুষের শরীরে দুর্গন্ধ হতে দেখা যায় তুলনামূলক বেশি। এর কারণ হলো মোটা মানুষের সব কাজেই পরিশ্রম বেশি হয়। আবার পুরু চামড়ার স্তরে অনেক সময় ঘাম আটকে থাকে, যা ব্যাকটেরিয়া বিস্তারে সহায়তা করে।
মানসিক চাপ: অবাক লাগলেও সত্যি কথা হচ্ছে, মানসিক চাপে থাকলে ঘাম বেশি হয়। আর মানসিক চাপগ্রস্ত অবস্থায় ‘অ্যাপোক্রিন’ গ্রন্থি থেকে ঘাম নির্গত হয়, ফলে শরীরে দুর্গন্ধ হয়।
ফিশ ওডোর সিনড্রোম: দুর্লভ একটি রোগ এই ‘ফিশ ওডোর সিনড্রোম’, যেখানে মানুষের শরীর থেকে মাছের গন্ধ বের হয়। ধারণা করা হয়, জিনগত সমস্যা এই রোগের কারণ।
এই দুর্গন্ধ রোগাক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাস, মূত্র এবং ঘামকেও প্রভাবিত করে। এক্ষেত্রে ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা মেনে চলা, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা, সুগন্ধি ব্যবহার ইত্যাদির মাধ্যমে শরীরের দুর্গন্ধ কমানো সম্ভব।
রোগ ও ওষুধ: বিভিন্ন শারীরিক রোগ এবং কিছু ওষুধের কারণেও শরীরে দুর্গন্ধ হতে পারে। যেমন- হতাশা নিয়ন্ত্রক ওষুধ সেবনের কারণে শরীরে অদ্ভুদ গন্ধ হতে পারে।
আবার পাকস্থলী ও যকৃতের সমস্যা, ডায়াবেটিস থেকে ত্বকে অতিরিক্ত ব্যাকটেরিয়ার বিক্রিয়া থেকে শরীরে দুর্গন্ধ হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ত্বক পরিষ্কার রাখা এবং ঘাম এড়ানোর জন্য ত্বকে আলো-বাতাস প্রবেশ করতে পারে এমন পোশাক পরা জরুরি।
খাবার: পেঁয়াজ, ফুলকপি, বাঁধাকপি ইত্যাদিতে থাকা ‘সালফার’ উপাদান ‘এক্রিন’ গ্রন্থির ওপর বাজে প্রভাব ফেলে। ফলে এই গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত ঘামেও গন্ধ হয়। তবে এই গন্ধ বেশিক্ষণ থাকে না।
শরীরে ঘামের দুর্গন্ধ প্রতিরোধে করণীয়:
* আর্ম পিট পরিষ্কার রাখুন – প্রতিদিন anti-bacterial সাবান দিয়ে পরিষ্কার করুন। এতে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ কম হবে আর ঘামও কম হবে। ফাইনাল ফলাফল শরীরে ঘামের দুর্গন্ধ কম হবে।
* আর্ম পিটের লোম পরিষ্কার রাখুন, বগলের লোম জমে থাকা ঘামকে বাস্পীভূত হতে দেয় না, ব্যাকটেরিয়া অনেক সময় ধরে দুর্গন্ধ তৈরি করে। তাই নিয়মিত আর্ম পিট ওয়াক্স করুন।
* diodarent ত্বককে আরও বেশি এসিডিক করে তোলে, যা ব্যাকটেরিয়ার জন্য অগ্রহণযোগ্য অবস্থা। Antiperspirant গ্লান্ডের sweating কার্যকারিতাকে বন্ধ করে দেয় ফলে শরীরে কম ঘাম হয়।
* প্রতিদিন অন্তত একবার গোসল করুন। মনে রাখবেন, গরম পানি শরীরে থাকা ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে আর যদি আবহাওয়া গরম থাকে তাহলে চেষ্টা করবেন কয়েকবার গোসল করে নিতে।
* ন্যাচারাল ফাইবার যুক্ত কাপড় পরিধান করুন – সিল্ক, সুতি জাতীয় কাপড় ত্বককে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে দেয়। ফলে ঘাম সহজে বাস্পায়িত হতে পারে।
* পায়ে ঘামের দুর্গন্ধ থাকলে জুতা খোলার সঙ্গে সঙ্গে সবার সামনে নিজেকে কী বিব্রতকর অবস্থাতেই না পড়তে হয়। তাই প্রতিদিন অন্তত একবার হালকা গরম পানি দিয়ে পা ধুয়ে নেয়ার চেষ্টা করবেন। আগেই বলেছি, গরম পানি ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে।
* চামড়ার জুতা পায়ের ঘাম বাস্পীভূত হতে সাহায্য করে। পর পর দুইদিন একই জুতা পরবেন না, কারণ জুতার ভেতরের ঘাম শুকানোর জন্য এক রাত যথেষ্ট না।
* লেবুর সাথে মধুর সংমিশ্রণ ঘামের দুর্গন্ধ প্রতিরোধের অন্যতম প্রধান ঘরোয়া উপায়। খুবই সিম্পল, একটি বাটিতে হালকা গরম পানি নিন, তাতে ২ টেবিল চামচ মধু আর ৩ টেবিল চামচ লেবুর রস নিন। তারপর আপনার যেসব স্থান ঘামে সে সব জায়গায় এই সলিউশন দিয়ে রিন্স করে নিন। তারপর শুকনো তোয়ালে দিয়ে মুছে ফেলুন। লেবু শরীরে ঘামের পরিমাণ কমিয়ে আনে।
* আপনি শুনে হয়তো অবাক হবেন যে, ভিনেগার অতিরিক্ত ঘামের পরিমাণ অনেক কমিয়ে আনে। রাতে ঘুমানোর আগে ভিনেগার আপনার আর্ম পিটে লাগিয়ে ঘুমান আর সকালে উঠে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে নিয়মিত করতে থাকলে আস্তে আস্তে আপনি ঘামের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন।
* গরম পানির সাথে নিম এক্সট্রাকট ব্যবহার করুন। নিম এক্সট্রাকট একটি শক্তিশালী প্রাকৃতিক ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসকারী। যা শরীরের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। একটি বাটিতে ফুটন্ত গরম পানি নিয়ে তাতে কিছু নিমের পাতা ছেড়ে দিন।
তারপর অপেক্ষা করুন ২০ মিনিট। এই কয় মিনিটে নিম পাতা থেকে সমস্ত নির্যাস বের হয়ে যাবে আর পানিও একটু ঠাণ্ডা হয়ে আসবে। এবার শুকনো তোয়ালে এই পানিতে ডুবিয়ে আপনার যেসব স্থান ঘামে সেসব স্থান মুছে নিন।
* গোসল করার আগে বালতিতে কিছু পুদিনা পাতা বা কয়েক ফোঁটা গোলাপ পানি দিন। তারপর ওই পানি দিয়ে গোসল করুন। এতে তাৎক্ষণিকভাবে আপনার শরীর dioderize হবে।
* সব সময় নিজেকে শুকনো রাখার চেষ্টা করুন। গোসল করার পর ভালোভাবে শরীর শুকিয়ে ভালো মানের diodarent ব্যবহার করুন।
* ডায়টেশিয়ানের মতে সালফিউরিক সম্মৃধ খাবার যেমন ব্রকলি, বাধাকপি, ফুলকপি পরিমাণে কম খেতে হবে। কারণ এগুলোতে মিনারেল সালফার থাকে যা গন্ধযুক্ত গ্যাস আমাদের ত্বকের সাহায্যে নির্গত করে।
ওপরের সাধারণ প্রাকৃতিক উপায় আর টিপস আপনাকে মুক্তি দিবে সকল বিব্রতকর পরিস্থিতি থেকে আর আপনিও থাকবেন প্রতিনিয়ত ক্লিন, ফ্রেশ। তাহলে কীভাবে শরীরে ঘামের দুর্গন্ধ দূর করবেন এই ব্যাপারে আর কোনো সংশয় থাকার কথা না।
Share:

স্মৃতিশক্তি বাড়াবে ৩ ফলের পানীয়

স্মৃতিশক্তি বাড়াবে ৩ ফলের পানীয়


কলা ফলটি ১২ মাসই পাওয়া যায়। কলা পুষ্টিগুণে ভরপুর। কলায় পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। যা মস্তিষ্ক ও স্নায়ুর কাজকে ভালো করতে সাহায্য করে।

আরেকটি ফল হচ্ছে কাঠবাদাম। কাঠবাদামে রয়েছে ডোপামিন ও প্রোটিন। এটি মস্তিষ্কের প্রেরণা ও ফোকাস বাড়ায়। এছাড়া এই ফলে থাকা রিবোফ্লাবিন ও এল কারনিটাইন মস্তিষ্কের নিউরোনাইল কার্যক্রমকে উদ্দীপ্ত করে।
তবে এখন প্রশ্ন হলো এই দুটি ফল যদি একত্রে খাওয়া যায় তাহলে কী ঘটে। এই দুটি ফল একত্রে খেলে স্মৃতিশক্তি বাড়াতে খুব ভালো কাজ করে। তবে এই দুটি উপাদানের সঙ্গে যোগ করতে হবে আরো একটি উপাদান। তা হলো নারকেল পানি। নারকেলের পানিতে রয়েছে গ্লুটামিক এসিড। এটিও মস্তিষ্কের কার্যক্রম ভালো রাখে।
কলা, কাঠবাদাম ও নারকেল পানি এই তিনটি উপাদানে একটি পানীয় তৈরি করা যায়। যা স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্যে করে।

এই পানীয় সম্পর্কে জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট ডেমিক। আসুন জেনে নেই এই পানীয় কীভাবে তৈরি করবেন।
উপকরণ
কলা একটি, পাঁচটি কাঠবাদাম, এক কাপ নারকেল তেল।
প্রণালী
কলা খোসা ছাড়িয়ে একটি ব্ল্যান্ডারে সব উপাদান একত্রে মিশিয়ে ব্ল্যান্ড করুন। তৈরি হয়ে গেল কলা- কাঠবাদামের পানীয়। স্মৃতিশক্তি বাড়াতে নিয়মিত পান করতে পারেন এ পানীয়টি।
Share:

রবিবার, ২১ জুলাই, ২০১৯

পেটের অতিরিক্ত চর্বি কমাবে অ্যালোভেরার রস

পেটের অতিরিক্ত চর্বি কমাবে অ্যালোভেরার রস



অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারীর গুণের কথাআমরা সবাই জানি। সম্প্রতি অনেকের একটি সমস্যা দেখা যাচ্ছে। তা হলো পেটের অতিরিক্ত চর্বি। পেটের অতিরিক্ত চর্বি বিভিন্ন রোগের বাসা। তাই পেটের অতিরিক্ত চর্বি কমিয়ে ফেলতে হবে।

তবে পেটের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে অ্যালোভেরার রসখুব ভালো কাজ করে।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ত্বকের বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে অ্যালোভেরার পাতা খুবই উপকারি। এটি শরীরের অতিরিক্ত চর্বি ঝরাতেও সাহায্য করে। অ্যালোভেরায় অ্যালোইন নামক এক ধরনের প্রোটিন থাকে। এই প্রোটিনসরাসরি অতিরিক্ত চর্বি না কমালেও শরীরে জমে থাকা টক্সিন দূর করে।
চর্বি কমাতে অ্যালোভেরায় রস খেতে পারেন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খুব বেশি পরিমাণে অ্যালোভেরার রস খাওয়া যাবে না। এত পেটের সমস্যা, ডায়রিয়া হতে পারে। তাই ভালো ফল পেতে এই রস খেতে হবে সঠিক পরিমাণে।
আসুন জেনে নেই পেটে ও শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে যেভাবে খাবেন অ্যালোভেরায় রস।
এক গ্লাস পানিতে ৫০ মিলিলিটার অ্যালোভেরা রস মিশিয়ে দিনের যে কোনও সময় খেতে পারেন। এই রস রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে।
এছাড়া হজমের সমস্যা, পাকস্থলীর সমস্যা, শরীরের বাড়তি চর্বি কমাতে খুবই উপকারি। সর্তকতা
তবে গর্ভাবস্থায় অ্যালোভেরার রস খাবেন না। ইন্ডিয়ান জার্নাল অফ ডার্মাটোলজি’তে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গর্ভবতী নারী মায়েদের জন্য এই রসমারাত্মক ক্ষতিকর । অ্যালোভেরার রস জরায়ুর সংকোচন ঘটায় ও অন্ত্রনালীতে নানা সমস্যার সৃষ্টি করে।

Share:

Sample Text

হারবাল ঔষধ, ভেষজ ঔষধ, ভেষজ চূর্ণ, ভেষজ গুণ সম্পর্কিত গাছ, প্রাকৃতিক ঔষধ, ভেষজ উদ্ভিদ পরিচিতি, ইউনানি চিকিৎসা, আয়ুর্বেদ চিকিৎসা, আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা, গ্রামীণ চিকিৎসা সেবা, হারবাল চিকিৎসা, অর্গানিক খাদ্য,হারবাল চা,হারবাল রেমিডি,ন্যাচারাল রেমিডি, হার্বস, একক ভেষজ, হারবাল ঔষধ এর পরিচিতি,হারবাল ঔষধ এর রিভিউ, ইউনানি ঔষধ এর রিভিউ, আয়ুর্বেদিক ঔষধ এর রিভিউ,আয়ুর্বেদ চিকিৎসার ইতিহাস, ইউনানি চিকিৎসার ইতিহাস, ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকিৎসা, হারবাল টোটকা,হারবাল শরবত, ফলের গুনাগুন, ফুলের গুনাগুন ইত্যাদি নিয়ে লেখালেখি।

Blogger দ্বারা পরিচালিত.

About

test

Wikipedia

সার্চ ফলাফল

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

আমার ব্লগ তালিকা

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

About

আমার ব্লগ তালিকা

Blogroll

Unordered List

Theme Support

Blogroll

BTemplates.com

Blogroll

Natural Health

আমার ফটো
kishoregonj, dhaka, Bangladesh
I am simple Man and Harbs Learner.

Contact form

নাম

ইমেল *

বার্তা *

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

অনুসরণকারী

Followers

Generate More Traffic on your Website.

Generate More Traffic on your Website.
It is a long established fact that a reader will be distracted by the readable content of a page when looking at its layout. The point of using Lorem Ipsum is that it has a more-or-less normal distribution of letters, as opposed to using 'Content here, content here'.

Translate

BTemplates.com

THE LIFESTYLE

Pages - Menu

Random Posts

Pages

Pages - Menu

Pages

Pages

Most Popular

Recent Posts

Unordered List

Pages

Theme Support